★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
ওহাবীদের একটি দরুদ শরীফের প্রতি আপত্তিকর মন্তব্যের জবাবঃঃ ফাক্বিহে বাঙ্গাল - Ja-al-haq Discussions on

ওহাবীদের একটি দরুদ শরীফের প্রতি আপত্তিকর মন্তব্যের জবাবঃঃ ফাক্বিহে বাঙ্গাল



👉 *আদার 🥟 ব্যাপারী হয়ে, জাহাজের ✈ খবর নিতে গিয়ে, মিথ্যাচার ও জালিয়তিতে ধরা পড়ল, হাতুড়ে ডাক্তার পাকা ফারাযী কাঠমুনশী গোলাম রব্বানী* 👈
বিগত 10/06/2013 রোজ - সোমবার , বীরভূম জেলার নলহাটি থানার বসন্ত গ্রামে আয়োজিত, সুন্নী হানাফী বনাম ওয়াহাবী লা মাযহাবী মুনাযারাহ থেকে ফেরার, কুশমোড় গাঁয়ের হাতুড়ে ডাক্তার পচাফারাযী কাঠমুনশী গোলাম রব্বানীর, সুন্নী হানাফীদের বিরুদ্ধে বানানো 29 মিনিট 17 সেকেন্ডের একটি ভিডিও শুনলাম। তার পুরো ভিডিওটি মিথ্যাচার , জিহালাত এবং জালিয়তিতে ভর্তি । তার মিথ্যাচার ও জালিয়তি গুনে গুনে লিখার জন্য একটি মোহরিলের প্রয়োজন।
 প্রকাশ থাকে যে, ওলামায়ে আহলে সুন্নাত ওয়া জামায়াত তথা ওলামায়ে আহনাফ যুগ যুগ ধরে, আরবী ভাষায় একটি দরুদ শরীফ পাঠ করে থাকেন। দরুদ শরীফটি হলো, (১ম লাইন) আল্লাহু রব্বু মুহাম্মাদিন। সল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লামা। (২য় লাইন) নাহনু এবাদু মুহাম্মাদিন । সল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লামা। এই দরুদ শরীফের বাংলা অর্থ হলো - আল্লাহ তায়ালা হাযরাত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রব। আল্লাহ পাক তাঁর উপর রহমত ও শান্তি প্রেরণ করুন। আমরা হাযরাত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গোলাম বা খাদিম। আল্লাহ পাক তাঁর উপর রহমত ও শান্তি প্রেরণ করুন। এই ২য় লাইনটিতে, নাহনু এবাদু মুহাম্মাদিন,বাক্যটি দেখেই তার চোখ খাড়া হয়ে গেছে। গোলাম রব্বানীর অভিযোগ যে, এই দরুদের ১ম লাইনটি ঠিকই আছে। ২য় লাইনটিতে (নাহনু এবাদু ) শব্দটি ভূল আছে।
 অথচ এই দরুদ শরীফ গোটা বিশ্বের সমস্ত ওলামায়ে আহলে সুন্নাত ওয়া জামায়াত তথা ওলামায়ে আহনাফ কম বেশী 100 বছর ধরে পাঠ করে আসছেন। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর 72 টি বাতিল ও বেদাতী ফেরকার কোনো দালাল তো দালাল কোনো মায়ের লাল এর মধ্যে তিল পরিমাণও কোনো ভুল বের করতে পারেনি। আমার চ্যালেঞ্জ রইল, কিয়ামত পর্যন্ত ভূল বের করতে পারবেওনা। ইনশাআল্লাহ।
তা সত্ত্বেও এই ভুঁইফোড় গোলাম রব্বানী আর কিছু তাল করতে না পেরে, জনতা থেকে বিছিন্ন হয়ে, ঘরের কোনে ল্যাপটপ নিয়ে, একা একা বসে, ভকারী করে, শেষ মেষ দরুদ শরীফের ভুল ধরতে বসেছে। আসপর্দা কত খানিক!!!
এ কথা সারা বিশ্বের সমস্ত মুসলমানই জানেন যে, যারা ওয়াহাবী, গায়ের মুকাল্লিদ, লা মাযহাবী, ফারাযী এবং সালাফী, তারা দরুদ ও সালামের পাকা দুশমন। কাজেই দরুদের ভুল তো তারা ধরার চেষ্টা করবেই। এটাই স্বাভাবিক। কাজেই এই নিয়ে আমাদের তেমন কোনো মাথা ব্যাথা নাই। 
 মার্কেটে যেন এদের বেশী ভাও বেড়ে না যায়, এই কারনে, এই সমস্ত রেজকী ফুটপাতিয়া লোকদের ভিত্তিহীন কথা বার্তার উত্তর দিতে, অনেকেই আমাকে নিষেধ করেছেন। তবুও সাধারণ মানুষ যেন এদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়। এবং এদের মুখোশ যেন খুলে যায়। এই নেক নিয়তে দু হরফ লিখতে রাজী হয়েছি।
গোলাম রব্বানীর মাত্র 19 মিঃ17 সেঃ এর কথা বার্তায় পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে, সে কুরআনের (ক)ও বোঝেনা। হাদীসের (হ)ও বোঝেনা। আরবী ভাষা বোঝার দিক দিয়ে, সে এখন পর্যন্ত দাঁতেইনি। 👉দেখুন সে তার ভিডিওতে, কি কি মিথ্যা আর ভুল বলেছে । সে বলেছে যে ( 1) মঞ্চের শুরুতেই এই দরুদ পড়া হয়। অথচ এই দরুদ অনেক পরে পড়া হয়। ( 2) সে পড়েছে, লানাতাল্লাহি। অথচ শব্দটি হবে, লানাতুল্লাহি। (3) সে পড়েছে, লা য়াকযিবু। অথচ শব্দটা হবে, লা য়ুকাযযাবু। (4) ঐ দরুদে আছে, সল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লামা। আর এই জাহিল ফারাযী পড়েছে, সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। (5) সে এবাদুন শব্দের অর্থ করেছে, মাখলূক ও এবাদাত কারী। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অথচ এবাদুন শব্দের অর্থ- আদৌ এ রকম হয় না। আসলে দরুদের ভুল ধরতে গিয়ে, তার নিজেরই গুদাম যে উদাম হয়ে যাবে। এই আনাড়ী ছেলে এ কথা ভাবতেই পারেনি। এই দরুদ শরীফের ২য় লাইনে আরবী এবাদো ( عباد ) শব্দটির আসল অর্থ - এই ওয়াহাবী কাঠমুনশী বুঝতেই পারেনি। আরবী ব্যকারন অনুযায়ী এই এবাদো শব্দটি হচ্ছে, বহু বচন। এর এক বচন হচ্ছে আব্দ عبد । আসলে এর অর্থ কি? তার প্রমাণ স্বরুপ নিচে ওয়াহাবীদেরই লিখা সাত খানা ডিক্সনারি (অভিধান ) থেকে উদ্ধৃতি দেওয়া হলো দেখুন 👉 (1) জামিউল লোগাত উরদু 471পৃষ্ঠায় লিখা আছে আবদ মানে - বান্দা, গোলাম, নওকার । 👉 (2) ফারহাঙ্গে রব্বানী 419 পৃষ্ঠায় লিখা আছে, আবদ মানে- দাস । 👉(3) আল কাওসার 224 পৃষ্ঠায় লিখা আছে, আবদ মানে-দাস। 👉(4) মিসবাহুল্লোগাত 527 পৃষ্ঠায় লিখা আছে, আবদ মানে-আদমী, গোলাম।
 👉(5) ফারহাঙ্গে রব্বানী জাদীদ 585 পৃষ্ঠয় লিখা আছে, আবদ মানে-বান্দা, দাস, ক্রীতদাস। 👉 (6) আলকামুসুল জাদীদ উর্দু টু আরবী,734 পৃষ্ঠায় 
আবদ মানে লিখা আছে ,গোলাম। 👉 (7) ফিরোযুল্লোগাত 890 পৃষ্ঠায় লিখা আছে, আবদ মানে- বান্দে, গোলাম। এই সাত খানা অভিধান থেকে বুঝা গেল যে,আবদ বা এবাদ শব্দের অর্থ -মাখলুখ বা এবাদাত কারী হয়না। এমন কি আবদুন শব্দের মানে শুধু বান্দাও হয়না। বরং স্হান কাল পাত্র হিসেবে এর একাধিক অর্থ হয়, যেমন গোলাম ইত্যাদি। মোট কথা আবদুন /এবাদুন শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে। যে গুলি স্থান কাল পাত্র বিশেষে একাধিক অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন এই দরুদ শরীফে গোলাম বা খাদিম অর্থে - ব্যবহার করা হয়েছে। 
আরবী একাকটুকু বোঝে এমন মওলবী ফারাযীদের মধ্যেইও কিছু কিছু আছে। কিন্তু গোঃ রব্বানী তো দেখছি একেবারেই ভুঁসি মাল।
আরবী শব্দ আবদুন । যার অর্থ - গোলাম বা খাদিম। এর বহুবচন এবাদুন। যার অর্থ - গোলাম গুলি, খাদিম গুলি ইত্যাদি । এবার দেখুন, নাহনু এবাদু মুহাম্মাদিন বলার কুরআনী প্রমাণ। 
আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় রাসুল কে হুকুম দিয়েছেন যে, আপনি আপনার সমস্ত উম্মাত কে /মানুষ কে এবাদুন عباد বলে সম্বোধন করুন। দেখুন এর প্রমাণ,কোরআন শরীফ 24পারা,সুরা আযযুমার আয়াত নং 53, কুরআন শরীফ 23 পারা উক্ত সুরার 10 নং আয়াতে, আল্লাহ তায়ালা বলেন, قل یعبادی قل یعباد অর্থাৎ - হে আমার প্রিয় হবীব আপনি বলুন, হে আমার এবাদ। ওগো আমার গোলামেরা,ওগো আমার খাদিমেরা । নবীর ব্যপার তো বিশাল ব্যাপার । স্থান কাল পাত্র বিশেষে এক মসলমান অন্য মসলমানকে খাদিম, বা গোলাম এর অর্থে -
 আবদ / এবাদ বা বান্দা সব বলতে পারে । 👉 দেখুন কুরআন শরীফ 18 পারা সূরা আন্নূর আয়াত নং 32 এখানে মসলমানেরা এক অপরকে বান্দা বান্দী বলতে পাবে,সেটা কুরআন শরীফে বলা হয়েছে, من عبادکم و اماءکم ।এই কারনে, সাহাবীগন নিজেদের কে নবীর আবদ অর্থাৎ -নবীর গোলাম বলতেন, নবীর খাদিম বলতেন। একটি সহী হাদিসে আছে, হাযরাত ফারুকে আযাম বলতেন کنت عبدہ و خادمہ (ইবনো আসাকির) অর্থাৎ -আমি নবীজির আবদ ছিলাম। মানে গোলাম ও খাদিম ছিলাম। মাসনাবী শরীফে আছে -হাযরাত সিদ্দিকে আকবার নিজেকে নবীর বান্দা বলতেন। মানে গোলাম ও খাদিম বলতেন। এতে দিবালোকের ন্যায় পরিস্কার হয়ে গেল যে, আবদুন বা এবাদুন এর অর্থ -মাখলূখ বা এবাদাত কারী নয়। এর দ্বারা আরো পরিস্কার হয়ে গেল যে, আবদুন /এবাদুন শব্দের অর্থ শুধু বান্দা হয়না। বরং এই শব্দ গুলি আদমী,গোলাম,খাদিম অর্থেও ব্যবহার করা হয়। যেটা লা মাযহাবীদের মাথায় ঢোকেনা। প্রকাশ থাকে যে,বান্দা শব্দটা ফারসী ভাষা। যার একটা অর্থ হচ্ছে - খাদিম বা গোলাম। অতএব উক্ত দরুদ শরীফে কোনো ভুল নাই। সুতরাং উক্ত দরুদ শরীফ পড়া অবশ্যই জায়েজ বরং নেকীর কাজ। শির্ক তো শির্ক এতে শির্কের কোনো গন্ধও নাই। হ্যাঁ যদি সুন্নী হানাফীরা এই কথা বলতো বা লিখতো অথবা এই আক্বীদা রাখতো যে, আমরা হাযরাত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের (মায়াযাল্লাহি) আবিদ বা আমরা তাঁর এবাদাত করি, তাহলে এটা অবশ্যই শির্ক হবে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, এই রকম কোনো ধারণা কোনো সুন্নী হানাফী মসলমানের নাই। সব শেষে আমি গোলাম রব্বানীকে বলব যে, বাবা ইন্টারকুইন্যল, ডাইজিন, জেলোসিল,আর ক্যলপল নিয়ে, যে কারবার করছো, তাই করে বেড়াও। কুরআন হাদীস নিয়ে বেশী মুছোদ্দী আর করিওনা। ھذا ما ظھر لی والعلم الحق عند ربی আরজগুযার -ইতি 20/05/2019
*ফাক্বীহে বাঙ্গাল আলা হাযরাত এওয়ার্ড প্রাপ্ত আল্লামা আলহাজ মুফতী মোঃ আলীমুদ্দিন রেজবী মাযহারী সুন্নী হানাফী (F. D. N. 1st class, M. M. 1st class, M.A.1st class, B. Ed 1st class) গাড়ী ঘাট রোড, রঘুনাথগঞ্জ,মুর্শিদাবাদ পঃ বঃ ভারত*
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|