ফুরফুরা পন্থিরা ধোকাবাজ, সুন্নি নয় বাতিল ফিরকা দেওবন্দি ওহাবী অনুসারীঃ
ফুরফুরা পন্থীরা নিজেদের কে সুন্নি বা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বলে দাবি করে। তাদের আবুবাকার সিদ্দিক দাদা হুজরকে কত না উচুতে তুলে দিয়েছে যেমন সে নাকি চতুর্দশ শতাব্দীরর মুজাদ্দিদ, গওস, কুতুব আরও কত কি বলে। আসলে তারা যে ওহাবীদের দেওবন্দীদের অনুসারী একটা সংকর ফুরফুরা বাতিল ৭২ দলের অর্ন্তগত তা আপনাদের সামনে তাদের কিতাব থেকেই প্রমাণ করে দেখাবো।
ওহাবীরা পৃথিবীতে বিভিন্ন বিভিন্ন নামে বিভক্ত হয়ে গেছে যেমন ফারাজি,সালাফি,দেওবন্দি,আহ্লে হাদিস,তাব্লিগ জামাত,জামাতে ইস্লামি ইত্যাদি।তেমনি ফুরফুরা রা ওহাবী দেওবন্দি অনুসারি একটা বাতিল দল।তারা যে সুন্নি না সুন্নি বলে সাধারণ মুসলিমদের ধোকা দেই। দেওবন্দি ওহাবী অনুসারী তা জানা ও বোঝার আগে আমাদের কে দেখতে হবে দেওবন্দি ওহাবীদের আকিদা কেমন আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত তথা সুন্নিদের আকিদা কেমন।
ওহাবী দেওবন্দিদের আকিদা ও সুন্নি আকিদা না জানা ত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করে জেনে তারপর দেখেন ফুরফুরাদের আকিদা ও বিশ্বাস।
১ম লিঙ্কঃ http://yanabi.in/index.php?p=/discussion/132/২য় লিঙ্কঃ http://www.yanabi.in/index.php?p=/discussion/272/
৩য় লিঙ্কঃ http://www.yanabi.in/forum/viewtopic.php?f=7&t=21
৪র্থ লিঙ্কঃ http://yanabi.in/index.php?p=/discussion/119/
এবার দেখা যাক ফুরফুরা সিলসিলা কোথা থেকে এসেছে ওহাবীদের দেওবন্দিদের কাছ থেকে না সুন্নিদের কাছ থেকে। ফুরফুরাদের সাজরা দেখলে জানা যায় যে তাদের তাদের সিলসিলা এসেছে
সৈয়দ আহম্মদ রায় বেরেলভী থেকে ।এই সৈয়দ আহমেদ হচ্ছে সেই ব্যাক্তি যিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
দাদা হুজুর আবুবকর সিদ্দিকীর ৪র্থ পুত্র নজমুস সায়াদৎ এর তত্ত্বাবধানে লেখা কিতাব
"তালিমে তাছাউফ বা তাছাউফ শিক্ষা" এ ফুরফুরা সেজরা লেখা আছে দেখেন তার ৪২পৃষ্ঠাতে সেজরাতে ৬নম্বর এ
হজরত মওলানা শাহ সৈয়দ আহম্মদ শহিদ বেরেলভীর নাম লেখা আছে।আবার তার নামের পর রঃ মানে রহমাতুল্লাহ আলাই লেখা। নিচে তাদের কিতাবের স্ক্রীন শর্ট দেয়া হলো।যাদের সিলাসিলা এসেছে ওহাবী দেওবন্দীদের কাছ থেকে তারা কিভাবে সুন্নি হতে পারে। তারা বাতিল।
এখন ও বাতিল চিনতে ওসুবিধা হছে আপ্ননাদের।।।
সিরাতে মুস্তাকিম গ্রন্থটির মূল রচয়িতা হলেন সৈয়দ আহমদ বেরলভী এই কথাটির স্বীকৃতি দিতে গিয়ে মাওলানা কেরামত আলী জৈনপুরী তার লিখিত ‘জখিরায়ে কেরামত’ নামক কিতাবের ২০ পৃষ্ঠায় বলেন-
صراط المستقیم کہ اسکے مصنف حضرت سید صاحب اور اسکا کاتب مولانا محمد اسمعیل محدث دہلوی ہیں ......
অর্থাৎ ‘সিরাতে মুস্তাকিম কিতাবটি মূলত সৈয়দ আহমদ বেরলভীর মলফুজাত বা বাণী এবং এর লেখক মৌলভী ইসমাইল দেহলভী।’
সিরাতে মুস্তাকিম কিতাবের বাতিল আক্বিদাসমূহ:
১) নামাজের মধ্যে নবীয়ে পাকের খেয়াল করা গরু-গাধার খেয়ালে ডুবে থাকার চেয়েও খারাপ এবং তাঁকে নামাযের মধ্যে তা‘জিমের সঙ্গে খেয়াল করা শিরক। (নাউজুবিল্লাহ) (সিরাতে মুস্তাকিম- পৃষ্ঠা-১৬৭)
২) চোর ও জিনাকারীর ঈমান চুরি ও জিনার সময় পৃথক হয়ে যায়।ঠিক তেমনিভাবে মাজারশরীফে অবস্থান করে দোয়া করার সময় অধিক পরিমাণে ঈমান ধ্বংস হয়ে যায়। অজ্ঞতার ওজর না থাকলে তারা পরিষ্কার কাফের হয়ে যেতো। জিয়ারতকারী ব্যক্তি যদি আলেম হয়, দোয়া করার সময় নি:সন্দেহে কাফির। (নাউজুবিল্লাহ) (সিরাতে মুস্তাকিম পৃষ্ঠা-১০৫)
৩) দূর-দূরান্ত থেকে আউলিয়ায়ে কেরামের মাজারশরীফ জিয়ারতের উদ্দ্যেশ্যে সফর করে তথায় পৌছা মাত্রই শিরকের অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে এবং আল্লাহ তায়ালার গজবের কবলে পতিত হবে। (নাউজুবিল্লাহ) (সিরাতে মুস্তাকিম পৃষ্ঠা -১০২)
৪) আউলিয়ায়ে কেরাম কবরে অবস্থান করে জীবিতদের ন্যায় উপকার করতে সক্ষম নয়।যদি কবর জিয়ারতে মকছুদ পুরণ হতো,তাহলে দুনিয়ার সকল মানুষ মদিনা শরীফে চলে যেত। (নাউজুবিল্লাহ) (সিরাতে মুস্তাকিম পৃষ্ঠা -১০৩)
৫) একদিন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা স্বীয় শক্তিশালী হাতে সৈয়দ আহমদের ডান হাত ধরে বললেন আজ তোমাকে এই দিলাম,পরে আরও দিবো।এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি তার কাছে বায়আত গ্রহণ করার জন্য বারবার আরজি পেশ করতে থাকলে তিনি বললেন- আয় আল্লাহ আপনার এক বান্দা বায়আত গ্রহণ করার জন্য আমার কাছে আসছে,আর আপনি আমার হাত ধরে আছেন।আল্লাহ তায়ালা উত্তরে বললেন- তোমার হাতে যারা বায়আত গ্রহণ করবে লক্ষ লক্ষ গোনাহ থাকলেও আমি তাকে প্রচুর পরিমাণে মাফ করে দিবো। (নাউজুবিল্লাহ) (সিরাতে মুস্তাকিম পৃষ্ঠা-৩০৮)
৬) পূর্ণাঙ্গ শরিয়ত ও দ্বীনের যাবতীয় হুকুম আহকামের ব্যাপারে সৈয়দ আহমদ বেরলভীকে নবীগণের ছাত্রও বলা চলে, এবং নবীগণের উস্তাদের সমকক্ষও বলা চলে।(নাউজুবিল্লাহ) (সিরাতে মুস্তাকিম পৃষ্ঠা-৭১)
৭) সৈয়দ আহমদ বেরলভীর নিকট এক প্রকারের ওহী এসে থাকে, যাকে শরিয়তের পরিভাষায় নাফাসা ফির রাও বলা হয়।ইহাকে কোন কোন আহলে কামাল বাতেনী ওহী বলেও আখ্যায়িত করে থাকেন।অতঃপর বলেন তাদের (সৈয়দ আহমদ বেরলভী ও তার দলের) ইলিম যা হুবহু নবীদের ইলিম কিন্তু প্রকাশ্য ওহী দ্বারা অর্জিত নয় (অর্থাৎ বাতেনী ওহী দ্বারা অর্জিত) নাউজুবিল্লাহ। (সিরাতে মুস্তাকিম পৃষ্ঠা- ৭১-৭২)
৮) এই সকল বুজুর্গ (যে সকল বুজুর্গের নিকট ‘নাফাসা ফির রাও’ বা বাতেনী ওহী আসে) ও নবীগণ আলাইহিমুস সালামের মধ্যে পার্থক্য শুধু এতটুকু যে,নবীগণ উম্মতগণের প্রতি প্রেরিত হয়ে থাকেন এবং সেই সকল বুজুর্গ তাদের মনে উদিত বিধানকে প্রতিষ্ঠিত করেন।নবীগণের সাথে তাদের সম্পর্ক শুধু এতটুকু, যতটুকু সম্পর্ক ছোট ভাই ও বড় ভাইয়ের মধ্যে অথবা বড় ছেলে ও বাপের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। (নাউজুবিল্লাহ) (সিরাতে মুস্তাকিম পৃষ্ঠা-৭১)
এই বাতিল দের জারা চিনল না।।
তারা কাফের কে ও রহ মাতুল্লা বলে নাউজুবিল্লা এদের উপর লানত।।
এই বাংলাই এরা আবার হক মাস্লাক।।এদের সিলসিলা হক নাউজুবিল্লা।।
এই ভন্ড দের থেকে জারা ইমান বাচাতে পারল না তারা কত টা হতভাগা।।
এবার দেখেন দাদা হুজুর ওহাবী বাদশা আব্দুল আজিজ ইবনে সৌদের প্রশংসা করেছে ও তার সম্রাজ্য চীরস্থায়ী হোক তার জন্য দুয়া করেছে।এই ইবনে সৌদ বিখ্যাত বিখ্যাত সাহাবাদের মাজার শরীফ মাজারের গুম্বজ ও অন্যান্য ইসলামিক ঐতিহাসিক নিদর্শন ধংস করেছে ।
আর এই কাজটি উনি শরিয়ত অনুযায়ী ঠিক করেছেন তা জানিয়েছেন। বলেন কোন সুন্নি কি এই ধরনের কথা চিন্তা করতে পারে যে সাহাবায়ে কিরাম ও আহলে বায়েত এর মাজার ও গুম্বজ ধংস করা হাদিস অনুযায়ী ঠিক, এই ধারণা একমাত্র ওহাবী দেওবন্দিরদের হতে পারে।ফুরফুরার "অছিয়াত নামা" কিতাবে তথা কথিত দাদা হুজুর ইবনে সৌদ কে যে চিঠি লিখেছেন তার আরবি ও বঙ্গানুবাদ এই কিতাবে রয়েছে ১৪ আর ১৫ পৃষ্ঠায় " প্রাচীন স্মৃতিচিহ্নগুলি পাক মাজারগুলির চুড়া সকল আপনার আদেশে ধংস এবং নিশ্চিহ্ন হইয়া গিয়াছে,ইহা এক হিসাবে নবি(সাঃ) এর হাদিস শরীফের অনুসরণে অসত্য নহে,"
নিচে পত্রের স্ক্রীনশর্ট দেয়া হলো:
এছাড়াও ফুরফুরার দাদা হুজুরের নির্দেশে রচিত ফুরফুরার পীর আবু জাফর সিদ্দিকীর "আল-মাউযূওআত" কিতাবে ১০৮ পৃষ্ঠায় ,সাইফুদ্দিন সিদ্দিকীর "ফুরফুরার হজরত" ১৪১-১৪৪পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে।
ফুরফুরার দাদা হুজুরের এবং তার সন্তানদের মত অনুযায়ী সাহাবা ও আহ্লে বায়াত রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাজার ও গুম্বজ ভাঙ্গা হয়েছে তা হাদিস অনুযায়ী ঠিক হয়েছে বা তারা তা ঠিক মনে করে। কিন্তু তাদের বুজুর্গদের আবার মাজার আর গুম্বজ কেন? সেগুলি কেনো ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে না? আসলে তারা ওহাবীদের অনুসারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম সাহাবা ও আহ্লে বায়াত রাদিয়াল্লহু আনহুর দুশমন।
আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা হুজুর ﷺ
নুরের তৈরি কিন্তু ফুরফুরারা হুজুর ﷺ কে নুর মানেন না এবং সাধারণ মানুষ যে ভাবে তৈরি সেই ভাবে তৈরি মনে করেন। তারা মনে করে হুজুর ﷺ তুচ্ছ পানি দিয়ে তৈরি। তাহলে এরা কত নুংরা বুঝতে পারছেন।
এরা আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাত রেজবী বেরলবী মাসলাক এ আলা হজরত নিয়ে কটুউক্তি করে তথা হাদিস কুরআন বিরোধী কথা বলে। হাদিস কুরআন অনুযায়ী যে সমস্ত করা জায়েজ সেই সমস্ত বিষয়কে ওহাবীদের মতে অনুসারী হয়ে শিরক বি'দাতের বলে মানুষকে পথভ্রষ্ট করে।
দেওবন্দির সাথে এদের মিল দেখেনঃ
ফুরফুরাদের দাদা হুজুর কি চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ?
ফুরফুরারা তাদের দাদা হুজুরকে "মুজাদ্দিদে জামান" বলে চেঁচিয়ে বেড়ায়।মুষ্টিমেয় কিছু ব্যাক্তির কথা অনুযায়ী যদি মুজাদ্দিদ হত, তাহলে এই পৃথিবীতে মুজাদ্দিদদের অভাব হত না।যে অঞ্চলে যেতাম সেই অঞ্চলেই মোজাদ্দেদ দেখতে পেতাম। কিন্তু তা হয় না যে দাদা হুজুরকে পশ্চিমবঙ্গেরই সমস্ত জেলাই চিনে না তার প্রভাব ফুরফুরা অঞ্চল ব্যাতিত বাংলার অন্য কোন জেলাই তার কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায় না সে আবার মুজাদ্দিদ হতে পারে কি করে?
যে মুজাদ্দিদ হবে তার সমস্ত বিশ্বে প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে। চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হচ্ছে
ইমামে আহলে সুন্নাত মুজাদ্দদে দীন ও মিল্ললাত ইমাম ইমাম আহমদ রাযা খান বেরলবী রাদিয়াল্লাহু আনহু। ফুরফুরার দাদা হুজুরকে ফুরাফুরার মুষ্টিমেয় ভক্ত ব্যাতি বিশ্বে কেউই মুজাদ্দিদ বলে গ্রহণ করেনা।সুন্নিরা তো তাকে মুজাদ্দিদ হিসাবে মানেই না এমনki দেওবন্দী ওহাবীরাও তাকে মুজাদ্দিদ হিসাবে মানে না।নিচের লিঙ্কে তার প্রমাণ পাবেন।
http://sunniforum.net/showthread.php?t=10606https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mujaddidhttp://www.ahlesunnat.net/media-library/downloads/regularupdates/mujaddid.htm
আজ আবার দিলাম সেই মুনাফিক দের চরিত্র আর দেওবন্দ এক যেটা তারা নিযেযে নিজে ফতুয়া কিতাবে লিখেছে তা আবার দেওবন্দী মুফতি আজিজুল হক এর মুখে আজ প্রকাশিত তার ভিডিও.... এরা আসলে হল দেওবন্দী বাতিল
চলবে......
Comments
ফুরাফুরার আর এক পীর পুজোর মণ্ডপে