🌹 7⃣8⃣6⃣/9⃣2⃣ 🌹
*কুরআন শরীফের রুকূ দ্বারা ২০ রাকয়াত তারাবীহ নামাজের প্রমাণ দিলেন,ফাক্বীহে বাঙ্গাল।*
![](https://yanabi.in/uploads/editor/0b/sm8cc5y927kx.jpeg)
👉 পবিত্র কুরআনের শেষ পারার ছোট ছোট সূরা গুলিকে স্বতন্ত্র একাকটি করে রুকূ ধরলে, কুরআন পাকে মোট রুকূর সংখ্যা হয়, ৫৫৭ টি। তবে কুরআন শরীফে অন্যান্য পারার /বড় বড় সূরার একটি রুকূর যে আয়াতন, সেই অনুযায়ী শেষ পারার ছোট ছোট কয়েকটি সূরা মিলে এক রুকূর সমান হয়। এই হিসাবে কালাম পাকে মোট রুকূর সংখ্যা হয় ৫৪০ টি। সর্ব প্রথম হাযরাত উসমান গনী ও আরো কয়েক জন সাহাবী (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম আজমাইন) ২০ রাকয়াত তারাবীহ নামাজে পুরো কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেন, যেটাকে খতম তারাবীহ বলা হয়ে থাকে। তিনারা মাহে রমজানের প্রতি রাতে, তারাবীহ নামাজের প্রতি রাকয়াতে সূরা ফাতেহার পর যত টুকু কালাম পাক পাঠ করে রুকূতে যেতেন, কুরআন শরীফের সেই জায়গাটাকেই মূলতঃ কুরআনের রুকূ বলা হয়। তিনারা তারাবীহ নামাজের মাধ্যমে ২৭শে রমজান খাতমে কুরআন করতেন। এই কারনে পবিত্র কুরআনে ২৭ কুড়ি ৫৪০টি রুকূ হয়েছে। তার পূর্বে কালাম পাকে রুকূ বলে কিছু ছিলনা। কুরআন শরীফের টিকায় রুকূর চিন্হ হিসাবে আরবী ভাষার আইন(ع) অক্ষর টি লিখা থাকে। এটা হয়, হাযরাত আমর অথবা হাযরাত উসমান নামের প্রথম অক্ষর। নচেৎ রুকূ শব্দের শেষে অক্ষর। এর দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণ হলো যে, তারাবীর নামাজ ৮ রাকয়াত নয়। বরং কুড়ি রাকয়াত। ছাগল আর পাগল বাদ দিয়ে সকলেই বুঝতে পারবেন যে, তারাবীর নামাজ যদি ৮ রাকয়াত হতো, তাহলে কুরআন শরীফে ৫৪০টি রুকূ হতোনা। বরং ২৭ আটে ২১৬টি রুকূ হতো। এতে আরো প্রমাণ হলো যে, যারা রুকূর অর্থ ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বুঝতে পারেনি, তারা আবার কুরআন হাদীসের অর্থ ব্যাখ্যা কি বুঝবে??? এ ব্যপারে বিস্তারিত জানতে হলে দেখুন👉👉 তাফসীরে নাঈমী ১ম খন্ড ১৬ পৃষ্ঠা এবং ২য় খন্ড ২১৯ পৃষ্ঠা।
আরয গুযার ইতি - ০৮/০৫/২০১৯
*আলা হাযরাত এওয়ার্ড প্রাপ্ত আল্লামা ফাক্বীহে বাঙ্গাল শেরে রেযা মুনাযিরে আহলে সুন্নাত আলহাজ মুফতী মোঃ আলীমুদ্দিন রেজবী মাযহারী (জঙ্গীপুরী) মহা সচিব - আলা হাযরাত সেন্টার অফ ইসলামিক স্টাডিজ পঃ বঃ ভারত*
Comments