★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
দেওবন্দি ওহাবির কি খাতনা (সুন্নাত) হয় না?৫ এর বদলে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন? তাদের কিবলা কি আলাদা ? - Ja-al-haq Discussions on

দেওবন্দি ওহাবির কি খাতনা (সুন্নাত) হয় না?৫ এর বদলে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন? তাদের কিবলা কি আলাদা ?

edited February 2016 in Ja-al-haq
দেওবন্দি ওহাবির কি খাতনা (সুন্নাত) হয় না?৫ এর বদলে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন? তাদের কিবলা কি আলাদা ?
এই কথাটি শুনে হয় তো আপনাদের কেমন কেমন লাগবে তার আগে দেওবন্দি ওহাবীদের গুরু মওলবী ইসমাইল দেহলবী তার কিতাব তাকবিয়াতুল ঈমান এ কি বলছে দেখেন আমি স্ক্রিনসর্ট দিলাম ।



আমি যেখানে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছি ছবিতে সেটা হল দেওবন্দি ওহাবী মৌলবি ইসমাইল দেহেলবীরে লেখা একটা বই তাকবিয়াতুল ঈমান বই এর ৬৯ নং পৃষ্ঠার একটা লাইন যেখানে মৌলবি ইসমাইল বলছে , "সারে কারবার আল্লাহি কে চাহনে সে হোতা হে রাসুল কে চাহনে সে কুছ নেহি হোতা ।" এর মানে হল "আল্লাহর ইচ্ছাই সব কিছু হয় রসূলের ইচ্ছাই কিছু হয় না।" এই বইটা এখনও দেওবন্দি , ওহাবী , ফুরফুরারা মাদ্রাসায় পড়ানো হয় ।

এবার আসুন একটা গল্প শুনুন ঃ
এক মহল্লাই এক ওহাবী মওলবী ছিল সে সব সময় বলতো আমি কুরআন এর বাইরে কোন কাজ করি না । তার এই কথা এতো প্রচিলিত ছিল যে তাকে মানুষ মওলবী কুরানি নামে চিনতেন । একদিন প্রায় জুম্মা খুতবার আগে সে বলতো যে "আমি কুরআন এর বাইরে কোন দিন কোন কাজ করিনি কুরআন এর বাইরে কোন দিন কোন কাজ করবো না, কুরআন এর বাইরে কোন কথা কাউকে বলবো না ।" এই কথা সেই মহল্লার এক সুন্নির কাছে পৌছালে সে ভাবে তাকে একটা শিক্ষা দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন । সুন্নি তার স্ত্রী কে বলে "জানো মৌলবি কুরানি খাতনা (সুন্নাত) করে নি" । এই কথা তার স্ত্রী পাশের বাড়ির মহিলাকে বলে, সেই মহিলা আর একজন কে এই ভাবে কথাটা গোটা মহল্লাই ছড়িয়ে পড়ে । এক এক করে কথাটা কুরানি মলবির স্ত্রী কাছে পৌছায় আর তার কাছে । কুরানি মওলবী খুব রেগে যায় আর চিন্তা করতে থাকে কে আছে সে সন্দেহ করে ফেলে যে আমার দুশমন নিশ্চয় সেই সুন্নি হবে । সুন্নি কাছে এসে বলে "আপনি কেন এ সব রটাছেন?" সুন্নি বলেন " আপনাদের মওলবীরা বলে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম ইল্মে গায়েব জানেন না , আপনার কি করে হলো? আপনি কি করে জানলেন আমি বলেছ ?" না আপনিই আছেন এই মহল্লাই ওহাবী দেওবন্দি তথা আমার দুশমন । তো বলেন আপনি কেন বলেছেন আমার খাতনা (সুন্নাত) হয় নি । সুন্নি বল্লো এই কথা আপনি নিজেই জুম্মার খুতবার আগে বলেছেন যে আপনি কুরআন এর বাইরে কোন কাজ করেন না । তাই আমি ত্রিশ পারা কুরআন এর কোথাও একথা খুজে পাইনি যে আল্লাহ হুকুম দিয়েছে যে খাতনা করো । আর আপনি নিজেই বলেছেন কুরআন এর বাইরে কিছু করেন না । আর খাতনা করার হুকুম আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম দিয়েছেন এটা কুরআন তথা আল্লাহ হুকুম দেন নি । 

এই হলো দেওবন্দি ওহাবীদের অবস্থা । এরা কেবল রসূল ﷺ শান মর্যাদাকে কি ভাবে নিচু করবো সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকে , কিন্তু আল্লাহ নিজেই যার শান মর্যাদা কে উচু করে দিয়েছেন তাঁকে কি  কেউ নিচু করতে পারবে?

আল্লাহ যাদের কাছ থেকে দ্বীন নিয়ে নিবে তাদের কাছ থেকে বুদ্ধিও নিয়ে নিবে । ইসমাইল দেহলবি তাকবিয়াতুল ঈমান কিতাবে যা লিখলো দেওবন্দি ওহাবীরা তা মেনে চলছে এখনও । তিনি বললেন "আল্লাহর ইচ্ছাই সব কিছু হয় রসূলের ইচ্ছাই কিছু হয় না।" ওরে দেওবন্দি ওহাবীরা এখন সময় আছে সুন্নিদের কাছে তওবা করে নাও।রসূলের ইচ্ছাই কিছু হয়না তো দেওবন্দি ওহাবীরা কি খাতনা করে না ? এটা তো আল্লাহ কোথাও বলে নি ।

এবার দেখা যাক রসূলের ইচ্ছাই আর কিছু হয় কি না ? 
৫০ ওয়াক্ত নামায যেভাবে ৫ ওয়াক্ত
হল -
হযরত আনাছ رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنه হতে বর্ণিত, তিনি
বলেন, হযরত নবী করিম ﷺ
এরশাদ
করেছেন, (মেরাজ রজনীতে) আল্লাহ
পাক যখন আমার উম্মতদের জন্য
৫০
ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করলেন।আমি তা
নিয়ে ফিরে চললাম। ফেরার পথে
৬ষ্ট আসমানে হযরত মূসা عليه السلام এর সাথে
সাক্ষাত হলে, তিনি
বললেন,আল্লাহ
আপনার উম্মতদের জন্য কি উপহার
দিয়েছেন।তখন আমি বললাম,দৈনিক
৫০ ওয়াক্ত নামায। তখন মূসা عليه السلام বললেন
আমি অভিজ্ঞতা থেকে
বলছি,
আপনার উম্মত এটা পালন করতে সক্ষম হবে
না। আপনি আল্লাহর কাছে ফিরে
যান এবং তা হালকা করার অনুরোধ
করুন। রসূল ﷺ বলেন, "আমি মহান আল্লাহর
কাছে ফিরে গেলাম এবং
সংক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ
জানালাম। তখন আল্লাহ তা’য়ালা ৫
ওয়াক্ত কমালেন। আমি পুনরায় হযরত মুসা
عليه السلام এর কাছে ফিরে
আসলাম। তিনি পুনরায় পূর্ববর্তি নিয়মে
আবার
বললেন,তখন আমি আবারও আল্লাহর
দরবারে গেলে আল্লাহ আরও ৫
ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন।" এভাবে ৯ বার
গেলাম, প্রতিবারি আল্লাহ
তা’য়ালা ৫ ওয়াক্ত করে
কমিয়ে দিলেন। ৫০
ওয়াক্ত থেকে কমিয়ে আল্লাহপাক ৫
ওয়াক্ত নামাজের আদেশ দিলেন,
হযরত
রাসূল ﷺ শেষ বার আল্লাহর সামনেন
থেকে ফিরে আসলে, হযরত মূসা
عليه السلام নবীজিকে আবারও আল্লাহর
কাছে যেতে বললেন। নবীজি বললেন,
"যেই
আল্লাহ
দয়া করে ৫০ ওয়াক্ত থেকে কমিয়ে ৫
ওয়াক্ত নামায দিয়েছেন,আমি
লজ্জাবোধ করছি পূনরাই আবার
নামায কমানোর জন্য আল্লাহ
দরবারে যেতে। (" বুখারী শরীফ ৩৬০৮ )

এই হাদিসে আপনারা দেখলেন আল্লাহ ৫০ ওয়াক্ত নামাজ দিয়েছিলেন কিন্তু হুজুর ﷺ এর ইচ্ছাই সেটা ৫ ওয়াক্ত করা হলো ।

দ্বিতীয় হিজরিতে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় নবীর ইচ্ছাই মসজিদুল আকসা থেকে  কিবলা পরিবর্তন করে মসজিদুল হারাম কাবা শরীফ করা হয় । একদিন মহানবী বনি সালিমের মসজিদে জোহরের নামায পড়ছিলেন। দুই রাকাত পড়ার পর ফেরেশতা হযরত জিবরাইল عليه السلام এসে মহানবীর দুই হাত ধরে তাঁকে কাবার দিকে ঘুরিয়ে দিলেন। তখন থেকেই কাবা মুসলমানদের কিবলায় পরিণত হলো।
‘আকাশের দিকে তোমার বারবার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করি। সুতরাং তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি যা তুমি পছন্দ কর। অতএব, তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফেরাও।’ সূরা বাকারা : ১৪৪

তাহলে চিন্তা করেন দেওবন্দি ওহাবী ফুরফুরা পন্থিরা কিভাবে সাধারণ মানুষ কে পথভ্রষ্ট করছে । 

হে দেওবন্দি ওহাবি তাহলে যদি আপনাদের কথায় "রসূলের ইচ্ছাই কিছু হয়না" তাহলে আপনারা কি খাতনা করেন না?আপনারা কি ৫ ওয়াক্তের জাইগায় ৫০ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন? আপনাদের কিবলা কি আলাদা ?
এখনও সময় আছে তওবা করে আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাত তথা মাসলাক এ আলা হজরতের অনুসারী হয়ে যান ।

\m/ Like & Share :-bd Bellow Text for This Post নিচের বক্সের লেখাটি শেয়ার করেন এটা এই পোস্টের লিঙ্ক
দেওবন্দি ওহাবির কি খাতনা (সুন্নাত) হয় না?৫ এর বদলে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন? তাদের কিবলা কি আলাদা ? http://yanabi.in/u/1o লিঙ্কে 
ক্লিক করে নিজে পড়ুন শেয়ার করে অপরকে পড়ার সুবিধা করে দেন।
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|