★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
Who are Wahabis? ওহাবী কারা? একটি পবিত্র হাসান হাদীস শরীফকে “মেড ইন চায়না” বলে উপহাস করে কুফরি।। - Mas'la Masayel Discussions on

Who are Wahabis? ওহাবী কারা? একটি পবিত্র হাসান হাদীস শরীফকে “মেড ইন চায়না” বলে উপহাস করে কুফরি।।

একটি পবিত্র হাসান হাদীস শরীফকে “মেড ইন চায়না” বলে উপহাস করে কাট্টা কুফরী করলো এক অখ্যাত সালাফী ওহাবী
সালাফীরা কতটুকু ইসলাম বিদ্বেষী সেটা তাদের লেখা পড়লে বা তাদের বক্তব্য শুনলে বোঝা যায়। একদিক থেকে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ও তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য পাওয়া যায় না। নাস্তিকরা যেমন বিভিন্নভাবে পবিত্র ইসলাম উনাকে নিয়ে উপহাস করে সালাফীরাও সেপথে পদচারনা করেছে। এক সালাফী যার নাম হচ্ছে, আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল সে তার এক আলোচনায় “সুদূর চীন দেশে গিয়ে হলেও জ্ঞান আহরণ বা জ্ঞান অর্জন করো” এই পবিত্র হাসান হাদীস শরীফকে জাল বলার পাশাপাশি এই পবিত্র হাদীস শরীফ উনাকে “মেড ইন চায়না” বলেও উপহাস করেছে। নাউযুবিল্লাহ।
অথচ পবিত্র হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عن انس بن مالك قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم اطلبو العم ولو بالصين فان طلب العلم فريضة علي كل مسلم
অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ, হযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, ইলিম অর্জনের জন্য সদূর চীন দেশ হলেও যাও, কেননা ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।”
[দলীলঃ আল জামিউছ ছগীর লিস সূয়ুুতি ১ম খন্ড ১৬৮ পৃষ্ঠা-হাদীস শরীফ নং ১১১০, শুয়াবুল ঈমান লি বায়হাকী ২য় খন্ড ২৫৪ পৃষ্ঠা, হাদীস শরীফ নং ১৬৬৩,তারিখে বাগদাদ ৭/৩৬৪ ,কানযুল উম্মাল ১০/১৩৮, ২৮৬৯৭]
উক্ত পবিত্র হাদীস শরীফ সর্ম্পকে আল্লামা হযরত মানাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “উক্ত হাদীস শরীফ উনার সনদ সহীহ নয়।”
[ফয়যুল কাদির ১ম খন্ড ৫৪৩ পৃষ্ঠা]
জানার বিষয় হচ্ছে, হাদীস শরীফ উনার বিষয়ে কোন ইমামগন যখন বলেন, “উহা সহীহ নয় তারমানে কিন্তু উক্ত হাদীস শরীফ মুওদ্বু অথবা বানোয়াট বুঝায় না, বরং উক্ত হাদীস শরীফ হাসান শ্রেনীর হওয়ার বিষয়টিই নির্দেশ করে।”
[দলীলঃ আসসারুল মরফুয়া ১/৩৪৯ পৃষ্ঠা, তাযকিরাতুল মাওদ্বুয়াত ৭৫, কাশফুল খফা ১/২৫৬-হাদীস ৯০৮, মাকাসিদুল হাসানা ১২১ পৃষ্ঠা]
কারন সহীহ স্তরের পর হাসান স্তর তারপর দ্বয়ীফ স্তর। সূতরাং সহীহ না হলে পরবর্তী স্তর হাসানই হবে। সূতরাং উছূল অনুযায়ী উক্ত হাদীস শরীফ সর্ম্পকে ইমাম মানাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বক্তব্য দ্বারা বোঝা যায় হাদীস শরীফ খানার সনদ হাসান সহীহ, যা পবিত্র শরীয়ত এর অকাট্য দলীল হিসাবে প্রযোজ্য। সুবহানাল্লাহ।
আর বিখ্যাত ইমাম হযরত বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফ সর্ম্পেকে বলেন, সনদগত ভাবে কিছুটা দুর্বল হলেও উক্ত হাদীস শরীফখানা মশহুর বা প্রসিদ্ধ।
[শুয়াবুল ঈমান লি বায়হাকী ২য় খন্ড ২৫৪ পৃষ্ঠা]
অপরদিকে “সুদূর চীন দেশে গিয়ে হলেও জ্ঞান আহরণ বা জ্ঞান অর্জন করো” এই পবিত্র হাদীস শরীফ খানা একাধিক সূত্রে বর্ণিত রয়েছে। সে হিসাবে উক্ত হাদীস শরীফ খানার সনদ একাধিক সনদ দ্বারা শক্তিশালী হয়েছে এবং হাসান স্তরে উপনীত হয়েছে।
وتعدد الطرق يبلغ الحديث الضعيف الي حد الحسن
অর্থ- দ্বয়ীফ হাদীসও একাধিক সনদে বর্নিত হলে হাসান হাসীদের পর্যায়ে পৌঁছে যায়।"
[মিরকাত ৩/৭৭, আসসারুল মরফুয়া ৪৮১পৃষ্ঠা, ফতহুল কাদির ১/৪৪৬, মিযানুল কোবরা ১/৬৮, মুকাদ্দিমাতুশ শায়েখ ১০, মিযানুল আখবার ৭, উমদাতুল কারী ১/৯]
পবিত্র হাদীস শরীফটার একটি সনদ হচ্ছে, হযরত ইমাম আদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সনদে হযরত হাসান বিন আতিয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত নাযিহ আল কোরাইশি রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে তিনি হযরত আতিকা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে তিনি হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন...........”।
উক্ত সনদে সালাফীদের নেতা নাসির উদ্দীন আলবানী হযরত হাসান বিন আতিয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি সর্ম্পকে আপত্তি করেছে। অথচ বিখ্যাত হাদীস বিশারদ হযরত আবু হাতেম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তিনি সত্যবাদী ছিলেন। শুধু তাই নয়, হাদীস শরীফ উনার বিখ্যাত ইমাম, যাকে সালাফীরাও মান্য করে বুখারী শরীফ উনার সম্মানিত মুছান্নিফ ইমাম হযরত বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারিখে কবীরে” হযরত হাসান বিন আতিয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সনদে পবিত্র হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন।
[মিযানুল ইতিদাল ১/৪৯৭]
এখন এই রাবীর কারনে যদি “সুদূর চীন দেশে গিয়ে হলেও জ্ঞান অর্জন করো” এই হাদীস শরীফ মেড ইন চায়না হয়ে যায়, তবে সালাফীদের কথা অনুযায়ী কি এটাই প্রমান হয়না যে, ইমাম হযরত বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহিও মেড ইন চায়না বর্ণনা করতেন ? নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক।
“সুদূর চীন দেশে গিয়ে হলেও জ্ঞান অর্জন করো” এই পবিত্র হাদীস শরীফ খানা বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মত যুগশ্রেষ্ঠ ইমামগন বিশুদ্ধ মনে করেই উনাদের মশহুর কিতাব সমূহে বর্ণনা করেছেন। তাহলে শয়তানের ভৃত্য সালাফী আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল কি উক্ত ইমামদের বর্ণনাকে মেড ইন চায়না বলার মত ধৃষ্টতা দেখাবে?
......
আর যেহেতু “সুদূর চীন দেশে গিয়ে হলেও জ্ঞান আহরণ বা জ্ঞান অর্জন করো” এই পবিত্র হাদীস শরীফ খানা হাসান সহীহ হিসাবে প্রমানিত সেহেতু এই হাদীস শরীফকে মেড ইন চায়না বলে উপহাস করে ওহাবী সালাফী আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল কুফরী করেছে। কারন ইতিহাস স্বাক্ষী একমাত্র কাফির সম্প্রদায়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র কথা মুবারক নিয়ে উপহাস করতো।
আরও জানতে দেখুন
http://salafiaqeedah.blogspot.com/2012/04/hadithseek-knowledge-as-far-as-china.html
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|