* মীকাত কাকে বলে? ভারত,ও বাংলাদেশের হাজীদের ইহরাম বাঁধতে হয় কোথা হতে? দেখুন
![](http://www.yanabi.in/uploads/editor/cf/sn135ijbrrlz.jpg)
যে স্থান থেকে হজ্বের জন্য ইহরাম বাঁধতে হয় সে স্থানকে মীকাত বলে।ভারত ও বাংলাদেশের হাজী সাহেবরা যেহেতু ইয়েমেন হয়ে হজ্ব করতে যায় সেহেতু ইয়েমেনবাসীর যে মীকাত “ইয়ালামলাম”ভারত ও বাংলাদেশীদেরও সেই একই মীকাত। আর যদি ভারত ও বাংলাদেশী হাজী সাহেবরা মদীনা শরীফ হয়ে যায় তাহলে মদীনা শরীফ বাসীদের যে মীকাত “যুলহুলাইফা” সেখান থেকে তাদেরকে ইহ্রাম বাঁধতে হবে।
এছাড়াও যদি ইরাক হয়ে যায় তাহলে ইরাকবাসীদের যে মীকাত “যাতে ইরাক” সেখান থেকে ইহ্রাম বাঁধতে হবে। আর যদি সিরিয়া হয়ে যায় তাহলে “জুহ্ফা” থেকে ইহ্রাম বাঁধতে হবে যা সিরিয়াবাসীদের মীকাত। আর যদি নজদ হয়ে যায় তাহলে “করণ” হতে ইহ্রাম বাঁধতে হবে যা নজদবাসীদের মীকাত।
এছাড়াও আরো মীকাত রয়েছে। যারা মীকাতের ভিতরের অধিবাসী তাদের মীকাত হলো “হিল”। মীকাত ও হেরেম শরীফের মধ্যবর্তী স্থানকে হিল বলে। মক্কাবাসীদের হজ্বের জন্য মীকাত হলো- “হেরেম শরীফ।” আর ওমরার জন্য মীকাত হলো- “হিল।”
*** হজ্ব পালনের ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলার আমলের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
হ্যাঁ, পুরুষ ও মহিলার আমলের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তন্মধ্যে জরুরী কিছু পার্থক্য বর্ণনা করা হলো।
(১) হজ্বে পুরুষেরা মাথা খোলা রাখবে মহিলারা মাথা ঢেকে রাখবে।
(২) পুরুষেরা তালবিয়া পাঠ করবে উচ্চস্বরে আর মহিলারা তালবিয়া পাঠ করবে নিম্নস্বরে।
(৩) পুরুষেরা তাওয়াফের সময় রমল করবে মহিলারা রমল করবেনা।
(৪) ইজতেবা পুরুষেরা করবে মহিলাদের করতে হয়না।
(৫) সাঈ করার সময় পুরুষেরা মাইলাইনে আখজারাইনের মধ্যস্থানে দৌড়াবে মহিলারা দৌড়াবেনা।
(৬) পুরুষেরা মাথা কামাবে মহিলারা শুধু মাথার চুল এক অঙ্গুলি বা এক ইঞ্চি পরিমাণ ছাটবে।
(৭) বিদেশী পুরুষ হাজী সাহেবদের জন্য তাওয়াফে বিদা করা ওয়াজিব। বিদেশী মহিলা হাজীদের জন্যও ওয়াজিব। তবে প্রাকৃতিক কারণে মহিলারা অসুস্থ হয়ে পড়লে এ ওয়াজিব তাদের জন্য সাকেত হয়ে যায়।
(৮) পুরুষদের জন্য সেলাই করা নিষিদ্ধ মহিলারা সেলাই করা কাপড় পরিধান করতে পারবে।
*** মহিলারা হজ্বে সেলাইযুক্ত কাপড় পড়তে এবং মাথা ঢেকে রাখতে পারে পুরুষেরাও যদি তাদের অনুরূপ করে তাহলে কি হুকুম হবে?
পুরুষ যদি সেলাইযুক্ত কাপড় পরিধান করা অবস্থায় অথবা মাথা ঢেকে রাখা অবস্থায় পূর্ণ একদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত করে তাহলে তাদের উপর দম দেয়া ওয়াজিব। আর একদিনের কম সময় যদি হয় তাহলে সদকা দেয়া ওয়াজিব। (দলীলঃ ফতহুল বারী, ওমদাদুল ক্বারী, শরহে নববী, বযলুল মাযহুদ, কুদরী, হেদায়া, নেহায়া, শরহে বেকায়া, আইনুল হেদায়া, ফতহুল ক্বাদীর, বাহরুর রায়েক)
Comments