"সৌদি আরবের ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়"
আজকাল ইসলামের বিধি বিধানের কথা আসলেই কিছু
লোক বলে যেটা সৌদি আরবে নাই সেটা করবো
না। কারন কি? জানতে চাইলেই বলে ঐ দেশে
নবিজি জন্মগ্রহন করেছে তাই আমরা তাদেরকে
অনুসরন করবো। আমি তাদেরকে বলবো "সৌদি
আরবের ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়।"
আমার এই বক্তব্যের স্বপক্ষে কিছু কথা তুলে
ধরলাম।
১। পৃথিবীতে কোন দেশ ব্যক্তির নামে নাই
সৌদিআরব ব্যতীত। জাজিরাতুল আরবকে পরিবর্তন
করে আব্দুল ওয়াহাব নজদির ফতোয়াকে সামনে
রেখে আব্দুর রহমান সৌদের নামে সৌদি আরব রাখা
হয়।
২। আল্লাহর রাসুলের খেলাফতকে ভেঙ্গে
দিয়ে রাজতন্ত্র কায়েম করা হয়।
৩। ইংরেজদের সহায়তায় ক্ষমতায় আসেন বর্তমান
রাজতন্ত্র।
৪। বর্তমান রাজা বাদশাদেরর কাছে রাসুলের সুন্নত
নাই। যেমন - দাড়ি।
৫। বর্তমান বাদশাদের পূর্বপুরুষদের
পৃষ্ঠপোষকতায় জারুজ রাষ্ট্র ইজরায়েলের সৃষ্টি
হয়েছে।
৬। ১৯১৩ সালে তারা ক্ষমতায় এসে আলি, হোসাইন
(রা) কবর বুলড্রুজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হল।
জান্নাতুল বাকি, মুয়াল্লার সকল কবর ভেঙ্গে ফেলা
হল এমন কি রাসুলের কবর ভাঙ্গার জন্য মুফতি
বোর্ড বসাল কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশের
আলেমদের জন্য সফল হতে পারে নি।(তারা
কিভাবে হক হতে পারে???)
৭। বর্তমান মুসলিম বিশ্বের দুর্দিনে তাদের কোন
পদক্ষেপ নাই। অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
বন্ধুত্তের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই সৌদি আরবকে
বলা হয় দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্র।
৮। সৌদি আরবের বাদশারা ইয়াজিদকে নির্দোষ মনে
করে এবং কারবালার ঘটনার জন্য ইমাম হোসাইনকে
দায়ি করে।(তাহলে কি ভাবে তারা ইসলামের ধারক
হতে পারে????)
৯। তুর্কি খেলাফত,উমায়া খেলাফত ভেঙ্গে দিয়ে
রাসুলের জন্মস্থানে,রাসুল যেখানে শায়িত আছেন
সেখানে রাজতন্ত্র নামক কুফুরি রাষ্টব্যবস্থা চালু
করেছে(তাহলে কী ভাবে তারা ইসলামের ধারক
হতে পারে??)
১০। নিজেদের ক্ষমতা স্থায়ি করার জন্য ইরান ও
ইরাকের যুদ্ধের নেপথ্য নায়ক হিসেবে সৌদি আরব
কাজ করেছে।
তাই বলবো যাদের জন্ম হয়েছে ইংরেজদের
দালালি করে তাদের কাছে আর যাই থাক প্রকৃত ইসলাম
থাকতে পারে না।
তাই বলবো ইসলামের মাপকাঠি সৌদি আরব নয়।
ইসলামের মাপকাঠি কুরআন, হাদিস,ইজমা,কেয়াস।