★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
আল্লাহর উপহার পবিত্র রমজান - Ibadat amal Discussions on

আল্লাহর উপহার পবিত্র রমজান

edited May 2017 in Ibadat amal
আল্লাহর উপহার পবিত্র রমজান


রোজা ফারসি শব্দ। এর আরবি হচ্ছে সওম। বহুবচন সিয়াম। অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী শরিয়তে সওম হলো আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে নিয়তসহ সুবহে সাদিকের প্রারম্ভ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা। দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে মদিনায় রোজা ফরজসংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয়- ‘হে ইমানদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো, যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা সংযমী হও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)। অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেই মাসকে পায়, সে যেন রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)। হজরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু.) বলেন, রাসুলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) ইরশাদ করেন, যখন রমজান মাস আসে, আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারি ও মুসলিম)। অপর হাদিসে এসেছে, হজরত সাহ্ল ইবনে সাদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু.) বলেন, রাসুলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) ইরশাদ করেন, বেহেশতের আটটি দরজা রয়েছে। তার মধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়ান। রোজাদার ব্যতীত আর কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি ও মুসলিম)। বিখ্যাত হাদিস বিশারদ সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসের রোজা রাখবে, তার আগের গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসের রাতে ইবাদত করে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে এবাদতে কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি ও মুসলিম)। একটি হাদিস হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেন, রোজা এবং কোরআন (কিয়ামতের দিন) আল্লাহর কাছে বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে পরওয়ারদিগার! আমি তাকে (রমজানের) দিনে পানাহার ও প্রবৃত্তি থেকে বাধা দিয়েছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতের বেলায় নিদ্রা থেকে বাধা দিয়েছি। সুতরাং আমার সুপারিশ তার ব্যাপারে কবুল করুন। অতএব উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে (এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে)। (বায়হাকি)। ভালোর অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে মন্দের অন্বেষণকারী! থামো। আল্লাহ তায়ালা এ মাসে বহু ব্যক্তিকে দোজখ থেকে মুক্তি দেন। আর এটা প্রতিরাতেই হয়ে থাকে। (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)। হজরত ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, যখন রমজান মাস উপস্থিত হতো, রাসুলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) সব কয়েদিকে মুক্তি দিতেন এবং প্রত্যেক যাঞ্চাকারীকে দান করতেন। বায়হাকি। হাদিসের কিতাবে আরো পাওয়া যায়, নবী করিম ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেন, কেউ যদি (রোজা রেখেও) মিথ্যা কথা বলা ও অনুরূপ কাজ পরিত্যাগ না করে, তবে তার শুধু পানাহার ত্যাগ করায় (অর্থাৎ উপবাস ও তৃষ্ণার্ত থাকায়) আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। বুখারি।
Tagged:

Comments

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|