★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
ইসলাম এর চোখে কুফরি কি? না জেনেও কি ভাবে কুফরি তে জড়িয়ে পড়েন তা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে - Mas'la Masayel Discussions on

ইসলাম এর চোখে কুফরি কি? না জেনেও কি ভাবে কুফরি তে জড়িয়ে পড়েন তা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে

খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।সবাই অবশ্যই কপি বা শেয়ার
করবেন। ইনশাআল্লাহ নিজের মুসলিম ভাই এর ঈমান এর
হেফাযত করবেন।আসসালামু আলাইকুম
ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। কুফ্র কী? কুফ্র কত প্রকার ও কী কী? উত্তরঃ- কুফ্র শব্দের অর্থ অস্বীকার করা।যদি কোনো
মানুষ নিম্নবর্ণিত কুফ্র স্বাভাবিক বা রাগান্বিত বা
হাশাহাশি যেকোনো অবস্থায় করুক, তা কুফ্র।সে সাথে
সাথে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।ইমামগন কুফ্রকে
তিনভাগে ভাগ করা করেছেন। যথাঃ
(১) কুফ্রে লাবযী (কথার মাধ্যমে কুফরিতে লিপ্ত হওয়া) : উদাহরণ- কেউ যদি আল্লাহ্, রসূল (স্বাল্লাল্লাহু
য়ালাইহিওয়াসাল্লাম) কিংবা ইসলাম ও তার মৌলিক
বিষয় সমূহকে নিয়ে কটাক্য বা বেআদবি করে এ
ক্ষেত্রে সে কুফরিতে লিপ্ত হবে। এ বিষয়ে ইসলামের
বিধান হচ্ছে কোন ব্যক্তি যদি সাধারণ অবস্থায়,
রাগন্বিত হয়ে কিংবা ঠাট্টা করে আল্লাহ্, তার রাসূল (ﷺ) কালিমা, নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাত, এছাড়া খানা
কাবা, দাড়ি, টুপি, পাগড়ি ও হিজাব কিংবা ইসলামের
যে কোন মৌলিক বিষয়ের শানে চুল পরিমাণ বেয়াদবি
করে নিঃসন্দেহে সে কুফ্রিতে লিপ্ত হবে। এছাড়া এমন
কিছু কথা যা মানুষ সাধারণত বিশ্বাস করে না কিন্তু
কথায় কথায় বলে ফেলে যেমন- আমি এমন একটা কাজ করব যেটা তোর খোদাও জানে না। “নাউযুবিল্লাহ”
যদিওবা সে একথার উপর বিশ্বাস রাখে না, কথার
সাপেক্ষে বলে ফেলল তবুও সে এ কথার জন্য কুফরিতে
লিপ্ত হবে।কারো বাবা বা মা ইন্তেকাল করলে সে
কেঁদে কেঁদে বলল হে আল্লাহ তুমি কতো নিষ্ঠুর!!!! যে
আমার বাবাকে মৃত্যু দিলে?নাউজুবিল্লাহ,আল্লাহর নাম রাহমান,রাহিম, তিনি কি নিষ্ঠুর (এটা মানুশের
দোষ) হতে পারেন? এটাও কুফ্র।
আমরা প্রায়ই একথা বলতে শুনি যে ঃআরে তোকে তো
মেয়ে হওয়া উচিৎ ছিলো,আল্লাহ তোকে ছেলে বানায়
ভুল করছে,নাউজুবিল্লাহ।আমরা না জেনে বুঝে এসব কথা
প্রায় বলে থাকি।আল্লাহ কি ভুল করতে পারেন?এটাও কুফ্র।
আবার অনেকে এ কথাও বলে যে ঃ নাইম এত্তো বদ বা
শয়তান যে স্বয়ং আল্লাহ ও তাকে ভালো করতে পারবেন
না।নাউজুবিল্লাহ।আল্লাহর জন্য অক্ষমতা??এটাও কুফ্র।
এ পর্যন্ত আমাদের জানামতে সমাজের অধিকাংশ
ছেলে-মেয়েরা গান গেয়ে; গানের মাধ্যমে এরূপ কিছু কথা বলে থাকে যেটা কুফরি। শুধুমাত্র একটি বাক্যের
মাধ্যমে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায় অথচ সে
বুঝতে পারে না। কাফের ও মুশরিকদের লেখা কিছু
ভারতীয় গান দেশের আনাচে কানাচে ভরপুর।
কাফেররা মুসলিম যুবক যুবতী দের কাফের বানানোর
নতুন সিস্টেম চালু করছে।আল্লাহ আমাদের হিফাযত করুন।
যেমনঃ (ক) তুঝমে রাব দিখতা হায় অর্থাৎ হে
প্রিয়তমা তোমার ভিতরে আমি আমার স্রষ্টাকে দেখতে
পাই। ‘নাউযুবিল্লাহ্’ ।এটা কুফ্রি।
(খ) তুহি মেরা রাব হায় অর্থাৎ হে প্রিয়তমা তুমিই
আমার প্রভু, ‘নাউযুবিল্লাহ্’ ।এটাও কুফ্র। (গ) তুহি রাব,তুহি দুয়া,তুহি ইবাদাত তুহি নামায.......।না
উজুবিল্লাহ।
এসব গান শুনা হারাম।আর এর মানে জেনেও এসব গান
মুখে উচ্চারণ করা কুফ্র! কুফ্র! কুফ্র! আল্লাহ আমাদের
হেফাযত করুন।আমিন (২) কুফ্রে ফে’লী (কর্মের মাধ্যমে কুফরিতে লিপ্ত
হওয়া)ঃ যেমন- যদি কোন ব্যক্তি ক্বুরআন শরীফ
স্বেচ্ছায় ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে এক্ষেত্রে সে
কুফরিতে লিপ্ত হবে; এমনকি যদিও সে রাগান্বিত
অবস্থায় এই কাজটি করে থাকুক না কেন। আবার যদি
কেউ ক্বুরআনের কোন আয়াতে বা আল্লাহ্ তা’য়ালার ৯৯ টি নাম মোবারকের মধ্যে হতে যেকোন একটি নাম এর
সাথে অনুরূপ বেআদবি করে এক্ষেত্রেও সে কুফ্রিতে
লিপ্ত হবে।কোনো কাগজে কুরয়ান এর আয়াত বা আল্লাহর
যেকোনো নাম হোক সেটি বাংলায় বা আরবিতে বা
ইংলিশে, তা দেখেও তার উপর দিয়ে হেটে গেলে তাও
কুফ্র।(আমাদের সমাজে প্রায় পোস্টার এ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখা থাকে।কিছু
দিন পর পোস্টার টি ছিড়ে নিচে পড়ে যায়।আর সবাই
তার উপর দিয়ে হাটাহাটি করে,যদিও না জেনে করে
থাকে কিন্তু কেউ দেখার পরও করলে কুফ্র হবে।সেখানে
আল্লাহর তিনটি নাম থাকে আল্লাহ, রাহমান, রাহিম।) (৩) কুফ্রে এ’তেক্বাদী (বিশ্বাসের মাধ্যমে কুফরিতে
লিপ্ত হওয়া)ঃ উদাহরণ- যদি কেউ আল্লাহ্ তা’আলার
আকার-আকৃতি, উপমা কিংবা সৃষ্টির গুণাবলীর সাথে
তাঁর উদাহরণ বা তুলনা করে এক্ষেত্রে সে মুরতাদ
(কাফের) হয়ে যাবে। যদি কোন ব্যক্তি এই আক্বীদা
রাখে যে, আল্লাহ্ প্রথম আসমানে আসেন,নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ্ তাঁর আরশে বসে আছেন, এসব আক্বিদাটাও কুফ্রি।
কেউ যদি বিশ্বাস করে যে নবিদের দ্বারাও পাপ
সম্ভব বা তারা নিস্পাপ নন,এটাও কুফ্র।
কেউ যদি বিশ্বাস করে যে আল্লাহর শরীর, অংগ পতঙ্গ
আছে,নাউজুবিল্লাহ,এটাও কুফ্রি।কেননা আল্লাহ কুরয়ান
এ এরশাদ করেন সূরা আশ-শুরা:11 - কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়।
সূরা এখলাছ:4 - এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
সূরা নাহল:74 - অতএব, আল্লাহর কোন সদৃশ সাব্যস্ত
করো না,নিশ্চয় আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।
একজন নামাজি ব্যক্তি যদি এই আক্বীদা রাখে যে, সে যখন নামাযে তাকবীরে তাহরীমা আল্লাহু আকবার বলে
তখন এটা স্মরণ করে যে, আল্লাহ্ তাআলা তার সামনে
দাড়িয়ে আছেন ‘নাউযুবিল্লাহ্’ বা সিজদার সময়ে এটা
স্মরণ করে যে, সে আল্লাহ্ তা’আলার পায়ে সিজদা করছে
‘নাউযুবিল্লাহ্’, এরূপ বিশ্বাসের ফলে সে মুরতাদ হয়ে
যাবে। তদ্রুপ আল্লাহ্ তা’য়ালা ছয়টি দিকের মধ্যে (উপর-নীচ, সামনে-পিছে, ডান-বাম) যে কোন একটি
দিকে আছেন এরূপ বিশ্বাসকারী মুরতাদ হয়ে যাবে।
কেননা বুখারী শরীফের হাদীস রসূলে করীম (ﷺ) এরশাদ
করেনঃ অর্থঃ আল্লাহ্ তা’য়ালা তখনও ছিলেন যখন
আল্লাহ্ ব্যতিত কোন কিছুই ছিল না”। অর্থাৎ যখন কোন
দিক সৃষ্টি করা হয় নি তখনও আল্লাহ্ ছিলেন।(৬ তম খন্ড ২৮৬ নং হাদিস)। আল্লাহ্ তা’আলা ক্বুরআনুল কারীমে এরশাদ করেনঃ
সূরা আত তাওবাহ:74 - তারা কসম খায় যে, আমরা বলিনি,
অথচ নিঃসন্দেহে তারা বলেছে কুফরী বাক্য এবং
মুসলমান হবার পর কাফের হয়েছে....... বস্তুতঃ এরা যদি
তওবা করে নেয়, তবে তাদের জন্য মঙ্গল। আর যদি তা না
মানে, তবে তাদের কে আযাব দেবেন আল্লাহ তায়ালা বেদনাদায়ক আযাব দুনিয়া ও আখেরাতে। অতএব,
বিশ্বচরাচরে তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী-সমর
্থক নেই।
বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীস নবী করীম (ﷺ)
এরশাদ করেন- অর্থ- “নিশ্চই বান্দা মুখ থেকে এমন কিছু
কথা বলে যেটাকে সে বিশ্বাস করে না; এ কথার জন্য তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে আর তাকে ৭০
হাজার বছর লাগবে তার তলদেশে পৌঁছাতে”।
নাউজুবিল্লাহ
আল্লাহ আমাদের কুফ্র থেকে রেহাই দান করুন, ঈমানের
সাথে কবরে যাওয়ার তাওফিক দান করুন,আমিন।
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|