★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
সায়্যেদ আহমাদ শুধু ওহাবী নয়! তার প্রবর্তনকারীও - Ja-al-haq Discussions on

সায়্যেদ আহমাদ শুধু ওহাবী নয়! তার প্রবর্তনকারীও

edited March 2018 in Ja-al-haq

*সায়্যেদ আহমাদ শুধু ওহাবী নয়! তার প্রবর্তনকারীও ঃ*

প্রমাণ নংঃ ১
ভারতে ওহাবী আন্দোলনের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রায় বারেলীর
সায়্যেদ আহমাদ (১৭৮৬ - ১৮৩৯)। তিনি মক্কা হজ্জ করতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ওহাবীদের সংস্পর্শে
আসেন এবং তাদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন। মক্কা থেকে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে তিনি এই মতদর্শের জোরদার প্রচার শুরু করেন। তিনি বলেন যে, ভারতের মুসলমানদের মধ্যে বহু কুসংস্কার বাসা বেঁধেছে। (ইতিহাস ৭৫ পৃষ্ঠা ,নবম ও দশম শ্রেণী) 
প্রমাণ নংঃ ২ 
ভারতে ওহাবী আন্দোলনের প্রবর্তন করেন রায়বারেলীর সায়্যেদ
আহমাদ। (আধুনিক ভারত ও বিশ্ব ২২ পৃষ্ঠা)
প্রমাণ নংঃ ৩ 
আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সায়্যেদ আহমাদ লিখেছেনঃ
“ভারতের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে যে পাহাড়ী সম্প্রদায় থাকে, তারা সুন্নী মাযহাব হানাফী সম্প্রদায়, এই পাহাড়ী সম্প্রদায় তাদের (সায়্যেদ আহমাদ ও ইসমাঈল দেহলিবীর) মতবাদের বিপরীত ছিল। এই কারণে ঐওহাবী (সায়্যেদ আহমাদ) তার মতবাদ পাহাড়ীদের আদৌ মানাতে পারেনি। কিন্তু পাহাড়ীরা শিখদের অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছিল। এই কারণে শিখদের উপর আক্রমণ করবার জন্য ওহাবীদের পরিকল্পনায় অংশ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু যেহেতু এই সম্প্রদায় মাযহাব বিরোধীতায় অত্যন্ত কঠোর ছিল, সেহেতু এই সম্প্রদায় শেষে ওহাবীদের সহিত প্রতারণা করে শিখদের সাথে লড়াই করতঃ মৌঃ ইসমাঈল ও সায়্যেদ আহমাদকে শহীদ করেছেন। (মাক্বালাতে স্যার সায়্যেদ, নবম খন্ড ১৩ ৯ পৃষ্ঠা)। 
প্রমাণ নংঃ ৪ 
উত্তর প্রদেশে রায়বারেলির অধিবাসী সৈয়দ আহমাদ বারেলবী ছিলেন
ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। (ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা ৪৭ পৃষ্ঠা, নবম ও দশম শ্রেণী) 
প্রমাণ নংঃ ৫ 
১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় সৈয়দ আহমেদের সঙ্গে তিতুমিরের পরিচয়
হয় এবং তিতুমির তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে তিতুমির তাঁর নিজ জেলা ”ব্বিশ পরগনা জেলার চাঁদপুর গ্রামে ফিরে এসে ইসলামের বিশুদ্ধতা বক্ষার্থে ধর্মসংস্কার আন্দোলন শুরু করেন। (আধুনিক ভারত ও বিশ্ব ২৩ পৃষ্ঠা)। প্রথম দিকে তিতুমির সুদখোর মহাজন, নীলকর, জমিদারদের হাতে
নির্যাতিত দরিদ্র ও মুসলমানদের নিয়ে এক সংগঠন তৈরি করে ২৪ পরগনা, নদিয়া যশোহর, রাজশাহি, ঢাকা, মালদহ ইত্যাদি স্থানে তিতুমির অনুগামীরা জমিদার ও নীলকরদের বিরোধিতা শুরু করে। তিতুমির অনুগামীদের ওয়াহাবী আদর্শ মেনে বলেন পির পয়গম্বরকে মানার
প্রয়োজন নেই, মন্দির, মসজিদ তৈরির প্রয়োজন নেই, ফয়েতা (শ্রদ্ধাশান্তি) অনুষ্ঠান করার প্রয়োজন নেই, অনুগামীদের দাড়ি রাখতে হবে, সুদে টাকা খাটানো নিষিদ্ধ কাজ। তিতুমির ও তার অনুগামীরা অন্যান্যদের ওয়াহাবি মতাদর্শে দীক্ষিত করতে শুরু করেন। (ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা ৪৭ পৃষ্ঠা)
প্রমাণ নংঃ ৬ 
ওহাবী দেওবন্দীদের মনোনীত শীর্ষস্তরের বুযর্গ শায়েখ আব্দুল হক
হাক্কানী নিজ গ্রন্থ “তাফসীরে হাক্কানী-র” প্রথম খন্ডে ১১২ পৃষ্ঠায়। লেখেছেন “সায়্যেদ আহমাদ প্রথম জীবনে শাহ ওলীউল্লাহ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)-র পৌত্র মাওলানা মাখসু সুল্লাহর খিদমদে থেকে সামান্য আরবী ব্যকরণ শিক্ষা করেছিলেন এবং তাবীজ ও ঝাড়ফুঁক করাও শিখেছিলেন। কিন্তু যখন এই ব্যবসা চলল না, তখন বৃটিশ সরকারের দিকে অগ্রসর হয়ে ছিল এবং খোদা প্রদত্ত নিজ প্রতিভায় ভাল আসন ও পেয়েছিলেন। তার পর কট্রর ওহাবী ও মৌলবী ইসমাঈলের অনুসারী হয়ে যান।”
প্রমাণ নংঃ ৭ 
“ইসলামিক ফাউন্ডেশন” বাংলাদেশ থেকে যতগুলি বই পুস্তক
প্রকাশিত হয়েছে সমস্ত পুস্তকেই সায়্যেদ আহমাদকে ওহাবী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমনঃ ১৯৮১ সালে প্রকাশিত “ইতিহাস কথা কয়” গ্রন্থের ১১৭ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ আছে, “সৈয়দ আহমাদ ছিলেন ওহাবী আন্দোলনের একজন নেতা।” ...“সৈয়দ আহমাদ সবে মাত্র মক্কা থেকে ফিরেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নতুন মন্ত্রঃ ওহাবী মতবাদ।”...... “মক্কা থেকে ফিরে সৈয়দ আহমাদ ওহাবী মতবাদ প্রচার করতে শুরু করেন।” 
প্রমাণ নংঃ ৮ 
১৯৭৯ সালে মুজাহিদে মিল্লাত হুযুর মুফতী হাবীবুর রহমান (উড়িসা)
রাহমাতুল্লাহি আলাইহি মসজিদে নবুবীর (মদীনা শরিফে) বড় ইমাম শায়েখ আব্দুল আজিজের সাথে অসীলা সম্পর্কে বাহাস করেছিলেন। উক্ত বাহাসের শর্তনামাতে আব্দুল আজিজ সাহেব নিজেকে ওহাবী বলে সাক্ষর করেছেন। (হরফে হাক্কানীয়াত ২৩ পৃষ্ঠা)।
এই সেই আব্দুল আজিজ যার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন সায়্যেদ আহমাদ রায়বারেলী সেটাই তো ওহাবী মতবাদ।
প্রমাণ নংঃ ৯
সায়্যেদ আহমাদের যত জন খালিফা ও শিষ্য ছিল সকলের ইতিহাস দেখুন সকলেরই আক্বীদা ওহাবী আক্বীদা। যেমন ভারতে সর্বপ্রথম ওহাবী মতবাদে কেতাব লেখক মৌলবী ইসমাঈল দেহলবী যে, সায়্যেদ সাহেবকে কাঠের পুতুলের ন্যায় নাচাতো কারণ সায়্যেদ সাহেব ছিলেন জাহেল ব্যক্তি। তাছাড়া দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও তার অনুসারীগণের আক্বীদার আলোচনা ও পর্যালোচনা করলেই প্রকাশ হয়ে যাবে যে সায়্যেদ সাহেব ও তার অনুসারীদের সেই আক্বীদা (মতবাদ) যা ওহাবীদের আক্বীদা (মতবাদ)।
 এবং ফুরফুরাদের মুরব্বী পীর সাইফুদ্দিন সিদ্দিকীর লিখা “আদ্দাওয়াহ” কেতাবটা পাঠ করলে বুঝতে পারবেন যে, ফুরফুরাবীরাও ওহাবী মতবাদ ধারণকারী। আর এই তিনটাই সিলসিলার মূল হচ্ছে সায়্যেদ আহমাদ রায়বারেলবী।
মূল পোস্টঃ http://yanabi.in/d/1101/
by sunni bangla team
লেখাটি সম্পুর্ণ অপরিবর্তন রেখে কপি শেয়ার করার অনুমতি থাকলো।
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|