★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
কুখ্যাত বাতিল ফির্কা দেওবন্দী ফের্কা নিজেদের ফতোয়ায় নিজেরা কাফির - Ja-al-haq Discussions on

কুখ্যাত বাতিল ফির্কা দেওবন্দী ফের্কা নিজেদের ফতোয়ায় নিজেরা কাফির

edited April 2018 in Ja-al-haq


দেওবন্দী ফের্কা ইতিহাসের এক জঘন্যতম ফের্কা। ইংরেজদের তোষামোদ করে প্রতিষ্ঠা লাভ আর হিন্দুদের পদলেহন করে নিজেদের নাপাক অস্তিত্ব তারা টিকিয়ে রেখেছে। 
আমি এই পোষ্টে ছোট একটি দৃষ্টান্ত দিয়ে প্রমান করবো দেওবন্দীরা কিরকম স্ববিরোধী ফতোয়া দিয়ে থাকে। 

এই পোষ্ট যারা পড়বেন সবার প্রতি আহ্বান থাকবে উক্ত বিষয় ব্যতিত অন্য প্রসঙ্গ টানবেন না। 
আর কোন দেওবন্দী যদি তার মুখের ভাষার মাধ্যমে নিজের পৃত্বী পরিচয় প্রকাশ করতে চায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে ! 

সকল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হচ্ছে , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলমে গাইবের অধিকারী। কারন আল্লাহ পাক উনাকে সকল ইলিম হাদীয়া করেছেন ! সুবহানাল্লাহ্ !! 

অথচ স্পষ্ট দলীল থাকার পরও কাট্টা ওহাবী, এই দেওবন্দী ফির্কা এই ইলমে গাইবের বিষয়টা অস্বীকার করে। 

দেওবন্দী জামাতের অন্যতম নেতা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী তার ফতোয়ার কিতাবে লিখেছে--- 

" যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত অন্য কারো জন্য অদৃশ্য জ্ঞান বা ইলমে গায়েব প্রমানিত করে, সে নিঃসন্দেহে কাফির। তার ইমামত, তার সংশ্রব, মুহব্বত ও সদ্ভাব সব হারাম !" 

দলীল -- 
√ ফতোয়ায়ে রশীদিয়া ২খন্ড- ১৪১ পৃষ্ঠা ! 

দেখেন দেওবন্দী গং আল্লাহ ব্যতীত কারো ইলমে গায়েব মানে না। শুধু তাই না যে মানে তাকে কাফির হিসাবে জানে। 

অথচ দেখেন নিজেদের নাপাক মুরুব্বীদের বেলায় দেওবন্দীরা কিন্ত ষোল আনা ইলমে গায়েব মেনে থাকে , যেটা নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং আওলিয়ায়ে কিরাম দের ব্যাপারে অস্বীকার করে থাকে। 

প্রমান নিন-- 

দেওবন্দীদের অন্যতম নেতা মৌলভী আশেক ইলাহী মিরাটী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর জীবনী " তাজকিরাতুর রশীদ " কিতাবে লিখেছে ----- 

" মওলবী সাদেকুল ইয়াকীন যে রশীদ আহমদের অন্যতম বন্ধু ছিলেন, তিনি একবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হন। ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধব এ খবর শুনে খুবই মর্মাহত হয়ে গেলেন এবং রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর কাছে দোয়ার আরজ করলেন। রশীদ আহমদ নিশ্চুপ রইলেন এবং কথা অন্য দিকে ফিরিয়ে দিলেন। যখন দ্বিতীয় বার আরজ করা হলো, তখন তিনি সান্তনা দিয়ে বললেন-' মিয়া উনি এখন মারা যাবেন না এবং মরলে আমার পরে মরবে "। 

দলীল-- 
√ তাযকিরাতুর রশীদ ২ খন্ড- ২০৯ পৃষ্ঠা ! 

বন্ধু গন এবার ইনসাফের সাথে বিচার করুন। কে কখন মারা যাবে এইটা গেয়েবের ব্যপার। দেওবন্দীরাই ইলমে গায়েবের বির্তকের সময় সূরা লোকমনের দলীল দিয়ে বলে কে কখন মারা যাবে এটা গায়েবের বিষয় , এটা আল্লাহ পাক ব্যতীত কেউ জানে না। আর যে জানার দাবি করবে তার কি হবে সেটাতো উপরেই দলীল দিয়েছি।অথচ গাঙ্গুহী নিজেই অবলিলায় বলে দিল সে এখন মারা যাবে না মরলে আমার পরে মরবে। 

চিন্তার বিষয় হচ্ছে নবী রসূসগন আল্লাহ পাক উনার কুদরতী শক্তিতে গায়েব জানেন এটা তারা অস্বীকার করে , পক্ষান্তরে নিজেদের বেলায় ইলমে গায়েবের অধিকারী দাবি করে থাকে এটা কিসের আলামত ?? 

তবে কি তারা নিজেদের নবী-রাসূল আলাইহমুস সালামদের চাইতে বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন মনে করে ?? 
কি জবাব দিবে ?? 

আর নিজেরাইতো ফতোয়া দিয়েছে গাইবের জ্ঞান দাবীকারি কাফির, তার ইমামত জায়েজ নেই , তাহলেতো নিজের ফতোয়াতেই রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী কাফির ! 
এবং আজ পর্যন্ত যত দেওবন্দী গাঙ্গুহীর ইমামত মেনেছে সবাই কাফির ! 

======================= 

দেওবন্দী সিলসিলার ছোট বড় সবার প্রথম তালিম হচ্ছে হজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলমে গায়েব বা অদৃশ্য জ্ঞান জানেন না এবং তিনি হাজির নাজির নন ,এবং তিনি হায়াতুন্নবী নন। 
নাউযুবিল্লাহ !! 

তাদের দৃষ্টিতে যারা ইলমে গাইব,হাজির নাজির,হায়াতুন্নবী মানবে তারা কাফির। 

দেখুন তাদের ফতোয়ার কিতাব থেকেই দলীল দিচ্ছি।দেওবন্দী গুরু রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী তার ফতোয়ার কিতাবে লিখেছে --- 

" অদৃশ্য জ্ঞান আল্লাহ পাক উনার বৈশিষ্ট্য। এ শব্দটি ব্যাখ্যা করে অন্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাটা শিরক !" 

দলীল-- 
√ ফতোয়ায়ে রশীদীয়া-৩ খন্ড-৪৩ পৃষ্ঠা। 

ফতোয়ায়ে রশিদীয়া সহ দেওবন্দী সিলসিলার সব কিতাবেই আছে- 

" যারা নবীজী উনাকে হাজির নাজীর বিশ্বাস করবে তারা কাফির " 

তারা একথাও বলে থাকে - কোন নবী-রসুল-ওলী-দরবেশ ইন্তেকালের পর তারা কোন কিছুই করার ক্ষমতা রাখেন না ! একটা মাছিও তাড়ানোর ক্ষমতা নাকি তাদের থাকে না !" 

দলীল-- 
√দেওবন্দী সিলসিলার সকল কিতাব এবং ওয়াজকারীদের ওয়াজ ! 

এবার আসুন আমরা দেখি এসকল বিষয়ে তাদের মুরুব্বীদের বেলায় ফতোয়াটা কি হয়--- 

দেওবন্দ মাদ্রাসার অন্যতম মুহতামিম ক্বারী তৈয়ব বর্ননা করেন-- 

" যে সময় ক্বারী রফিউদ্দিন সাহেব মাদ্রাসার মুহতামিম ছিলেন, তখন দারুল উলুমের কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মওলবী মাহমুদুল হাসান এই কোন্দলে জড়িত হয়ে পরেন। এবং কোন্দল বিস্তার লাভ করে। 
এমনি এক সময় , একদিন ভোরে ফজরের নামাজের পর মাওলানা রফী উদ্দীন সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেবকে দারুল উলুমে নিজ কামরায় ডাকলেন | মাওলানা উপস্থিত হলেন এবং বন্ধ কামরার দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলেন। তখন তীব্র শীতের মৌসুম ছিলো। 
মাওলানা রফীউদ্দিন সাহেব বললেন, প্রথমে আমার এ তুলার তৌষকটা দেখুন। মাওলানা মাহমুদুল হাসান তোষকটা দেখলেন। যেটা আদ্র এবং খুব ভিজা ছিলো। রফিউদ্দীন সাহেব বললেন, ব্যাপার হচ্ছে কিছুক্ষণ আগে মাওলানা কাশেম নানুতুবী স্বশরীরে আমার কাছে তাশরীফ এনে ছিলেন।( অথচ কাশেম নানতুবী অনেক আগেই মারা গিয়েছিলো ) যার ফলে আমি একেবারে ঘেমে গেছি এবং আমার তোষক ভিজে গেছে। তিনি এটা বলে গেছেন যে , মাহমুদুল হাসানকে বলে দিও, সে যেন ঝগড়ায় জড়িত হয়ে না পরে। অতএব আমি আপনাকে এটা বলার জন্য ডেকেছি। অতপর, মাহমুদুল হাসান বললেন, হুজুর আমি আপনার হাতে তাওবা করতেছি এরপর এ ব্যাপারে কিছুই বলবো না।" 

দলীল-- 
√ আরওয়াহে ছালাছা ২৪২ পৃষ্ঠা ! 

ব্যপারটা এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার ব্যাপারে মওলবী আশরাফ আলী থানবী উক্ত কিতাবে একটি টিকা সংযুক্ত করে দিয়েছেন। ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন-- 

" এ ঘটনা ছিলো রুহের আকৃতি ধারন। এটা দুই ধরনের হতে পারে, এক, এটা রুপক শরীর ছিলো কিন্ত দেখতে ব্যহ্যিক শরীরের মত। দুই, রুহ স্বয়ং মূল পদার্থের উপর হস্তক্ষেপ করে বাহ্যিক শরীর গঠন করে নিয়েছে।" 

দলীল-- 
√ আরওয়ায়ে ছালাছা ২৪৩ পৃষ্ঠা | 

এবার আসুন উক্ত ঘটনার পর্যালোচনা করা যাক ! 
উক্ত ঘটনা থেকে তাদের ফতোয়া মোতাবেক ৪ টা কুফরী / শেরকি আক্বীদা আছে। 

(১) ইলমে গায়েব- - তাদের ফতোয়ায় নবজী দেওয়ালের ওই পাশে কি হচ্ছে এটা বলতে পারেন না , অথচ তাদের মুরুব্বী নানতুবীর বেলায় প্রমান করলো তার গায়েবের জ্ঞান ছিলো। কারন এ জ্ঞান না থাকলে আলমে বরযখ বা মৃত্যুর পরের জগৎ থেকে তিনি দেওবন্দের গন্ডোগলের খবর কেমনে জানলেন ?? 

(২) কবরে জিন্দা থাকা --তাদের ফতোয়ায় সকল নবী রসূল মৃত্যুর পর মাটির সাথে মিশে গেছে! নাউযুবিল্লাহ ! অথচ নানতুবী সাহেব জিন্দা। জিন্দা ছিলেল একারনে তিনি কবরে থেকে দেওবন্দের খবর পাইছেন। 

(৩) হাজির নাজির-- তাদের ফতোয়ায় কোন নবী রসূল হাজির নাদির হতে পারে না। অথচ ঘটনায় দেখা যাচ্ছে নিজেদের মুরুব্বীদের হাজির নাজির হওয়ার ক্ষমতা ছিলো , যেকারনে মৃত্যুর পরও দেওবন্দ মাদ্রাসায় হাজির হয়ে গিয়েছেন। 

(৪) মৃত্যুর পর ক্ষমতা প্রয়োগের শক্তি -- যেখানে তাদের ফতোয়া মতে নবী রসূল গন ইন্তেকালের পর একটা মাছি তারানোর ক্ষমতা রাখে না সেখানে নানতুবী নিজ ক্ষমতা বলে দেওবন্দের কোন্দলের মিমাংসা করলেন। 

সম্মানিত মুসলমান ভাইয়েরা বিচার আপনাদের কাছেই থাকলো। যেটা নবী - রসুল উনাদের বেলায় বললে কুফর, শিরিক সেটা তাদের মুরুব্বীদের জন্য জায়েজ এটা দিয়ি কি প্রমান হয় ? 
দেওবন্দী দের নবী কে ?? 

======================= 

দেওবন্দীরা যেসব বিষয় নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, ওলী আল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের ব্যপারে কুফর-শিরিক বলে ফতোয়া দিয়ে থাকে , সেগুলা নিজেদের বেলায় অবলীলায় জায়েজ বলে উল্লেখ করতেছে। 

অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে ইলমে গায়েব, হাজির নাজির এগুলা নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বেলায় বলা তাদের ভাষায় কুফরী, শেরকি ! পক্ষান্তরে দেওবন্দীরা নিজেদের বেলায় এক একজন নিজেরাই গায়েবের ভান্ডার আর এক জায়গায় বসে সব জায়গায় ঘুরে বেরাচ্ছে। 
কি অদ্ভুত ইনসাফ !!! 

দেখুন দেওবন্দী গুরু রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী তার ফতোয়ায় বলেছে - 

" যারা নবীজীকে হাজির নাজির বলবে তারা কাফির " 

দলীল- 
√ ফতোয়ায়ে রশীদিয়া ২ খন্ড 

দেওবন্দী গুরু আশরাফ আলী থানবী তার ফতোয়ার কিতাবে লিখেছে -- 

" যদি একই সময় কয়েক জায়গায় মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে কি সব জায়গায় ( নবীজী) তাশরীফ নিয়ে যাবেন , না নির্দিষ্ট কোন জায়গায় ? যদি কোন জায়গায় যান আর কোন জায়গায় না যান তাহলে এটা বিনা কারনে অগ্রাধিকার দেয়া বুঝাবে ! আর যদি সব জায়গায় যান , তাহলে তার অস্তিত্ব যেহেতু এক হাজার জায়গায় কিভাবে যেতে পারেন ?"

দলীল-- 
√ ফতোয়ায়ে ইমদাদিয়া ৪র্থ খন্ড ৫৮ পৃষ্ঠা ! 

এই হলো হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাজির নাজির হওয়ার ব্যাপারে তাদের অভিমত !! 


আসুন এবার দেখি দেওবন্দী গুরু দের ব্যাপারে ফতোয়াটা কি হয় -- 

দেওবন্দী অন্যতম গুরু খাজা আজীযুল হাসান তার লিখিত " আশরাফুস সাওয়ানেহ " নামক থাবীর জীবনীতে একটা ঘটনা উল্লেখ করেছে ! ঘটনাটি নিম্নে দেয়া হলো --- 

" অনেক দিন হলো , এক ব্যক্তি আমাকে এ খানকায় তাঁর ঘটনাটি এভাবে বর্ননা শুরু করে , হুজুরকে তো ( আশরাফ আলী থানবী ) এখানে বসা দেখা যাচ্ছে, কিন্তু কি জানি এখন তিনি কোথায় আছেন ? কেননা আমি একবার নিজেই হুজুরকে থানুবোন থাকা স্বত্বেও আলীগড়ে দেখেছি। তখন সেখানে একটি মেলা হচ্ছিলো এবং মেলায় মারাত্মক আগুন লেগেছিলো। আমিও সেই মেলায় দোকান নিয়েছিলাম। যেদিন আগুন লাগছিলো সেদিন আছরের সময় থেকে আমার মনে অস্বাভাবিক ভয় হচ্ছিলো। যার কারনে কেনা বেচার মোক্ষম সময়ে আমি দোকানের সমস্ত মাল পত্র আগে ভাগে কুড়িয়ে বাক্সের মধ্যে রাখতে শুরু করলাম। যখন মাগরিবের পর অগ্নিকান্ডের শোরগোল শুরু হলো, তখন আমি ভিষন বিচলিত হয়ে পরলাম। হে আল্লাহ ! কিভাবে বাক্সগুলো দোকানের বাইরে নিয়ে যাই , কারন আমি একা আর বাক্সগুলো অনেক ভারী। সে সময় হঠাৎ আমি দেখি থানবী হুজুর আমার সামনে হাজির এবং বাক্সগুলোর এক একটি কাছে গিয়ে বললেন, তাড়াতাড়ি উঠাও। বাক্সের একদিকে তিনি ধরলেন একদিকে আমি ধরলাম। এভাবে অল্পক্ষনের মধ্যে সমস্ত বাক্স বের করে ফেলা হলো। সেই সময় অগ্নিকাণ্ডে অন্যান্য দোকানের অনেক ক্ষতি হয়েছিলো কিন্ত আমার সমস্ত মালপত্র রক্ষা পেলো।" 

দলীল--- 
√ আশরাফুস সাওয়ানেহ - ২ খন্ড- ৭১ পৃষ্ঠা - প্রকাশনা খানকায়ে ইমদাদিয়া থানবোন , মুজাফফার নগর ! 

সম্মিনিত মুসলমান ভাইয়েরা !! কি বুঝলেন ? 

থানবোন থেকে আলীগড়ের খবর আশরাফ আলী থানবী কিভাবে পেলো ?? 
এটা কোন গায়েবী শক্তি ?? 
নবী রসুল আলাইহিস সালাম সালাম উনাদের ব্যাপারে এগুলা বলা কুফর শিরিক আর নিজেদের বেলায় জায়েজ ???? 

চোখের পলকে আলীগড়ে হাজির হয়ে বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করাটা এটা কি ?? 
হাজির নাজির নয় ?? 

হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যাপারে এটা শিরিক হয়ে যায় আর নিজেদের জন্য জায়িয ?? 

এখানে তাওহীদী আক্বীদা কোথায় গেলো ?? 
বিচারের দায়িত্ব আপনাদের বিবেকের আদালতে দিলাম ! 

======================= 

দেখুন দেওবন্দীদের চিন্তা চেতনা কত নিম্নমানের ও কুফরী। 
তাদের দৃষ্টিতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তেমন কোন ক্ষমতা নেই যেমন ক্ষমতা তাদের দেওবন্দী মুরুব্বীদের আছে। 
আজকেও তেমনি একটি ঘটনা উল্লেখ করবো। যে ঘটনাটি বর্ননা করেছেন দেওবন্দী মাদ্রাসার প্রধান গুরু কাশেম নানতুবীর শাগরেদ মৌলবী মনসূর আলী খান মুরাদাবাদী। এই মনসুর আলী খান সমকামী মানসিকতার ছিলো। অবশ্য দেওবন্দী কওমী সবাই সমকামী হয়ে থাকে ! যদিও পোষ্টের সাথে অপ্রাসঙ্গিক তার পরও একটা প্রমান দিচ্ছি। সবাই এই লিংকটা একটু দেখুন --- 

http://www.deshebideshe.com/details_news_columnist.php?n_id=16330&&n_category=113&col_id


যাইহোক , এই মনসুর আলী খান মুরাদাবাদী নিজেই বর্ননা করতেছে --- 
" এক ছেলের সাথে আমার প্রেম হয়ে গেল এবং ওর প্রেম আমার মন মানসিকতার উপর এমন প্রভাব বিস্তার করলো যে রাত-দিন ওর ধ্যানেই মগ্ন থাকতে লাগলাম। আমার অবস্থা অন্য রকম হয়ে গেল, সমস্ত কাজে গন্ডগোল হতে লাগলো। মাওলানা নানতুবী আধ্যাত্মিক ক্ষমতা বলে তা উপলব্ধি করতে পারলেন। একেই বলে সংশোধন ও তত্তাবধায়ন, তিনি আমার সাথে বন্ধুত্ব সুলভ আচরন করতে শুরু করলেন। এবং এটাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে এলেন যে , দুই বন্ধু পরস্পর মনের ভাব আদান প্রদান করতে কোন সংকোচ বোধ করে না। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই সে প্রেমের কথা উঠালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা ভাই ; সে কি তোমার কাছে আসে ? না আসে না ? আমি লজ্জায় একেবারে নিশ্চুপ হয়ে গেলাম। তিনি বললেন ভাই এতো লজ্জার কি আছে , প্রায় মানুষের এরকম হয়ে থাকে। মোটকথা এভাবে তিনি আমার মুখ থেকে সেই ( সমকামী) প্রেমের স্বীকারোক্তি আদায় করে নিলেন। 
এবং কোন প্রকার রাগের লক্ষণ দেখালেন না। বরং সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। 
এরপর আমার অস্থিরতা আরো বেরে গেলো , প্রেমে একেবারে কাবু হয়ে পরলাম। এরপর এতদিন অপারগ হয়ে মাওলানা নানতুবীর খেদমতে হাজির হলাম এবং আরজ করলাম-- 
হুজুর আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে সাহায্য করুন। আমি প্রেমে একেবারে অস্থির এবং কাবু হয়ে গেলাম। এমন দোয়া করুন যাতে সেই ছেলের খেয়াল মন থেকে মুছে যায়। তিনি হেসে জিজ্ঞাসা করলেন, মওলবী সাহেব ! কি হয়রান হয়ে গেলেন ? উৎসাহ কমে গেলো ? আমি আরজ করলাম হুজুর, আমি সব কাজে বেকার হয়ে গেলাম। অকর্মন্য হয়ে গেলাম, আমার আর সহ্য হচ্ছে না , আমাকে সাহায্য করুন !! 
তিনি বললেন মাগরীবের নামাজের পর যখন ফারেগ হবো , তখন আপনি এখানে উপস্থিত থাকবেন। 
তারপর মাগরীবের নামাজের পর আমি সেই ছাতা মসজিদে বসে রইলাম। যখন হুজুর আওয়াবীন নামাজ থেকে ফারেগ হলেন, তখন আওয়াজ দিলেন, মওলবী সাহেব কোথায় ? আমি বললাম , বান্দা হাজির। আমি সামনে গিয়ে বসে গেলাম। তিনি ফরমালেন, হাত দাও ! আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম। আমার হাত তার বাম হাতের তালুতে রেখে তালু দ্বারা এমন ভাবে ঘষা দিলেন, যেন বান পেষা হয়। 
খোদার কসম ! আমি একবারে চাক্ষুষ দেখলাম যে, আমি আরশের নিচে এবং চারদিক থেকে নূর এবং আলো আমাকে পরিবেষ্ঠন করে নিলো। যেন আমি আল্লাহর দরবারে হাজির !" 

দলীল-- 
√ আরওয়ায়ে সালাছা ২৪৭ পৃষ্ঠা ! 

দেখুন দেওবন্দী মওলবীদের পাওয়ার দেখুন , হাতের তালুতে এত ঘষাতে আরশ কুরসী দেখিয়ে দিতে পারে তারা,চোখের পলকে নিজের সমকামী সাগরেদকে এমন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে যেখানে তাদের ভাষায় নবী ওলীরাও যাইতে পারে না। এমনই ক্ষমতা তাদের যে এক ঘষা মেরে সমকামী শিষ্যকে ইলমে গায়েবের ক্ষমতা দান করে ! যে গায়েবের ব্যাপারটা তাদের ভাষায় স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও জানেন না। 
নাউযুবিল্লাহ !! 

দেখুন তাদের কিতাবেই আছে -- 

" অনেক ব্যাপারে তাঁর ( নবীজীর) একান্ত মনোনিবেশ করা এবং চিন্তা ও পেরেশানিতে পতিত হওয়ার পরও বিষয়টা গোপন থাকাটাই প্রমানিত হয়েছে।" 

দলীল-- 
√ হিফযুল ঈমান- ৫ পৃষ্ঠা-আশরাফ আলী থানবী 

এবার নিজের বিবেকের আদালতে বিচার করুন !! 
নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাকে পরই উনার স্থান। দেওবন্দীদের ভাষায় তিনি চিন্তা পেরেশানি করেও কিছু জানতে পারছেন না সব গোপনই থাকছে ! 

অপর দিকে দেওবন্দী গুরু কাশেম নানতুবীর এত পাওয়ার হাতের এক ঘষায় আরশ কুরসী একাকার করে ফেলতেছে !!! 

কি বুঝলেন ?? 
কি বিচার করবেন ? 
আসলে এই দেওবন্দীরা কি প্রতিষ্ঠ করতে চায় ??? 
মুসলমান দের ঈমান নষ্ট করতে কার দালালী করছে এরা ভেবে কি দেখেছেন ?? 


======================= 


ইলমে গয়েব বা অদৃশ্য জ্ঞান ! 
এ ব্যাপারে দেওবন্দীরা খুবই স্বোচ্চার। তাদের ফতোয়ার কিতাবে এব্যাপারে কঠোর ফতোয়া তারা দিয়ে রেখেছে। 

দেওবন্দী গুরু রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী তার কুখ্যাত ফতোয়ার কিতাব 'ফতোয়ায়ে রশীদিয়ায় ' লিখেছে --- 

# এধরনের বিশ্বাস রাখা যে, তাঁর ( নবীজীর) ইলমে গায়েব বা অদৃশ্য জ্ঞান ছিলো তা সুস্পষ্ট শিরিক " 

দলীল-- 
√ ফতোয়ায়ে রশীদিয়া-২খন্ড- ১৪১ পৃষ্ঠা ! 

# যে ব্যক্তি নবীজীর ইলমে গায়েব প্রমান করার চেষ্টা করে তার পিছনে নামাজ পড়া দুরস্ত নয়, এটা সুস্পষ্ট কুফরী ! 

দলীল- 
√ ফতোয়ায়ে রশীদিয়া-৩য় খন্ড-১২৫ পৃষ্ঠা ! 

দেখা যাচ্ছে দেওবন্দীদের ভাষায় স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও ইলমে গায়েবের জ্ঞান নাই। এবং যারা ইলমে গায়েব বিশ্বাস করবে দেওবন্দী দের দৃষ্টিতে তারা কাফের। 


আসুন এবার দেওবন্দী মুরুব্বীদের নিজের বেলায় ফতোয়া কি হয় দেখি। 

দেওবন্দী গুরু রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর জীবনী " তাযকেরাতুর রশিদ " কিতাবে বর্নিত আছে এ ঘটনা। মীর ওয়াজেদ আলী নামক একজন ছিলো গাঙ্গুহীর মুরীদ। সে নিজে ঘটনার বর্ননা করে বলে-- 

" মীর ওয়াজেদ আলী কানুজী বলেন, আমার ওস্তাদ মাওলানা মুহম্মদ কাসেম আমার কাছে বর্ননা করেছেন , " আমি একবার গাঙ্গুহ গিয়েছিলাম। খানকায় একটি নতুন মাটির পাত্র রাখা ছিলো। আমি কুপ থেকে পানি উঠিয়ে পান করলাম , তখন পানি তিক্ত মনে হচ্ছিলো। যোহরের নামাজের সময় যখন গাঙ্গুহী হুজুরের সাথে দেখা হলো তখন ঘটনাটি বললাম। তিনি বললেন তা কি করে হয় ? কুপের পানিতো সুস্বাদু, তিক্ত নয়। 
আমি সেই নতুন মাটির পাত্রটি পেশ করলাম, যার মধ্যে পানি ভর্তি ছিলো। তিনি পানি মুখে নিয়ে দেখলেন, পানি ঠিকই তিক্ত। তিনি বললেন, ঠিক আছে এটা রেখে দাও। একথা বলার পর তিনি যোহরের নামাজে নিয়োজিত হয়ে গেলেন। সালাম ফিরানোর পর গাঙ্গুহী বললেন, কালেমা তৈয়বা যে যত বেশি পড়তে পারে পড়ুন, এই বলে তিনি নিজেও পড়তে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর গাঙ্গুহী দোয়ার জন্য হাত উঠালেন। এবং একান্ত কায়মনে দোয়া করার পর হাত মুখে বুলিয়ে নিলেন। এরপর মাটির পাত্র উঠিয়ে পানি পান করে দেখলেন যে , পানি সুস্বাদু। ওই সময় মসজিদে যত মুসল্লি ছিলো সবাই পানি পান করে দেখলো পানি সুস্বাদু , এবং পানিতে কোন তিক্ততা নেই। 
রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী ফরমালেন, -" এ মাটির পাত্রটি সেই কবরের ছিলো , যেটার উপর আযাব হচ্ছিলো। খোদার শুকরিয়া , কালেমা শরীফের বরকতে আজাব রহিতো হয়ে গেলো। "" 

দলীল-- 
√ তাযকিরাতুর রশীদ- ২ খন্ড- ২১২ পৃষ্ঠা। 

দেখেন, কি ইলমে গায়েবের পাওয়ার দেওবন্দী গাঙ্গুহীর। মসজিদে বসে তিনি বলে দিচ্ছেন , এই মাটির পাত্র ওমুক কবরের মাটি দিয়ে তৈরী , এবং এটাও বলে দিলেন সে কবরে আজাব হচ্ছে। 
শুধু কি তাই ? 
পরে আবার নিশ্চিতও করলেন যে , আজাব বন্ধ হয়েছে !! 
একেই বলে অদৃশ্য জ্ঞন বা ইলমে গায়েব ! নিজের অদৃশ্য জ্ঞানের কি সমাহার , আর অন্যদিকে নবীজীর ইলমে গায়েবের বিশ্বাস তাদের ভাষায় শিরক ও কুফর !! 

কি আজব ইনছাফ ! 
নবীজীর ক্ষমতাকেও নিজেদের ক্ষমতার কাছে তুচ্ছ মনে করে দেওবন্দীরা ! 
কি বিচার করবেন ? 
কি জবাব দিবেন ? 


======================= 


দেওবন্দীদের আক্বীদা দেখুন- 

দেওবন্দী গুরু আশরাফ আলী থানবী তার বইতে লিখেছে-- 
" কোন বুযর্গ বা পীরের ব্যাপারে এ বিশ্বাস রাখা যে আমাদের সব রকম অবস্থার খবর তার কাছে সব সময় থাকে তা কুফর ও শিরক !" 

দলীল-- 
√ বেহেশতি জেওর ১ম খন্ড ২৭ পৃষ্ঠা 

উক্ত কিতাবে আরো আছে-- 
" কাউকে দুর থেকে ডাকা এবং এটা মনে করা যে , তার সব জানা হয়ে যাবে এটা কুফর ও শিরক !" 

দলীল-- 
√ বেহেশতি জেওর- ১ম খন্ড ৩৭ পৃষ্ঠা ! 

এই হলো দেওবন্দী আক্বীদা, তাদের ফতোয়ায় বলা হচ্ছে কোন ওলী আল্লাহ দূরবর্তী কোন মুরীদের খবর জানতে পারেন না , সাহায্য করতে পারেন না। আর তাদের কাছে সাহায্যে চাওয়াটাও শিরিক। 



এবার আসুন আমরা দেখি দেওবন্দীদের জীবনীতে কি পাওয়া যায় সেটা একটু দেখি। 

দেওবন্দী জামাতের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক মুফতী আযীযুর রহমান বিজনূরী তারা কিতাব " আনফাসে কুদসীয়ায়" হোসেন আহমদ মদনীর মুরীদের একটা ঘটনা উল্লেখ করছেন। ঘটনাটি ঘটেছিলে আসামের একটি পাহারী এলাকায়! 
ঘটনা -- 

" বালিনুদীস্থ মৌলবী বাজারের এক ব্যক্তি স্বাধীনতার আগে মোটর যোগে শিলং যাচ্ছিলো। আসাম প্রদেশের প্রায় জায়গা পাহাড়ী , মোটর ও বাস চলার যে রাস্তা আছে তা খুবই সরু। মাত্র একটি গাড়ী চলাচল করতে পারে , দুটো চলার কোন সুযোগ নাই। এ লোকটি হোসেন আহমদ মদনীর মুরীদ ছিলো। যখন অর্ধেক পথ অতিক্রম করলো , তখন দেখতে পেলো যে সামনের দিক থেকে একটি ঘোড়া খুব দ্রুতগতিতে আসতেছে। এ ব্যক্তি এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা ঘাবড়ে গেলো যে, এখন কি অবস্থা হবে ! মোটর গাড়ি থামিয়ে রাখলো। তা স্বত্বেও তারা ভীষন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলো,কারন ঘোড়া কোন আরোহী ছাড়াই দ্রুত গতিতে ছুটে আসতেছিলো। 
বর্ননাকারী বলেন, সে স্বীয় অন্তরে চিন্তা করলো যদি পীর মুরশিদ এখানে হতো , অবশ্যই দোয়া করতো। শুধু এটুকুই চিন্তা করছিলো , এদিকে হোসেন আহমদ মাদানী হাজির হয়ে ঘোড়ার লাগাম ধরে কোথায় অদৃশ্য হয়ে গেলো।"" 

দলীল-- 
√ আনফাসে কুদসীয়া ১৮৬ পৃষ্ঠা [ প্রকাশনা- মদীনা বুক ডিপো, বিজনুর ] 

এবার আসুন ঘটনার পর্যালোচনা করি !!! 
দেখুন কোথায় দেওবন্দ আর কোথায় আসামের পাহাড়,অনেক মাইলের দূরত্ব। 
দেখুন , হোসেন আহমদ মদনীর মুরীদ বিপদগ্রস্ত হয়ে স্বীয় দেওবন্দী গুরুর কথা চিন্তা করতে না করতেই চোখের পলকে দেওবন্দ থেকে হাজির হয়ে গেলো। এবং ব্যপক ইলমে গায়েবের জ্ঞানের মাধ্যমে দেওবন্দী গুরু দেওবন্দে বসে আসামে পাহাড়ের খবর পেয়ে গেলো। এবং নিজে এসে শিষ্যকে বিপদ থেকে রক্ষা করলো। 

কি জবাব দিবেন ?? 
এই ব্যপার গুলো নবী-রসুল-ওলী আল্লাহ উনাদের ব্যপারে তাদের ফতোয়ায় শিরিক। আর নিজেদের ব্যপারে ষোল আনা বৈধ। নিজেদের ব্যপারে তাদের তাওহীদী ফতোয়া নিশ্চুপ !!! 

আসলে দেওবন্দীদের উদ্দেশ্যটা কি ? 
নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের হেয় প্রতিপন্ন করা ? 
তবে কি তারা ইহুদী-খৃষ্টানদের এজেন্ট হয়ে মুসলীম বিদ্বেষী গোপন মিশন বাস্তবায়ন করছে ?? 

======================= 


তারা মূলতো নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিদ্বেষী, ওলী আল্লাহ উনাদের বিদ্বেষী এবং নিজেদের নাপাক মুরুব্বী পূজারী সেটা দিবালোকের মত পরিস্কার হয়ে গিয়েছে ! 
আজকের পোষ্টটাও এমনই একটি পোষ্ট যেটা পড়লে প্রমান হবে এরা মূলতো ইসলাম ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে বিধর্মী দের টাকা খাওয়া দালাল। 

দেওবন্দী আক্বীদা প্রতিদিন বারবার বলার প্রয়োজন মনে করি না। সংক্ষেপে তাদের মতে , কোন নবী রসূল -ওলী আল্লাহ উনারা কেউ ইলমে গায়েব জানেন না, হাজির নাজির হতে পারেন না, ইন্তেকালের পর কাউকে সাহায্য করতে পারেন না ,ইত্যাদি !! 

দলীল-- 
√ ফতোয়ায়ে রশীদীয়া 
√ বরাহীনুল কাতেয় 
√ ফতোয়ায়ে এমদাদিয়া 
√ হিফজুল ঈমান , সহ দেওবন্দী খারেজীদের সকল বই পুস্তক ও ওয়াজের ক্যাসেট ! 


এখন আসুন দেখা যাক তাদের মুরুব্বী দের ব্যাপারে তাদের আক্বীদা ও চিন্তা ভাবনা কেমন ! 

দেওবন্দী জামাতের অন্যতম মওলভী মুনাজির আহসান গিলানী তার " সাওয়ানেহ কাসেমী " কিতাবে একটা ঘটনা বর্ননা করছে। এই ঘটনা দেওবন্দী জামাতের আরেক মওলোভী মাহমুদুল হাসানের বরাত দিয়ে দেওবন্দী মাদ্রাসার এক ছাত্রের ঘটনা বর্ননা করা হয়েছে। দেওবন্দী সেই ছাত্রের ঘটনা -- 

"সেই ছাত্র পাঞ্জাবের কোন এক এলাকায় গিয়ছিলো ,এবং গ্রামের লোকেরা তাকে তাদের মসজিদে ইমামতি করার সুযোগ দেয়। গ্রামবাসীও তার সাথে ভালো ব্যবহার করতে লাগলো। হঠাৎ ঐ এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে এক ওয়ায়েজী মওলবী আগমন করলো ,এবং ওয়াজ নসিহত করতে লাগলো। এবং এলাকার লোকেরা তার ভক্ত হয়ে গেলো। 
একদিন ওয়ায়েজ মওলবী জানতে চাইলো এই এলাকার মসজিদের ইমাম কে ? সবাই বললো, দেওবন্দী মাদ্রাসায় পড়ুয়া ওক মওলবী সাহেব !! 
দেওবন্দী মাদ্রাসার নাম শুনে ওয়ায়েজ সাহেব খুব রেগে গেলেন, এবং ফতোয়া প্রদান করলেন, এ পর্যন্ত যত নামাজ তোমরা দেওবন্দীর পিছনে পড়েছ ওগুলো মোটেও আদায় হয় নাই, এরপর দেওবন্দীদের বদ আক্বীদার বিভিন্ন বর্ননা দিলেন। 
গ্রাম বাসী মুসলমানগন খুবই মর্মাহত হলো। কারন দেওবন্দীকে অনর্থক ইমাম বানিয়ে টাকা পয়সা বর্বাদ হলো সেই সাথে নামাজও নষ্ট হলো। 
তারপর একদিন গ্রামবাসী সেই দেওবন্দী মৌলভীর কাছে গেলেন, বললেন, ওয়ায়েজ মওলবী আপনাদের নামে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন , পারলে আপনি তা খন্ডন করুন আর না পারলে বলুন আপনার সাথে কি আচরন করতে পারি ? 
দেওবন্দী খুব চিন্তায় পরে গেলো , সে ধরেই নিলো তার চাকরীটা গেছে ! কারন ওতবড় ওয়ায়েজ মৌলবীর সাথে মুনাজিরার যোগ্যতা তার নাই, কিন্তু মুনাজিরা না করেও উপায় নাই ! তাই বাধ্য হয়ে ভয়ে ভয়ে মুনাজিরা করতে রাজি হলো। 
বাহাসের জন্যে তারিখ, স্থান সময় সব ঠিক হয়ে গেলো। নির্ধারিত সময় ওয়ায়েজ মওলবী কিতাবের বড় বড় পুটলি নিয়ে হাজির হলো , অন্য দিকে দেওবন্দী মৌলবীও ভীতু সন্ত্রস্ত নীরুপায় হয়ে এগিয়ে এলো ! 

এরপর দেওবন্দী মৌলবী নিজের বর্ননা--- 
আমি ওয়ায়েজ মৌলবীর সামনে বসে গেলাম , এখনো তর্ক-বিতর্ক শুরু হয় নাই ! হঠাৎ আমার পাশে একজন লোকের উপস্থিতি অনুভব করলাম , তাকে আমি চিনতে পারলাম না। সে আমার পাশে বসলো এবং বললো , আলোচনা শুরু করো এবং কোন ভয় করো না। এরপর আমার ভিতর অসাধারণ শক্তি সৃষ্টি হলো। 

এরপর দেওবন্দী মৌলবী বলতেছে, আমার মুখ থেকে এমন সব শব্দ বের হতে লাগলো, আর এমন ভাবে বের হতে লাগলো যে আমি জানতাম না যে আমি কি বলছি। ওয়ায়েজ মওলবী প্রথম দুই একটা কথার জবাব দিয়েছিলেন , কিন্তু প্রশ্ন উত্তরের সিলসিলা বেশি দুর অগ্রসর হলো না। হঠাৎ দেখা গেলো ওয়ায়েজ মৌলবী আমার পায়ের উপর মাথা রেখে কাঁদতেছিলো। আর বলতে ছিলো, আপনি এতবড় আলেম আমি জানতাম না ! আমাকে মাফ করে দিন ইত্যাদি ! 
এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী হতবাক, তারা কি দেখতে এসেছিলো আর কি দেখছে !! 
দেওবন্দী মৌলবী বলে, হঠাৎ সেই আবির্ভূত ব্যাক্তি যিনি আমাকে সাহায্য করলেন তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন। আমি উপলব্ধি করতে পারলাম না যে , তিনি কে ছিলেন এবং কিধরনের ঘটনা ঘটলো ! 

উক্ত ঘটনা ওই দেওবন্দী মৌলবী দেওবন্দীদের গুরু মাহমুদুল হাসানকে বলছিলো। মাহমুদুল হাসান জিজ্ঞাসা করলেন, হঠাৎ আবির্ভূত ব্যক্তির আকৃতি কিরকম ছিলো ?? 
মৌলবী যে বর্ননা করছিলো, মাহমুদুল হাসান বলেন,- তার বর্ননা শুনে আমার ওস্তাদ কাসেম নানুতুবীর এক একটা আকৃতি আমার সামনে ভেসে উঠছিলো। যখন সে বর্ননা শেষ করলো , মাহমুদুল হাসান বললো আরে এতো আমার ওস্তাদ কাসেম নানুতুবী যিনি তোমাকে সাহায্য করার জন্য সেখানে আবির্ভূত হয়েছিলেন !"' 

{ অথচ কাশেম নানতুবী অনেক আগেই মারা গিয়েছিলো } 

দলীল-- 
√ সাওয়ানে কাসেমী ১ম খন্ড ৩৩০,৩৩১,৩৩২ পৃষ্ঠা [ প্রকাশনা- দারুল উলুম দেওবন্দ ] 

নিজেরাই বিচার করুন !! 
এ কোন ইনসাফ ?? 
নবী রসূল-ওলী আল্লাহ উনাদের ব্যাপারে তাদের ভাষ্য উনারা ইলেমে গায়েব জানেন না/ হাজির নাজির হতে পারেন না/ ইন্তেকালের পর কাউকে সাহায্যে করতে পারেন না ! 
নাউযুবিল্লাহ !! 
অথচ তাদের বেলায় ইনসাফ কোথায় গেলো ?? 
মৃত কাশেম নানতুবী কবর থেকে কোন ইলমে গায়েবে পাঞ্জাবে বাহাসের খবর পেয়ে গেলো ? 

আলমে বরযখ থেকে দেওবন্দী মৌলবী কে সাহায্য করতে কি ভাবে হাজির নাজির হলো ?? 

তাদের ভাষায় ইন্তেকালের পর নবী ওলী কেউ একটা মাছি তাড়াতে পারে না , তাহলে কোন ক্ষমতায় নানতুবী কবর থেকে এসে দেওবন্দীকে সাহায্য করলো ??? 
কে বিচার করবে ?? 
নবী রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের জন্য যেটা শিরক তাদের মুরুব্বী দের জন্য জায়েজ কোথায় পেলো ?? 


======================= 



আমি আপনাদের সকলের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করবো , যদি আপনাদের হৃদয় পাথর না হয়ে থাকে , আপনাদের চক্ষু যদি অন্ধ না হয়ে থাকে , ইনসাফের লেশ পরিমাণ যদি থেকে থাকে আপনারা জবাব দিন যে , নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ব্যাপারে যে সকল বিষয় তারা শিরক-কুফরের গরম ফতোয়া দিয়ে থাকে ঠিক সেই একই বিষয় গুলো নিজেদের বেলায় অবলীলায় জায়িয হিসাবে নিজেদের যোগ্যতা হিসাবে হাসি মুখে প্রকাশ করে !! 
এইটা কোঢ় ইনসাফ ???? 

দেওবন্দী মৌলবী মুনাজির আহসান গিলানী তার " সাওয়ানে কাসেমী" কিতাবে দেওয়ানজী নামক কাশেম নানতুবীর এক শিষ্যের ঘটনা বর্ননা করছে -- 

দেওবন্দী প্রধান মৌলবী কাশেম নানুতুবীর সাথে ইয়াসীন নামে দুই ব্যক্তির বিশেষ সম্পর্ক ছিলো। তাদের মধ্যে এ দেওয়ানজী দেওবন্দের অধিবাসী ছিলো এবং মৌলবী তৈয়বের বক্তব্য মতে দেওবন্দে কাশেম নানতুবীর ঘরোয়া ও ব্যক্তিগত কাজের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো। 

উক্ত দেওয়ানজী তারা নিজের ঘরে বসে জিকির করতো। দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন মুহতামিম হাবীবুর রহমান বলেন, ওই সময় দেওয়ানজীর কাশফের ক্ষমতা এত বৃদ্ধি পেয়েছিলো যে, বাইরে রাস্তায় আনাগোনাকারী সকল মানুষ তার দৃষ্টি গোচর হতো। যিকির করার সময় ঘর ও দেওয়ালের আবরন তার দৃষ্টি পথে প্রতিবন্ধক হতো না।"" 

দলীল-- 
√ সাওয়ানেহ কাশেমী ২ খন্ড ৭৩ পৃষ্ঠা। 

বন্ধু গন এই হলো দেওবন্দী গুরু কাশেম না

Comments

  • বন্ধু গন এই হলো দেওবন্দী গুরু কাশেম নানতুবীর চকরের ক্ষমতা, এমনই তার ক্ষমতা ঘরের দেয়াল গুলো আয়নার মতো ঝকঝকে পরিস্কার থাকতো , দেওয়ালের বাইরের দৃশ্য ঘরে বসেই দেখতে পেতো। 

    এবার আসুন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্ষমতা প্রসঙ্গে দেওবন্দী দের ধারনা বা আক্বীদা কিরুপ দেখি। 

    দেওবন্দী গুরু মৌলবী মনজুর নোমানী তার বইতে লিখেছে -- 

    " যদি নবীজীর কাছে দেয়ালের পিছনের সব জানাই থাকতো, তাহলে হযরত বেলালের কাছে আগমনকারীদের নাম জিজ্ঞাসা করার কেন প্রয়োজন হতো ?" 

    দলীল-- 
    √ ফয়সালাকুন মুনাজারা ১৩৬ পৃষ্ঠা ! 

    আশরাফ আলী থানবী বলে-- 
    " অনেক বিষয়ে নবীজীর একান্ত মনোযোগ ও চিন্তার ভাবনার পরও অজ্ঞাত থাকাই প্রমানিত আছে !' 

    দলীল-- 
    √ হিফযুল ঈমান 

    এবার নিজেরাই বিচার করুন ! 
    দেওবন্দী গুরুর ঘরের চাকর ঘরে বসে সবই দেখতে পায় আর সমস্ত কায়েনাতের যিনি রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চিন্তা চেষ্টা করেও কিছু দেখতে পারেন না !!!!! 
    এটা কোন ইনসাফ ?? 
    এটা নবীজীর অবমাননা ন ?? 

    তাহলে বলেন দেওবন্দী দের নাস্তিক বলা যাবে কিনা??? 

    ======================= 

    তারা নিজেদের নাপাক মুরুব্বীদের ব্যাপারে যে আক্বীদা ও সম্মান প্রদর্শন করে তার হাজার ভাগের এক ভাগও হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলায় প্রদর্শন করে না !! যাইহোক আসুন আজকের পোষ্টে দেওবন্দী দের স্ববিরোধী ফতোয়ার নমুনা দেখা যাক ! দেওবন্দী গুরু রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর জীবনী " তাযকিরাতুর রশীদ" কিতাবে হাজী দোস্ত খান নামক গাঙ্গুহীর এক শিষ্যের ঘটনা বর্নিত আছে | দোস্ত খানের স্ত্রীর একবার মারাত্মক অসুস্থ হয় | সেই অসুখের বর্ননা দিতে গিয়ে লেখক যে ঘটনা উল্লেখ করে সেটা নিম্নরূপ-- " হাত পা অবশ হয়ে গেছে, সমস্ত শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে | স্ত্রীর প্রতি হাজী সাহেবের ভীষন মুহব্বত ছিলো | অস্থির হয়ে কাছে এসে দেখলো যে, অবস্থা খুবই খারাপ | কেবল বুকটা নড়াচড়া করছিলো মনে হচ্ছিলো | হায়াতের আশা ছেড়ে দিয়ে কাঁদতে লাগলো এবং শিয়রে বসে সূরা ইয়াসিন পড়তে লাগলো | কয়েক মূহুর্ত যেতে না যেতে হঠাৎ রোগীনী চোখ মেললো এবং দীর্ঘ একটি নিশ্বাস ফেলে পুনরায় চোখ বন্ধ করে ফেললো | সবাই মনে করলো শেষ সময় এসে গেছে | হাজী দোস্ত মুহম্মদ খান এ দৃশ্যর প্রতি তাকাতে পারলো না | অস্থির হয়ে ওখান থেকে উঠে গেলো , এবং মরাকাবায় বসে রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর প্রতি ধ্যানে মনোনিবেশ করলো এবং বললো, শেষ সময় এসে গেলে যেন সুভ সমাপ্তি হয় আর যদি হায়াত বাকি থাকে তাহলে তিন দিন যাবত যে কষ্ট পাচ্ছে তা যেন লাঘব হয়ে যায় | মুরাকাবা শেষ হওয়ার আগেই রোগীনী চোখ খুললো , এবং কথা বলা শুরু করলো , শিরা চালু হয়ে গেলো এবং আরোগ্য লাভ করলো | শুধু তাই নয়, হাজী সাহেব মাঝে মধ্যে বলতেন, আমি যখন মুরাকাবায় বসেছিলাম রশীদ আহমদ গাঙ্গুগীকে আমার সামনে দেখেছি এবং এর পর যেখানেই দৃষ্টি দিতাম গাঙ্গুহীকে আসল আকৃতিতে দেখতে পোতাম !" দলীল-- √ তাযকেরাতুর রশীদ ২ খন্ড ৩২১ পৃষ্ঠা দেখুন দেওবন্দী দের নিজেদের গুরুদের প্রতি কি আক্বীদা , কি ভক্তি | অথচ ওলী আল্লাহ উনাদের বেলায় দেওবন্দী দের ফতোয়া দেখুন --- " কোন একজন প্রশ্ন করলো , মুরাকাবায় আওলিয়ায়ে কিরামদের ধ্যান করা কেমন ? এটাও জানতে ইচ্ছুক যে, যখন আমরা উনাদের ধ্যান করি , উনারা আমাদের পাশে উপস্থিত হয়ে যায় এবং আমাদের জানা হয়ে যায় এ বিশ্বাস করা কেমন ? উত্তর : এরকম ধ্যান করা ঠিক নয়, এতে শিরকের সম্ভাবনা রয়েছে |" দলীল-- √ ফতোয়ায়ে রশীদীয় ১ম খন্ড ৮ পৃষ্ঠা । আশরাফ আলী থানবীর ফতোয়া- " কাউকে দূর থেকে ডাকা এবং এটা মনে করা যে ওনার জানা হয়ে যাবে এটা কুফর ও শিরক !" দলীল -- √ বেহেশতি জেওর ১ম খন্ড ৩৭ পৃষ্ঠা সম্মানিত পাঠক গন, এবার বিচার করুন | যে বিষয়টা নবী - ওলীদের বেলায় তাদের ফতোয়াতে কুফর শিরক ঠিক সেই একই ব্যাপারটা তাদের মুরুব্বী দের ব্যাপারে প্রশংসার বিষয় !! এটা কিসের আলামত?? তারা তাদের মুরুব্বী দের মর্যাদা এতো উপরে দিচ্ছে পক্ষান্তরে নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং ওলী আল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের এতো হেয় প্রতিপন্ন করছে এর কি কারন ??? তবে কি এরা মুসলমান দের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি করতে চায় ?? নতুন মতবাদ প্রচার করতে চায় ??


    দিবালোকের ন্যায় প্রমান হয়েছে দেওবন্দী ফের্কা একটি ভয়াবহ বাতিল ফির্কা | এরা মুসলমান বেশ ধারন করে মুসলমান দের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি এবং ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করে মানুষ কে পথভ্রষ্ট করার মিশন নিয়ে কাজ করছে | তাই এদের মুখোশ খুলে এদের হাক্বীকত প্রকাশ করে দেয়াটাই সকল সচেতন মুসলমানের দায়িত্ব| এদের বিভৎস্য চেহারার একটি নমুনা দেখুন-- দেওবন্দী ফের্কার অন্যতম গুরু মৌলবী আশেক ইলাহী মিরাটী তার " তাযকেরাতুর রশীদ " কিতাবে রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর জীবনীতে লিখেছে -- " একবার আমার ওস্তাদ মাওলানা আব্দুল মুমিন রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর খেদমতে উপস্থিত ছিলেন| তার মনে একটা ধারনা উদয় যে, যারা বুযুর্গ ব্যক্তি তাদের জীবন উদাসীনতা ও অভাব অনটনের অধিক্য দেখা যায় | কিন্ত গাঙ্গুহীর শরীরে যে পোশাক দেখা যাচ্ছে তা শরীয়ত সম্মত বটে কিন্তু অধিক মূল্যবান | রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী ওই সময় অন্য কারো সাথে কথা বলছিলো | হঠাৎ এ দিকে ফিরে আমাকে বললেন, অনেক দিন হলো আমার কাপড় তৈরী করার সুযোগ হয় না | লোকেরা নিজেরাই বানিয়ে পাঠিয়ে দেয় এবং পড়ার জন্য বারবার অনুরোধ করার কারনে ওদের খাতিরে পরে থাকি | আর আমার সমস্ত কাপড় অন্যদের প্রদত্ত | " দলীল-- √ তাযকেরাতুর রশীদ - ২য় খন্ড - ১৭৩ পৃষ্ঠা | দেখুন গাঙ্গুহীর কি কাশফী ক্ষমতা কোন রকম মনোযোগ ছাড়াই মৌলবী আব্দুল মুমিনের মনের চিন্তা সে পড়ে নিলো | এ থেকে বোঝা যায় একই সাথে সে সবকিছুর খবর রাখে , মানুষের অন্তরের খবরও সে জানে | যা তাদের ভাষায় একমাত্র আল্লাহ পাকের বৈশিষ্ট্য | কিন্তু গাঙ্গুহী সেই ক্ষমতা হাসিল করে বসে আছে | অথচ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যাপারে তাদের বক্তব্য এবং আক্বীদা কি দেখুন ---- " অনেক বিষয়ে নবীজীর একান্ত মনোযোগ দেয়া এবং চিন্তা ভাবনা ও পেরেশানীতে পতিত হওয়ার পরও গোপন থাকা প্রমানিত আছে | " দলীল-- √ হিফযুল ঈমান ৭ পৃষ্ঠা , আশরাফ আলী থানবী এবার বিচার করুন , স্বয়ং কুল কায়িনাতের নবী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মনযোগ,চিন্তা পেরেশানী করে কিছুই জানতে পারেন না অথচ দেওবন্দী মুরুব্বীরা কোন মনোযোগ ছাড়াই আরেক জনের মনের খবর বলে দিচ্ছে | কি বিচার করবেন ?? এটা কোন ইনসাফ ? নবীজী উনার চাইতে তাদের মুরুব্বী দের মর্যাদা বেশি দেয়ার কারন কি ?? তবে কি তারাও কাদিয়ানির মত নিজের মুরুব্বী দের নবী মনে করে থাকে ??


    আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের কেউ যদি ইলমে গইব,হাজির নাজির, আল্লাহ ওয়ালাদের কাছে সাহায্য চাওয়ার কথা বলে তখন কাট্টা ওহাবী বিদয়াতি দেওবন্দী তাবলীগিরা তখন সেই সুন্নী আক্বীদার মানুষটির উপর ঝাঁপিয়ে পরে। তাকে কাফের মুনাফিক ভন্ড মাজার পূজারী ইত্যাদি বিশেষনে বিশেষিত করে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এই দেওবন্দী দের সর্বোচ্চ মুরুব্বী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী কিন্তু নিজেই তার অনুসারীদের পীরকে হাজির নাজির, তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা, পীরের ধ্যান ইত্যাদির তালীম দিয়ে গিয়েছে। দেখুন গাঙ্গুহী তার কিতাবে কি লিখেছে-> ﻫﻢ ﻣﺮﻳﺪ ﺑﻴﻘﻴﻦ ﺩﺍﻧﺪ ﻛﻪ ﺭﻭﺡ ﺷﻴﺦ ﺑﻴﻚ ﻣﻜﺎﻥ ﻧﻴﺴﻦ ﭘﺲ ﻫﺮ ﺟﺎﻛﻪ ﻣﺮﻳﺪ ﺑﺎﺷﺪ ﻗﺮﻳﺐ ﻳﺎﺑﻌﻴﺪ ﺍﮔﺮﭼﻪ ﺍﺯﺷﻴﺦ ﺩﻭﺭ ﺍﺳﺖ ﺍﻣﺎ ﺭﻭﺣﺎﻧﻴﺖ ﺍﻭ ﺩﻭﺭ ﻧﻴﺴﺖ ﭼﻮﯼ ﺍﯾﯽ ﺍﻣﺮ ﻣﺤﻜﻢ ﺩﺍﺭﺩﻫﺮ ﻭﻓﺖ ﺷﻴﺦ ﺯﺑﻴﺎﺩ ﺩﺍﺭﺩﻭ ﺭﺑﻂ ﻗﻠﺐ ﭘﻴﺪﺍ ﺍﻳﺪ ﻭ ﻫﺮﺩﻡ ﻣﺴﺘﻔﻴﺪ ﺑﻮﺩ ﻣﺮﻳﺪ ﺩﺭﺣﺎﻝ ﻭ ﺍﻗﻌﻪ ﻣﺤﺘﺎﺝ ﺷﻴﺦ ﺑﻮﺩ ﺷﻴﺦ ﺭﺍ ﺑﻘﻠﺐ ﺣﺎﺿﺮ ﺍﻭﺭﺩﻩ ﺑﻠﺴﺎﻥ ﺣﺎﻝ ﺳﻮﺍﻝ ﻛﻨﺪ ﺍﻟﺒﺘﻪ ﺭﻭﺡ ﺷﻴﺦ ﺑﺎﺫﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺍﻟﻘﺎﺀ ﺧﻮﺍﻫﺪ ﻛﺮﺩ ﻣﮕﺮ ﺭﺑﻂ ﺗﺎﻡ ﺷﺮﻁ ﺍﺳﺖ ﻭﺑﺴﺒﺐ ﺭﺑﻂ ﻗﻠﺐ ﺷﻴﺦ ﺭﺍ ﻟﺴﺎﻥ ﻗﻠﺐ ﻧﺎﻃﻖ ﻣﻲ ﺷﻮﺩ ﻭﺑﺴﻮﺀﮮ ﺣﻖ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺭﺍﻩ ﻣﻲ ﻛﺸﺎﻳﺪ ﻭﺣﻖ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺍﻭﺭﺍ ﻣﺤﺪﺙ ﻣﻲ ﻛﻨﺪ অর্থ : মুরীদের এও দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করতে হবে যে, পীরের রূহ এক জায়গায় আবদ্ধ নয়। মুরীদ দূর বা নিকট যেখানেই হোক না কেন, এমনকি পীর সাহেবের শরীর থেকে দূরে হলেও পীরের রূহানীয়ত কিন্তু দূরে নয়। যখন এধারনা বদ্ধমূল হয়ে গেলো, তখন পীর সাহেবকে সবসময় স্মরন করতে হবে, যাতে উনার সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে এবং মুরীদ এর উপকারীতা লাভে ধন্য হয় হতে থাকে । মুরীদ যে অবস্থার সম্মুখীন হয়, সে অবস্থায় স্বীয় পীর সাহেবের মুখাপেক্ষী থাকে। পীরকে আপন অন্তরে হাজির করে স্বীয় অবস্থার মাধ্যমে পীর সাহেবের নিকট লক্ষ্য বস্তুর প্রার্থী হতে হবে, আল্লাহর হুকুমে পীর সাহেবের রূহ পার্থিব বিষয়টি মুরীদের অন্তরে উদয় ঘটাবেন। কিন্তু এর জন্য শর্ত হচ্ছে, পীর সাহেবের সাথে পূর্ন সম্পর্ক বজায় রাখা। পীর সাহেবের সাথে সম্পর্কের কারনে অন্তর বাক্যময় হয়ে ওঠে, আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য লাভের পথ উদঘাটিত হয়। আল্লাহ তাঁকে ইলহাম প্রাপ্তির যোগ্যতা সম্পন্ন করে দেন। " দলীল- √ ইমদাদুস সুলুক ১০ নং পৃষ্ঠা । দেওবন্দী রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী উক্ত বয়ানে তার অনুসারীদের যে আক্বীদা পোষন করতে বলেছে সেখানে যে বিষয় সমূহ ফুটে উঠেছে তাহলো- → মুরীদ নিজের পীর সাহেবকে হাজির নাজির মনে করবে। → পীর সাহেবের ধ্যান করতে হবে এবং সর্বক্ষণ পীর সাহেবের স্মরন করতে হবে। → পীর সাহেবের কাছে কোন প্রর্থিত বিষয় চাইতে হবে। → পীর সাহেবের প্রতি মুখাপেক্ষি হতে হবে। → পীর সাহেব সব প্রয়োজন পুরন করতে পারেন এখেয়াল রাখতে হবে। → পীর সাহেব মুরীদের অন্তরে প্রর্থিত বিষয় সমূহের ধারনা সৃষ্টি করে পারেন। → পীর সাহেব মুরীদের অন্তর জাগ্রত করে দিতে সক্ষম। সম্মানিত মুসলিম সমাজ ! আপনাদের সাক্ষী রেখে আমি দেওবন্দী তাবলীগিদের জিজ্ঞাসা করতে চাই আপনাদের প্রধান গুরু রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর উক্ত বক্তব্যে আপনারা কি কোন শিরিক কুফরের ঘ্রান পাচ্ছেন? যদি না পান তবে কেন সুন্নীদেরকে মুশরিক কাফির পীর পুজারীর অপবাদ দেন ?
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|