★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
ক্রোধের কুফল ও প্রতিকার এবং ক্রোধ দমনকারীর প্রতিদান - Ibadat amal Discussions on

ক্রোধের কুফল ও প্রতিকার এবং ক্রোধ দমনকারীর প্রতিদান

ক্রোধ- মনুষত্ব বিধ্বংসী একটি মুহলিকাত বা বদস্বভাব; যা সাধারণ মানুষের প্রায় সকলের মাঝেই বিদ্যমান। কারো কারো ক্ষেত্রে এর মাত্রা বেশি হয়, কারো কারো ক্ষেত্রে কম। ক্রোধের উদ্রেককালে মানুষের পশুসুলভ আশা সক্রিয় হয়, চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায় এবং শিরা-উপশিরা ফুলে উঠে। ক্রোধ এক প্রকার শয়তানী ওয়াসওয়াসা। এর কারণে মানুষ আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তখন তার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। যার কারণে তার মুখ থেকে এমন সব কথা বের হয় এবং তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা এমন সব কাজ প্রকাশ পায় যার ফলে পরবর্তীতে তাকে মানুষের নিকট অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হয়।
আরবীতে প্রবাদে রয়েছে, اول الغضب جنون و اخره ندم.
যার অর্থ হলো- “ক্রোধের প্রথম পর্যায়ে মানুষ পাগল হয় এবং পরবর্তী পর্যায়ে অনুতপ্ত হয়।”
ক্রোধ মানুষের পবিত্র ঈমান ও চরিত্র উভয়কেই বিনষ্ট করে ফেলে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই রাগ বা ক্রোধ মানুষের ঈমানকে এমনভাবে নষ্ট করে ফেলে যেভাবে গাছের তিক্ত রস মধুকে নষ্ট করে ফেলে।”
মূলত, ক্রোধ হচ্ছে অগ্নিশিখা সমতুল্য। এটি জাহান্নামের আগুনের একটি প্রভাব। মানবজীবনে এর কুফল সুদূর প্রসারী। তাই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে রাগ না করতে এবং রাগকে দমন করতে নির্দেশ মুবারক দান করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “একদা একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট বিনীত নিবেদন করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি দয়া মুবারক করে আমাকে উপদেশ মুবারক দিন। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি রাগ করবেন না। সেই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কয়েকবার একই কথা বললেন। প্রত্যেকবারই তিনি বললেন, আপনি রাগ করবেন না।”
স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রাগকে কিভাবে দমন করতে হবে এ ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা মুবারক দিয়েছেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “নিশ্চয়ই ক্রোধ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। আর শয়তানকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আগুন পানি দ্বারা নেভানো যায়। সুতরাং যখন তোমাদের কেউ ক্রোধান্বিত হয়, তখন সে যেন ওজু করে।” (আবু দাউদ শরীফ)
অন্যত্র ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যখন তোমাদের কেউ ক্রোধান্বিত হয় আর যদি সে দাঁড়ানো অবস্থায় থাকে তখন সে যেন বসে পড়ে। যদি এতে তার রাগ চলে যায় তাহলে ভালো, অন্যথায় সে যেন শুয়ে পড়ে।” (তিরমিযী শরীফ) আমরা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বাস্তব প্রতিফলন দেখতে পাই হযরত আবু জর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র জীবনী মুবারক উনার মধ্যে। একদিন সকালে তিনি পরিষ্কার পোশাক মুবারক পরিধান করে উনার বাগান মুবারকে পানি দিচ্ছিলেন। যার ফলে বাগানোর মাটি কিছুটা কর্দমাক্ত হয়ে গিয়েছিলো। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে উনাকে এমন কিছু কথা বললো যার কারণে তিনি অসন্তুষ্ট হলেন। এমতাবস্থায় উনার স্মরণ হলো উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফটি। স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তিনি বাগানের কাদামাটির কোনো পরোয়া করলেন না। উনি যেখানে সেখানে বসে পড়লেন। তাতেও অসন্তুষ্টির ভাব না কমায় উনি সেখানে শুয়ে পড়লেন। আর উনার পোশাক মুবারকে কাদা লেগে গেলো। এ দেখে লোকটি বললো, আপনি কেন এমন পরিষ্কার পোশাক মুবারক পরিধান করে মাটিতে শুয়ে পড়লেন? আপনার পোশাক মুবারকে তো কাদামাটি লেগে গেলো। তখন তিনি বললেন, তোমার কারণেই তো আমার পোশাক মুবারকে কাদা লেগে গেলো। তুমি আমাকে এমন কথা বলেছো, যাতে আমি রেগে গিয়েছি। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ মুবারক স্মরণ হয়ে যায়। আর আমি সাথে সাথে সেই আদেশ মুবারক পালন করেছি।
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এভাবেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নির্দেশ মুবারক পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
.
.
প্রকৃতপক্ষে ক্রোধ দমন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। আর যে ব্যক্তি তা করতে সক্ষম হবে সেই দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব। যারা ক্রোধকে দমন করতে পারেন উনাদের প্রশংসা করে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা ক্রোধের সময় নিজেদেরকে সংযত করেন এবং মানুষকে ক্ষমা করেন (উনারাই মুহসীন)। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি মুহসীন উনাদেরকে মুহব্বত করেন।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩৪)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “একবার হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আরজ করলেন, ইয়া রব মহান আল্লাহ পাক! আপনার বান্দাদের মধ্যে আপনাদের নিকট প্রিয়তম কে? জবাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি জানালেন, “ওই ব্যক্তি, যে (রাগের সময়) প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও ক্ষমা করে দেয়।”
ক্রোধের বিপরীত হলো সহিষ্ণুতা। মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট এই গুণটি অত্যন্ত পছন্দনীয়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “ছহিবে কাউছার, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আব্দুল কায়েস গোত্রের প্রধান হযরত মুনযির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নিশ্চয়ই আপনার মধ্যে এমন দুটি স্বভাব বিদ্যমান, যা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পছন্দনীয়। তাহলো- সহিষ্ণুতা ও ধীরস্থিরতা।” (মুসলিম শরীফ)
ক্রোধকে দমন করার সুফল সম্পর্কে উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “দুটি বিষয় বিপরীতধর্মী। ১. রাগ করা হারাম। আর হারাম বস্তু ভক্ষণ করাও হারাম। কিন্তু রাগ গলধকরণ করা উত্তম। ২. মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে অপছন্দনীয় হালাল হলো তালাক। তা বর্জন করা উত্তম।”
ক্রোধ হজম করা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট অত্যন্ত প্রিয় ও পছন্দনীয়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কোনো কোনো বান্দা রাগের ঢোকের চেয়ে উত্তম ঢোক গলধকরণ করে না। সে ওই ক্রোধের ঢোক মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাসিলের উদ্দেশ্যেই হজম করে।”
ক্রোধ মানুষকে জাহান্নামের ইন্ধন বানিয়ে ফেলে। অপরদিকে ক্রোধকে দমন করা হলে শাস্তি থেকে নাজাত লাভ করা যায়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি নিজের রাগকে থামিয়ে রাখে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বিয়ামতের দিন (তার জন্য) উনার আযাবকে থামিয়ে রাখবেন।”
রাগের কারণে অন্তর হতে পবিত্র ঈমান দূরীভূত হয়ে যায়। রাগের সময় মানুষ এমন কথা বলে ও এমন কাজ করে যার কারণে তার অন্তরে পরবর্তীতে অশান্তি সৃষ্টি হয় এবং সে লজ্জিত হয়। অন্যদিকে রাগের সময় নিজেকে সংযত করলে অন্তর শান্তি লাভ করে ও পবিত্র ঈমানে পূর্ণ হয়ে যয়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণিত রয়েছে, “যে ব্যক্তি ক্রোধ সংবরণ করে, অথচ সে উক্ত ক্রোধকে বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা রাখে, ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সৃষ্টিকুলের সম্মুখে ডাকবেন। এমনকি সে যে হুর ইচ্ছা নিতে পারবে, এ ব্যাপারে তিনি তাকে অবকাশ দিবেন।”
পবিত্র আবু দাউদ শরীফ উনার অন্য বর্ণনায় রয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তার অন্তরকে পবিত্র ঈমান ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ادفع بالتى هى احسن (মন্দকে উত্তম প্রক্রিয়ায় প্রতিহত করো) এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বলেন, (এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মর্ম হচ্ছে) রাগের সময় ধৈর্য ধারণ করা এবং অন্যায়ের সময় ক্ষমা করে দেয়া। যখন মানুষ এরূপ করে, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে (বিপদ হতে) হিফাজত করেন এবং তাদের শত্রুদেরকে তাদের অনুগত করে দেন, যেন সে অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠ বন্ধু।” (বুখারী শরীফ)
প্রকৃতপক্ষে রাগকে দমন করা সম্ভব হবে নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে জিহাদে কামিয়াবী হাছিলের মাধ্যমে। যা করা অত্যন্ত শক্ত। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “ওই ব্যক্তি শক্তিশালী নয়, যে মানুষকে ধরাশায়ী করে ফেলে। বরং শক্তিশালী ওই ব্যক্তি, যে রাগের সময় নিজের নফসকে সংযত করতে সক্ষম।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
সুতরাং ক্রোধের সময় নিজেকে সংবরণ করার জন্য দরকার শক্তিশালী ও পরিশুদ্ধ ক্বলব। আর এই কুওওয়াত বা শক্তি এবং ইছলাহ বা পরিশুদ্ধতা হাছিল করা সম্ভব হবে একজন হক্কানী-রব্বানী শায়েখ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ ও উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে যিকির-ফিকির করতঃ ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিলের মাধ্যমে। মহান আআল্লাহ্‌ পাক আমাদের কে সেই হক্কানি শায়েখ এর কাছে বাইয়াত হওয়ার তৌফীক দীণ আমিন ইয়া রব্বুল আলামিন।।imageআল্লাহ্‌ পাক প্রবিত্র কোরআন শরিফ এ যে আয়াত এ মুরশিদ শব্দ টি ব্যাবহার করে বান্দাদের মুরশিদ বা পির ধরবার হুকুম দিয়েছেন...
আজ যে সব মহাপরীক্ষা ও মহা মুছিবতে পতিত এবং কঠিন ও ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তন্মধ্যে এমনই একটি রোগ হলো: অন্তর (ক্বালব) কঠিন হয়ে যাওয়া ।তার ও একটি কারন হল নিজের রাগ.......
.
.
.
নিম্নলিখিত কারণে ক্বালব বা অন্তর কঠিন হয়ে যায়:-
১। নামাযের জামা‘আতে হাজির হওয়ার ব্যাপারে অবহেলা ও গাফলতি করা এবং মসজিদে সকাল সকাল না যাওয়া বরং দেরী করা।
.
২। কুরআনকে পরিত্যাগ করা অর্থাৎ বিনয়-নম্রতা আর মনোযোগ এবং চিন্তা গবেষণা সহকারে কুরআন তেলাওয়াত না করা ।
.
৩। হারাম রুজি যেমন:সুদ, ঘুষ, মাল্টিপারপাস, মিত্যু ইন্স্যুরেন্স এবং বেচাকেনাসহ বিভিন্ন লেনদেনে প্রতারণা ও জালিয়াতি সহ অন্যান্য হারাম পদ্ধতিতে রুজি-রোজগার করার কারণে ।
.
৪। অহংকার, বড়াই, প্রতিশোধপরায়ণতা, মানুষের দোষ-ত্রুটি বা অপরাধকে মাফ না করা, মানুষকে অবহেলা করে নিকৃষ্ট মনে করা, মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা ।
.
৫। দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে ঝুঁকে পড়া, দুনিয়া দ্বারাপ্রতারিত হওয়া এবং মৃত্যুকে, কবরকে এমনকি আখেরাতকে ভুলে যাওয়া ।
.
৬। যে কোনো বেগানা নারীর দিকে তাকানো হারাম; যা অন্তরকে কঠোর করে দেয় ।
.
৭। আমি নিজে প্রতিদিন কি কি খারাপ কাজ করলাম? নিজের সমালোচনা নিজে না করা, বরং মানুষের সমালোচনা করা ।
.
৮। অনেক দিন দুনিয়ায় থাকবো, অনেক কিছুর মালিক হবো এমন ভুল ধারণা মনের ভিতর থাকা ।
.
৯। আল্লার যিকির বেশী বেশী না করে বরং বেশী বেশী কথা বলা, বেশী বেশী হাসাহাসি-তামাশা এবং মশকারী বা মজা করা এবং মানুষের উপর জুলুম করা ।
.
১০। শরীয়তের কোনো আদেশ-নিষেধ লংঘন হওয়ার কারণ ব্যতীত অন্য কোনো কারণ বা অহেতুক বেশী বেশী রাগ করা তাছাড়া ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্য ব্যতীত কাফেরের দেশ ভ্রমণে বের হওয়া
.
।১১। মিথ্যা, গীবত (পরচর্চা) এবং একজনের কথা অন্যের নিকট গিয়ে বলার মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি করা। খারাপ মানুষের সাথে উঠাবসাও চলাফেরা ও অন্য মুসলিমকে মনে মনে অথবা প্রকাশ্য হিংসা করলে।
.
১২। একজন মুসলিমের উন্নতি সহ্য করতে না পারা, বরং তার ধ্বংস কামনা করা । অন্য মুসলিম ভাইয়ের সাথে শত্রুতা করা, ঘৃণা করা এবং তাকে অপছন্দ করা এবং আপনার নিজের বা মুসলিম ভাইয়ের কোনো লাভ বা ফায়েদা ব্যতীত নিজের ও অপরের সময় নষ্ট করা ।
.
১৩। ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা না করা এবং ইসলামী শিক্ষা হতে নিজকে দূরে সরিয়ে রাখা । জাদুকর, গণক, জোতিষী, তন্ত্রমন্ত্রকারী বিশ্বাস ও তার নিকট যাওয়া ।
.
১৪। মাদক, নেশাজাতীয় দ্রব্য, বিড়ি-সিগারেট, হুক্কা, লতা ওয়ালা হুক্কা সহ যাবতীয় তামাক ও তামাকজাত এবং ক্ষতিকর দ্রব্য পান / সেবন করা ।
.
১৫। সকাল-সন্ধ্যার যিকরসমুহ পাঠ না করা । চরিত্রহীন হারাম ফিল্ম দেখা, পতিত (খারাপ) চটি পত্রিকা ম্যাগাজিন পাঠ করা। এবং
.
১৬। আল্লাহর নিকট সর্বদা গুরুত্বসহকারে দো‘আ না করা ।
...
এই সমস্ত কাজ থেকে আল্লাহ্‌ পাক আমাদের কে হিফাজত করুন আমিন...।

Comments

  • share & like 
    ক্রোধের কুফল ও প্রতিকার এবং ক্রোধ দমনকারীর প্রতিদান http://yanabi.in/u/2-
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|