★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
মক্কা,শরীফ ও মদীনা,শরীফবাসীরা এই আমল করে না তাহলে? দেখুন - Ja-al-haq Discussions on

মক্কা,শরীফ ও মদীনা,শরীফবাসীরা এই আমল করে না তাহলে? দেখুন

edited March 2017 in Ja-al-haq
সুন্নত নামায, নামাযের পর মুনাজাত, মীলাদ শরীফ এরকম আরো অনেক আমল নিয়ে অনেকেই বলে থাকে- “যে আমল পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের মধ্যে নেই, তা এদেশের মানুষ কেমনে করে। ইসলাম কি তারা আমাদের চেয়ে কম বুঝে?...” এমন প্রশ্ন শুনে সাধারণ মানুষ হতচকিয়ে উঠে। কিন্তু তাদের নিকট প্রথমেই আমাদের সরাসরি প্রশ্ন হলো- পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের কোথাও কি সরাসরি পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার অধিবাসীদের অনুসরণ-অনুকরণ করতে বলা হয়েছে? এরূপ একটি দলীলও কি আপনারা পেশ করতে পারবেন? আর পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের মধ্যে যা প্রচলিত রয়েছে, তা অনুসরণ না করা যে, বিদয়াত ও গুমরাহী-এর দলীল কোথায়? যদি তাই হয়, তবে সে দেশে যে হারাম কাজগুলো যেমন- ভিডিও, টিভি, গান-বাজনা ইত্যাদি প্রচলিত ও প্রচারিত রয়েছে, তাহলে আপনারা কি সেগুলোও অনুসরণ করবেন? এবং এগুলোকে জায়িয বলবেন? আসলে মূল কথা হলো- কোনো ব্যক্তি বা দেশকে ততক্ষণ পর্যন্ত অনুসরণ-অনুকরণ করা জায়িয হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি, রাষ্ট্র বা লোক পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের উপর পরিপূর্ণ কায়েম না থাকবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করো এবং উলিল আমর (যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী চলে) উনাদের অনুসরণ করো।” সুতরাং যে ব্যক্তি, দেশ বা অধিকাংশ লোক উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আওতায় পড়বে, তাকে অবশ্যই অনুসরণ ও অনুকরণ করা যাবে। আর যদি এর বিপরীত হয়, তবে তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা যাবে না। এ সম্পর্কে বুঝার জন্য একটি উদাহরণ দিই। যেমন- ‘আওলাদে রসূল’ উনাদের প্রত্যেককে মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম করতে হবে। আর অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে শুধু ঐ সকল আওলাদে রসূলগণ উনাদেরকে যাঁহারা পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াস উনার পরিপূর্ণ অনুসারী। এ প্রসঙ্গেই হযরত ইমাম শাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আওলাদে রসূলগণ উনারা হলেন- পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ন্যায়। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে দু’প্রকার পবিত্র আয়াত শরীফ রয়েছে। ১ম প্রকার পবিত্র আয়াত শরীফ হলো- যা তিলাওয়াত এবং আমল উভয় করতে হয় ও তার যথাযথ মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীমও করতে হয়। ২য় প্রকার পবিত্র আয়াত শরীফ হলো- যা আমল করতে হয় না, যার আমল মানসূখ (রদ) অর্থাৎ মাশরুহ্ (ব্যাখ্যা) হয়েছে। তবে উনার মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও তিলাওয়াত যথাযথ বহাল রয়েছে। অনুরূপ আওলাদে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাকগণ প্রত্যেকেই তা’যীম, তাকরীম ও মুহব্বতের পাত্র। তবে উনাদের মধ্যে যাঁরা ইসলামী শরীয়ত উনার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবেন, উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীমের সাথে সাথে অনুসরণ-অনুকরণও করা যাবে। আর যাদের আমল ইসলামী শরীয়ত উনার খেলাফ, তাদেরকে আওলাদে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক হিসাবে তাযীম, তাকরীম করতে হবে, কিন্তু অনুসরণ-অনুকরণ করা যাবে না। তদ্রƒপ যাঁরা পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের অধিবাসী, উনারা সমষ্টিগতভাবে তা’যীম তাকরীমের পাত্র। যেহেতু উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ঘর সম্মানিত মক্কা শরীফ ও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওজা শরীফ উনার প্রতিবেশী। কিন্তু অনুসরণ শুধু উনাদেরকেই করতে হবে, যাঁরা ইসলামী শরীয়ত উনার অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের উপর পরিপূর্ণ কায়েম থাকবেন। আর যাদের আমল এর বিপরীত, তাদেরকে কখনো অনুসরণ-অনুকরণ করা যাবে না। তবে তাদের মধ্যেও কেউ যদি ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক শাস্তির উপযুক্ত হন, (যেমন হদ, কিসাস) তবে তাদের উপরও সে শাস্তি কার্যকর করাতে হবে। যেমন- কাউয়ূমে আউওয়াল, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাকতুবাত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন, “যখন হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি আসবেন এবং ইসলামী আইনকানুন চালু করবেন, তখন মদীনা শরীফ উনার এক আলেম সে হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনাকে কাফির ফতওয়া দিবেন।” তখন হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম ঐ ব্যক্তিকে কতল করার নির্দেশ দিবেন। মোটকথা হলো পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফবাসী যতক্ষণ পর্যন্ত ইসলামী শরীয়ত উনার উপর কায়িম থাকবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত উনাদের অনুসরণ করা যাবে, আর এর বিপরীত হলে তাকে কখনো অনুসরণ করা যাবে না। অতএব, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের বিপরীত কোনো ব্যক্তি, রাষ্ট্র বা অধিকাংশ লোককে অনুসরণ-অনুকরণ করা সম্পূর্ণই হারাম ও নাজায়িয।
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|