স্বপ্নে প্রিয় রাসূল পাককে দেখা সংক্রান্ত হাদীসের আলোকে সালাফী আহলে হাদীস মোল্লাদের অভিশপ্ত আকীদাকে চ্যালেন্জ ঃ
—————————————————-------------
![](http://yanabi.in/uploads/editor/tw/2wxd8wiiw26i.jpg)
হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে আমাকে স্বপ্নে দেখলো, সে সত্যিই আমাকে দেখল। কেননা, শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। আর মুমিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওওতের ছেচল্লিশ ভাগের একভাগ। - বুখারী শরীফ ৬৫৯৪, এছাড়াও রয়েছে, হাদীস নং ৬৫৯২/৬৫৯৫/৬৫৯৬,মুসলিম শরীফ ২২৬৬/২২৬৭
এছাড়া আরো অনেক।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য আরেকটি হাদীসঃ
——————————————————
রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই শয়তান আমার রূপ ধারণে সক্ষমতা রাখে না। - ইবনু মাজাহ শরীফ ৩৯০৪।
অর্থাৎ, শয়তানের সে সক্ষমতাই নেই যে সে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আকৃতি ধারণ করবে, বলেছেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
পর্যালোচনাঃ
————–————–
১/ আল্লামা তীবী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, যে কোন ভাবেই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্নে যদি কেউ দেখে, তবে তার সু সংবাদ গ্রহণ করা উচিৎ এবং তার জানা উচিৎ, এ স্বপ্নটি সে সত্যিই দেখেছে,যা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে।
২/ আল্লামা ইবনু হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, যে কোন ব্যক্তিই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কোন অবস্থায়ই স্বপ্নে দেখুক না কেন, সে সত্যিকার অর্থেই তাঁকে দেখেছে। - ফাতহুল বারী,ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী
কিতাবুত তা’বীর হাদীস নাম্বারঃ৬৫৯২
লক্ষ্যণীয়,
———–————–
১/ মুহাদ্দিসগণ কখনো স্বপ্ন দেখার বিষয়টি সাহাবীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেন নি। কারণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আম ভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। হাদীসে ‘মান’ শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে, যে কেঊ।
২/ লক্ষ্য করুন বুখারী শরীফের হাদিসটি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বপ্নের বিষয়টি উল্লেখ করেই মুমিনের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেছেন যে, মুমিনের স্বপ্ন নবুওওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের একভাগ।
এর অর্থ হচ্ছে, কিয়ামত পর্যন্ত যত মুমিন থাকবে, তাদের স্বপ্ন সত্যি হবে, এবং তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্নে দেখলে তা সত্যিকার অর্থেই স্বপ্নে দেখা হবে।
চ্যালেঞ্জঃ
———————–
১/ একটি হাদীসও কেউ দেখাতে পারবে না যে, রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শর্ত আরোপ করে বলেছেন, তাঁকে স্বপ্নে দেখতে হলে প্রথমে জাগ্রত অবস্থায় নিজ চক্ষে তাঁকে দেখতে হবে, যেমনটি বলেছে এই যামানার ফেতনাবাজ, হাদীসের অপব্যাখ্যাকারী মতিউর রাহমান নজদী। (মাদানী বলে আমি শব্দটির অপমান করতে চাইনা)
২/ একটি হাদীসও খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যেখানে রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, শয়তান মাঝে মধ্যে স্বপ্নে তাঁর রূপ ধারণ করে মানুষকে ধোঁকা দিবে। যেমনটি বলেছে হাদীসের অপব্যাখ্যাকারী মতিউর রাহমান নজদী।
৩/ একটি হাদীস ও কেউ দেখাতে পারবে না যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সত্যিকার ভাবে একমাত্র আমার সাহাবীরাই আমাকে স্বপ্নে দেখতে পারে, আর কেউ নয়।
সতর্ক বাণীঃ
—————————–
মুমিন মুসলমান সাবধান!!
কুরআন হাদীসের সাইনবোর্ড সামনে রেখে পেছনে পেছনে ইসলামের শিকড় কাটার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত এই বর্তমান কথিত আহলে হাদীস নাম দল। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্নে দেখার দরজা বন্ধ করে দিতে চায় ওয়াহাবী/নজদীরা। আপনার আমার মনের মধ্যে সন্দেহের বীজ বপন করতে চায় মতিউর রাহমানরা।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,আমরা আপনাদের নিকট এ সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিলাম। মানা না মানা আপনার ইচ্ছা। তবে পরিশেষে এই দোয়া করে যাই,হে আল্লাহ, তুমি আমাদের ঈমানকে রক্ষা কর। শয়তানরূপী নিকৃষ্ট মানব যেই হোক না কেন, তুমি তার বিষাক্ত ছোবল থেকে আমাদেরকে হেফাযতে রাখিও। মুসলিম উম্মাহকে মা’মুন রাখিও, আমীন