★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
ইমাম এ আহ্লে সুন্নাত ইমাম আহমাদ রাযা খান বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহির সংক্ষিপ্ত জীবনী - Tasawuf Discussions on

ইমাম এ আহ্লে সুন্নাত ইমাম আহমাদ রাযা খান বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহির সংক্ষিপ্ত জীবনী

ইমাম এ আহ্লে সুন্নাত ইমাম আহমাদ রাযা খান বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহির সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ
=================================================

> ডাঃ মুহাম্মাদ রাযা কাদরী 
১০ই শাওয়াল শনিবার ১২৭২ হিজরী, ইংরেজি ১৪ই জুন ১৮৫৬ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলী শহরে জাসুলী মহল্লাতে জোহরের সময় এক আল্লাহর খাস ওলি ইমাম আহমাদ রাযা বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম গ্রহন করেন । তার জন্মগত নাম ছিল মোহাম্মদ।
স্নেহময়ী মাতা "আম্মান মিয়া" বলে ডাকতেন । পরম দাদাজান হজরত মাওলানা রেজা আলী খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি নাম রেখেছিলেন আহমাদ রাযা ।ইমাম আহমাদ রাযা নিজের নামের প্রথমে 'আব্দুল মুস্তফা' লিখতেন।
তিনি বলতেন--"সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যদি আমার হৃৎপিণ্ডকে দুই টুকরা করা হয় , তাহলে এক অংশে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' ও অপর অংশে 'মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ, লেখা থাকবে।

তিনি মাত্র চার বছর বয়সে পূর্ণ কুরআন শরীফ দেখে পাঠ করে সমাপ্ত করেছিলেন। ছয় বৎসর বয়সে রবিউল আউয়াল মাসে বিশাল জনতার সামনে মীলাদ শরীফ পাঠ করেছিলেন। তিনি পিতা হজরত্মাওলানা নাকী আলী খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি সাহেবের কাছ থেকে
একুশটি বিদ্যায় পূর্ণ পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন।তিনি মাত্র তেরো তিনি মাত্র ১৩বছর ১০মাস ৫দিন বয়সে শিক্ষা জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন সেই দিন তাকে মহা সম্মানের পাগড়ী পড়ানো হয়েছিল আর সেইদিন থেকেই পরম পিতার দারুল ইফতায় ইমামতের দায়িত্ব নিয়ে মুফতির মসনদে বসে ফতওয়া
প্রদান করতে শুরু করেন।(সাওয়ানেহে আলা হজরত ৯৮/৯৯ পৃষ্ঠা)

ইমাম আহমাদ রাযা খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৬বছরে জেনে নিয়েছিলেন বাগদাদ শরীফ ভারতের কোন দিকে ।এই সময় থেকে ওফাত পর্যন্ত সেই দিকে পা করেন নি।(সাওয়ানেহে আলা হজরত ১১৭ পৃষ্ঠা)
ইমাম আহমাদ রাযা খাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি সারা জীবন ফকীর মিসকিনদের সাহায্য করতেন মৃত্যু পর্যন্ত তা লক্ষ্য করা যায় তার লেখা অসিহত নামায়।
৮বছর বয়সে তিনি আরবি ভাষায় একটি কিতাব লিখে সকলকে চমকে দেন। ৫৫টির ও বেশি বিষয়ে মোটামুটি ১০০০টি মত কিতাব লিখেন তিনি।
কুরআন শরীফের সঠিক অনুবাদ "কানজুল ঈমান" তিনি করেন যার মত নির্ভুল অনুবাদ আর পাওয়া মুস্কিল। ফাতওয়া এ রেজবিয়া রচনা করে হানফি ফিকহার যথেষ্ট খিদমত করেছেন।
তিনি একজন কট্টর ব্রিটিশ বিরোধী মানুষ ছিলেন। তার লেখনিতে প্রতিয়মান হয়।
সারা জীবন তিনি ইসলামের খিদমত আর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মহব্বতের বাণি তিনি প্রচার করে গেছেন।
কেবল হিন্দুস্থান পাকিস্থান নয় মক্কা ও মদিনা শরীফ থেকে আরম্ব করে রোম,শাম,মিশর ও ইয়ামেন তথা সমস্ত মুসলিম জাহান তার প্রতিভার দিল খুলে প্রশংসা করেছে ।কেবল দোস্ত নয় দুশমনের জবান দিয়েও তার প্রশংসা প্রকাশ হয়ে গেছে।

আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান ফাযেলে বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি আইনস্টাইন এবং নিউটনের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে ৩টি বিজ্ঞান বিষয়ক পুস্তক রচনা করেন। তাহল-
১।আল কালিমাতুল মূলহামাতু ফীল হিকমাতিল মুহকামা লি ওয়ায়ে ফালসাফাতিল মুশামমাহ (১৯১৯ খ্রিঃ)
২। ফাওযে মুবীন দর রদ্দে হরকতে যমীন (১৯১৯ খ্রিঃ)
৩। নযুলে আয়াতে কুরআন বে সাকুনে যমীন ওয়া আসমান (১৯১৯ খ্রিঃ)

আ'লা হযরত এই সব পুস্তক লিখে জ্যোতির্বিজ্ঞানের অঙ্গনে তুমূল কাণ্ড সৃষ্টি করেন। কেননা তিনি নিউটন, আইনস্টাইন ও আলবার্ট এফ পোর্ট প্রমুখের প্রচারিত অভিমত খণ্ডন করেন এবং কুরআন করীম দ্বারা প্রমান করেছেন যে, পৃথিবী স্থির, সূর্য এবং অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্র পৃথিবীর চারিদিকে পরিভ্রমণে রত আছে। এ মতের স্বপক্ষে তিনি ১০৫টি প্রমান দাঁড় করেন- যার মধ্যে ১৫টি প্রমান পূর্বকার লেখকদের গ্রন্থ থেকে আর ৯০ টি দলীল স্বয়ং তিনি নিজেই দাঁড় করেন। (সুবহানআল্লাহ)

নিউটন ও আইনস্টাইনের মতবাদের সাথে পৃথিবীর সকলে কমবেশী পরিচিত।কিন্তু আমাদের উচিৎ যে, মুসলমানদের এ বড় বিজ্ঞানীর আলোচনা পর্যালোচনা পাঠ করা। কারণ এ উভয়েই তাঁদের সমসাময়িক ছিলেন, তাছাড়া তাঁর প্রতিটি যুক্তি বিজ্ঞানের কষ্টি পাথরে উত্তীর্ণ।
{সবাই শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন, একজন মুসলিম বৈজ্ঞানিকের কথা}

সূত্রঃ মুহাম্মদ যুফর উদ্দিন বিহারী, হায়াতে আ'লা হযরত, ১ম খণ্ড করাচী।
তার নাত শরীফ সকলের কাছে প্রসিদ্ধ । তাকে নিয়ে বড় বড় উনিভারসিটিতে গবেষণা করা হচ্ছে। দুনিয়ার বড় বড় আলেম এ দ্বীন ফুকহা তাকে সেই সময়ের মুজাদ্দিদ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি "আলা হজরত" নামে সকলের কাছে পরিচিত হন।

১৪শ শতকে ভারতে কিছু বেয়াদব ফিরকা রাসুলে-এ-আযাম, তামাম নবিদের সরদার মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শানে বেয়াদবি করতে শুরু করে ।আর মানুষকে পথভ্রষ্ট করা শুরু করে ।তারা বলে, নামাজে নবির স্মরণ আসা জিনার স্মরণ আসার থেকেও খারাপ (মাজাল্লাহ),

আরও বলেন নবি মরে মাটির সাথে মিশে গেছে , নবি ইল্ম গায়েব জানেননা, শুধু আল্লাহর সম্মান করো রাসুলাল্লাহ(সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সম্মান করার প্রয়োজন নেই (মাজাল্লাহ)।
এই বেআদবরা কলমা পরে কিন্তু কাফির,এরা দেওবান্দি/ওয়াহাবি আহলে হাদিস নামে বর্তমানে পরিচিত ।

আর এদের মুখোশ খুলে দিতে কোরআন হাদিসের আলকে আল্লাহ তাআলা মৌলানা আহামাদ রাযা খান কে দুনিয়াতে পাঠান ।

আল্লাহর নবি, আহলে-বায়াত , সাহাবা কিরাম , আল্লাহর ওলি দের বেয়াদব দের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন মৌলানা আহামাদ রাযা খান

রসুলাল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাক দরবারে বলেনঃ

“ তু জিন্দা হে বাল্লাহ তু জিন্দা হে বাল্লাহ,

তু জিন্দা হে বাল্লাহ তু জিন্দা হে বাল্লাহ,

মেরি চাস্মে আলাম সে ছুপ জানে বালে ।“

বাংলাঃ “ তুমি বেঁচে আছো তুমি বেঁচে আছো,

তুমি বেঁচে আছো তুমি বেঁচে আছো,

আমার চোখের জগত থেকে লুকিয়ে গিয়েছ । “

আরও বলেনঃ

“ইয়া রাসুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম),

আর কি গুপ্ত থাকবে তোমার কাছে,

যখন খুদা নিজেই গুপ্ত থাকেনি । “

এইভাবে আমাদের মত কোটি কোটি মুসলমানের ইমান বাঁচিয়েছে । তাঁর এই ইসলামের খিদমতের জন্য , আরব-অ-আযাম মানে দুনিয়ার সমস্ত উলমা-এ-কিরাম আপনাকে ১৪শ শতকের মুজাদ্দিদ আক্ষা দেন এবং ‘ আলাহজরত’ পবিত্র নামে আক্ষায়িত করেন ।

এরা সেই সময়কার আলীম যখন ১২০০ বছর হারামাইন শারিফে সুন্নিদের রাজত্ব ছিল , বর্তমানে নাজদি/ওয়াহাবি/ দেওবান্দিদের বেআদবদের রাজত্ব যা জোরজবরদস্তি করে কেরে নেওয়া হয়েছে তা ২০০বছর হল ।

তখনকার আলীমরা বলে যখন আরবে ভারত থেকে কেউ আসতো তখন তাদেরকে আহামাদ রাযা সমন্ধে জিজ্ঞাস করলে ,তারা যদি তাঁকে ভালো বলতো তখন বুঝতাম সে ইমানদার সুন্নি, আর তাঁকে খারাপ বললে বুঝতাম সে বেআদব বেদাতি ।

সেই সময় থেকে সত্য ধর্ম ইসলাম ধর্মের পরিচয় দুনিয়াতে আহামাদ রাযা হল, এই থেকে উলামা-এ-আরব-আযাম ইমান বালাদের পরিচয় হিসাবে মাসলাকে আলাহজরত করলো ।

আলা হজরত আহমাদ রাযা খান রহমাতুল্লাহি আলাইহির পবিত্র ওফাত (মৃত্যু)২৫ শে সফর (১৯২১ সাল) জুম্মার আযানের মধ্যে হয়েছে।
1.jpg 18.5K

Comments

  • আলা হজরত আহমাদ রাযা খান রহমাতুল্লাহি আলাইহির পবিত্র ইন্তেকালের দিনের ঘটনা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে গ্রহণযোগ্যতা ঃ
    মাওলানা আব্দুল আযীয মুরাদাবাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি(ওস্তাদ, দারুল উলুম আশরাফিয়াহ, আযমগড়) ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। ১২ই রবিউসানী ১৩৪০ হিজরী। একজন সিরিয়াবাসী বুজুর্গ দিল্লীতে তাশরীফ আনলেন।
    তাঁর আগমনের সংবাদ শুনে তাঁর সাথে সাক্ষাত করলাম ।বড়ি শান শওকতপূর্ণ বুজুর্গ ছিলেন তিনি।আরয করলেন
    "এখানে আসার কারণ কি?" তিনি বললেন , " উদ্দেশ্য তো বড়ি উঁচু মানের ছিলো, কিন্তু হাসিল হলো না। আফসোস!"

    ঘটনা হচ্ছে এ যে , ২৫শে সফর ১৩৪০ হিজরী আমার সৌভাগ্য জেগে ওঠলো। স্বপ্নে আমার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যিয়ারত নসীব হলো। দেখলাম হুযুর তাশরীফ রাখছেন, সাহাবা কেরাম (রিদওয়ানুল্লাহি তায়ালা আলাইহি আযমাইন)
    মহান দরবারে উপস্থিত আছেন; কিন্তু মজলিসে নীরবতা বিরাজ করছিলো। মনে হচ্ছিল কারো জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। আমি রসূলে পাকের দরবারে আরয করলাম, "ফিদা-কা আবী ওয়া উম্মী -আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোন!
    কার জন্য অপেক্ষা?" এরশাদ ফরমালেন,"আহমাদ রাযার জন্য এ অপেক্ষা।" আমি আরয করলাম, " আহমাদ রাযা কে?"এরশাদ হলো "হিন্দুস্থানের বেরেলীর বাসিন্দা।" স্বপ্ন ভাঙ্গার পর আমি খোঁজ নিলাম। জানতে পারলাম, মাওলানা শাহ 
    আহমাদ রাযা খান খুবই উঁচু মানের আলীম ।তিনি জীবিত আছেন । তাই সাক্ষাতের দারুন আগ্রহ নিয়ে বেরেলী শরীফ (হিন্দুস্থান) পৌছেছি। এসে জানতে পারলাম তাঁর ইন্তেকাল হয়ে গেছে । আর ওই ২৫শে সফর তাঁর ইন্তেকালের তারিখ ছিলো।
    তাঁর সাথে সাক্ষাতের অদম্য আগ্রহে এ দীর্ঘ সফর করলাম; কিন্তু আফসোস! সাক্ষাৎ করতে পারলাম না।

    সুবহানআল্লাহ সুবহানআল্লাহ আলা হজরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি আর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যে যে মহব্বতের সম্পর্ক তা এই ঘটনা থেকে প্রতিয়মান হয়।
  • হিজরী এ মাসের 25 তারিখ (সফর 25) এক
    মহা মানবের ওফাত দিবস
    ............................................................
    ..........................................
    ইতিহাসের পাতা থেকে এমন কিছু
    মহামানবের কৃত্বিত্ব কে চেপে রাখা
    হয়েছে,যদি তাদের অমুল্য ক্রিয়াকলাপ
    বিশ্ব সভায় প্রকাশিত হত,তাহলে ভারত
    আজ বিশ্ব ইতিহাসের চরম শিখরে
    আরোহন করত।এমনই একজন মহান ব্যক্তি
    হলেন ইমাম আহমদ রেজা খান
    রহমাতুল্লাহ আলায়।তিনি এমনই এক
    মজলুম ব্যক্তি যাঁর সুমহান
    আত্মীক,নৈতিক ও চারিত্রিক গুনাবলীর
    প্রতি চরম উপেক্ষাই শুধু প্রদশর্ন করা
    হয়নি,ইতিহাসের পাতা থেকেও তাঁর
    অমুল্য পরিচয়কেও বিলুপ্ত করা হয়েছে।
    তাঁর পুত- পবিত্র চরিত্রে কলংক লেপনের
    ঘৃণ মতলবে এমন সব অপবাদ রটাতেও
    নরাধমরা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি,যা
    সাধারন কোন ভদ্রলোকের ক্ষেত্রেও
    কল্পনা করা সম্ভব নয় ।মুখোশধারীদের
    প্রচারনার ধুম্রজালে এ মহান চরিত্র
    আমাদের দৃস্টিপথ থেকে আজ হারিয়ে
    যেতে বসেছে সম্পুর্ণভাবে। অপরিসীম
    জ্ঞান ও প্রজ্ঞা ,অনুকরণীয় ধৈয্য ও
    সহনশীলতা এবং সকল বিষয়ে দক্ষতা ও
    কর্ম নৈপুন্যের বিরল ইতিহাস যিনি সৃস্টি
    করেছিলেন তিনি হলেন ভারতের
    উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বেরেলী শহরের
    মহাজ্ঞানী তথা ইসলাম সংস্কারক ইমাম
    আহমদ রেজা খান।
    আল্লামা আব্দুল হামিদ (vice chancellor
    of Al-jamia Al- nizamia,Hyderabad)আলা
    হযরত সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন “Moulana
    Ahmed Raza khan was a sword of islam and
    great commander for the cause of
    islam”.আরবের বিখ্যাত ইসলাম গবেষক ও
    মহাপন্ডিত ইব্রাহীম খলিল এবং শেখ
    মুসা আলী শামীর মন্তব্য হল “Ala Hazrat
    (Alaihir Rahma)as the Revivalist of the 14th
    century A.H,if he called Revivalist of this
    century .It will be right and true.” আলোচ্য
    প্রবন্ধে ইমাম রেজা রহমাতুল্লাহ আলায়
    এর সর্ব বিষয়ে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অনুপম
    দিকগুলি পাঠক বর্গের সামনে তুলে ধরাই
    আমার উদ্দেশ্য।এটা তাঁর বিষ্ময়কর,কর্মবহ
    ুল ও আদর্শ জীবনের পুণাংগ চিত্র না
    হলেও এর মাধ্যমে তাঁর সর্ব বিষয়ে
    দক্ষতা ও মহানুভবতার এমন এক মনোরম ও
    মমর্ষ্পশী চিত্র ফুটে উঠবে,যা সাধারণ
    বিবেক বুদ্ধির অধিকারি প্রতিটি
    মানুষকে তাঁর প্রতি সুগভীর শ্রদ্ধায়
    আভিভুত করে তুলবে। অর্ধশতাব্দী ব্যাপী
    সময়ে তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষক ও নিজ
    প্রতিভার মাধ্যমে প্রায় ১১৬ প্রকার
    বিদ্যা ও জ্ঞানের শাখায় পান্ডিত্য
    অর্জন করেন যা বিশ্ব-ইতিহাসে বিরল।
    এই ১১৬ টি জ্ঞানের শাখায় প্রায়
    ১৫০০টি পুস্তকও রচনা করেছেন। ইমাম
    আহমদ রেজা খান রহমাতুল্লাহ আলায়হের
    অর্জিত বিদ্যার কয়েকটি হল-
    ১.ইলমে কুরআন(QUARANIC SCIENCE)
    ২.ইলমে জবর(ALGEBRA)
    ৩.ইলমে কিমিয়া(CHMISTRY)
    ৪.ইলমে আরদিয়াত(GEOLOGY)
    ৫.ইলমে মাহ লিয়াত(ECOLOGY)
    ৬.ইলমে ফালসাফা(PHILOSOPHY)
    ৭.ইলমে মান তিক(LOGIC)
    ৮.ইলমে ইক তেসাদ(POLITICAL ECONOMY)
    ৯.ইলমে নাবাতাত(BOTANY)
    ১০.ইলমে হান্দাসা(GEOMETRY)
    ১১.ইলমে তবিয়ত(PHYSICS)
    ১২.ইলমে নুজুম(ASTROLOGY)
    ১৩.ইলমে মাবাদা তবিয়ত (METAPHYSICS)
    ১৪.ইলমে সাত হ(TRIGONOMETRY)
    ১৫.ইলমে রিয়াদি(AIRTHEMETIC)
    ১৬.ইলমে হেসাব(MATHEMETIC)
    ১৭.ইলমে শোহরিয়াত(CIVICS)
    ১৯.ইলমে জিগ্রফিয়া (GEOGRAPHY)
    ২০.ইলমে শায়েরী(POETRY)
    ২১.ইলমে বাঙ্কারী(BANKING)
    ২২.ইলমে ওম্রানিয়াত (SOCIOLOGY)
    ২৩.ইলমে আখলাক(ETHICS)
    ২৪.ইলমে সুলুক(COMMUNICATION) ২৫.ইলমে
    কানুন(LAW)
    ২৬.ইলমে জায়েযা(HOROSCOPY)
    ২৭.ইলমে হাওয়ালিয়াত (ZOOLOGY)
    ২৮.ইলমে ফেলিয়াত (PHYCHOLOGY)
    ২৯.ইলমে আর দে তবীয়ত (GEOLOGY)
    ৩০.ইলমে নাফাসানিয়াত (PSYCHOLOGY)
    ৩১.ইলমে সিরাত নেগারী(BIO- GRAPHY )
    ৩২.ইলমে মাআনি(RHETORIC)
    ৩৩.ইলম বায়ান(METAPHOR)
    ৩৪.ইলমে মাবাহিস(DIALECTICS)
    ৩৫.ইলমে বালাগাত(FIGURE OF SPEECH)
    ৩৬.ইলমে ফিকাহ(LAW & JURISPRUDENCE)
    ৩৭.ইলমে তাফসির(EXPLANATION)
    ৩৮.ইলমে যায়যাত(ASTRONOMI)
    ৩৯.ইলমে মোনাযারা(POLEMIC)
    ৪০.ইলমে হাদিস(TRADITION)
    ৪১.ইলমে উসুলে ফিকাহ (JURISPRUDENCE)
    ৪২.ইলমে সিরাত নেগারি (BIOGRAPHY OF
    PROPHET)
    ৪৩.ইলমে কেয়াফা(PHYSIGNOMY)
    ৪৪.ইলমে তাসাউফ (MYSTAGOLOGY)
    ৪৫.ইলমে সামারিয়াত (STATISTICS)
    ৪৬.ইলমে সাওতিয়াত (PHONOETIC)
    ৪৭.ইলমে মালিয়াত(FINANCES)
    ৪৮.ইলমে তাবাকি(GREEK- AIRTHMETIC)
    ৪৯.ইলমে তোওকীত(RECKONING)
    ৫০.ইলমে ক্বেরাত(RECITATION)
    ৫১.ইলমে কালাম(SCHOLASTIC)
    ৫২.ইলমে জারহও তাদিল (CRITICAL EXM)
    ৫৩.ইলমে আক্বায়েদ(ARTICLE OF FAITH)
    ৫৪.ইলমে আয়াম(HISTORY)
    ৫৫.ইলমে খলক্বিয়াত(CYTOLOGY)
    ইমাম আহমদ রেজা খান রহমাতুল্লাহ
    আলায়হের এতদ্বিষয়ে জ্ঞান সম্পর্কে
    পর্যালোচনা করে প্রফেসর ডঃ
    মোহাম্মদ হাসান (শায়খুল
    আদাব,ইস্লামিয়া ইউনিভার্সিটি)মন্তব্য
    করেন “Moulana was prolific writer.He wrote
    a large number of treaties.It is due to the
    fact that his head and heart had surging
    waves of knowledge which were hard to
    restrain” মাওলানা আহমদ রেজা ছিলেন
    একজন ফলপ্রসু লেখক। তিনি বিশালাকার
    প্রবন্ধ ও নিবন্ধ রচনা করেছেন।এর
    একমাত্র কারণ তাঁর মস্তক ও হৃদয় উভয়ই
    প্রচান্ডাকারে জ্ঞান পিপাসু ছিল,যা
    সংযম করা ছিল দুঃসাধ্য। বর্তমান
    আবিষ্কৃত তথ্যানুযায়ী বিভিন্ন শাখায়
    লিখিত গ্রন্থাবলীর সংখ্যা হল
    নিম্নরুপঃ
    ১.তফসিরে কোরান--১১টি
    ২.ইলমে আক্বায়েদ------------------- -----৫৪টি
    ৩.হাদিস শাস্ত্র----------------------------১৩টি
    ৪.ফেক্বা শাস্ত্র ও ফারায়েয--------
    ------------২১৪টি
    ৫.তাসাউফ,নীতি শাস্ত্র, ইতিহাস---------
    ---------১৯টি
    ৬.অন্যান্য বিজ্ঞান সংযুক্ত শাখা-----------
    -----৪০টি ৭.সাহিত্য,ব্যকরণ,অভিধান,
    ইতিহাস,পদ্য,ভ্রমণ ও অন্যান্য -৫৫টি
    ৮.মণস্তাত্বিক বিদ্যা----------------------১১টি
    ৯.জোতিষশাস্ত্র ও জোতির্বিজ্ঞান--
    ------------- ২২টি
    ১০.গণিত ও জ্যামিতি-------------------৩১টি
    ১১.তর্কশাস্ত্র------------------------- ৮টি
    ১২.দর্শন,বিজ্ঞান------------------- --৭টি
    ১৩.বীজগণীত------------------------ ৪টি
    ইমাম আহ মদ রেযা খান রহমাতুল্লাহ
    আলায়হের রচিত গ্রন্থ সমুহের মধ্যে বহুল
    পরিচত কয়েকটি হলঃ- ১. কানযুল ঈমান ~
    প্রবিত্র কুরানের উর্দু ও বাংলা ভাষায়
    বিশুদ্ধ অনুবাদ হল কানযুল ঈমান।সহজ ও
    সরল ভাষার সাথে ইসলামি আক্বিদা সহ
    এ ছাড়াও উপরিউক্ত প্রতিটি বিদ্যার
    উপর প্রায় ১৪০০ পুস্তক তিনি রচনা
    করেছেন। আফশোসের বিষয় এই বিশাল
    জ্ঞান সমুদ্রের অধিকারি এ মহামানব
    আজ আমাদের কাছে অপ রিচিত।এ
    মহামানব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
    পড়ুন “ইমাম আহমদ রেজা খান”জীবনী,
  • urse rezbi mubarak
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|