★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
রাসুলﷺ ঘোষিত ১২ ইমাম - Ja-al-haq Discussions on

রাসুলﷺ ঘোষিত ১২ ইমাম

রাসুলﷺ ঘোষিত ১২ ইমামঃ

রাসুলﷺ বলেন, ‘ আমার পরে ১২জন ইমাম পযন্ত ইসলাম সমুন্নত থাকবে এবং তারা কুরাইশ / বনি হাশিম বংশ থেকে ’(বুখারি,হাদিস নং৬৭১৬)। 

Narrated Jabir ibn Samura: I heard the Prophetﷺsaying:

"There will be Twelve Commanders." He then said a sentence which I did not hear. My father said, the Prophet added, "All of them will be from Quraysh."[sahih al-Bukhari (English), Hadith: 9.329, Kitabul Ahkam; Sahih al-Bukhari, (Arabic), 4:165, Kitabul Ahkam]


মুসলিম শরিফের একটি হাদিসঃ’যে তার যামানার ইমামকে না চিনে ইন্তেকাল করলো,তার ইন্তেকাল জাহেলিয়াতের ইন্তেকাল ’এই হাদিসের সমথনে কোরানে বনিত হয়েছেঃ’স্মরন করো সেদিনের কথা যেদিন তোমাদেরকে তোমাদের ইমামসহ ডাকা হবে।সে দিন যাদের আমলনামা তাদের দান হাতে দেয়া হবে,খুশী মনে সে তা পাঠ করবে,কারো উপর কোন জুলুম করা হবে না’(সুরা বনি ইস্রাইলঃ৭১)-সম্পাদক)] 
১২ ইমাম সম্পকে রাসুলﷺ বলেন,সালমান আল ফারসী থেকে নিভরযোগ্য সুত্রে বনিত হয়েছে (বইঃমিসবাহুস শারিয়াহ,লেখকঃইমাম জাফর সাদেক رضي الله عنه)- “আমি রাসুলেরﷺ কাছে উপস্থিত হলাম,তিনি আমার দিকে তাকালেন এবং বললেনঃ ‘হে সালমান,আল্লাহ কোন নবী বা রাসুলকে পাঠান না যদি তার সাথে থাকে ১২ জন ’ ।‘ইয়া রাসুলুল্লাহ,আমি তা দুই কিতাবের লোকদের কাছ থেকে জেনেছি ’ ।‘হে সালমান,তুমি কি আমার ১২ জন সদারকে চেনো,যাদেরকে আল্লাহ আমার পরে ইমাম হিসেবে নিবাচন করেছেন?’ 
‘ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলﷺ ভাল জানেন।‘ 
‘ হে সালমান,আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করেছেন পবিত্রতম আদি নুর থেকে এবং আমাকে ডাকলেন এবং আমি তার আদেশ মানলাম।এরপর তিনি আলীকে رضي الله عنه আমার নুর থেকে সৃষ্টি করলেন এবং তিনি তাকে ডাকলেন এবং সে আদেশ মানলো।আমার নুর ও আলীর নুর থেকে তিনি সৃষ্টি করলেন ফাতিমাহকেرضي الله عنه;তিনি তাকে ডাকলেন এবং সে আদেশ মানলো।আমার,আলীর ও ফাতিমাহরرضي الله عنه নুর থেকে সৃষ্টি করলেন আল হাসান ও আল হোসাইনকেرضي الله عنه।তিনি তাদের ডাকলেন এবং তাঁরা তাঁর আদেশ মানলো।আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে তাঁর ৫টি নাম থেকে নাম দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা হলেন আল মাহমুদ(প্রশংসিত) এবং আমি মুহাম্মাদ(প্রশংসার যোগ্য), আল্লাহতায়ালা হলেন আল আলী(উচ্চ) এবং এ হলোرضي الله عنه(যে উচ্চ ঞ্ছানীয়), আল্লাহতায়ালা হলেন ‘আল ফাতির(যিনি শুন্য থেকে সৃষ্টি করেন) এবং এ হল ফাতিমাহرضي الله عنه,আল্লাহতায়ালা হলেন তিনি যার কাছে আছে হাসান(অন্যের জন্য কল্যান) এবং এ হল হাসান,আল্লাহতায়ালা হলেন মুহাসসিন(পরম সুন্দর) এবং এ হল হুসাইন।তিনি ৯ জন ইমামকে সৃষ্টি করলেন আল হুসাইনেরرضي الله عنه নুর থেকে এবং তাদেরকে ডাকলেন এবং তারা তাঁর আদেশ মানলো-আল্লাহতায়ালা উঁচু আকাশ,বিস্তৃত পৃ্থিবী,বাতাস,ফেরেশ্তা ও মানুষ সৃষ্টি করার আগেই আমরা ছিলাম নুর যারা তাঁর প্রশংসা করতো,তাঁর কথা শুনতো এবং তাঁকে মেনে চলতো।‘ 

‘ইয়া রাসুলুল্লাহﷺ,আমার বাবা ও মা আপনার জন্য উৎসগ হোক,ঐ ব্যাক্তির জন্য কি আছে যে এ ব্যক্তিদের ,সেভাবে স্বীকৃ্তি দেয় যেভাবে তাঁদের স্বীকৃ্তি দেয়া উচিত?’ 
‘হে সালমান,যে-ই তাদের স্বীকৃ্তি দেয় যেভাবে দেয়া উচিত এবং তাঁদের উদাহরন অনুসরন করে,তাঁদের সাথে বন্দ্বুত্ব রাখে এবং তাঁদের শত্রুদের কাছ থেকে মুক্ত থাকে আল্লাহতায়ালার শপথ,সে আমাদের একজন।সে সেখানে ফেরত আসবে যেখানে আমরা ফেরত আসবো এবং সে সেখানে থাকবে যেখানে আমরা আছি।‘ 
‘ইয়া রাসুলাল্লাহ,তাঁদের নাম ও বংশধারা না জানা থাকলে কি বিশ্বাস আছে?’ 
‘না,সালমান।‘ 
‘হে আল্লাহর রাসুল,আমি তাঁদের কোথায় পাবো?’ 
‘তুমি ইতোমধ্যেই আল হুসাইনকেرضي الله عنه জানো,এরপর আসবে ইবাদাতকারীদের সদার আলী ইবনুল হুসাইন(যায়নুল আবেদীন)رضي الله عنه,এরপর তার পুত্র মুহাম্মাদ ইবনে আলীرضي الله عنه-পুবের ও পরের,নবী ও রাসুলদের জ্ঞান বিদীনকারী(আল-বাক্কির);এরপর জাফর ইবনে মুহাম্মাদ,আল্লাহর সত্যবাদী জিহবা(আল সাদিক);এরপর মুসা ইবনে জাফরرضي الله عنه,যে আল্লাহর ধৈযের মাধ্যমে তার রাগকে নিশ্চুপ রেখেছে(আল কাযিম);এরপর আলী ইবনে মুসাرضي الله عنه,যে আল্লাহতায়ালার গোপন বিষয়ে সন্তুষ্ট আছে(আল রিদা);এরপর মুহাম্মাদ ইবনে আলীرضي الله عنه,আল্লাহতায়ালার সৃষ্টির মাঝ থেকে নিবাচিত জন(আল মুখতার);এরপর আলী ইবনে মুহাম্মাদرضي الله عنه,যে আল্লাহর দিকে পথ প্রদশক(আল হাদী);এরপর আল হাসান ইবনে আলীرضي الله عنه,যে নিশ্চুপ-আল্লাহতায়ালার গোপন বিষয়ের বিশ্বস্থ পাহারাদার( আল আসকারী);এরপর মিম হা দাল(মুহাম্মাদ),যাকে ডাকা হয় ইবনে আল হাসানرضي الله عنه-যে ঘোষক আল্লাহতায়ালার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে।‘ 
সালমান বলেনঃ ‘আমি কাঁদলাম,এরপরে বললামঃইয়া রাসুলাল্লাহ,আমার জীবন তাদের সময় পযন্ত দীঘায়িত হোক।‘ 
তিনি বললেনঃহে সালমান,এটি তেলাওয়াত করোঃ 
“যখন দু’টি প্রতিশ্রুতির প্রথমটি এলো,আমি তোমাদের বিরুধ্বে পাঠালাম আমার শক্তিশালী যোধ্বা বান্দাহদের,আর তারা বাড়ির বাড়িগুলোর ভিতর পযন্ত প্রবেশ করলো এবং তা ছিলো একটি প্রতিশ্রুতি,বাস্তবায়িত হওয়ার জন্য।এরপর আমরা তোমাদেরকে তাদের বিরুদ্বে বিজয়ী করলাম এবং তোমাদেরকে সম্পদ ও সন্তানাদি দিয়ে সাহায্য করলাম এবং তোমাদেরকে একটি বড় সংখ্যার দলে পরিনত করলাম ”(সুরা বনি ইস্রাইলঃ৫-৬)। 
সালমান বললেনঃ ‘ আমি অনেক কাঁদলাম,এবং আমার আকাঙ্ক্ষা প্রচন্ড হয়ে দাঁড়ালো।আমি বললামঃইয়া রাসুলাল্লাহ,এটি কি আপনার কাছ থেকে একটি প্রতিশ্রুতি?’ 
‘ হ্যাঁ,তাঁর শপথ যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন এবং সংবাদ দিয়েছেন,এটি একটি প্রতিশ্রুতি আমার,আলীর,ফাতিমাহর,আল-হাসান,আল-হুসেইন এবং আল-হুসেইনের বংশ থেকে ৯ জন ইমামদের কাছ থেকে তোমার জন্য এবং তাদের জন্য যারা আমাদের সাথে আছে এবং যাদের প্রতি যুলুম করা হয়েছে।যে তার বিশ্বাসে সত্যিকারভাবে আন্তরিক,তাহলে আল্লাহতায়ালার শপথ সালমান,ইবলিস ও তার বাহিনীগুলো আসুক।যার আছে সত্যিকার আবিশ্বাস সে শাস্তি পাবে প্রত্যাঘাত ও নিযাতন এবং উত্তরাধীকারের (অন্যদের দ্বারা) মাধ্যমে।তোমার রব কারো উপরে যুলুম করবেন না।আমাদের কথা এই আয়াতে বলা হয়েছে। 
“আমরা চাইলাম তাদেরকে নেয়ামত দিতে যাদেরকে পৃ্থিবীতে দুবল ভাবা হতো এবং তাদেরকে নেতা বানাতে এবং তাদেরকে উত্তরাধিকারী বানাতে এবং তাদেরকে যমীনে ক্ষমতা দিতে এবং ফেরাউন,হামান এবং তাদের বাহিনীগুলোকে দেখাতে যা থেকে তারা ভয় পেতো ”(সুরা কাসাসঃ৫-৬)। 
সালমান বলেনঃআমি আল্লাহর রাসুলের কাছ থেকে বিদায় নিলাম সম্পুন ভ্রুক্ষেপহীন হয়ে-কিভাবে সালমান মৃত্যুর সাথে দেখা করবে অথবা কীভাবে মৃত্যু তার সাথে দেখা করবে ”। 
12 Imam's Name:
1: Hazrat Ali Al Murtaza.
2: Hazrat Imam Hassan.
3: Hazrat Imam Hussain.
4: Hazrat Imam Zain Ul Aabideen.
5: Hazrat Imam Mohammad Baqar.
6: Hazrat Imam Jaffar Sadiq.
7: Hazrat Imam Moosa Kazim.
8: Hazrat Imam Ali Ibne Moosa Raza.
9: Hazrat Imam Mohammad Taqqi.
10: Hazrat Imam Ali Naqqi.
11: Hazrat Imam Hassan Askari.
12: Hazrat Imam Mehdi.
(RadiAllahu Anhuma)



Comments

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|