ওহাবীদের কিছু হাস্যকর মতবাদ:
#শেয়ার
১।মা বাবা থাকতে পীরের কী দরকার?
২।আমরা তো বসে কিয়াম করি। (অর্থাৎ
বসে দাঁড়াই)
৩। আমরা মিলাদুন্নবী বা
নবীজীর মিলাদ মানিনা, আমরা
আল্লাহর মিলাদ পড়ি। (অর্থাৎ
আল্লাহর জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা
করি। নাউযুবিল্লাহ)
৪। বেশি করে
নামায পড়লেই ঈমান ঠিক হয়ে যাবে।
আলাদা করে ঈমান থাকার দরকার
নেই।
৫।যতই পাপী হও না কেন, নামাযের
কাজ নামায ঠিকই করবে। অর্থাৎ
নামায পড়ে যত খারাপ কাজই কর না
কেন বেহেশত নিশ্চিত।
৬। বাহ্যিক নামাযই তোমাকে খারাপ কাজ থেকে দূরে
রাখবে। আলাদা করে নিষ্ঠাবান হওয়ার
দরকার নাই।
৭। বেহেশতে যেয়ে ভোগ
বিলাস করাই সকল মুসলমানের চূড়ান্ত
উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ।
৮। আমাদের পীর, মুরশিদ এতকিছু জানার দরকার
নাই, আমরা নামাজ পড়ব রোজা রাখব,
সোজা বেহেশতে চলে যাব।
৯।কবরে ফেরেশতা প্রথমে তোমার দাঁড়ি দেখবে।
তাই চরিত্রবান হওয়ার চেয়ে
দাঁড়িওয়ালা হওয়ার গুরুত্ব হাজারগুন
বেশি।
১০। আরবী জানা মানেই মহাজ্ঞানী হওয়া। আরবী না জানলে ও
লেবাছ না থাকলে কেউ ইসলামী
জ্ঞানচর্চা করার অধিকার নেই।
১১। আরবী হল আখেরাতী শিক্ষা, আর
আরবি ছাড়া বাকি সব (বাংলা, গনিত
ইত্যাদির) হল দুনিয়াবি জ্ঞান, তাই
এগুলি মূল্যহীন।
১২।বর্তমানে পৃথিবীর সকল পীরগন ভন্ড, তাই
আমরা তাদের কাছে যাই না।
১৩। নজরুল, লালন ও আল্লামা ইকবালের
মত সকল দার্শনিক / ফকিরেরা দাঁড়ি
টুপি নিয়ে মসজিদে দৌঁড়াদৌড়ি না
করায়
নিশ্চিত জাহান্নামী। এদের চেয়ে যে
কোন একজন লেবাসি মুসলমানের দাম
বেশি।
১৪। মনের নামাজ, মনের রোজা,
মনের পর্দা, মনের কোরবানি বলতে
কিছু নাই। ভন্ডরাই এসব বলে।
১৫। মিলাদুন্নবী, কিয়াম নবীর যুগে ছিলনা
তাই এগুলি বিদাত। কিন্তু টিভি,
ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি নবীর যুগে
না থাকলেও বিদাত হবে না। কারন
এগুলি কোনো দ্বীনি বিষয় না। তাই
মিলাদুন্নবী হারাম টিভি, ল্যাপটপ
হালাল। কিছু আচার অনুষ্ঠান পালনই
দ্বীন ইসলাম। এইসব আচার অনুষ্ঠান
ছাড়া আর কিছুই দ্বীনের আওতাধীন
নয়। (অর্থাৎ ইসলাম সম্পূর্ণ জীবন
বিধান নয়)ইত্যাদি।
Comments