★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আযান ছাড়া,আর কোন্ কোন্ জায়গায়,আযান দেওয়া জায়েয বরং মুস্তাহাব সম্পূর্ণ পড়ু - Ja-al-haq Discussions on

পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আযান ছাড়া,আর কোন্ কোন্ জায়গায়,আযান দেওয়া জায়েয বরং মুস্তাহাব সম্পূর্ণ পড়ু

edited April 2020 in Ja-al-haq

🌹🌹🌹78692🌹🌹🌹
নির্ভরযোগ্য মূল কিতাব-পত্র থেকে তার কয়েকটি প্রমাণ
১)👉🏻আযান দিলে শয়তান পালায়* 
দেখুন,হাদীস।
সহী মুসলিম শরীফ (আরবী)১ম খন্ডের ২৯১পৃষ্ঠায় আছে যে,
اذا نودی للصلوہ ادبر الشیطان لہ ضراط حتی لا یسمع التاذین
অর্থাৎ-যখন নামাযের জন্য আযান দেওয়া হয়,তখন শয়তান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে এতো দূর পালায় যেন সে, আযান শুনতে না পায়।

*২)👉🏻ভয়-ভীতি ও একাকিত্ব বোধ করার সময় আযান*
দেখুন, হাদীস।
আবু নাঈম ও ইবনো আসাকির,হাযরাত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেছেন যে,
نزل آدم بالھند واستوحش فنزل جبریل فنادی بالاذان
অর্থাৎ-হাযরাত আদম আলাইহিস সালাম ভারতে অবতীর্ণ হয়ে, ভয়-ভীতি ও একাকিত্ব বোধ অনুভব করলেন। তখন হাযরাত জিবরাইল আমীন অবতীর্ণ হয়ে আযান শুনালেন।
(সাঈদুল হক্ব ৬২০পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)
*৩)👉🏻দুঃখ দূর করতে আযান।*
দেখুন হাদীস।
মুসনাদুল ফিরদাউসে হাযরাত মাওলা আলী হতে বর্ণিত আছে যে,
رانی النبی صلی اللہ تعالیٰ علیہ وسلم حزینا فقال یا ابن ابی طالب انی اراک حزینا فمر بعض اھلک یؤذن فی اذنک فانہ درء الھم
অর্থাৎ-হাযরাত মাওলা আলী বলেন যে, আল্লার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আমাকে চিন্তিত দেখে বললেন যে,হে আবু তালিবের পুত্র আমি তোমাকে চিন্তিত দেখছি। তুমি তোমার কোনো নিজের লোককে হুকুম দাও,সে যেন তোমার কানে আযান দেয়া। কেননা আযান দুঃখকে দূর করে। 
( সাহীহুল বিহারী ২য় খঃ ৯১৩ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।)
*৪)👉🏻আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আযান দেওয়া মুস্তাহাব।*
দেখুন হাদীস।
আবু এ্যালা  হাযরাত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেছেন যে,
اذا راءیتم الحریق فکبروا فانہ یطفی النار
অর্থাৎ-যখন তোমরা আগুন লাগতে দেখো, তখন তোমরা তকবির পাঠ করো। কেননা এতে আগুন নিভিয়ে যায়।

*আরো দেখুন। কি কি কারণে কোথায় কোথায় আযান দিতে হয়।*
৫)👉🏻 আল্ ফিক্বহো আলাল মাযাহিবিল আরবায়া (আরবী)১ম খন্ডের ৩২৫ পৃষ্ঠায় লিখা আছে যে,
و یندب الاذان فی اذن المولود الیمنی عند ولادتہ کما تندب الاقامہ فی الیسری وکذا یندب الاذان وقت الحریق و وقت الحرب و خلف المسافر وفی اذن المھموم والمصروع
অর্থাৎ-প্রসবের পর সন্তানের ডান কানে আযান ও বাম কানে একামত দেওয়া জায়েয। তদ্রুপ আগুন লাগার সময়, যুদ্ধের সময়, মুসাফির ব্যক্তির পশ্চাতে, এবং দুঃখিত ও মৃগীর রোগির কানে আযান দেওয়া জায়েয বা বৈধ।
*৬)👉🏻বদমাশ জিনের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আযান।*
দেখুন হাদীস।
মিরাতুল মানাজীহ শারহে মিশকাতুল মাসাবীহ ষষ্ঠম খঃ ২৫৮পৃষ্ঠায় আছে।
اذا تفولت الغیلان فبادروا بالاذان
অর্থাৎ-যখন শয়তান জিন, অত্যাচার করবে তখন তোমরা আযান দাও।
*ভাল ভাবে জেনে নিন আরো কোথায় কোথায় আযান দিতে হয়।*
৭)👉🏻রদ্দুল মুহতার (ফাতাওয়া শামী আরবী) ১ম খঃ ৫০ পৃষ্ঠায় লিখা আছে যে,
قد یسن الاذان لغیرالصلوہ کما فی اذان المولود والمھموم والمصروع والغضبان ومن ساء خلقہ من انسان او بھیمہ وعند مزدحم الجیش وعند الحریق وعند انزال المیت القبر قیاسا علی اول خروجہ للدنیا ،
অর্থাৎ-কখনো কখনো নামায ছাড়া আযান দেওয়া সুন্নাত। যেমন,প্রসবের পর সন্তানের জন্য,চিন্তিত ব্যক্তির জন্য, মৃগীর রোগির জন্য, রাগান্বিত ব্যাক্তির জন্য,বদ চরিত্রের মানুষ বা পশুর জন্য,চরম লড়াইয়ের সময়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে,এবং *মৃত্যু ব্যক্তিকে দাফন করার পর* কবরের পাশে আযান দেওয়া জায়েয বা মুস্তাহাব।
*৮)👉🏻বালা মসিবত দূর করতে আযান দেওয়া মুস্তাহাব।*
বাহারে শারীয়াত তৃতীয় খন্ডের ৩১পৃষ্ঠায় ১১টি জায়গায় আযান দেওয়া মুস্তাহাব লিখার পর বলা হয়েছে যে,
وبا کے زمانے میں بھی (اذان) دینا مستحب ہے
অর্থাৎ-কোনো মহামারী জাতীয় বিপদাপদের সময় আযান দেওয়া মুস্তাহাব।
*৯)👉🏻 ফাতাওয়া রাযবীয়া নামক কিতাবের ২য় খন্ডের ৩৮৫ লিখা আছে যে, মহামারীর সময় আযান দেওয়া দুরস্ত আছে।*
১০)👉🏻নিযামে শারীয়াত নামক কিতাবের ৭৪-৭৭পৃষ্ঠায়    উপরোল্লিখিত আযান গুলির সাথে সাথে এটাও লিখা আছে যে,
بعد دفن میت پر اذان دینا مستحب ہے
অর্থাৎ-দাফনের পর মৃত্যু ব্যক্তির জন্য আযান দেওয়া মুস্তাহাব। এর পর লিখা আছে যে,
بارش طلب کرنے اور وبا دفع کرنے کیلئے اذان دینا مستحب ہے
অর্থাৎ- বৃষ্টি বর্ষনের জন্য এবং মহামারীর জন্য আযান দেওয়া মুস্তাহাব।
১০)👉🏻নুযহাতুল কারী শারহে বোখারী তৃতীয় খন্ডের ১০৩ পৃষ্ঠায় উপরোল্লিখিত আযান গুলি বয়ান করার পর 
اذان قبر کا اثبات
অর্থাৎ-কবরের আযানের প্রমাণ শিরোনাম দিয়ে,দলিল পেশ করা হয়েছে যে,কবরে আযান দেওয়া অন্যায় কাজ নয়।
*প্রকাশ থাকে যে,এই সমস্ত আযান গুলিও পাঁচ ওয়াক্তের নামাযের আযানের মতই হবে। অন্য কোনো শব্দ বা বাক্য আযানের ভিতরে ঢুকানোর প্রয়োজন নাই।*
তবে হ্যাঁ যদি কেউ 
*ইয়া দাফিয়াল বালা ওয়াল ওয়াবা* ইত্যাদি (যে বাক্যগুলি দরুদে তাজের অংশ) পাঠ করতে চাই, তাহলে আযানের আগে বা পরে পাঠ করবে। আযানকে ভাঙ্গতে হবেনা।।
*বিঃদ্রঃ-উদ্ধৃতি গুলি ভুল প্রমাণ করতে পারলে সাধ্যমত পুরুস্কার দেওয়া হবে। ইনশাআল্লাহ*
আর হ্যাঁ মানুষ মাত্রেই ভুল হতে পারে।এর মধ্যে যদি কোনো ভুল কারো নজরে পড়ে,তাহলে আড়ালে সমালোচনা না করে,আমাকে জানাবেন। সংশোধন করে দিব ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা সকলকে যেন বোঝার ও নেক আমল করার তাওফীক দান করেন।এবং আমার সকল দেশবাসীকে এই মহামারী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে যেন রক্ষা করেন আমীন। আমি তো খুব কষ্ট করে লিখলাম। আপনারা নেক নিয়তে ফরওয়ার্ড/শেয়ার করবেন। আর আমার জন্য দুওয়া করবেন। 
আরয👏👏👏গুযার 
(ফাক্বীহে বাঙ্গাল) 
ইতি- ০১/০৪/২০২০
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|