★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
আপনি কি জানেন??যে শবে বারাতের,শবে ক্বাদারের এবং শবে মেরাজ ইত্যাদির নফল নামায গুলি কাদের জন্য?? পড়ুন - Ibadat amal Discussions on

আপনি কি জানেন??যে শবে বারাতের,শবে ক্বাদারের এবং শবে মেরাজ ইত্যাদির নফল নামায গুলি কাদের জন্য?? পড়ুন

edited April 2020 in Ibadat amal
যদি না জানেন,তাহলে ভাল ভাবে জেনে নিন
 যে,শবে বারাতে,শবে ক্বাদারে,শবে মেরাজে এবং আশুরার রাত ইত্যাদিতে,যে সমস্ত নফল নামায পড়ার কথা বলা হয়েছে,সে নফল নামায গুলি সকলের জন্য নয়।বরং এই সমস্ত নফল নামায গুলি,ঐ সমস্ত সুভাগ্যবান নামাযীদের জন্য,যাদের জীবনে এক ওয়াক্তেরও ফরয নামায কাযা নাই।
তার কারন হলো,শরীয়াতের বিধান মতে,নারী হোক বা পূরুষ হোক,সাবালোক সাবালিকা হওয়ার পর, যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের অতীত জীবনের ফরয আমল গুলি আদায় না করবে,ততোক্ষন পর্যন্ত,তার কোনো নফল আমল কবুল হবে না।
এ প্রসঙ্গে মালফুয শরীফের ১ম খন্ডের ৬২ পৃষ্ঠায় লিখা আছে যে,
جب تک فرض ذمہ پر باقی رہتا ہے کوئی نفل قبول نہیں کیا جاتا
অর্থাৎ-যতক্ষন পর্যন্ত আপনার ফরয আমল (Due) বা বাকি থাকবে,ততোক্ষন পর্যন্ত,কোনো নফল আমল কবুল হবে না।
এই কারণে উল্লেখিত পবিত্র রাত্রি গুলিতে বিশেষ পদ্ধতিতে,নফল নামায গুলি না পড়ে,তার পরিবর্তে নিজ নিজ অতীত জীবনের ফরয নামায গুলি পড়ার গুরুত্ব অনেক বেশি।
এ প্রসঙ্গে সুন্নী বেহেশ্তী যেওর নামক কিতাবের ৯৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে যে,
قضا نمازیں نوافل سے اہم ہیں،یعنی جس وقت نفل پڑھتا ہے انہیں چھوڑ کر انکے بدلے قضا نمازیں پڑھیں تاکہ بری الذمہ ہو جاے
অর্থাৎ-ফরয নামাযের কাযা আদায় করা,নফল নামায পড়ার চাইতে,গুরুত্বপূর্ণ বেশী।যে সময়ে নফল পড়বে,সে সময়ে ঐ নফল পড়া বাদ দিয়ে,তার পরিবর্তে,ফরয নামাযের কাযা পড়বে।যেন দায়িত্ব থেকে খালাস পাই।
গুলিস্তানে শরীয়াত নামক কিতাবের ২৩৭ পৃষ্ঠায়,বাহারে শারীয়াত নামক কিতাবের চতুর্থ খন্ডের ৪৭পৃষ্ঠায় একই ধরনের কথা লিখা রয়েছে।
*কাযা নামায তিনটি সময়ে-যথা উদয়,অস্ত ও দ্বিপ্রহর ছাড়া,যে কোনো সময় পড়া যায়। কেননা এই তিনটি সময়ে সাজদা করা হারাম।*
এই তিনটি সময় বাদে,যখনই সময় সুযোগ পাবেন,তখনই কাযা নামায আদায় করে নিবেন।
*বেতের সহ প্রতি দিনের মোট কুড়ি রাকাত করে কাযা নামায আদায় করতে হবে।*
দেখুন👉🏻মালফুয শরীফ ১ম খন্ডের ৬১ পৃষ্ঠা।
এবার আপনি নিজেই হিসাব করে দেখে নিন যে,আপনার জীবনে,কত দিনের,কত মাসের,বা কত বছরের কত রাকাত নামায কাযা আছে।
*নিঃশ্বাসের বিশ্বাস নাই। কাজেই যত দ্রুত সম্ভব নফলের জায়গায়,ঐ কাযা (ফরয) নামায গুলি আদায় করুন।*
বিঃদ্রঃ-তারাবীর ২০ রাকাত ও পাঁচ ওয়াক্তের ১২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ নামায বাদ দিয়ে,তার জায়গায় কাযা নামায আদায় করা জায়েজ নয়। বাহারে শারীয়াত চতুর্থ খন্ডের ৪৭পৃষ্ঠা।
*যাদের অনেক বেশী নামায কাযা আছে,তাদের*
*নিজ নিজ অতীত জীবনের সেই  কাযা নামায আদায় করার কিছু সহজ ইসলামী পদ্ধতি।*
ক)👉🏻রুকু ও সাজদায় শুধু ১বার করে তসবিহ পড়লেও হবে।
খ)👉🏻ফরয নামাযের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতিহার পরিবর্তে তিন বার অথবা শুধু ১বার সুবহানাল্লাহ বললেও হবে।
গ)👉🏻শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর,শুধু ১বার আল্লাহুম্মা সল্লে আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলেহি, পড়লেই যথেষ্ট হবে।
ঘ)👉🏻বেতেরের তৃতীয় রাকাতে দুওয়া কুনুতের পরিবর্তে শুধু তিন বার রব্বিগ ফিরলী পড়া যাবে।
বিস্তারিত জানতে দেখুন-মালফুয শরীফ ১ম খন্ডের ৬১ ও ৬২ পৃষ্ঠা। সুন্নী বেহেশ্তী যেওর নামক কিতাবের ৯৪ পৃষ্ঠা।
*একটি মসলা-কাযা নামায গোপনে পড়া দরকার। তার কারন হলো,পাপকে প্রচার করাও পাপ।*
মালফুয শরীফ ১ম খন্ডের ৬২পৃষ্ঠা।
*এই প্রকার কাযা নামাযের বাংলা ভাষায় এই ভাবে নিয়াত করা যায়।*
আমি আমার জীবনের অমুক ওয়াক্তের এ্যাতো রাকাত প্রথম ফরয কাযা বা প্রথম ওয়াজিব কাযা নামাযের নিয়াত করেছি।
বিঃদ্রঃ-প্রত্যেক বার যেন প্রথম শব্দটা লাগায়।

আল্লাহ তাআলা যেন সকলকে জানার বোঝার ও আমল করার তাওফীক দান করেন। আমীন। 
*লিখাটি ফরওয়ার্ড ও শেয়ার করে দ্বীনী খিদমতে শামিল হতে ভুলবেন না। তবে যে গ্রুপে একবার দেওয়া হয়ে গেছে,সে গ্রুপে আর দিবেন না। আর আমার জন্য দুওয়া করতে ভুলবেন না। আপনারা সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন বর্তমানে ঘরে থাকুন,দেশ ও জনগণের স্বার্থে লকডাউন মেনে চলুন।*
আরয👏👏গুযার 
ইতি-০৫/০৪/২০২০
(ফাক্বীহে বাঙ্গাল)
Tagged:

Comments

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|