★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
৭৩ টি ফিরকা ১টি হক পথে - Ja-al-haq Discussions on

৭৩ টি ফিরকা ১টি হক পথে

edited March 2018 in Ja-al-haq
৭৩টি ফিরকা ১টি হক পথে

নাহমাদুহু অয়ানু সাল্লি আলা  রাসুলিহিল কারীম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আলহামদুলিল্লাহ, যেখানে সত্যবাদিরা ভ্রান্ত পথ থেকে মানুষকে মুক্ত করেছে ওপর দিকে সত্য পথ আমাদের দেখিয়েছেন,সেই

বুজুর্গদের ফায়েজ ও অসিলা নিয়ে তাদের পথে আমল করে www.yanabi.in সাইট এ সত্যের পথ দেখাতে থাকবো ইনশাল্লাহ । হকের পথ মানে সিরাতুল মুস্তাকীম –এর পথ কি? তা জানানো হবে ইনশাল্লাহ ।

(হাদিস পাক মাফহুম)

রাসুলাল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বহু পরিচিত হাদিস পাক আছে যেখানে সরকার (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবা (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) কে বলেন যেঃ

“আমার উম্মতের মধ্যে ৭৩ টি ফিরকা(দল) হবে!৭২ টি জাহান্নাম যাবে! কেবল মাত্র ১টি জান্নাত যাবে!”

তখন সাহাবা (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) বললেনঃ

“ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), ওই জান্নাতি ফিরকা কোনটি তার পরিচয় কি?”

হুজুর (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বল্লেনঃ

“যেটাতে আমি ও আমার সাহাবা আছে ।“ (সুবহানআল্লাহ)

হুজুর (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) –এর এই পবিত্র উত্তর লক্ষ্য করার বিষয় ।কেউ যদি এই হাদিস পাকটি মুহাব্বাত আর সত্য  দিলে বুঝে নেই ,তাহলে সে হক (সত্য) ও বাতিল (ভ্রান্ত) –এর  পরিচয় পেয়ে যাবে ইনশাল্লাহ ।
যখন সাহাবা (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) প্রশ্ন করলো তখন হুজুর (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এটা বলে দেওয়া যথেষ্ট ছিল যে আমার পথে চললে সে জান্নাতি, কিন্তুএখানে বলেছেন, যেটাতে আমি আর আমার সাহাবা আছে ।

এই থেকে পরিষ্কার হয় যে হুযুর (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজের সত্য ধর্মের পরিচয়ের জন্য নিজের সত্য গুলামদের কে চিহ্নিত করেছেন ।

সমস্ত দুনিয়ার মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন যে আমার পর্দা নেওয়ার পর শিক্ষা নিতে হলে আমার সাহাবা  (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)এর কাছ থেকে শিক্ষা নেবে, আর সেই পথভ্রষ্ট যারা তাদের বিরোধী ।

এই থেকে বোঝা গেলো যে , আল্লাহ তাআলা ও তাঁর প্রিয় হাবীব প্রত্যেক শতাব্দী তে হক পথ দেখাতে নিজের সত্যবাদী গুলামদের পাঠাবেন ।

যখন হুজুর (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের চোখ থেকে পর্দা নিয়ে নিলেন তখন জান্নাতি দলের পরিচয় হল সাহাবা  (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)

এমন ১টি সময় এসেছিল কলমা পড়া লোকেরা জাকাত আদায় করতো না । তখন হকের পরিচয়  হল আবু বাক্কার সিদ্দিক,ফারুকে আজাম, উসমান-এ-জুন্নুরায়েন, মউলা  আলি (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) ।

শুধু এই নয় যখন কারবালার ঘটনা ঘটলো ইয়াজিদ ও নাবির কলমা পড়তো,বাস্তবে তারই রাজত্ব  ছিল, তার দিকে মানুষ বেশী ছিল , কিন্তু হক পথের পরিচয় হয়েছিল হুসেন-এ-আযাম আর তাঁর ৭২জন শহীদ ।

যখন সাহাবা ইকরাম দুনিয়া থেকে পর্দা নিল তখন হকের পরিচয় হল তাবাইন (মানে যারা সাহাবাদের কাছ থেকে ধর্ম শিখেছেন)।

এই ভাবে একসময় হক(সত্য ধর্ম)-এর পরিচয় হন গউস-এ-আযাম, কখনও সরকার গরীব নওয়াজ, কখনও সরকার মুজ্জাদিদে আলফ-এ-শানি ।
১৪শ শতকে ভারতে কিছু বেয়াদব ফিরকা রাসুলে-এ-আযাম, তামাম নবিদের সরদার মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শানে বেয়াদবি করতে শুরু করে ।আর মানুষকে পথভ্রষ্ট করা শুরু করে ।তারা বলে, নামাজে নবির স্মরণ আসা জিনার স্মরণ আসার থেকেও খারাপ (মাজাল্লাহ),

আরও বলেন নবি মরে মাটির সাথে মিশে গেছে , নবি ইল্ম গায়েব জানেননা, শুধু আল্লাহর সম্মান করো রাসুলাল্লাহ(সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সম্মান করার প্রয়োজন নেই (মাজাল্লাহ)।

কিন্তু সত্য বিষয় হল  সাহাবাদের এই আমল ছিল  নামাজের মধ্যে থাকার সময় রাসুল (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ডাক দিলে নামাজ ছেরে হুজুরের কাছে হাজির হতো, তারপর যেখান থেকে নামাজ পড়েছে তারপরের রাকাত থেকে পড়তো । আর তাদের এমন হুকুম নিজে আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন কুরআন সরিফ-এ  । আবার হাদিস পাকে আছে হুজুর (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ

“আল্লাহ তাআলা মাটির উপর নবিদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন, আল্লাহর নবি বেঁচে আছে আর রিযিক দেওয়া হয় । “

সুতরাং এই বেআদবরা কলমা পরে কিন্তু কাফির,এরা  দেওবান্দি/ওয়াহাবি আহলে হাদিস নামে বর্তমানে পরিচিত ।

আর এদের মুখোশ খুলে দিতে কোরআন হাদিসের আলকে আল্লাহ তাআলা মৌলানা আহামাদ রাযা খান কে দুনিয়াতে পাঠান ।

আল্লাহর নবি, আহলে-বায়াত , সাহাবা কিরাম , আল্লাহর  ওলি দের বেয়াদব দের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন মৌলানা আহামাদ রাযা খান

রসুলাল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাক দরবারে বলেনঃ

“ তু জিন্দা হে বাল্লাহ তু জিন্দা হে বাল্লাহ,

তু জিন্দা হে বাল্লাহ তু জিন্দা হে বাল্লাহ,

মেরি চাস্মে আলাম সে ছুপ জানে বালে ।“

বাংলাঃ “ তুমি বেঁচে আছো তুমি বেঁচে আছো,

তুমি বেঁচে আছো তুমি বেঁচে আছো,

আমার চোখের জগত থেকে লুকিয়ে গিয়েছ । “

আরও বলেনঃ

“ইয়া রাসুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম),

আর কি গুপ্ত থাকবে তোমার কাছে,

যখন খুদা নিজেই গুপ্ত থাকেনি । “

এইভাবে আমাদের মত কোটি কোটি মুসলমানের ইমান বাঁচিয়েছে । তাঁর এই ইসলামের খিদমতের জন্য , আরব-অ-আযাম মানে দুনিয়ার সমস্ত উলমা-এ-কিরাম আপনাকে ১৪শ শতকের মুজাদ্দিদ আক্ষা দেন এবং ‘ আলাহজরত’ পবিত্র নামে  আক্ষায়িত করেন ।

এরা সেই সময়কার আলীম যখন ১২০০ বছর হারামাইন শারিফে সুন্নিদের রাজত্ব ছিল , বর্তমানে  নাজদি/ওয়াহাবি/ দেওবান্দিদের বেআদবদের রাজত্ব যা জোরজবরদস্তি করে কেরে নেওয়া হয়েছে তা ২০০বছর হল ।

তখনকার আলীমরা বলে যখন আরবে ভারত থেকে কেউ আসতো তখন তাদেরকে আহামাদ রাযা সমন্ধে জিজ্ঞাস করলে ,তারা যদি তাঁকে ভালো বলতো তখন বুঝতাম সে ইমানদার সুন্নি, আর তাঁকে খারাপ বললে বুঝতাম সে বেআদব বেদাতি ।

সেই সময় থেকে সত্য ধর্ম ইসলাম ধর্মের পরিচয় দুনিয়াতে আহামাদ রাযা হল, এই থেকে উলামা-এ-আরব-আযাম ইমান বালাদের পরিচয় হিসাবে মাসলাকে আলাহজরত করলো ।

বর্তমানেও ভারতবর্ষে এই ধরনের বেআদব ও ইমানবালা রয়েছে আমাদের বঙ্গদেশেও এই রকম রয়েছে , তাহলে তাদেরকে চিনতে হবে উলামা-এ-আরব-আযামদের মতো করে । তাহলে সঠিক টি বোঝা যাবে ইনশাল্লাহ ।

আমাদের বঙ্গদেশে দেওবান্দি/ওয়াহাবি/আহলে হাদিস বেআদবদের পরিমাণ কম নয়, তবে তাদের পরিমাণ বেশী দেখে আমাদের চুপ থাকলে চলবে না । তারা যদি আল্লাহর নবি,সাহাবা, ওলি,নবির বংশধর দের বিরুদ্ধে বেআদবি কথা বলে তাহলে তাদের প্রতিবাদ করাই হবে ইমানদারের লক্ষণ ।

বঙ্গদেশেও রয়েছে ইমানদার খাঁটি সুন্নি নবি আর ওলিদের প্রেমিক ।

“দ্বীন ইসলাম জিন্দাবাদ, আহলে সুন্নাতুল জামাত জিন্দাবাদ,মাসলাক-এ-আলাহজরত জিন্দাবাদ “

আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক মুসলমান হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন সুম্মামীন।

ওয়া আখিরুদাওয়ানা আনিল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন ।
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|