★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
আহলে হাদীস এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত - Ja-al-haq Discussions on

আহলে হাদীস এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত

আহলে হাদীস এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত -
আমাকে এক ভাই বললঃ ভাই, আপনার লিখা দেখে মনে হয় আপনি মাযহাব অনুসরণ করেন। আপনাকে একটি উপদেশ দিচ্ছি, বুখারী মুসলিম পড়ুন আর মানুন, এসব মাযহাব অনুসরণ করা বাদ দিয়ে দিন, কারণ মাযহাব অনুসরণ করা স্পষ্টতই কুফরী, বিদয়াতী, গোমরাহী।
আমি হেসে বললামঃ আপনি নিশ্চিত তো মাযহাব অনুসরণ করা স্পষ্টতই কুফরী, বিদয়াতী, গোমরাহী ?
সে বললঃ হ্যা, অবশ্যই। আমারকাছে কুরআন হাদীসের দলীল আছে।
আমি বললামঃ তাহলে ভাই আপনিনিজেই তো বুখারী মুসলিম পড়তে পারবেন না, মানা তো দূরের কথা !
সে অবাক হয়ে বলল, কেন, পড়তে পারব না কেন ?
আমি বললামঃ দেখুন, ইমাম বুখারী তো আর আপনাকে নিজ হাতে তাঁর বুখারী শরীফটি দিয়ে যাননি, তাই না ?
সে বললঃ হ্যা, অবশ্যই।
আমি বললামঃ এবার শুনুন, এই পৃথিবীতে বুখারী শরীফের অনেকগুলো নুছকা পাওয়া যায়। তবে তার মধ্যে সবচেয়েপ্রসিদ্ধ হচ্ছে ৪টি। এই চারটি নুছকা যাদের তাদের নাম হলঃ
১-ইবরাহীম বিন মা’কাল বিন হাজ্জাজ আন নাসাফী রহঃ। তিনি ২৯৪ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
২- হাম্মাদ বিন শাকের আন নাসাফী রহঃ। যিনি ৩১১ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
৩-মুহাম্মদ বিন ইউসুফ আল ফিরাবরী রহঃ। তিনি ৩২০ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
৪-আবু তালহা মানসুর বিন মুহাম্মদ রহঃ। তিনি ২৬৯ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
লক্ষ্য করুন, এর মাঝে প্রথমদুইজন তথা ইবরাহীম বিন মা’কাল বিন হাজ্জাজ আন নাসাফী রহঃ এবং হাম্মাদ বিন শাকের আন নাসাফী রহঃ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর মুকাল্লিদ। আর অন্য দুজন হলেন শাফেঈ মাযহাবের অনুসারী। অর্থাৎ বুখারী শরীফকে যারা পৃথিবীর বুকে টিকিয়ে রেখেছেন, তারা সবাই মাযহাবী ছিলেন, কেউ আপনাদের মত লা-মাযহাবী বা গায়রে মুক্বাল্লেদ ছিলেন না।
আরও অবাক হবেন শুনে যে, মুসলিম শরীফের শুধুমাত্র একটি নুছকা পাওয়া যায়। আর এ নুছকাটি যার তিনিও একজন হানাফী। অর্থাৎ মুসলিম শরীফকেও পৃথিবীতে টিকিয়ে রেখেছেন হানাফী।
আরও শুনুন, মুয়াত্তা যে কিতাবটিকে উম্মুল সহীহাইন,অর্থাৎ বুখারী মুসলিমের মা বলা হয়, এবং বুখারী মুসলিমের আগে বলা হত দুনিয়ার বুকে কোরআনের পর সবচেয়ে শুদ্ধ কিতাব হল মুয়াত্তা, সেই মুয়াত্তার ২টি নুছকা পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি হল ইমাম মুহাম্মদ (রহঃ) এর। অন্য নুছকাটি হল ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া আল লাইছি আল মাসনুদ এর যেটাকে আমরা মুয়াত্তা মুহাম্মদ বলি। আর এই ২ জনের প্রথম জন হলেনহানাফী আর দ্বিতীয়জন হলেন মালেকী। অর্থায় মুয়াত্তাকেও দুনিয়ার বুকেটিকিয়ে রেখেছেন মাযহাব অনুসরণকারীরা।
এবার আপনার কথাতেই আসুন, যদি মাযহাব অনুসরণ করা স্পষ্টতই কুফরী, বিদয়াতী, গোমরাহী হয়ে থাকে তবে এ সমস্ত নুছকা যারা নিয়ে এসেছেন আমাদের কাছে তারা সবাই কুফর করেছেন, তারা সবাই বিদয়াতী, গোমরাহী। তাহলে এবার আমাকে বলুন আপনি কিভাবে এমন ব্যক্তিদের নিয়ে আসা হাদীসের কিতাব পড়তেছেন আর মানতেছেন যারা নিজেরাই কি না কুফর, বিদয়াত, গোমরাহীতেলিপ্ত ছিল ? কোন যুক্তিতে তাদের দেওয়া কিতাব অনুসরণ করা জায়েয বলবেন ?
এখন হয়, আপনি আজ থেকে বুখারী মুসলিম পড়ে ছেড়ে দিন আর না হয় আপনার নিজের জ্ঞানকে আরেকবার পরিশুদ্ধকরে নিন।
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|