★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
যখন কোনো মারণ রোগ(বালা-মসিবত) মহামারী আকার ধারন করবে,তখন তার প্রতিরোধে,ইসলামী পদ্ধতিতে মুসলিমদের - Ibadat amal Discussions on

যখন কোনো মারণ রোগ(বালা-মসিবত) মহামারী আকার ধারন করবে,তখন তার প্রতিরোধে,ইসলামী পদ্ধতিতে মুসলিমদের

edited April 2020 in Ibadat amal


🌹🌹🌹786/92🌹🌹🌹
কি কি করা উচিত
মহামারীর মত যে কোনো বালা মসিবত থেকে হেফাজতের জন্য ওলামায়ে আহলে সুন্নাত ওয়া জামায়াত অনেক দুওয়া ও আমলের কথা বিভিন্ন কিতাব পত্রে উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো।
এ প্রসঙ্গে
১)👉🏻আলা হাযরাত ইমামে আহলে সুন্নাত রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর ফাতাওয়া রাযবীয়া নামক কিতাবের ২য় খন্ডের ৩৮৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন যে,বালা-মসিবতের (মহামারীর)সময় আযান দেওয়া সঠিক কাজ।
তবে এই আযান দেওয়ার পদ্ধতি কি হবে?
এ প্রসঙ্গে
২)👉🏻ইমামুন্নাহু শারেহে বোখারী আল্লামা মুফতী সৈয়দ গোলাম জিলানী মিরাঠী আলাইহির রহমা তাঁর নিযামে শারীয়াত নামক কিতাবের ৭৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন যে, মহামারীর সময় আযান দেওয়া মুস্তাহাব।
তিনি এই আযান দেওয়ার ২টি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন।
(ক)👉🏻নামাযের মতই কাতার করে ইমামের পিছনে সমস্ত মসল্লীগন দাঁড়িয়ে যাবে।ঐ অবস্থায় ইমাম সাহেব উচ্চ আওয়াজে সূরা ইয়াসিন পাঠ করা শুরু করবেন।
ইমাম সাহেব,মুবিন শব্দটি পড়ে উচ্চ আওয়াজে আযান দিতে আরম্ভ করবেন। ঐ সময় মসল্লীগনও ইমামের সাথে সাথে উচ্চ আওয়াজে আযান পাঠ করবে।
বিঃদ্রঃ এটা মসজিদেও দিতে পারে, অন্য কোনো স্থানেও দিতে পারে।
(খ)👉🏻নিজের বাড়ির ছাদে একা একা অথবা কয়েকজন মিলিত ভাবে উচ্চ আওয়াজে আযান পাঠ করবে।
এ প্রসঙ্গে আলা হাযরাত ইমামে আহলে সুন্নাত রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একটি স্বতন্ত্র পুস্তকও রচনা করেছেন।
পু্স্তকটির নাম যাথা ক্রমে
نسیم الصبا فی ان الاذان یحول الوبا
নাসিমুস স্ববা,ফি আন্নাল আযানা ইউহাব্বেলুল ওয়াবা।
৩)👉🏻বাহারে শারীয়াত নামক কিতাবের তৃতীয় খন্ডের ৩১পৃষ্ঠায় স্বদরুশ শারীয়া বাদরু ত্ত্বারীকা আল্লামা আমজাদ আলী আলাইহির রহমা লিখেছেন যে,মহামারীর সয়মও আযান দেওয়া মুস্তাহাব।
প্রকাশ থাকে যে, পাঁচ ওয়াক্ত যেমন আযান হয়,তেমনি আযান দিবে। আযানের কোনো বাক্য পরিবর্তন করার প্রয়োজন নাই।
৪)👉🏻আলা হাযরাত ইমামে আহলে সুন্নাত রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মালফুয শরীফের ১ম খন্ডের ৬৩ পৃষ্ঠায় লিখেছেন যে,যে কোনো বালা মসিবতের সময় বেশী বেশী করে
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়িল আযীম। দুওয়াটি পাঠ করবে। এতে ৬৯ প্রকার বালা মসিবত দূর হয়ে যায়। ইনশাআল্লাহ
উক্ত দুওয়াটি ৬০ বার পাঠ করে পানিতে দম করে পান করলে, আল্লাহ তাআলা মসিবত মুক্ত করেন।
৫)👉🏻আলা হাযরাত ইমামে আহলে সুন্নাত রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মালফুয শরীফের ২য় খন্ডের ৮৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেন যে, কঠিন বালা মসিবতের নাযিল হওয়ার কালে, ফজরের নামাযে দুওয়ায়ে কুনুত পড়লে এ বালা মসিবত থেকে আল্লাহ তাআলা মুক্তি দান করেন।
ফজরের নামাযে দুওয়ায়ে কুনুত পড়ার পদ্ধতি।
ফজরের ফরয নামাযের ২য় রাকাতে,আলহামদু এবং অন্য সুরা পড়ার পর,আল্লাহু আকবার বলে ইমাম সাহেব দুয়ায়ে কুনুত পাঠ করবেন।আর পিছনে মুক্তাদীরা আস্তে আস্তে দুওয়া করবে অথবা আমীন আমীন বলবে।
৬)👉🏻 বিপদাপদ কালে বেশী বেশী নিজ গুনাহ থেকে আল্লার নিকট তওবা এবং ইস্তিগফার করবে (মাফ) চাইবে। এই দুওয়াটি পড়বে।
আস্তাগফিরুল্লাহ রব্বী মিন কুল্লে যামবিন ওয়া আতুবু ইলাইহি।
৭)👉🏻মহামারীর সময় কোরআন শরীফ তিলাওয়াত করবে।
বিশেষ করে সুরা ইয়াসিন ও সুরা আল ফাত্হ।
৮)👉🏻বেশী বেশী দরুদ শরীফ পাঠ করবে। বিশেষ করে দরুদে তাজ এবং দরুদে শেফা।
৯)👉🏻بسم االلہ الرحمن الرحیم
لی خمسۃ اطفی بھا حر الوباء الحاطمہ
المصطفی والمرتضی وابناھما والفاطمہ
কোনো হুযূরকে দিয়ে এই👆দুওয়াটি সাদা কাগজে লিখে বাড়ির সদর দরজায় উপরে সাঁটিয়ে দিবে।
১০)👉🏻 শরীয়াত ও সুন্নাত মুতাবিক জীবন যাপন করবে।
১১)👉🏻 ভাল ভাবে মনে রাখবেন।
দুওয়া ও আমলে যদি কোনো উপকার না হয়,তাহলে আমাদের মুখের ও আমাদের কর্মের দোষ মনে করবেন। দুওয়া ও আমলের দোষ দিবেন না।
যেমন, গুলি যতই পাওয়ারের হোক, বন্দুক যদি খারাপ হয়, তাহলে তাতে কাজ হবেনা।
সব শেষে সকল দেশ বাসীর নিকট বিশেষ অনুরোধ রইল যে,দয়া করে আপনারা এই ২১দিনের লকডাউন মেনে চলুন। সরকার ও স্বাস্থ্য দফতরের কথা মেনে চলুন।
বাড়িতে থাকুন সুস্থ থাকুন। আর আমার জন্য দুওয়া করুন এবং এই লিখাটি শেয়ার করুন।
আরয👏গুযাযর
(ফাক্বীহে বাঙ্গাল)
ইতি-২৬/০৩/২০২০

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|