★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
নামাজের সুন্নাত তরিকা দলিল ভিত্তিক আলোচনা - Ibadat amal Discussions on

নামাজের সুন্নাত তরিকা দলিল ভিত্তিক আলোচনা

edited October 2016 in Ibadat amal
তাকবীরে তাহরিমার সময় সোজা
হয়ে দাঁড়ানো।
আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন ,,
ﻗﻮﻣﻮﺍ ﻟﻠﻪ ﻗﺎﻧﺘﻴﻦ . ‏( ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ - ২৩৮)
“তোমরা আল্লাহর সামনে বিনয়াবনত
হয়ে দাঁড়াও”।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে ,,,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﻤﻴﺪ ﺍﻟﺴﺎﻋﺪﻱ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺘﻪ ﻭﻫﻮ ﻓﻲ ﻋﺸﺮﺓ
ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺃﺣﺪﻫﻢ ﺃﺑﻮ
ﻗﺘﺎﺩﺓ ﺑﻦ ﺭﺑﻌﻲ ﻳﻘﻮﻝ ﺃﻧﺎ ﺃﻋﻠﻤﻜﻢ ﺑﺼﻼﺓ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ……. ﻓﻘﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﻗﺎﻡ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺍﻋﺘﺪﻝ ﻗﺎﺋﻤﺎ
‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৩০৪)
হযরত আবু হুমাইদ সায়েদী
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
নামাযে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন।
উভয় পায়ের আঙ্গুলসমূহ কিবলামুখী
রাখা এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল
পরিমাণ ফাঁকা রাখা।
মা‘আরেফুস সুনান গ্রন্থে রয়েছে ,,,,
ﻓﺎﻟﺴﻨﺔ ﺃﻥ ﻻﻳﻔﺮﺝ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ ﺑﻴﻦ ﻗﺪﻣﻴﻪ ﺟﺪﺍ ﻭﻻﻳﺼﻞ
ﺟﺪﺍ ﺑﻞ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺘﻔﺮﻳﺞ ﻭﺍﻟﻮﺻﻞ ﻓﺎﺫﺍﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺍﻟﺘﻔﺮﻳﺞ
ﻛﺜﻴﺮﺍ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺍﻟﺰﺍﻕ ﻛﻌﺐ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ ﺑﻜﻌﺐ ﺁﺧﺮ ‏( ﻣﻌﺎﺭﻑ
ﺍﻟﺴﻨﻦ، ﺑﺎﺏ ﻣﺎﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻗﺎﻣﺔ ﺍﻟﺼﻔﻮﻑ : ২/২৯৯)
ﻣﻜﺘﺒﺔ ﺃﺷﺮﻓﻴﺔ .
অর্থাৎ সুন্নাত হলো নামাযী উভয়
পায়ের মাঝে বেশী ফাঁকা না রাখা।
আবার বেশি মিলিয়েও না রাখা; বরং
ফাঁকা এবং মিলানোর মাঝামাঝি
রাখবে। সুতরাং বেশি ফাঁকা না হলে
একের পা অপরের টাখনুর সাথে
মিলবেনা।
আল্লামা শামী রাহিমাহুল্লাহ বলেন ,,
ﻭﻳﻨﺒﻐﻲ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ ﻣﻘﺪﺍﺭ ﺍﺭﺑﻊ ﺍﺻﺎﺑﻊ ﺍﻟﻴﺪ ﻻﻧﻪ
ﺃﻗﺮﺏ ﺍﻟﻲ ﺍﻟﺨﺸﻮﻉ ﻫﻜﺬﺍ ﺭﻭﻱ ﻋﻦ ﺍﺑﻲ ﻧﺼﺮ ﺍﻟﺪﺑﻮﺳﻲ
ﺍﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻔﻌﻠﻪ . ‏( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ : ২/১৩১) ﺯﻛﺮﻳﺎﺑﻜﺪﻓﻮ .
অর্থাৎ উভয় পায়ের মাঝে হাতের চার
আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁকা রাখা উচিত।
কেননা এটা বিনয়ী হওয়ার অতি
নিকটবর্তী। আবু নছর দাবুসী
রাহিমাহুল্লাহ এ রকম করতেন।
✔️ তাকবীরে তাহরিমাকালীন
সুন্নাত,,,
তাকবীরে তাহরিমার সময় হাত কান
পর্যন্ত এভাবে উঠাবে যে, হাতের তালু
ও আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী থাকে এবং
বৃদ্ধাঙ্গুল কানের লতি বরাবর থাকে।
মালেক বিন হুয়াইরিস রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত ,,,
ﻋﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺑﻦ ﺍﻟﺤﻮﻳﺮﺙ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ - ﻛﺎﻥ ﺇﺫﺍ ﻛﺒﺮ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﺣﺘﻰ ﻳﺤﺎﺫﻯ ﺑﻬﻤﺎ
ﺃﺫﻧﻴﻪ …. ‏( ﻣﺴﻠﻢ : ১/১৬৮- ﺭﻗﻢ ৮৯১:) ( ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ ﺍﺑﻲ
ﺷﻴﺒﺔ : ২/৪০৬) ( ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ : ১/১০৫)
তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর দেয়ার
সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠাতেন।
হাতের তালু কিবলামূখী করে আঙ্গুলগুলো
স্বাভাবিক খোলা রাখা
মা‘আরেফুস সুনান গ্রন্থে রয়েছে ,,,,
ﺫﻛﺮ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﺍﻟﻄﺤﺎﻭﻱ : ﺍﻥ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻓﻲ ﺭﻓﻊ ﺍﻟﻴﺪﻳﻦ
ﻟﻠﺘﻜﺒﻴﺮ ﺃﻥ ﻳﻤﺪ ﺃﺻﺎﺑﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﻭﻳﺴﺘﻘﺒﻞ ﺑﻬﺎ ﻣﻊ ﺍﻟﻜﻒ
ﺍﻟﻘﺒﻠﺔ ﻭﻻﻳﻀﻢ ﺍﻻﺻﺎﺑﻊ ﻛﻞ ﺍﻟﻀﻢ ﻭﻻﻳﻔﺮﺝ ﻛﻞ
ﺍﻟﺘﻔﺮﻳﺞ . ‏( ﻣﻌﺎﺭﻑ ﺍﻟﺴﻨﻦ : ২/৩৪৩)
ইমাম তহাবী রাহিমাহুল্লাহ উল্লেখ
করেছেন, তাকবীরে তাহরিমার সময় উভয়
হাতের আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক খোলা
রাখা এবং হাতের তালু কিবলামুখী
রাখা সুন্নাত।
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
সূত্রে বর্ণিত ,,,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ : ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﻛﺒﺮ ﻧﺸﺮ ﺃﺻﺎﺑﻌﻪ ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﻋﻴﺴﻰ ﺣﺪﻳﺚ
ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ‏[ ﺣﺴﻦ ‏] ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৫৬- ﺭﻗﻢ
ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ২৩৯)
তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর দেয়ার
সময় হাতের আঙ্গুলগুলো বিস্তৃত রাখতেন।
উক্ত হাদীসে ﻧﺸﺮ ﺃﺻﺎﺑﻌﻪ শব্দের ব্যাখ্যায়
আল্লামা যফর আহমাদ উসমানী
রাহিমাহুল্লাহ বলেন ,,
ﺃﻥ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺸﺮ ﺃﻥ ﻳﻨﺸﺮﻫﺎ ﻏﻴﺮ ﻣﻜﻠﻒ ﻓﻲ ﺿﻤﻬﺎ
ﻭﺗﻔﺮﻳﺠﻬﺎ . ‏( ﺍﻋﻼﺀ ﺍﻟﺴﻨﻦ : ২/৬৭১ . ﻣﻜﺘﺒﺔ ﺩﺍﺭ ﺍﻟﻔﻜﺮ )
হাদীসে“ ﻧﺸﺮ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো
হাতের আঙ্গুলগুলো বেশী খোলাও না
রাখা আবার বেশী মিলিয়েও না
রাখা; বরং স্বাভাবিক রাখা।
✔️ হাত বাঁধার নিয়ম,,,
হাত বাঁধার সময় ডান হাতের তালু বাম
হাতের পিঠের উপর রাখা এবং ডান
হাতের বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠা আঙ্গুল দ্বারা
বাম হাতের কব্জি ধরা। অবশিষ্ট তিন
আঙ্গুল বাম হাতের উপর স্বাভাবিক
রেখে দেওয়া।
হযরত সাহল বিন সা‘দ রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহু হতে বর্ণিত ,,,,
ﻋﻦ ﺳﻬﻞ ﺑﻦ ﺳﻌﺪ ﻗﺎﻝ : ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﺆﻣﺮﻭﻥ ﺃﻥ ﻳﻀﻊ
ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺍﻟﻴﺪ ﺍﻟﻴﻤﻨﻰ ﻋﻠﻰ ﺫﺭﺍﻋﻪ ﺍﻟﻴﺴﺮﻯ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ
‏( ﺑﺨﺎﺭﻱ : ১/১০২- ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৭০৭)
তিনি বলেন, মানুষকে এ আদেশ দেওয়া
হয়েছে, তারা যেন নামাযে ডান হাত
বাম হাতের উপর রাখে। উক্ত হাদীসের
ব্যাখ্যায় আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী
রাহিমাহুল্লাহ হাত বাঁধার পদ্ধতি
এভাবে বর্ণনা করেছেন ,,,
ﻭﻳﺄﺧﺬ ﺭﺳﻐﻬﺎ ﺑﺎﻟﺨﻨﺼﺮ ﻭﺍﻻﺑﻬﺎﻡ ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ . ‏( ﻋﻤﺪﺓ
ﺍﻟﻘﺎﺭﻱ : ৪/৩৮৭ ) ﺯﻛﺮﻳﺎ ﺑﻜﺪﻓﻮ .
অর্থাৎ ডান হাতের কনিষ্ঠা ও
বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা বাম হাতের কব্জি
ধরাটাই গ্রহণযোগ্য আমল।
হযরত ওয়ায়েল বিন হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত ,,,,
ﻋﻦ ﻭﺍﺋﻞ ﺑﻦ ﺣﺠﺮ ، ﻗﺎﻝ : ﺭﺃﻳﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺣﻴﻦ ﻛﺒﺮ ﺃﺧﺬ ﺷﻤﺎﻟﻪ ﺑﻴﻤﻴﻨﻪ . ‏( ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ
ﺃﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ : ২/৬৭৯ - ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : .৩৯৫৬ ﻛﺬﺍﻱ ﻓﻲ
ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৫৯)
তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাকবীরে
তাহরিমার সময় ডান হাত দ্বারা বাম
হাতকে ধরতে দেখেছি। (ইমাম
তিরমিযী উক্ত হাদীসকে হাসান সহিহ বলেছেন)

√️ নাভীর নিচে হাত বাঁধা,,,
হযরত আলকামা বিন ওয়ায়েল বিন হুজর
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার পিতার সূত্রে
বর্ণনা করেন ,,,
ﻋﻦ ﻋﻠﻘﻤﺔ ﺑﻦ ﻭﺍﺋﻞ ﺑﻦ ﺣﺠﺮ ، ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ، ﻗﺎﻝ : ﺭﺃﻳﺖ
ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺿﻊ ﻳﻤﻴﻨﻪ ﻋﻠﻰ ﺷﻤﺎﻟﻪ
ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺗﺤﺖ ﺍﻟﺴﺮﺓ . ‏( ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ :
৩/৩২০ - ﺭﻗﻢ : ৩৯৫৯)
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কে নামাযে ডান হাত
বাম হাতের উপর রেখে নাভির নিচে
রাখতে দেখেছি। (মুসান্নাফে ইবনে
আবি শাইবা-৩/৩২০) উক্ত হাদীসের সনদ
সহীহ। আসারুস সুনান:পৃ: ৯০।
হাফেজ কাসেম বিন কুতলুবুগা
রাহিমাহুল্লাহ ও তিরমিযী শরীফের
ভাষ্যকার আবু তাইয়্যেব সিন্ধি
রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মজবুত ও
শক্তিশালী বলেছেন। উক্ত হাদীসের
সনদে কোন দুর্বল বর্ণনাকারী নেই।
ই‘লাউস সুনান: ২/৬৮৭, দারুল ফিকির।
আসারুস সুনান: পৃ: ৯০।
হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে
,,,বর্ণিত
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ‏( ﺭﺽ ‏) ﻗﺎﻝ ﺛﻼﺙ ﻣﻦ ﺍﺧﻼﻕ ﺍﻟﻨﺒﻮﺓ ….ﻭﻭﺿﻊ
ﺍﻟﻴﺪ ﺍﻟﻴﻤﻨﻲ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻴﺴﺮﻱ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺗﺤﺖ ﺍﻟﺴﺮﺓ .
‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﺣﺰﻡ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺤﻠﻲ ﺗﻌﻠﻴﻘﺎ )
তিনি বলেন, তিনটি বিষয় নবীদের
স্বভাব। ….. এবং ডান হাত বাম হাতের
উপর রেখে নাভীর নিচে রাখা।
হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন ,,,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﺟُﺤَﻴْﻔَﺔَ ﺃَﻥَّ ﻋَﻠِﻴًّﺎ – ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ – ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﺴُّﻨَّﺔُ
ﻭَﺿْﻊُ ﺍﻟْﻜَﻒِّ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻜَﻒِّ ﻓِﻰ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺗَﺤْﺖَ ﺍﻟﺴُّﺮَّﺓِ .‏( ﺳﻨﻦ
ﺍﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺪﻳﺚ : ৭৫৬ ﻓﻲ ﻧﺴﺨﺔ ﺍﺑﻦ ﺍﻟﻌﺮﺑﻲ،
ﻭﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ ﺍﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ ৩৯৬৬:)
ﻭﻓﻴﻪ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﺍﺳﺤﺎﻕ ﺍﻟﻮﺍﺳﻄﻲ ﻫﻮ ﺿﻌﻴﻒ
ﻭﻟﻜﻦ ﻳﺸﻬﺪ ﻟﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺍﻟﺴﺎﺑﻖ .
নামাযে হাতের তালুকে অপর হাতের
পিঠের উপর রেখে নাভির নিচে বাঁধা
সুন্নাত।
এ হাদীসের বর্ণনাকারীদের মধ্যে
‘আব্দুর বিন ইসহাক আল-ওয়াসেতী’ দুর্বল
হলেও পূর্বোক্ত হাদীস তার সমর্থনে
হওয়ায় তার বর্ণনা গ্রহণযোগ্য।
হযরত ইবরাহিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন ,,
ﻋﻦ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ، ﻗﺎﻝ : ﻳﻀﻊ ﻳﻤﻴﻨﻪ ﻋﻠﻰ ﺷﻤﺎﻟﻪ ﻓﻲ
ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺗﺤﺖ ﺍﻟﺴﺮﺓ . ‏( ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ ﺍﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ ﺭﻗﻢ
ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৩৯৬০)
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
সূত্রে বর্ণিত ,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ، ﻗﺎﻝ : ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﺃﻥ ﻳﻀﻊ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻳﺪﻩ
ﺍﻟﻴﻤﻨﻰ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻴﺴﺮﻯ ﺗﺤﺖ ﺍﻟﺴﺮﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ গ্ধ
( ﺍﻻﻭﺳﻂ ﻻﺑﻦ ﺍﻟﻤﻨﺬﺭ : ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ১২৪৩)
তিনি বলেন, নামাযে পুরুষের জন্য ডান
হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর
রেখে নাভীর নিচে বাঁধা সুন্নাত।
✔️ নাভীর নিচে হাত বাঁধার পর ছানা
পড়া,,,
হযরত আবদাহ সূত্রে বর্ণিত ,,,
ﻋﻦ ﻋﺒﺪﺓ ﺃﻥ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﻛﺎﻥ ﻳﺠﻬﺮ ﺑﻬﺆﻻﺀ
ﺍﻟﻜﻠﻤﺎﺕ ﻳﻘﻮﻝ ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻭﺑﺤﻤﺪﻙ ﻭﺗﺒﺎﺭﻙ ﺍﺳﻤﻚ
ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ﺟﺪﻙ ﻭﻻ ﺇﻟﻪ ﻏﻴﺮﻙ …… ‏( ﻣﺴﻠﻢ : ২/১২- ﺭﻗﻢ
ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৯১৮)
হযরত উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নামাযে
নিম্নোক্ত বাক্যগুলো উচ্চস্বরে বলতেন ,,
ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻭﺑﺤﻤﺪﻙ ﻭﺗﺒﺎﺭﻙ ﺍﺳﻤﻚ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ﺟﺪﻙ
ﻭﻻ ﺇﻟﻪ ﻏﻴﺮﻙ .
হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা
সূত্রে বর্ণিত ,,,
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺇِﺫَﺍ ﺍﺳْﺘَﻔْﺘَﺢَ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ
ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ ﻭَﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﺳْﻤُﻚَ ﻭَﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﺟَﺪُّﻙَ ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﻏَﻴْﺮُﻙَ
.গ্ধ( ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ : ১/১১৩- ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৭৭৬)
তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের শুরুতে
কিরাত পাঠ করার পূর্বে
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ ﻭَﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﺳْﻤُﻚَ ﻭَﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﺟَﺪُّﻙَ
ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﻏَﻴْﺮُﻙَ
পাঠ করতেন।
ইমাম আবু দাউদ রাহিমাহুল্লাহ
বলেছেন, এ সনদের দিক থেকে এ
হাদীসটি প্রসিদ্ধ নয়।
হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন ,,,
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﺇﺫﺍ
ﻛﺒﺮ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﺣﺘﻰ ﻳﺤﺎﺫﻱ ﺃﺫﻧﻴﻪ ﻳﻘﻮﻝ ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻭﺑﺤﻤﺪﻙ ﻭﺗﺒﺎﺭﻙ ﺍﺳﻤﻚ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ﺟﺪﻙ ﻭﻻ ﺇﻟﻪ
ﻏﻴﺮﻙ ﻻ ﻳﺮﻭﻯ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺇﻻ ﺑﻬﺬﺍ ﺍﻹﺳﻨﺎﺩ
ﺗﻔﺮﺩ ﺑﻪ ﻣﺨﻠﺪ ﺑﻦ ﻳﺰﻳﺪ . ‏( ﻣﻌﺠﻢ ﺍﻻﻭﺳﻂ : ৩/২৬২-ﺭﻗﻢ
ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৩.৩৯)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম নামাযে কিরাতের পূর্বে
উক্ত ছানা পাঠ করতেন।
এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ
নির্ভরযোগ্য। (আসারুস সুনান: পৃ:৯৩,
ই‘লাউস সুনান: ২/৬৮৯)
✔️ কিরাতের সুন্নাত,,
আউযুবিল্লাহ পড়া,, আল্লাহ তা'য়ালা
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন ,
ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﺮَﺃْﺕَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁَﻥَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﺍﻟﺮَّﺟِﻴﻢِ
‏( ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﺤﻞ - ৯৮)
“আপনি যখন কুরআন পাঠ করার ইচ্ছা করবেন
তখন শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চান।”
সুনানে দারা কুতনীতে আছে ,,,
ﻋﻦ ﺍﻷﺳﻮﺩ ﺑﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﻗﺎﻝ : ﺭﺃﻳﺖ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ
ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺣﻴﻦ ﺍﻓﺘﺘﺢ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻛﺒﺮ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ
ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻣﺜﻠﻪ ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻧﻮﺡ ﺛﻨﺎ ﻫﺎﺭﻭﻥ
ﺑﻦ ﺇﺳﺤﺎﻕ ﺛﻨﺎ ﺑﻦ ﻓﻀﻴﻞ ﻋﻦ ﺣﺼﻴﻦ : ﺑﻬﺬﺍ ﻭﺯﺍﺩ ﺛﻢ
ﻳﺘﻌﻮﺫ ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺪﺍﺭ ﻗﻄﻨﻲ : ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ১০، ১১)
আসওয়াদ বিন ইয়াযিদ রাহিমাহুল্লাহ
বলেন, আমি উমর বিন খাত্তাব
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে নামাযের
শুরুতে তাকবীর বলার পর ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ
পড়তে দেখেছি। অপর বর্ণনায় রয়েছে
অতপর উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
আউযুবিল্লাহ পড়তেন।
বিসমিল্লাহ পড়া, হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত ,,,
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ
ﻳﺴﺮ ﺑﺒﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ،ﻭﺍﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﻭﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ . ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ﻭﺍﻻﻭﺳﻂ
ﻭﺭﺟﺎﻟﻪ ﺛﻘﺎﺕ )
তিনি বলেন, হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবু বকর
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও উমর
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নামাযে
বিসমিল্লাহ পাঠ করতেন। (তবরানী
শরীফ)
এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ
নির্ভরযোগ্য। (ই‘লাউস সুনান: ২/৭০২)
হযরত ইবরাহীম নাখয়ী রাহিমাহুল্লাহ
,,বলেন
ﻋﻦ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ، ﻗﺎﻝ : ﻳﺨﻔﻲ ﺍﻹﻣﺎﻡ { ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ
ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ } ﻭﺍﻻﺳﺘﻌﺎﺫﺓ ، ﻭﺁﻣﻴﻦ ، ﻭﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ .
‏( ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ ﺍﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ : ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৪১৫৯)
✔️ ইমাম চারটি আমল নিঃশব্দে আদায়
করবেন।
১. বিসমিল্লাহ ২. আউযুবিল্লাহ ৩. আমীন।
.৪ ﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ
হাদীসটির সনদ সহীহ। (আসারুস সুনান: পৃ:
১২৬)
✔️ সূরায়ে ফাতেহার পর নিঃশব্দে
আমীন বলা,,
আল্লাহ তা‘য়ালা ইরশাদ করেন ,,
ﺍﺩْﻋُﻮﺍ ﺭَﺑَّﻜُﻢْ ﺗَﻀَﺮُّﻋًﺎ ﻭَﺧُﻔْﻴَﺔً ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﻌْﺘَﺪِﻳﻦَ
‏( ﺍﻻﻋﺮﺍﻑ - ৫৫)
অর্থ: আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেছেন,
তোমরা তোমাদের প্রভুকে প্রকাশ্যে
গোপনে সর্বাবস্থায় ডাকো। নিশ্চই
আল্লাহ তা'য়ালা সীমা লঙ্ঘনকারীদের
পছন্দ করেন না।
আল্লাহ তা'য়ালা উক্ত আয়াতে নিঃশব্দে
দোয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর আমীন
ও একটি দোয়া। সুতরাং আমীন
নিঃশব্দে বলাই শ্রেয়।
হযরত আলকামা বিন ওয়ায়েল
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার পিতার সূত্রে
বর্ণনা করেন যে ,,,,
ﻋﻦ ﻋﻠﻘﻤﺔ ﺑﻦ ﻭﺍﺋﻞ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗﺮﺃ ‏( ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻐﻀﻮﺏ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﻻ ﺍﻟﻀﺎﻟﻴﻦ‏( ﻓﻘﺎﻝ
ﺁﻣﻴﻦ ﻭﺧﻔﺾ ﺑﻬﺎ ﺻﻮﺗﻪ ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৫৮- ﺭﻗﻢ
ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ২৪৮)
তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর সাথে নামায আদায়
করেছেন। যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻐﻀﻮﺏ ﻋﻠﻴﻬﻢ
শেষ করলেন, তখন নিঃশব্দে আমীন
বললেন। এ ছাড়াও এ হাদীসটি মুসনাদে
আহমাদ, দারা কুতনী এবং মুসতাদরাকে
উল্লেখ আছে।
হযরত ইবরাহীম নাখয়ী রাহিমাহুল্লাহ
,,,বলেন
ﻋﻦ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ، ﻗﺎﻝ : ﻳﺨﻔﻲ ﺍﻹﻣﺎﻡ { ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ
ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ } ﻭﺍﻻﺳﺘﻌﺎﺫﺓ ، ﻭﺁﻣﻴﻦ ، ﻭﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ .
‏( ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ ﺍﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ : ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৪১৫৯)
চারটি আমল ইমাম নিঃশব্দে আদায়
করবে:
১.বিসমিল্লাহ। ২. আউযুবিল্লাহ । ৩.
আমীন। ৪. রাব্বানা লাকাল হামদ্ ।
✔️ সুরা ফাতেহার পর সূরা মিলানো,,,
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে ,,
ﺭﻭﻱ ﺃﻥ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻛﺘﺐ ﺇﻟﻰ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ
ﺍﻷﺷﻌﺮﻱ ﺃﻥ ﺍﻗﺮﺃ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺠﺮ . ﻭﺍﻟﻈﻬﺮ : ﺑﻄﻮﺍﻝ ﺍﻟﻤﻔﺼﻞ،
ﻭﻓﻲ ﺍﻟﻌﺼﺮ . ﻭﺍﻟﻌﺸﺎﺀ : ﺑﺄﻭﺳﺎﻁ ﺍﻟﻤﻔﺼﻞ، ﻭﻓﻲ
ﺍﻟﻤﻐﺮﺏ : ﺑﻘﺼﺎﺭ ﺍﻟﻤﻔﺼﻞ ‏( ﻧﺼﺐ ﺍﻟﺮﺍﻳﺔ : ২/৯ ، ﻛﺬﺍ ﻓﻲ
ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৩০৬)
হযরত উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আবু মুসা
আশআরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর কাছে
লিখে পাঠালেন যে, ফজর এবং
যোহরের নামাযে তিওয়ালে
মুফাস্সাল অর্থাৎ সুরা হুজুরাত থেকে
সুরা বুরুজ পর্যন্ত। আছর ও ইশার নামাযে
আওসাতে মুফাস্সাল তথা সূরা বুরুজ থেকে
সূরা বায়্যিনাহ পর্যন্ত। মাগরীবের
নামাযে কিসারে মুফাস্সাল অর্থাৎ
সূরা যিলযাল থেকে নাছ পর্যন্ত। এ
পদ্ধেতিতে নামাযে কেরাত পাঠ
করবে।
ইমাম তিরমিযী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
উক্ত হাদীসের উপর উলামায়ে
কেরামের আমল রয়েছে। ইবনুল মুবারক,
ইসহাক, আহমদ রাহিমাহুল্লাহ ও এ
ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছেন।
(তিরমিযী শরীফ : ১/৬৭)
✔️ ফরযের ৩য় ও চতুর্থ রাকাতে শুধু সূরা
ফাতেহা পাঠ করা,,
ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা
,,,করেন
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻗﺘﺎﺩﺓ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ : ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﻳﻘﺮﺃ ﻓﻲ ﺍﻟﻈﻬﺮ ﻓﻲ ﺍﻷﻭﻟﻴﻴﻦ ﺑﺄﻡ
ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻭﺳﻮﺭﺗﻴﻦ ﻭﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻌﺘﻴﻦ ﺍﻵﺧﺮﻳﻴﻦ ﺑﺄﻡ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ
ﻭﻳﺴﻤﻌﻨﺎ ﺍﻵﻳﺔ ﻭﻳﻄﻮﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻌﺔ ﺍﻷﻭﻟﻰ ﻣﺎﻻ ﻳﻄﻮﻝ
ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻌﺔ ﺍﻟﺜﺎﻧﻴﺔ ﻭﻫﻜﺬﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻭﻫﻜﺬﺍ ﻓﻲ
ﺍﻟﺼﺒﺢ ‏( ﺑﺨﺎﺭﻱ : ১/১০৭ - ﺭﻗﻢ : ৭৪৩)
হযরত আবু কাতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যোহরের প্রথম দু’রাকাতে ফাতেহার
সাথে দুটি সূরাও পাঠ করতেন এবং শেষ
দুরাকাতে শুধুমাত্র সূরা ফাতেহা পাঠ
করতেন। এভাবে আছর ও ফজরের নামায
আদায় করতেন। (বুখারী শরীফ : ১/১০৭)
✔️ রুকুর সুন্নাত,,
তাকবীর বলতে বলতে রুকুতে যাওয়া।
হযরত আবু সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
সূত্রে বর্ণিত ,,,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻠﻤﺔ : ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﺑﻬﻢ
ﻓﻴﻜﺒﺮ ﻛﻠﻤﺎ ﺧﻔﺾ ﻭﺭﻓﻊ ﻓﺎﺫﺍ ﺍﻧﺼﺮﻑ ﻗﺎﻝ ﺇﻧﻲ
ﻷﺷﺒﻬﻜﻢ ﺻﻼﺓ ﺑﺮﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ
‏( ﺑﺨﺎﺭﻱ : ১/১০৮ - ﺭﻗﻢ: ৭৫২)
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
মুসল্লীদের নিয়ে নামায আদায়কালে
কোনো রুকন আদায়ের জন্য যখনই নিচু
হতেন বা নিচু অবস্থা থেকে উঠতেন
তখন ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ বলতেন। নামায শেষে বললেন,
নিশ্চই আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর নামাযের মতোই
নামায পড়িয়েছি।
রুকুতে উভয় হাত দ্বারা হাঁটু ধরা।
বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে ,,
ﻭﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺣﻤﻴﺪ ﻓﻲ ﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﺃﻣﻜﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻳﺪﻳﻪ ﻣﻦ ﺭﻛﺒﺘﻴﻪ ‏( ﺑﺨﺎﺭﻱ : ১/১০৯ -ﺭﻗﻢ :
৭৯৪)
হযরত আবু হুমাইদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম রুকু অবস্থায় হাঁটু ধরতেন।
হাঁটু ধরাবস্থায় হাতের আঙ্গুলগুলো
ফাঁকা রাখা।
ওয়াইল ইবনে হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বর্ণিত ,,
ﻋﻦ ﻋﻠﻘﻤﺔ ﺑﻦ ﻭﺍﺋﻞ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻗﺎﻝ : ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﺭﻛﻊ ﻓﺮﺝ ﺃﺻﺎﺑﻌﻪ ﻭﺇﺫﺍ
ﺳﺠﺪ ﺿﻢ ﺃﺻﺎﺑﻌﻪ ‏( ﺍﻟﻤﻌﺠﻢ ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ : ২২/১৯- ﺭﻗﻢ : ২৬)
তিনি বলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকুতে হাতের
আঙ্গুলগুলো ফাঁকা রাখতেন। এই
হাদীসের সনদ হাসান।
রুকুতে পিঠ বিছিয়ে দেয়া।
হযরত বারা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন ,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺇﺳْﺤَﺎﻕَ ﻋَﻦْ ﺍﻟْﺒَﺮَﺍﺀِ، ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺇﺫَﺍ ﺭَﻛَﻊَ ﺑَﺴَﻂَ ﻇَﻬْﺮَﻩُ، ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺠَﺪَ ﻭَﺟَّﻪَ
ﺃَﺻَﺎﺑِﻌَﻪُ ﻗِﺒَﻞَ ﺍﻟْﻘِﺒْﻠَﺔِ، ﺍﻧْﺘَﻬَﻰ . ‏( ﻧﺼﺐ ﺍﻟﺮﺍﻳﺔ : ১/৪৫৬)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম রুকুতে পিঠ বিছিয়ে
দিতেন। …. (নসবুর রায়া-১/৪৫৬)
রুকুতে মাথা ও নিতম্ব সমান করে
রাখা।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে ,,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﻤﻴﺪ ﺍﻟﺴﺎﻋﺪﻱ ….. ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﻗﺎﻡ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺍﻋﺘﺪﻝ ﻗﺎﺋﻤﺎ
…. ﻓﺈﺫﺍ ﺃﺭﺍﺩ ﺃﻥ ﻳﺮﻛﻊ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﺣﺘﻰ ﻳﺤﺎﺫﻱ ﺑﻬﻤﺎ
ﻣﻨﻜﺒﻴﻪ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ ﻭﺭﻛﻊ ﺛﻢ ﺍﻋﺘﺪﻝ ﻓﻠﻢ ﻳﺼﺐ
ﺭﺃﺳﻪ ﻭﻟﻢ ﻳﻘﻨﻊ ﻭﻭﺿﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﻋﻠﻰ ﺭﻛﺒﺘﻴﻪ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﺳﻤﻊ
ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻤﻦ ﺣﻤﺪﻩ ﻭﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﻭﺍﻋﺘﺪﻝ ﺣﺘﻰ ﻳﺮﺟﻊ ﻛﻞ
ﻋﻈﻢ ﻓﻲ ﻣﻮﺿﻌﻪ ﻣﻌﺘﺪﻻ …. ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﻋﻴﺴﻰ ﻫﺬﺍ
ﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৬৭ - ﺭﻗﻢ
ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৩০৪)
হযরত আবু হুমাইদ সায়াদী
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন
রুকু করতেন তখন পিঠ কে সোজা করে
রাখতেন এবং মাথাকে উঁচু ও করতেন না,
নিচুও করতেন না। (সাংক্ষেপিত)
রুকুর মধ্যে তিন বার ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺭﺑﻲ
ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ পাঠ করা।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে ,,,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ : ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ
ﺇﺫﺍ ﺭﻛﻊ ﺃﺣﺪﻛﻢ ﻓﻘﺎﻝ ﻓﻲ ﺭﻛﻮﻋﻪ ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺭﺑﻲ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ
ﺛﻼﺙ ﻣﺮﺍﺕ ﻓﻘﺪ ﺗﻢ ﺭﻛﻮﻋﻪ ﻭﺫﻟﻚ ﺃﺩﻧﺎﻩ ……… ‏( ﺳﻨﻦ
ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৬০- ﺭﻗﻢ: ২৬১)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন রুকু করবে
তখন কমপক্ষে তিন বার ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺭﺑﻲ
বললে তার রুকু পূর্ণ হয়ে যাবে। ইমাম আবু
দাউদ রাহিমাহুল্লাহ উক্ত হাদীসটি
কে মুরসাল বলেছেন।
তিরমিযী শরীফে আরো বর্ণিত আছে ,,
ﻋﻦ ﺣﺬﻳﻔﺔ ‏( ﺭﺽ ‏) ﺃﻧﻪ ﺻﻠﻲ ﻣﻊ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻜﺎﻥ ﻳﻘﻮﻝ ﻓﻲ ﺭﻛﻮﻋﻪ ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺭﺑﻲ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ .
‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৬১)
হযরত হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন
আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর সাথে নামায আদায়
করেছি । তিনি রুকুতে ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺭﺑﻲ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ
পাঠ করতেন। ইমাম তিরমিযী
রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান
সহীহ বলেছেন।
রুকু থেকে উঠার সময় ইমাম ﺳﻤﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻤﻦ
ﺣﻤﺪﻩ এবং মুক্তাদি ﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ বলবেন।
বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে ,,
ﻋﻦ ﻫﺮﻳﺮﺓ ‏( ﺭﺽ ‏) ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﺍﺫﺍ ﻗﺎﻝ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﺳﻤﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻤﻦ ﺣﻤﺪﻩ ﻓﻘﻮﻟﻮﺍ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺭﺑﻨﺎ
ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ : ১/১০৯)
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন ইমাম যখন ﺳﻤﻊ ﺍﻟﻠﻪ
ﻟﻤﻦ ﺣﻤﺪﻩ বলবে তখন তোমরা ﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ
বল।
রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে
দাঁড়ানো।
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
সূত্রে বর্ণিত ,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ : ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ
ﺩﺧﻞ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﺪﺧﻞ ﺭﺟﻞ ﻓﺼﻠﻰ ﻓﺴﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﺮﺩ ﻭﻗﺎﻝ ‏( ﺍﺭﺟﻊ ﻓﺼﻞ ﻓﺈﻧﻚ
ﻟﻢ ﺗﺼﻞ ‏) . ﻓﺮﺟﻊ ﻳﺼﻠﻲ ﻛﻤﺎ ﺻﻠﻰ ﺛﻢ ﺟﺎﺀ ﻓﺴﻠﻢ ﻋﻠﻰ
ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻘﺎﻝ ‏( ﺍﺭﺟﻊ ﻓﺼﻞ ﻓﺈﻧﻚ
ﻟﻢ ﺗﺼﻞ ‏) . ﺛﻼﺛﺎ ﻓﻘﺎﻝ ﻭﺍﻟﺬﻱ ﺑﻌﺜﻚ ﺑﺎﻟﺤﻖ ﻣﺎ ﺃﺣﺴﻦ
ﻏﻴﺮﻩ ﻓﻌﻠﻤﻨﻲ ؟ ﻓﻘﺎﻝ ‏( ﺇﺫﺍ ﻗﻤﺖ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻜﺒﺮ ﺛﻢ
ﺍﻗﺮﺃ ﻣﺎ ﺗﻴﺴﺮ ﻣﻌﻚ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﺛﻢ ﺍﺭﻛﻊ ﺣﺘﻰ ﺗﻄﻤﺌﻦ
ﺭﺍﻛﻌﺎ ﺛﻢ ﺍﺭﻓﻊ ﺣﺘﻰ ﺗﻌﺘﺪﻝ ﻗﺎﺋﻤﺎ ﺛﻢ ﺍﺳﺠﺪ ﺣﺘﻰ
ﺗﻄﻤﺌﻦ ﺳﺎﺟﺪﺍ ﺛﻢ ﺍﺭﻓﻊ ﺣﺘﻰ ﺗﻄﻤﺌﻦ ﺟﺎﻟﺴﺎ ﻭﺍﻓﻌﻞ ﺫﻟﻚ
ﻓﻲ ﺻﻼﺗﻚ ﻛﻠﻪ ‏( ﺑﺨﺎﺭﻱ : ১/১০৯ - ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৭২৪)
তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তি কে
নামায শিখাতে গিয়ে বলেছেন, তুমি
যখন রুকু থেকে মাথা উঠাবে তখন সোজা
হয়ে দাড়াবে। [সংক্ষেপ]
✔️ সিজদার সুন্নাত ,,
ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ ‏( তাকবীর) বলতে বলতে সিজদায়
যাওয়া।
বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে ,,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻠﻤﺔ : ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﺑﻬﻢ
ﻓﻴﻜﺒﺮ ﻛﻠﻤﺎ ﺧﻔﺾ ﻭﺭﻓﻊ ﻓﺎﺫﺍ ﺍﻧﺼﺮﻑ ﻗﺎﻝ ﺇﻧﻲ
ﻷﺷﺒﻬﻜﻢ ﺻﻼﺓ ﺑﺮﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ
‏( ﺑﺨﺎﺭﻱ : ১/১০৮ - ﺭﻗﻢ : ৭৫২)
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
মুসল্লিদের নিয়ে নামায আদায়কালে
প্রতি রুকনে যখনই নিচু হতেন বা নিচু
অবস্থা থেকে উঠতেন তখন আল্লাহু আকবার
বলতেন।
সিজদায় প্রথমে হাঁটু রাখা।
হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহু বলেন ,,
ﻋﻦ ﻭﺍﺋﻞ ﺑﻦ ﺣﺠﺮ ﻗﺎﻝ : ﺭﺃﻳﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪ ﻳﻀﻊ ﺭﻛﺒﺘﻴﻪ ﻗﺒﻞ ﻳﺪﻳﻪ ﻭﺇﺫﺍ
ﻧﻬﺾ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﻗﺒﻞ ﺭﻛﺒﺘﻴﻪ ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৬১ -
ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ২৬৮)
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি সিজদায়
যাওয়ার সময় যমিনে হাত রাখার পূর্বে
হাঁটু রাখতেন এবং উঠার সময় হাঁটুর আগে
হাত উঠাতেন।
যমিনে হাত রাখা।
মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে ,,,
ﻋﻦ ﺍﻟﺒﺮﺍﺀ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪﺕ ﻓﻀﻊ ﻛﻔﻴﻚ ﻭﺍﺭﻓﻊ ﻣﺮﻓﻘﻴﻚ ‏( ﻣﺴﻠﻢ :
১/১৯৪ - ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ১১৩২)
হযরত বারা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন
তুমি সিজদা করবে তখন তোমার হাতের
তালু যমিনে রাখ এবং কনুই যমিন থেকে
উঠিয়ে রাখ। মুসলিম শরীফ ১/১৯৪। আবু
দাউদ শরীফে আছে - ﻭﻭﺿﻊ ﻛﻔﻴﻪ ﻋﻠﻲ ﺍﻻﺭﺽ ,
আবু দাউদ শরীফ১/১২৫ ।
তার পর নাক রাখা এবং এর পর কপাল
রাখা।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে ,,,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﻤﻴﺪ ﺍﻟﺴﺎﻋﺪﻱ : ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ
ﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪ ﺃﻣﻜﻦ ﺃﻧﻔﻪ ﻭﺟﺒﻬﺘﻪ ‏[ ﻣﻦ ‏] ﺍﻷﺭﺽ
ﻭﻧﺤﻰ ﻳﺪﻳﻪ ﻋﻦ ﺟﻨﺒﻴﻪ ﻭﻭﺿﻊ ﻛﻔﻴﻪ ﺣﺬﻭ ﻣﻨﻜﺒﻲ
‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৬১ - ﺭﻗﻢ : ২৭০)
হযরত আবু হুমাইদ সায়েদী
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত
তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিজদায়
যেতেন তখন নাক ও কপাল ভালভাবে
যমিতে রাখতেন। ইমাম তিরমিযী উক্ত
হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।
তিরমিযী-১/৬১।
উভয় হাতের মাঝখানে সিজদাকরা।
আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে ,,
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟْﺠَﺒَّﺎﺭِ ﺑْﻦِ ﻭَﺍﺋِﻞٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻓِﻰ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ ﻗَﺎﻝَ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺳَﺠَﺪَ ﻭَﻗَﻌَﺘَﺎ
ﺭُﻛْﺒَﺘَﺎﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﺗَﻘَﻊَ ﻛَﻔَّﺎﻩُ – ﻗَﺎﻝَ – ﻓَﻠَﻤَّﺎ
ﺳَﺠَﺪَ ﻭَﺿَﻊَ ﺟَﺒْﻬَﺘَﻪُ ﺑَﻴْﻦَ ﻛَﻔَّﻴْﻪِ ﻭَﺟَﺎﻓَﻰ ﻋَﻦْ ﺇِﺑْﻄَﻴْﻪِ . ‏( ﺍﺑﻮ
ﺩﺍﻭﺩ : ১/১০৭ - ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৭৩৬)
হযরত ওয়াইল বিন হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম উভয় হাতের তালুর
মাঝখানে কপাল রাখতেন।
উক্ত হাদীসটি সহীহ। কারণ, ইমাম আবু
দাউদ রাহিমাহুল্লাহ এ হাদীসের
ব্যাপারে কিছুই বলেনি এবং শাইখ
আলবানী উক্ত হাদীসকে সহীহ বলেছেন।
সিজদার মধ্যে বাজু বগল থেকে পৃথক
রাখা।
ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ বলেন ,,
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺑﻦ ﺑﺤﻴﻨﺔ : ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﺇﺫﺍ ﺻﻠﻰ ﻓﺮﺝ ﺑﻴﻦ ﻳﺪﻳﻪ ﺣﺘﻰ ﻳﺒﺪﻭ
ﺑﻴﺎﺽ ﺇﺑﻄﻴﻪ ‏( ﺑﺨﺎﺭﻱ : ১/১১২ - ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৩৮৩)
হযরত ইবনে বুহায়না রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম যখন সিজদা করতেন তখন উভয়
হাতের মাঝে এতটুকু ফাঁকা রাখতেন যে,
তার বগল মুবারকের শুভ্রতা প্রকাশ
পেতো। অর্থাৎ দেখা যেতো।
সিজদায় পেট কে রান থেকে পৃথক
রাখা।
আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে ,,
ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﺣﻤﻴﺪ ﺑﻬﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻗﺎﻝ ﻭﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪ ﻓﺮﺝ ﺑﻴﻦ
ﻓﺨﺬﻳﻪ ﻏﻴﺮ ﺣﺎﻣﻞ ﺑﻄﻨﻪ ﻋﻠﻰ ﺷﻰﺀ ﻣﻦ ﻓﺨﺬﻳﻪ .
‏( ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ : ১/১০৭ - ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৭৩৫)
হযরত আবু হুমাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন
তোমরা সিজদা করবে। তখন পেট কে উভয়
রান থেকে পৃথক রাখ, যাতে পেটের
কোনো অংশই রানের সাথে লেগে
না থাকে।
সিজদার মধ্যে উভয় কনুই জমিন থেকে
পৃথক রাখবে।
মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে ,,
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ :
‏( ﺍﻋﺘﺪﻟﻮﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﺠﻮﺩ ﻭﻻ ﻳﺒﺴﻂ ﺫﺭﺍﻋﻴﻪ ﻛﺎﻟﻜﻠﺐ
‏( ﻳﺨﺎﺭﻱ : ১/১১৩ - ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ৫০১ : ، ﻣﺴﻠﻢ : ১/১৯৩)
হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা
ধীরস্থির ভাবে সিজদা করবে। আর
তোমাদের কেউ যেন তার কনুইকে
কুকুরের মতো বিছিয়ে না রাখে।
সিজদার মধ্যে কমপক্ষে তিন বার
ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺭﺑﻲ ﺍﻻﻋﻠﻲ পাঠ করা।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে ,,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ : ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ
….. ﻭﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪ ﻓﻘﺎﻝ ﻓﻲ ﺳﺠﻮﺩﻩ ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺭﺑﻲ ﺍﻷﻋﻠﻰ
ﺛﻼﺙ ﻣﺮﺍﺕ ﻓﻘﺪ ﺗﻢ ﺳﺠﻮﺩﻩ ﻭﺫﻟﻚ ﺃﺩﻧﺎﻩ ‏( ﺳﻨﻦ
ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৬০ - ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ২৬১)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, যখন তোমরা সিজদা করবে তখন
কমপক্ষে তিন বার ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺭﺑﻲ ﺍﻻﻋﻠﻲ বললে
সিজদা পূর্ণ হয়ে যাবে।
সিজদা অবস্থায় হাতের আঙ্গুলগুলো
মিলিয়ে কিবলামুখি রাখা।
মু‘জামূল কাবীরে বর্ণিত আছে ,,
ﻋﻦ ﻋﻠﻘﻤﺔ ﺑﻦ ﻭﺍﺋﻞ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻗﺎﻝ : ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﺭﻛﻊ ﻓﺮﺝ ﺃﺻﺎﺑﻌﻪ ﻭﺇﺫﺍ
ﺳﺠﺪ ﺿﻢ ﺃﺻﺎﺑﻌﻪ ‏( ﻣﻌﺠﻢ ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ : ﺭﻗﻢ : ২৬)
আলকামা বিন ওয়াইল বিন হুজর
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সিজদার মধ্যে আঙ্গুল মিলিয়ে রাখতেন।
মু’জামূল কাবীর হাদিস নং-২৬।
সিজদাহ থেকে উঠার সময় আগে হাত
উঠানো।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে ,
ﻋﻦ ﻭﺍﺋﻞ ﺑﻦ ﺣﺠﺮ ﻗﺎﻝ : ﺭﺃﻳﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪ ﻳﻀﻊ ﺭﻛﺒﺘﻴﻪ ﻗﺒﻞ ﻳﺪﻳﻪ ﻭﺇﺫﺍ
ﻧﻬﺾ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﻗﺒﻞ ﺭﻛﺒﺘﻴﻪ ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৬১ -
ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ২৬৮)
ওয়াইল ইবনে হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সিজদা হতে হাটুর আগে
হাত উঠাতেন।
পায়ের উপর ভর দিয়ে সিজদা থেকে
উঠা।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে ,,,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ : ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ
ﺳﻠﻢ ﻳﻨﻬﺾ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻠﻰ ﺻﺪﻭﺭ ﻗﺪﻣﻴﻪ ‏( ﺳﻨﻦ
ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ১/৬৪ - ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ২৮৮)
আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম পায়ের পাতার উপর ভর
দিয়ে সিজদা থেকে উঠতেন।
সাহাবাগণও পায়ের পাতার উপর ভর
দিয়ে উঠতেন।
ইমাম শা‘বী রাহিমাহুল্লাহ সূত্রে
,,বর্ণিত
ﻋﻦ ﺍﻟﺸﻌﺒﻲ ؛ ﺃﻥ ﻋﻤﺮ ﻭﻋﻠﻴﺎ ﻭﺃﺻﺤﺎﺏ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳﻨﻬﻀﻮﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻠﻰ
ﺻﺪﻭﺭ ﺃﻗﺪﺍﻣﻬﻢ ‏( ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ ﺍﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ : ﺭﻗﻢ
ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৪০০৪)
তিনি বলেন, উমর, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহু ও নবীর অন্যান্য সাহবাগণ পায়ের
উপর ভর দিয়ে সিজদা হতে উঠতেন।
✔️ বসার সুন্নাত।
বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা এবং
ডান পা দাঁড় করিয়ে পায়ের আঙ্গুলগুলো
কিবলামুখী রাখা।
বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে ,,
… ﻓﻘﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺣﻤﻴﺪ ﺍﻟﺴﺎﻋﺪﻱ ﺃﻧﺎ ﻛﻨﺖ ﺃﺣﻔﻈﻜﻢ ﻟﺼﻼﺓ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺭﺃﻳﺘﻪ ﺇﺫﺍ ﻛﺒﺮ ﺟﻌﻞ
ﻳﺪﻳﻪ ﺣﺬﺍﺀ ﻣﻨﻜﺒﻴﻪ ﻭﺇﺫﺍ ﺭﻛﻊ ﺃﻣﻜﻦ ﻳﺪﻳﻪ ﻣﻦ ﺭﻛﺒﺘﻴﻪ
ﺛﻢ ﻫﺼﺮ ﻇﻬﺮﻩ ﻓﺈﺫﺍ ﺭﻓﻊ ﺭﺃﺳﻪ ﺍﺳﺘﻮﻯ ﺣﺘﻰ ﻳﻌﻮﺩ ﻛﻞ
ﻓﻘﺎﺭ ﻣﻜﺎﻧﻪ ﻓﺈﺫﺍ ﺳﺠﺪ ﻭﺿﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﻏﻴﺮ ﻣﻔﺘﺮﺵ ﻭﻻ
ﻗﺎﺑﻀﻬﻤﺎ ﻭﺍﺳﺘﻘﺒﻞ ﺑﺄﻃﺮﺍﻑ ﺃﺻﺎﺑﻊ ﺭﺟﻠﻴﻪ ﺍﻟﻘﺒﻠﺔ ﻓﺈﺫﺍ
ﺟﻠﺲ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻌﺘﻴﻦ ﺟﻠﺲ ﻋﻠﻰ ﺭﺟﻠﻪ ﺍﻟﻴﺴﺮﻯ ﻭﻧﺼﺐ
ﺍﻟﻴﻤﻨﻰ ﻭﺇﺫﺍ ﺟﻠﺲ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻌﺔ ﺍﻵﺧﺮﺓ ﻗﺪﻡ ﺭﺟﻠﻪ
ﺍﻟﻴﺴﺮﻯ ﻭﻧﺼﺐ ﺍﻷﺧﺮﻯ ﻭﻗﻌﺪ ﻋﻠﻰ ﻣﻘﻌﺪﺕ ‏( ﺑﺨﺎﺭﻱ :
১/১১৪ - ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ৭৯৪)
হযরত হুমাইদ সাআদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, আমি তোমাদের থেকে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
নামাযের অবস্থা বেশি স্মরণ রেখেছি
…………তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দুই রাকাতের
পর বসতেন তখন বাম পা বিছিয়ে তার
উপর বসতেন এবং ডান পা দাঁড় করিয়ে
রাখতেন। (বুখারী শরীফ ১/১১৪)

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|