★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
তাবলিগীদের গোমর ফাঁস (সমস্ত পর্ব) - Ja-al-haq Discussions on

তাবলিগীদের গোমর ফাঁস (সমস্ত পর্ব)

edited August 2016 in Ja-al-haq
তাবলীগ জামাতের গোঁমর ফাঁস"(পর্ব ১)
ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানু ক্বুআনফুসীকুম ওয়া আহলীকুম নার।অর্থ : হে মুমীনগণ ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর।(সূরা তাহরীম-৬)

*তিন মসজিদ ছাড়া অন্য কোনমসজিদে সফর করা যাবেনা ।এক,মসজিদে হারাম (মক্কা)।দুই,মসজিদে নববী (মদীনা) এবংতিন,মসজিদে আল আকসা (বায়তুলমুকাদ্দাস)।(বুখারী ও মুসলীম)আসুন মুল আলোচনায় যাওয়া যাক।"প্রচলিত তাবলীগ আবিষ্কার"নবীয়ে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-র যুগে তাবলীগ ছিলো,সাহাবায়েকেরামগণ তাবলীগ করেছেন এবংআউলিয়ায়ে কেরামগণ ও তাবলীগ করেছেন।তবে বর্তমানের তাবলীগিদের মত ছিলনা। তাদেঁর তাবলীগ ছিলো সম্পুর্ণ কুরআন-হাদীস অনুযায়ী ।বর্তমান প্রচলিত যে তাবলীগ অর্থাৎ ইলিয়াছি তাবলীগ, তা সর্ম্পুণ ইসলামী আকিদার বিরোধী।তাবলীগি ভাইয়েরা ছয় উসূলের কথা বলে । তাদের ছয় উসূল হলো-১)কালিমা২)নামায ৩) এলেম ও জিকির৪)ইকরামুল মুসলীমিন ৫)তাসহীহেনিয়ত ৬)নফর ফি সাবিলিল্লাহ(তাবলীগ)।
উসূল আরবী শব্দ ।এর মাদ্দা হল আসল, যার অর্থ হলো আসল। অর্থাৎধর্মের আসল, মুল বা ভিত্তি।উসূলের একটি আরবীপ্রতিশব্দ হলো বুনিয়াদ।য়ার অর্থ ও ভিত্তি ।তাবলীগ ভাইয়েরা বলে আমরা ইসলামের ছয় উসূলের দাওয়াত দেই।আমার কথা হলো আপনারা ছয় উসূল বা ভিত্তি কোথা থেকে আমদানী করলেন?
আল্লাহর নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ,ইসলামের ভিত্তি হলো পাঁচটি।যথা:১)কালিমা ২)নামায ৩)রোযা ৪)যাকাত৫)হজ্জ্ব।আর তাবলীগি ভাইয়েরা ইসলামের উসূল তথা বুনিয়াদ তথা ভিত্তি হতে রোজা,হজ্জ্ব ওযাকাত বাদ দিলেন কোনঅধিকারে ?এটা কি আল্লাহর নবীর সাথে বিরোধীতা নয় ? হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন শেষ নবী,তারপরে আর কোন নবী আসবে না।নবীয়ে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাঁচ উসূল বাদ দিয়ে তাবলীগি ভাইয়েরা ছয় উসূল আবিষ্কার করলো।যার মধ্যে রোযা,হজ্জ্ব ও যাকাতনেই।তাই তারা ইসলামে পাঁচ উসুল বাদ দিয়ে নবীজিকে অস্বীকার করলো।যারা নবীজিকে অস্বীকার করলো তারা মুসলমান নয় কাফের-এইফোতোয়ার ভার পাঠকের উপরছেড়ে ছেড়ে দিলাম।উল্লেখ্য যে,কাফের শব্দের অর্থ হলো সত্য অস্বীকারকারী বা সত্যগোপনকারী ।তাবলীগের ভাইয়েরা বাড়ীতে বাড়ীতেগিয়ে শুধু নামাযের দাওয়াত দেয়,চিল্লাহর দাওয়াত দেয়,তিনদিনের দাওয়াত দেয় ।তাবলীগে দেখেছি,বিশ্ব ইজতিমায় দেখেছি শুধু নামায পড়,নামাযপড়।"বান্দার হক নষ্ট করনা"এমন কথাকেউ জোড় দিয়ে বলে না।ইসলামী তাবলীগের প্রবক্তা হলেন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।ইসলামী তাবলীগ শুরু হয়েছে হেরা গুহা হতে।কিন্তু বর্তমান প্রচলিত যে তাবলীগ আমরা দেখতে পাই।তার উদ্ভাবক ও প্রবক্তাহলেন ভারতের মেওয়াত নামক স্থানের মৌং ইলিয়াছ মেওয়াতী।তার বাবা চিশতীয়াতরিকার অনুসারী ছিলেন।কিছু বর্ণনা মতে ইলিয়াছের পিতা চিশতিয়া তরিকার পীর ছিলেন ।তাই পীরের ছেলে বলে তাকে সবাই সম্মান করতো।পিতার ইন্তেকালের পরে সুযোগ বুঝে নতুন দল তথা তাবলীগ জামাত আরম্ভ করতে থাকে ।কোন লোভে বা কিসের তাড়নায় সে সঠিক পথ বাদ দিয়ে ভ্রান্ত পথের আবিষ্কার করলো? নিশ্চিত ব্রিটিশদের কোনচক্রান্ত আছে ।কেননা ব্রিটিশসরকার টাকা ছিটিয়ে দুশ্চরিত্র মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব-কে দিয়ে ইসলামের মধ্যে ভ্রান্ত একটি দলসৃষ্টি করেছে,যা ওহাবী দল নামে পরিচিত।আর তাবলীগ হলো ওহাবীদের একটা অংশ।কেননা ইলিয়াছ ওহাবী গুরু ঠাকুর রশীদ আহমদগাংগুহীর শিষ্য।ওহাবীরা তাবলীগীদের দিয়ে মুসলমানদের ভেড়ার দলে পরিনত করেছে ।
১৯২৫ইং সালে (বাংলা১৩৪৫)তাবলীগ জামাতের যাত্রা শুরু হয়।ভারতের উত্তর প্রদেশের মেওয়াত অঞ্ছলের মৌং ইলিয়াছ মেওয়াতী এই ভ্রান্ত তাবলীগ আবিষ্কার করে স্বপ্নের মাধ্যমে ।স্বয়ং ইলিয়াছ মেওয়াতী বলেন,"আজকাল খাবমে মুঝপর উলুমে সহীহাকা এলকা হোতা হায়"।অর্থ আজকাল স্বপ্নে আমার উপর ওহী বাঐশ্বী বাণীর আগমণ ঘটেছে।যখন এইস্বপ্নে প্রাপ্ত তাবলীগ নিজ এলাকায় প্রচার শুরু করেছে ,তখন মেওয়াত এলাকার আলেম উলামা ওসাধারন মানুষ প্রত্যাখ্যান করেন।এই এলাকার আলেম উলামাগণ ফতোয়াদিয়েছে ইহা ইসলাম পরিপন্থীএবং ইসলাম বর্হির্ভত কাজ,সে নবী দাবী করছে।উত্তরে ইলিয়াস বলছে যে তোমরা আমার স্বপ্নের কথাটা অন্তত বিশ্বাস করো।"উস তাবলীগকা তরীকা ভি মুঝপর খাবমে মুনকাশিক হুয়া"আর্থাত্ আমার কর্তৃক স্বপ্নযোগে একটি তাবলীগ ধারা উদঘাটিত ও বিকশিত হচ্ছে(মালফুজাত নং৫০) সে জন্যে তিনি বেশী বেশী ঘুমাতে পারেন পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে।(মালফুজাত ৫০নং)পরর্বতীতে ইলিয়াছকে এ এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয় ।এইজন্যে সে তার নিজ এলাকার মানুষ কে মুশরিক হতে অধমবলতেন(মালফুজাত ১৬৩)পরে তিনিঅন্য এলাকায় তার কাজ শুরু করেন ।স্বপ্ন শরিয়াতের কোন দলিল নয়।স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকেও হয়।যেমন ইলিয়াছের ভক্ত মাওঃজাকারিয়া "ফাযায়েলে হজ্জ্ব" এর ১৫৩ পৃষ্টায় উল্লেখ করেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম বা নিষেধ যদি স্বপ্নে দেখা যায় তাহলে সেটাকে কুরআন-হাদীসের সামনে পেশ করতে হবে।যদি তা কুরআন হাদীসের খেলাফ হয় তাহলে বুঝতে হবে যে,স্বপ্নে শয়তানী প্রভাব আছে।যেহতু ৬ উসুলী তাবলীগ কুরআন হাদীস বিরোধী,মাওঃজাকারিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী ইলিয়াছস মেওয়াতীর স্বপ্নে শয়তানী প্রভাব আছে।তাইইলিয়াসী তাবলীগ সম্পূর্ণভাবেমনগড়া মতবাদ,যা নবীজির (দুরুদ)তাবলীগের সাথে বিরোধপুর্ণ।এর আরো প্রমান পাওয়া যায় মাওঃজাকারিয়া কর্তৃক লিখিত'ফাযায়েলে তাবলীগ' কিতাবে।উক্ত কিতাবের ১৫ পৃষ্টায় তিনি উল্লেখ করেন,"দ্বীন ও দ্বীনের বিধানসমুহ উপেক্ষা করিয়া নিজের মনগড়া চিন্তা ধারার মাধ্যমে দ্বীনের উন্নতি কামনা করা হইতেছে"।তাই ইলিয়াসী তাবলীগ মনগড়া।মুলতঃতার ইচ্ছা সেএকটা দল গঠন করবে ।ইলিয়াসেরশিষ্য জহিরুল হাসান লক্ষ করেবলে,আমার একটা নতুন দল তৈরিকরতে হবে ।(সূত্রঃতাবলীগিদর্পণ)।১৯৩৮ সালের ১৪ই মার্চ আরবের তখনকার বাদশার সাথে সাক্ষাতকরে এটি শুরু করে।মুলতঃতাবলীগএকটি নতুন দল।এর ১ম মসজিদ ভারতের দিল্লিতে ২য় মসজিদ পাকিস্তানেএবং তৃতীয়টা হলো বাংলাদের কাকরাইল ।যা তাবলীগদের থাকার হোটেল নামে পরিচিত।এটাতে শুধু কাপড়-চোপড় টানানো এবংমাছের বাজারের মত হৈ হল্লোল। প্রথম পর্ব এখানেই শেষ করছি।


"তাবলীগ জামাতের গোঁমর ফাঁস"
(পর্ব ২)
'তাবলীগ কাদের জন্য'
তাবলীগ অর্থ প্রচার করা বা
দাওয়াত দেওয়া।কিসের দাওয়াত?
দ্বীনের দাওয়াত অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধ।এখন প্রশ্ন হতে পারে
তাবলীগ কি সবাই করতে পারবে ?এর
উত্তর পবিত্র কুরআনেই আছে। তাবলীগ
সকলের জন্যে নয় ।যেমন আল্লাহ পাক
পবিত্র কুরআনে বলেন : তোমাদের
মধ্য একদল এমন হওয়া উচিত যারা
কল্যান বা ইসলামের দিকে
লোকদের আহ্বান করবে,সৎকাজের
নির্দেশ দিবে এবং মন্দ থেকে
নিষেধ করবে ।আর তারাই হচ্ছে
কাবিয়াব বা সফলকাম। ( সূরা আলে
ইমরান-১০৪)এই আয়াতে তোমাদের
মধ্যে একদল লোক এই কয়টি শব্দ দ্বারা
ইহাই পরিষ্কার ভাবে বুঝা যাচ্ছে
যে,দাওয়াত বা তাবলীগের কাজ
সকলের উপর নয় বরং মুসলমানদের মধ্যে
একদল অর্থাৎ আলেম সম্প্রদায়ের উপর
ফরয করা হয়েছে।এই আয়াতের
নির্দেশিত তাবলীগ ইসলামের প্রথম
যুগ হতে অদ্যবধি ওলামায়ে
কেরামগণ ও ওলি আল্লাহগণ এবং
হক্কানী পীর মাশায়েকগণ করে
আসছেন।উক্ত আয়াতের ব্যখ্যায়
"তাফসিরে বায়জাবিতে"বলা
হয়েছে সৎকাজের নির্দেশ দান
করা ও অসৎকাজ হতে নিষেধ করা
কিছু সংখ্যক লোকের উপর ফরয,যাকে
ফরযে কেফায়া বলে।কারন এ কাজ
সম্পাদনের জন্যে যে শর্তাবলী
রয়েছে,যেমন-শরীয়াতের বিধি-
নিষেধ সর্ম্পকে ওয়াকিফহাল
হওয়া,এলমে মারেফত সর্ম্পকে ত্ত্বান
থাকা,আহকাম বা তাৎপর্য এবং
প্রয়োগ ও প্রতিষ্টা বা বাস্তবায়ন
পদ্ধতি সম্বন্ধে অবগত হওয়া ইত্যাদি।
অথচ এ সমস্ত শর্ত সকলের মধ্যে নেই।
আল্লামা আবু আবদিয়াহ মুহাম্মদ বিন
আহমদ আনসারী রহমাতুল্লাহী আলাইহি
তদ্বীয় "কুরতুবী শরীফ"এর জুজে বাবে
১৬২ পৃষ্টায় উপরোক্ত আয়াতের
ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন-নিশ্চয়
উল্লেখিত বিষয়সমুহ কল্যানের
দিকে আহবান,সৎকাজের আদেশ
এবং অসৎকাজের নিষেধ।
উলামায়ে কেরামের উপর ওয়াজিব
কেননা প্রত্যেক লোক আলেম নহে।
কারন নেক কাজের আদেশ এবং অসৎ
কাজের নিষেধ ফরযে কেফায়া।
তাহলে বুঝতে পারলাম যে
,তাবলীগ ফরযে কেফায়া।যেমন-
জানাজার নামায ফরযে কেফায়া।
অর্থাৎকিছু সংখ্যক লোক আদায়
করলে সকলের আদায় হয়ে যায়।
তেমনী ভাবে তাবলীগ ও ফরযে
কেফায়া।কিছু সংখ্যক লোক তথা
ওলামায়ে কেরামগণ ওলি
আল্লাহগণ এবং হক্কানী পীর
মাশায়েকগণ আদায় করলে আদায়
হয়ে যায়।জগত বিখ্যাত কিতাব
তাফসীর জালালাইন শরীফে
উল্লেখ আছে তাবলীগের দ্বীন
সম্পান করা ফরযে কেফায়া ।কিছু
সংখ্যক লোকের উপর ফরয।এ নির্দেশ
সকল উম্মতের প্রতি নয়।কারন প্রত্যেক
ব্যক্তি এ কাজের যোগ্য নয়।
যেমন:জাহিল বা মুর্খ ব্যক্তি।
উপরোক্ত তাফসীর হতে আমরা বুঝতে
পারলাম যে,যারা সৎকাজের
নির্দেশ দান ও অসৎকাজের নিষেধ
করার যোগ্য,কেবল তারাই
তাবলীগের কাজ সম্পন্ন করবে।যারা
কুরআন সুন্নাহার ব্যপারে একেবারে
মূর্খ।ঈমানী ও আমলী মাসয়ালা
সর্ম্পকে অবহিত নয় ,তাদের জন্যে
তাবলীগ করা হারাম।তবে যারা
হক্কানী উলামায়ে কেরামের
সোহবত থেকে ঈমানী ও আমলী
মাসয়ালা সঠিকভাবে শিখতে
পেরেছেন,শুধুমাত্র এ সমস্ত
মাসয়ালা অন্যের নিকট প্রচার
করতে পারবে। অনেকে বলতে
পারেন এতো লক্ষ লক্ষ মানুষ তাবলীগ
করছে,নামায পড়ছে, সুন্নতী লেবাস
পড়ছে তারা কি ভ্রান্ত? জবাবে
বলতে চাই কাদিয়ানীরাও নামায
পড়ে,কালিমা পড়ে,সুন্নতী লেবাস
পড়ে,তাই বলে কি তারা সঠিক?
কাদিয়ানীদের গুরু গোলাম আহমদ
কাদিয়ানী সরাসরী অর্থাৎ প্রত্যক্ষভাবে নবী দাবী করছে তাই কাদিয়ানী বা তার অনুসারীগন ভ্রান্ত যদিও কলিমা পড়ে নামায পড়ে ।
তেমনীভাবে ইলিয়াছ মেওয়াতীও
পরোক্ষভাবে নবী দাবী করছে
বিধায় ইলিয়াছ মেওয়াতী এবং
তার অনুসারীগন তাবলীগ
জামাতীরাও ভ্রান্ত যদিও কালিমা ও
নামায পড়ে।কেননা ইলিয়াছ
মেওয়াতী স্বপ্নে এই তাবলীগ
পেয়েছে এবং নবীজি
সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহে
ওয়াসাল্লাম প্রণিত পাঁচ উসুল বাদ
দিয়ে ছয় উসূল আবিষ্কার করেছে।
তার ৫০নং মালফুজাত খুব
মনোযোগের সহিত পাঠ করলেই সমস্ত
গোঁমর বের হয়ে আসবে। নবীজি
সাল্লাল্লাহু আলাইহে
ওয়াসাল্লামের স্বপ্ন ওহীরুপে গণ্য
হয়,কিন্তু অন্য সব ব্যক্তির স্বপ্ন ওহী
হিসেবে গণ্য হবেনা।কিন্তু ইলিয়াছ
মেওয়াতী তার স্বপ্ন কে নবুওয়াতের
অংশ বানাতে চেয়েছে।(মালফুজাত ৫০নং)বোঝার ইচ্ছে তাকলে
অল্পতেই সমাধান হয়ে যায়।

{ইসলাম বহির্ভূত দল সম্পর্কে নবীজির
ভবিষ্যতবাণী}
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের পর ইসলাম
বহির্ভূত দল আসবে।সে সম্পর্কে
নবীজি আগেই জানতেন।বিভিন্ন
হাদীস শরীফে এ সম্পর্কে প্রমান
পাওয়া যায়।এখানে সেরকম
কয়েকটি হাদীস শরীফ পাঠকের
সামনে তুলে ধরছি।

১।নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে
ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,শেষ
জামানায় এমন এক সম্প্রদায়ের
আবির্ভাব হবে,যারা হবে অল্প বয়স্ক
যবক,নির্বোধ।তারা সৃষ্টির সব
চাইতে শ্রেষ্টতম কথা (কুরআন)থেকে
আবৃত্তি করবে।অথচ ঈমান তাদের
গলদেশ অতিক্রম করবে না।তারা
দ্বীন থেকে এমনভাবে বের হয়ে
যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে
বের হয়ে যায়।(বুখারী শরীফ ১০ম
খণ্ড,৬৪৬১নং হাদীস,সুত্র ইসলামিক
ফাইন্ডেশন)
২।নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে
ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,উম্মতের
মধ্যে থেকে একটি দল বের হবে ।
যাদের নামাযের নামাযের
তুলনায় তোমাদের নামায কে তুচ্ছ
মনে করবে।তারা কুরআন পড়বে বটে
কিন্তু তা তাদের গলদেশ অতিক্রম
করবে না।তারা দ্বীন থেকে বের
হয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ
করে বের হয়ে যায়।(বুখারী শরীফ
১০খণ্ড,৬৪৬২নং হাদীস,ইসলামিক
ফাউণ্ডেশন)

৩।হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহে ওয়াসাল্লাম এরশাদ
করেন,তোমাদের মধ্যে এক সম্প্রদায়
বের হবে যারা তুচ্ছ মনে করবে
তোমাদের নামাযকে তাদের
নামাযের মুকাবিলায় এবং
তোমাদের রোযাসমুহকে তাদের
রোজার মুকাবিলায় এবং
তোমাদের আমলসমূহকে তাদের
আমলসমূহের মুকাবিলায়।তারা কুরআন
পাঠ করবে কিন্তু কুরআন তাদের
গলদেশের নিচে যাবে না।তারা
ধর্ম হতে এমনভাবে বের হয়ে
যাবে,যেমন তীর শিকারকে ভেদ
করে বের হয়ে যায়।(মুয়াত্তা
শরীফ,১ম খণ্ড,২৬৬পৃষ্টা,ইসলামীক
ফাউণ্ডেশন)
৪।নূর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহে ওয়াসাল্লাম
এরশাদ,পূর্বাঞ্চল থেকে একদল
লোকের আবির্ভাব ঘটবে।তারা
কুরআন পাঠ করবে,তবে তাদের এ পাঠ
তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না।
তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বের
হয়ে যাবে,যেভাবে ধনুক থেকে
তীর বেরিয়ে যায়।তারা আর
ফিরে আসবেনা,যে পযর্ন্ত তীর
ধনুকের ছিলায় না আসে।বলা
হল,তাদের আলামত কি? তিনি
বললেন,তাদের আলামত হলো মাথে
মুণ্ডন(মাথা ন্যাড়া করা) বুখারী
শরীফ ১০ম খণ্ড,৭০৫২নং
হাদীস,ইসলামিক ফাউণ্ডেশন)
উল্লেখ্য যে,প্রচলিত তাবলীগ দল
আরবের পূর্বাঞ্চল তথা ভারত হতেই
আবির্ভূত হয়েছে।অধিকাংশ আলেম
উলামদের মতামত হলো-উক্ত হাদীস
খানা বর্তমান তাবলীগ জামাতের
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।কেননা বর্তমান
তাবলীগীদের মধ্যে যুবকদের
সংখ্যা বেশী এবং বেশীরভাগ
তাবলীগ জামাতের লোকেরা
মাথা ন্যাড়া করে রাখে।এটা কে
তারা সুন্নত হিসেবে চালিয়ে
দিতে চায়।উপরোক্ত হাদীসের
আলোকে প্রতীয়মান হয়
যে,ইলিয়াছি তাবলীগ একটা নতুন
ফিতনা।আরবের পূর্ব দিক (ভারত)হতে
এ ফিতনা আবির্ভূত হবে,এ সর্ম্পকে
রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্বেই
ভবিষ্যত বাণী করেছেন।বুখারী
শরীফ থেকে এ সম্পর্কে কয়েকটি
হাদীস শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে।
*আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত,তিনি
বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহে
ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি,তিনি
পূর্ব দিকে ইশারা করে
বলেছেন,সাবধান! ফিতনা এখানেই।
সাবধান!ফিতনা এখানেই।যেখান
হতে শয়তানের শিং উদিত হবে।
(বুখারী শরীফ.৫ম খণ্ড.৩০৪৯ নং
হাদীস,ইসলামিক ফাউণ্ডেশন)
*ইবনে উমর রাদ্বিআল্লাহু তায়ালা
আনহু থেকে বর্ণিত.তিনি
বলেন,আমি নবীয়ে পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কে বলতে
শুনেছি,ফিতনা এদিক থেকে
আসবে।তিনি পূর্ব দিকে ইশা
করলেন।(বুখারী শরীফ,৯ম খণ্ড,৪৯১৪ নং
হাদীস,ইসলামিক ফাউণ্ডেশন)

'তাবলীগ জামাতের কার্যকলাপ'
তাবলীগ জামাতের অধিকাংশ ভাইয়েরা বলে
যে,তিন চিল্লা দিলেই নাকি জান্নাতে যাওয়া
যাবে।অনেকে এ ধারনাও করে তিন চিল্লা
দিলে জান্নাত অবধারিত এবং হজ্বে যেতে না
পারলে বিশ ইজতিমায় গেলেই চলবে
(নাউযুবিল্লাহ)।তিন চিল্লাহ দিলে যাদি
জান্নাতে যাওয়া যায় তাহলে পাপীদেরকে
আরো সুবিধা করে দেওয়া হলো।কারন পাবী
ও অসত্ ব্যক্তি মনে মনে বলবে সারাজীবন
পাপ করে জীবনে তিন টি চিল্লা দিব,তাহলেই
সব পাপ খতম।আমার জানা মতে অনেকেই
তিন চিল্লাহ দিয়েছে কিন্তু চরিত্র এখনও
ঠিক হয়নি,চিল্লাহ দেয়া পর্যন্তই শেষ।
যেদিন চিল্লা শেষ করে বাড়ীতট আসছে
সেদিন হতে উর্দ্ধে সাতদিন নামায পড়ে।তার
পর যা ছিলো তাই হয়েছে।আমার চোখে দেখে
অনেক লোক তিন চিল্লাহ দিয়ে আসছে ।
লম্বা আলখেল্লা পরিধান করে এবং লম্বা
দাড়ি রেখেছে।কিন্তু পনের দিন পর দেখা যায়
মুখে দাড়ি নেই ,ক্লিন সেভ করেছে।নামায
পড়া ছুটে গেছে।সে হয়তো মনে মনে ভাবছে
তিন চিল্লা যখন দিয়েছি তাহলে ত আমি
জান্নাতি।(নাউযুবিল্লাহ)তাবলীগি
রা আরো
একটি ধর্মের নামে অর্ধম করছে।তা হলো
হজ্বে যেতে না পারলে বিশ্ব ইজতিমায়
গেলেই হবে(নাউযুবিল্লাহ)।কোথায় হজ্ব
আর কোথায় ইজতিমা।কোথায় মক্কা-
মদিনা আর কোথায় টংগীর তুরাগ নদীর
পাড়।ইসলামী শরিয়াতে তিনটি স্থানে
সমাবেশ করা নিষেধ।যথাঃ১,নদীর পাড়ে
২,কূপের ধারে এবং ৩,অগ্নী কুণ্ডলীর
নিকটে।কারন এই তিন স্থান বিপতজ্জনক।
যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।টংগীর
তুরাগ নদীর পাড়ে সমাবেশ করা আর গঙ্গা
তীরে জড়ো হওয়া একই কথা।হিন্দুদের যত
শশ্মান ঘাট আছে সবই নদীর তীরে
অবস্থিত।এছাড়া হিন্দুরা গঙ্গা স্নান করার
জন্যে নদীর তীরেই জমা হয়।আর তাবলীগীরা
হয়তো উপরোক্ত বিষয়টি জানে না।যে সব
স্থানে শরিয়ত মতে সমাবেশ নিষেধ,সে সব
স্থানে উপস্থিত হওয়াকে হজ্বের সমতুল্য
বা কাছাকাছি মনে করা সম্পুর্নভাবে ঈমানের
বিপরীত।এরুপ বিশ্বাস করলে তারঁ ঈমান
থাকবে না।ফলে দেখা যায়,বিশ্ব ইজতিমার
দোয়ার ৩০-৪০ লাখ মানুষের
কান্নাকাটিতেও কোন বিজয় আসছে
না,মুসলিম ভূমিতে কোন শান্তিও আসছেনা।
বরং আধিপত্য বাড়ছে কাফের,ফাসেক,মুশ
রিক, মুনাফিকসহ নানারুপ দুর্বৃত্তদের।অথ
চ এ দোয়ার মাহফিলে চমক আনার জন্যেই
তাবলীগ জামাতের মহা আয়োজন।তাদের এ
কাথা জানা দরকার যে,মুসলমানদের উপর
আল্লাহর সাহায্য স্রেফ দোয়ার ডাকে
আসেনা।আসে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর প্রদর্শিত
সিরাতুল মুস্তাকিম সুন্দরভাবে আকঁড়ে
ধরার উপর ভিত্তি করে।তাই হলপ করট
বলা যায়,তাবলীগ জামাতের দলই ভারী হয়েছে
অর্থাত্ লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু
সঠিক ঈমান অন্তরে প্রবেশ করেনি।১৯৬৫
সালে ঢাকায় প্রথম ইজতিমা শুরু হয়।এর
আগে এই ইজতিমা অনুষ্টিত হত কাকরাইল
মসজিদে।পরবর্তীতে টঙ্গীর তুরাগ নদীর
পূর্ব তীরে এ ইজতিমার সমাবেশ অনুষ্টিত
হতে থাকে।ইসলামী শরীয়াতে নিম্মোক্ত
স্থানে ইজতিমার অনুমতি রয়ছে।যথাঃ-
১.আরাফাত ময়দানে হজ্বের মৌসুমে
হাজীগণের সমাবেশ শরিয়ত সম্মত।হযরত
নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম
এখানে হজ্ব মৌসুমে বিদায় হজ্বের ভাষন
প্রদান করেছেন।সে জন্য বিশ্ব মুসলিমের
তথায় সমাবেশ ঘটানো চিরকালের জন্য
অবধারিত হয়ে যায়।এর সাথে কোন
ইজতিমার তুলনাও করা যাবে না।এ
ইজতিমায় অবিশ্বাসী নিশ্চিত কাফের।
২.জুমার দিন সুনির্দিষ্ট সময়ে বিশ্ব
মুসলিমের মসজিদের ইজতিমা শরিয়ত
অনুমোদিত।এ ইজতিমার কথা কুরআন ও
সুন্নাহর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে।
৩.ওলীমা,খাতনা,বিবাহ,শাদী, জানাজার
ইজতিমার ক্ষেত্রেও সময় বিশেষ ইহা
ফরয,সুন্নত,ওয়াজিব ও মোস্তাহাব ।
ইসলামী শরীয়াতে এ সব স্থানে একত্রিত
হওয়ার অনুমতি আছে।
৪.জিহাদ বা যুদ্ধের ডাক পড়লে তখন নর-
নারী সকলের জন্য যথাযোগ্য স্থান-কাল
ব্যক্তি বিশেষ কোন এক স্থান একত্রিত
হওয়া ফরজ,সুন্নাত,ওয়াজিব ও
মোস্তাহাব।এ ছাড়া দুনিয়ার যে কোন
স্থানে সমাবেশ ঘটানো শরিয়ত সম্মত
নয়,বরং অবৈধ।বর্তমান যুগে ঢাকার টঙ্গীর
তুরাগ তীরে যে জামাত হচ্ছে সেই জামাতে
ইসলামী শরীয়তের অনুমোমদিত নয় ।যদি
কেউ ঐ তাবলীগ জামাত তথা ইজতিমাকে
ফরজ মনে করে সেখানে উপস্থিত হয়,তবে
তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।আর যদি কেউ
তামাশা দেখার জন্য সেখানে যায়,তাহলে এতে
সওয়াবও হবেনা এবং গুনাহও হবে না।আর
যদি কেউ টঙ্গীর ইজতিমায় না গেলে দোয়া
কবুল হবে না বলে বিশ্বাস পোষন
করে,তাহলে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে
যাবে।(সুত্রঃসুন্নী পরিচয় ও তাবলীগ
পরিচয়)তাবলীগিরা বিশ্বাস করে বিশ্ব
ইজতিমা হজ্বের সমতুল্য বা হজ্বের পরে
বিশ্ব ইজতেমার স্থান।তাই নিজে দেখেছি
অনেক তাবলীগীরা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও
হজ্বে যায় না।তারা সুযোগ পেলেই চিল্লাহ
দিতে চলে যায়।নবীজির তাবলীগের মূল
লক্ষ্য ছিল কাফের-মুশরেক।আর বর্তমান
তাবলীগের মূল লক্ষ্য মুসলমানদেরকে
তাদের আক্বিদায় বানানো।বিষয় টা লক্ষ্য
করুন।তা হলো তাবলীগীরা কোন হিন্দু-
খ্রীষ্টান ও অন্যান্য ধর্মের লোকেদের
কোনদিন ও দাওয়াত দেয় না ।আলেম উলামা
এমনকি তাবলীগীরা বয়ানে বলে থাকে মসজিদ
পবিত্রতা রক্ষা করুন।অথচ তারা
তাবলীগের নামে মসজিদে অবস্থান করে
মসজিদের পবিত্রতা নিজেরাই নষ্ট করে।
তাবলীগিরা মসজিদ কে থাকার হোটেলে
পরিণত করেছে।ঢাকার কাকরাইল মসজিদে
গেলে মনে হয় এটি মসজিদ তথা মানুষের
ইবাদতের স্থান না।মনে হয় সরাইখানা বা
আবাসিক হোটেল ।এভাবে তাবলীগিরা
মসজিদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে।ইসলামী
শরিয়াতের দৃষ্টিতে মসজিদকে আবাসিক ঘর
রুপে ব্যবহার করা অবৈধ ও সম্পুর্ন হারাম।
নবীজি কালিমার দাওয়াত দিয়েছেন।আর
তাবলীগিরা দাওয়াত দেয় নামাযের এবং
চিল্লাহর।তাদের কাছে একটি কিতাব আছে
নাম 'ফাযায়েলে আমল'যার পূর্ব নাম ছিলো
'তাবলীগি নিছাব'।এক স্থানে যদি বোখারী
শরীফ,মুসলীম শরীফ,তিরমিজী শরীফ ও
ফাযায়েলে আমল রাখা হয় তাহলে আমার মনে
হয় তাবলীগীরা হাদীস শরীফ বাদ দিয়ে
ফাযায়েলে আমল ই হাতে নিবে,তাতে কোন
সন্দেহ নেই।ফাজায়েলে আমল তাদের বুকে
করে চলা ফেরা করতে দেখা যায়।অথচ
কোরআন শরীফ নিয়ে তাদের ঘুরতে খুব কম
ই দেখা যায়।
image
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|