★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
পীর-মুরীদ কাকে বলে? প্রমাণঃ - Mas'la Masayel Discussions on

পীর-মুরীদ কাকে বলে? প্রমাণঃ

edited August 2017 in Mas'la Masayel
পীর-মুরীদ কাকে বলে?

পীর শব্দটি ফার্সি। আরবীতে বলা হয়
মুরশীদ।
মুরশীদ শব্দের অর্থ হল পথপ্রদর্শক।
যিনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ
তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন
করার প্রশিক্ষণ
দেন তার নাম মুরশীদ বা পথপ্রদর্শক।
যাকে ফার্সীতে বলে পীর।
“মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থ হল
ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর
আদেশ
নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান
সেভাবে পালন
করার ইচ্ছা পোষণ করে কোন বুযুর্গ
ব্যক্তির হাত
ধরে শপথ করে সে ব্যক্তির নাম হল
“মুরীদ”।
এ ব্যাখ্যা থেকে একথা স্পষ্ট হল যে,
পীর
হবেন শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন
করার
প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনি সে
প্রশিক্ষণ নিতে চায়
সে শিক্ষার্থীর নাম হল “মুরীদ”।
সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেই শরীয়তের
বিধান
মানে না, নামায পড়ে না, পর্দা করে
না, সতর
ঢেকে রাখে না বা শরীয়তের
আবশ্যকীয়
কোন বিধান পালন করে না, সে ব্যক্তি
কিছুতেই
পীর তথা মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ
তার
নিজের মাঝেই যখন শরীয়ত নেই,
সে কিভাবে অন্যকে শরীয়তের উপর
আমল
করা প্রশিক্ষণ দিবে? নিজেইতো
প্রশিক্ষিত নয়।
আর পীর মুরীদির এ পদ্ধতি রাসূল

থেকে চলে আসছে। রাসূল ﷺ
সাহাবাদের
আল্লাহমুখী হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতেন।
সাহাবারা রাসূল
ﷺ এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ
নিতেন। বলা যায়
রাসূল ﷺ হলেন সবচেয়ে প্রথম ও বড়
পীর, ও
সাহাবায়ে কিরাম হলেন প্রথম মুরীদ।
কুরআন হাদীসে পীর
মুরিদীর প্রমাণঃ-
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে
ইরশাদ করেছেন-
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻛُﻮﻧُﻮﺍ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼَّﺎﺩِﻗِﻴﻦَ
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর,
আর
সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক।
{সূরা তাওবা-১১৯)
এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে
বুযুর্গদের
সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া
হয়েছে।
ﺍﻫْﺪِﻧَﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟْﻤُﺴْﺘَﻘِﻴﻢَ ﺻِﺮَﺍﻁَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻤْﺖَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ
অনুবাদ- আমাদের সরল সঠিক পথ
[সীরাতে মুস্তাকিম] চলাও। তোমার
নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ। {সূরা
ফাতিহা-৬,৭}
সূরায়ে ফাতিহায় মহান রাব্বুল
আলামীন তাঁর
নিয়ামাতপ্রাপ্ত বান্দারা যে পথে
চলেছেন
সেটাকে সাব্যস্ত করেছেন সীরাতে
মুস্তাকিম।
আর তার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা
হলেন-
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻘِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀِ
ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ
অনুবাদ-যাদের উপর আল্লাহ তাআলা
নিয়ামত
দিয়েছেন, তারা হল নবীগণ,
সিদ্দীকগণ,
শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ। {সূরা
নিসা-৬৯}
এ দু’আয়াত একথাই প্রমাণ করছে যে,
নিয়ামতপ্রাপ্ত
বান্দা হলেন নবীগণ, সিদ্দীকগণ,
শহীদগণ,
আর নেককারগণ, আর তাদের পথই সরল
সঠিক
তথা সীরাতে মুস্তাকিম। অর্থাৎ
তাদের অনুসরণ
করলেই সীরাতে মুস্তাকিমের উপর
চলা হয়ে যাবে।
যেহেতু আমরা নবী দেখিনি,
দেখিনি সিদ্দীকগণও, দেখিনি
শহীদদের। তাই
আমাদের সাধারণ মানুষদের কুরআন
সুন্নাহ
থেকে বের করে সীরাতে
মুস্তাকিমের উপর
চলার চেয়ে একজন পূর্ণ
শরীয়তপন্থী হক্কানী বুযুর্গের অনুসরণ
করার
দ্বারা সীরাতে মুস্তাকিমের উপর
চলাটা হবে সবচেয়ে সহজ। আর একজন
শরীয়ত
সম্পর্কে প্রাজ্ঞ আল্লাহ ওয়ালা
ব্যক্তির সাহচর্য
গ্রহণ করার নামই হল পীর মুরিদী।
রাসূলে কারীম ﷺ একাধিক
স্থানে নেককার
ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণ করার প্রতি
গুরুত্বারোপ
করেছেন। যেমন-
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ
ﻗﺎﻝ
‏( ﻣﺜﻞ ﺍﻟﺠﻠﻴﺲ ﺍﻟﺼﺎﻟﺢ ﻭﺍﻟﺴﻮﺀ ﻛﺤﺎﻣﻞ ﺍﻟﻤﺴﻚ ﻭﻧﺎﻓﺦ ﺍﻟﻜﻴﺮ
ﻓﺤﺎﻣﻞ ﺍﻟﻤﺴﻚ
ﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﻳﺤﺬﻳﻚ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺒﺘﺎﻉ ﻣﻨﻪ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺠﺪ ﻣﻨﻪ ﺭﻳﺤﺎ ﻃﻴﺒﺔ
ﻭﻧﺎﻓﺦ ﺍﻟﻜﻴﺮ
ﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﻳﺤﺮﻕ ﺛﻴﺎﺑﻚ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺠﺪ ﺭﻳﺤﺎ ﺧﺒﻴﺜﺔ )
অনুবাদ- হযরত আবু মুসা রাঃ থেকে
বর্ণিত। রাসূল ﷺ
ইরশাদ করেছেন-সৎসঙ্গ আর অসৎ সঙ্গের
উদাহরণ হচ্ছে মেশক বহনকারী আর
আগুনের
পাত্রে ফুঁকদানকারীর মত। মেশক
বহনকারী হয়
তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা
তুমি নিজে কিছু
খরীদ করবে। আর যে ব্যক্তি আগুনের
পাত্রে ফুঁক দেয় সে হয়তো তোমার
কাপড়
জ্বালিয়ে দিবে, অথবা ধোঁয়ার গন্ধ
ছাড়া তুমি আর
কিছুই পাবে না।
{সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২১৪, সহীহ
মুসলিম,
হাদীস নং-৬৮৬০, মুসনাদুল বাজ্জার,
হাদীস নং-৩১৯০,
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৮৩১,
সহীহ
ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬১,
মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস
নং-৪২৯৫,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৬৬০,
মুসনাদুল
হুমায়দী, হাদীস নং-৭৭০, মুসনাদুশ
শামীন, হাদীস
নং-২৬২২, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস
নং-১৩৭৭,
মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-৫১৫}
এছাড়াও অনেক হাদীস নেককার ও
বুযুর্গ
ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণের প্রতি
তাগিদ বহন
করে। আর সবচে’ বড় কথা হল-বর্তমান
সময়ে অধিকাংশ মানুষই দ্বীন বিমুখ।
যারাও
দ্বীনমুখী, তাদের অধিকাংশই কুরআন
হাদীসের
আরবী ইবারতই সঠিকভাবে পড়তে
জানে না, এর
অর্থ জানবেতো দূরে থাক। আর যারাও
বাংলা বা অনুবাদ পড়ে বুঝে, তাদের
অধিকাংশই আয়াত
বা হাদীসের পূর্বাপর হুকুম, বা এ
বিধানের
প্রেক্ষাপট, বিধানটি কোন সময়ের
জন্য, কাদের
জন্য ইত্যাদী বিষয়ে সম্যক অবহিত
হতে পারে না। তাই বর্তমান সময়ে
একজন সাধারণ
মানুষের পক্ষে কুরআন সুন্নাহ
থেকে নিজে বের করে আল্লাহ
তাআলার উদ্দিষ্ট
সীরাতে মুস্তাকিমে চলা বান্দার
জন্য কষ্টসাধ্য। তাই
আল্লাহ তাআলা সহজ পথ বাতলে
দিলেন একজন
বুযুর্গের পথ অনুসরণ করবে,
তো সীরাতে মুস্তাকিমেরই অনুসরণ
হয়ে যাবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে যার অনুসরণ
করা হবে সে অবশ্যই সীরাতে
মুস্তাকিমের
পথিক হতে হবে। অর্থাৎ লোকটি
{মুরশীদ
বা পীর} এর মাঝে থাকতে হবে
শরীয়তের
পূর্ণ অনুসরণ। বাহ্যিক গোনাহ
থেকে হতে হবে মুক্ত। কুরআন সুন্নাহ
সম্পর্কে হতে হবে প্রাজ্ঞ। রাসূল ﷺ
এর
সুন্নাতের উপর হতে হবে অবিচল। এমন
গুনের
অধিকারী কোন ব্যক্তি যদি পাওয়া
যায়, তাহলে তার
কাছে গিয়ে তার কথা মত দ্বীনে
শরীয়ত মানার
নামই হল পীর মুরিদী। এরই নির্দেশ
আল্লাহ
তাআলা কুরআনে দিয়েছেন-
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻛُﻮﻧُﻮﺍ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼَّﺎﺩِﻗِﻴﻦَ
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর,
আর
সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক।
{সূরা তাওবা-১১৯)
• বাইয়াত: —-
“বাইয়াত” শব্দের উৎপত্তি হয়েছে,
“বাইয়ুন” শব্দ
থেকে।“বাইয়ুন” শব্দের আভিধানিক
অর্থ
হচ্ছে “ক্রয়-বিক্রয়”
এখানে এই “ক্রয়-বিক্রয়” মানে হচ্ছে
আমার
আমিত্বকে আল্লাহর রাহে রাসূলের
নিকট
গিয়ে কোরবান করে দিলাম,বিলিন
করে দিলাম,বিক্রি করে দিলাম।
আমার আমিত্ব, আমার
যত অহংকার আছে, অহমিকা আছে,
আমি আমি যত ভাব
আছে সমস্তকিছু আল্লাহর রাসুলের
কাছে গিয়ে আল্লাহর রাহে
সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ
করে দেয়া, কোরবান করে দেয়া ,
বিক্রি করে দেয়া এবং পক্ষান্তরে
রাসূলেরﷺ কাছ
থেকে কোরআন সুন্না ভিত্তিক জীবন
ব্যবস্থা খরিদ করে, সমস্ত উপাসনার
মালিক আল্লাহ,
সেজদার মালিক আল্লাহ, কুল্লু
মুকলুকাতের মালিক
আল্লাহ, এই দৃঢ় ঈমানে ঈমানদার হয়ে
যাওয়া, এটাকেই
বলা হয় বাইয়াত বা “ক্রয়-বিক্রয়” ।
নিশ্চয় আল্লাহ খরিদ করে
নিয়েছেন মুমিনদের
থেকে তাদের জ্ঞান ও তাদের মাল এর
বিনিময়ে যে, অবশ্যই তাদের জন্য
রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে
আল্লাহর পথে,
কখনও হত্যা করে এবং কখনও নিহত হয়।
তাওরাত ও
কুরআনে এ সম্পর্কে সত্য ওয়াদা
রয়েছে।
আল্লাহর চাইতে নিজের ওয়াদা অধিক
পালনকারী আর
কে আছে? সুতরাং তোমরা আনন্দ কর
তোমাদের সে সওদার জন্য যা তোমরা
তাঁর
সাথে করেছ। আর তা হল বিরাট
সাফল্য।
হে রাসূল! যেসব লোক
আপনার নিকট বাইয়াত
হচ্ছিল, তারা আসলে আল্লাহর নিকটই
বাইয়াত হচ্ছিল।
তাদের হাতের উপর আল্লাহর কৃদরতের
হাত ছিল।
হে রাসূল! আল্লাহ মুমিনদের উপর
সন্তুষ্ট
হয়েছেন যখন তারা গাছের নীচে
আপনার নিকট
বাইয়াত হচ্ছিল। (সূরা ফাতহ : ১৮) #
আল্লাহর
পথে লড়াই করা উচিত তাদের যারা
দুনিয়ার
জীবনকে বিক্রি করে দেয়
আখিরাতের
বিনিময়ে। আর যারা আল্লাহর পথে
শহীদ হয়
অথবা গাজী হয় উভয়কে আমি
সীমাহীন প্রতিবাদ
দেবো। (সূরা নিসা : ৭৪)
যে ব্যক্তি তার ওয়াদা
(প্রতিশ্রুতি) পূর্ণ
করবে এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন
করবে,
সে আল্লাহ পাকের প্রিয়জন হবে। আর
নিশ্চিতভাবে আল্লাহ পাক
মুত্তাকীদের
ভালবাসেন। (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)
o ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺒَﺎﻳِﻌُﻮﻧَﻚَ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺒَﺎﻳِﻌُﻮﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻮْﻕَ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ
আল কোরআন, সূরা আল ফাতহ, আয়াত
নং ১০।
অর্থাৎঃ হে রাসূল ﷺ, নিশ্চয় যারা
আপনার নিকট বাইয়াত
হওয়ার জন্য আসে (মুরিদ হওয়ার জন্য
আসে),তাঁদেরকে আপনি বাইয়াত দান
করুন
** অর্থাৎ যারা কামিল মুর্শিদ-এর
নিকট বাইয়াত
হয়না তারা পথভ্রষ্ট। কারণ তখন
তাদের পথ প্রদর্শক
হয় শয়তান। তাই সুলত্বানুল আরিফীন
হযরত
বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি
আলাইহি,
সাইয়্যিদুত ত্বায়িফা হযরত জুনায়েদ
বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি
হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত
ইমাম গাজ্জালী
রহমতুল্লাহিআলাইহিসহ
আরো অনেকেই বলেন যে, যার
কোনো পীর বা মুর্শিদ নেই তার
মুর্শিদ বা পথ
প্রদর্শক হলো শয়তান। (ক্বওলুল জামীল,
নূরুন
আলা নূর, তাছাউফ তত্ত্ব)
@ @বাইয়াত গ্রহণ না করে মৃত্যুবরণ
করার
ব্যাপারে হুঁশিয়ারি::
►হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু উমার
রদিআল্লাহু তায়া’লা আনহু
হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে
শুনেছি,
“যে ব্যক্তি আনুগত্য থেকে হাত সরিয়ে
নেয়
সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন দলীল
বিহীন
অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত
করবে । আর
যে ব্যক্তি বাইয়াত গ্রহণ করা ব্যতীত
মৃত্যুবরণ
করল, সে ব্যক্তি জাহিলী যুগের ন্যায়
মৃত্যুবরণ
করল ।“ (মুসলিমঃ হাদীস নং- ৪৮৯৯,
ত্বাবরানী শরীফ)
►হযরত ইবনু উমার রদিআল্লাহু
তায়া’লা আনহু
হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি নবী
করীম
সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে
শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি যমানার
ইমাম (হক্কানী শায়খ) ব্যতীত
ইন্তেকাল করল
সে জাহিলিয়াতের ইন্তেকাল করল ।
আর
যে ব্যক্তি শায়খের আনুগত্য থেকে
হাত
সরিয়ে নিবে সে দলীল বিহীন
অবস্থায়
ক্বিয়ামতের দিন আগমন করবে ।“ (আবু
দাউদ
আত্তায়ালিসীঃ হাদীস নং- ১৯১৩,
আবু নুয়াইম, জামিউল
আহাদীস)
বাইয়াত এর ব্যাখ্যা ও গুরুত্ব
সুরা তওবার ১১১ নং আয়াতে আল্লাহ
পাক
ঘোষনা করেছেন যে, মুমিনের জান-
মাল
বেহেস্তের বিনিময়ে খরিদ করে
নিয়েছেন।
আর মালের মালিক যদি নিজ ইচ্ছায়
মাল বিক্রয়
না করে তবে তার মাল কেহ ক্রয়
করতে পারে না। অর্থাৎ যে সকল মুমিন
নিজ ইচ্ছায়
জান-মাল বিক্রয় করতে ইচ্ছুক আল্লাহ
তাদের কাছ
থেকেই জান-মাল ক্রয় করতে ইচ্ছুক।
আর যারাই
জান-মাল বিক্রয় করবে তারাই
সত্যিকারের মুমিন।
যেহুত বেহেশত দুনিয়ার জীবনে
পাওয়া সম্ভব
নয় তাই বেহেশতের বিনিময়ে ক্রয়
করা জান ও মাল
আল্লাহ সাথে সাথে নিয়েও নেন না।
উপমা স্বরূপ বলা যায় আপনি হাট বা
বাজার হতে মাল ক্রয়
করলেন এই শর্তে যে, মাল বাড়ী
পর্যন্ত
পৌছে দিলেই মালেন মালিক
বিনিময় মূল্য
বুঝে পাবে।
তদ্রুপ মুমিন যখন তার জান-মাল
আল্লাহর নিকট বিক্রয়
করার শপথ দেয় তখন আল্লাহ মুমিনের
জান-মাল এই
শর্তে ক্রয় করে যে, তার বাকী জীবন
আল্লাহর মর্জি মতো পথে পরিচালিত
করবে। আর
যে সকল মুমিন আল্লাহর মর্জি মত
জীবন
পরিচালনা করতে পারে তারাই মৃত্যুর
পরপারে বেহেশত পেতে পারে
অন্যথায় নয়।
তাই তো সাহাবায়ে কেরাম রাসূল
ﷺ এর নিকট বাইয়াত
গ্রহণ করেছেন। আর রাসূল
ﷺ দুনিয়া হতে চলে যাওয়ার পর
সাহাবয়ে কেরাম
মুসলিম জামায়াতের আমীর হযরত
আবূবক্কর রাঃ এর
নিকট আবার বাইয়াত গ্রহণ করেন। এর
ধারা বাহিকতায়
সাহাবয়ে কেরাম খলিফাগণের নিকট
বাইয়াত গ্রহণ
করতেn।
পরবর্তীতে সাহাবায়েকেরামদের
মধ্যে বিশেষ করে বেলায়তের সম্রাট
হযরত
আলী رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنه এর হাত মোবারকে
বায়াত গ্রহণ
করে অসংখ্য ব্যক্তিবর্গ মুসলমান
হিসেবে দাবিদার
হয়েছেন। তাঁহাদেরকে তাবেয়ীন বলা
হয়।
এরকম অসংখ্য তাবেয়ীন এবং হযরত
আওলাদে রাসূল
ﷺ হযরত ইমাম হাসান رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنه, হযরত
ইমাম হুসাইন رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنه,
হযরত ইমাম জয়নাল আবেদিন رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنه,
হযরত ইমাম
বাকের رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنه, হযরত ইমাম জাফর
সাদেক رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنه, হযরত
ইমাম কাজেম رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنه, হযরত ইমাম আলী
রেজা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنه
সমেত অসংখ্য তাবেয়ীনদের হাতে
বাইয়াত
(মুরীদ) হওয়ার মাধ্যমেই সারা
বিশ্বজাহানে ইসলাম
প্রচার হয়েছে, প্রসার হয়েছে। যার
ফলশ্রুতিতে আমরা বিশ্বনন্দিত
মাজহাবের ইমাম
হযরত আবু হানিফা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنهকে পেয়েছি।
আওলাদে রাসূলদের পক্ষ হতে হযরত
হাসান
বসরী رحمة الله عليه, হযরত জুনায়েদ
বোগদাদী رحمة الله عليه,
হযরত আবু সায়ীদ মাখজুমিرحمة الله عليه,
হযরত জুননুন
মিছরি رحمة الله عليه,পীরানে পীর দস্তগির
হযরত গাউসুল
আজম আব্দুল কাদের জিলানী رحمة الله عليه,
হযরত গাউসুল
আজম খাজা মুইনুদ্দিন চিশতী رحمة الله عليه,
হযরত ফরিদ
উদ্দিন আকতার رحمة الله عليه, হযরত ইমাম
গাজ্জালী رحمة الله عليه,
হযরত জালাল উদ্দিন রুমি رحمة الله عليه,হযরত
শামস তাবরীজ
رحمة الله عليه, হযরত ফখরুদ্দিন রাজি
رحمة الله عليه,হযরত ইমাম জালাল
উদ্দিন সূয়ুতি رحمة الله عليه, হযরত শাহ
জালাল رحمة الله عليه, হযরত শাহ
পরান رحمة الله عليه, হযরত শাহ মাগদুম
رحمة الله عليه, হযরত শাহ
আলী বোগদাদী رحمة الله عليه, হযরত
আমানত শাহ رحمة الله عليه,
হযরত বদর শাহ رحمة الله عليه সমেত অসংখ্য
আউলিয়ায়ে কামেলিন رحمة الله عليه গণ
এবং বেলায়তে শেষ প্রান্তে এসে
ইসলামের
এবং বেলায়তের ধারক ও বাহক হযরত
গাউসুল আজম
মাইজভাণ্ডারীرحمة الله عليه, এরা
প্রত্যেকেই ইসলাম
কোরআন, হাদিস, ইজমা, কিয়াস,
শরীয়ত, তরিকত ,
মারফত ও হাকিকতের মাধ্যমে
এপৃথিবীতে ইসলাম
প্রচার করেছেন। অতএব আপনারা
(যারা অলি আউলিয়া,
পীর মুর্শিদ অস্বীকারকারী) কি করে
ঢালাও
ভাবে পীর মুরিদকে অস্বীকার করে
কামেল পীরের বৈশিষ্ট্য:
————————-
(১) যিনি কামেল মোকাম্মেল পীর
হবেন, হাদিস,
তফছির, ফিকাহ ইত্যাদিতে তাহার
জ্ঞান থাকিবে।
কমপক্ষে শরীয়তের বিধান সমূহ ভাল
রুপে জানা থাকিবে।
(২ )শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন ও
তদনুযায়ী কাজ করিবেন। শরীয়ত
বিরুদ্দ কাজ
হইতে দূরে থাকিবেন। খোদাকে
ভয়কারি লোক
ও পরহেজগার হইবেন।
(৩) কামেল বা মোকাম্মেল পীরের
ভিতর এই
তিনটি গুন থাকা একান্ত অবশ্যক –
পীরের নিকট
হতে ছবক সমূহ আয়ত্ত করা, ফায়েজ
হাছিল করা ও
মুরিদ দিগকে ফায়েজ পোঁছানোর
ক্ষমতা থাকা।
(৪) যিনি কামের হইবেন তিনি লোভ
শুন্য হইবেন।
কেননা লোভী ব্যক্তি কখনো ফকির
হইতে পারেন না।
(৫) কত্তলুল জামিল কিতাবে আছে,
কামেল পীর
হলে বার মাস রোজা রাখিতে হইবে,
স্ত্রি হইতে দূরে থাকিতে হইবে,
খানা খাইবেনা ও
জঙ্গলবাসী হইতে হইবে এই সব শর্ত
নহে।
(৬) রসুলুল্লাহ ﷺ এর জামানায় যেমন
অজদ, গোলবা,
ছকুর ও বেখুদী ইত্যাদি নানা প্রকার
জজবা ছিল,
কামেল পীরের মুরিদানের মধ্যেও
রসুলুল্লাহ
ﷺ এর জামানার ন্যায় মাঝে মাঝে
দুই এক জনের ঐ
হালাত হইবে। কেন না আওলিয়াগন
রসুলুল্লাহ ﷺ এর
গুন পাইয়া থাকেন। কল পীর
আউলিয়াদের মর্যাদার
উপর “সকল পীর ভণ্ড, পীরের প্রয়োজন
নাই”(নাউজুবিল্লা) বলে আঘাত
এনেছেন!!!
এজাজতনামা :
এজাজত এর অর্থ অনুমতি /
সন্মতি ইত্যাদি এজাজতনামা অথ:
অনুমতিপত্র
নবীজিﷺ প্রথম সাহাবীদের বাইয়াত
করেন
যেটি আকাবার শফত নামে আমরা
জানি ,
পরবতীতে এটি খোলফায়ে রাশেদীন
,তবেয়ী (ইমাম
হাসান বসরী র ) তাবে তাবেয়ীন
(জোনায়েদ
বাগদাদী র:) মাধ্যমে আব্দুল কাদের
জিলানী (র:) …….. আসতে থাকে ,এটির
একটি লিখিত
permission আছে ,এটিকে “এজাজত
নামা )বলে ,সুতারং যে
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|