বারা খানকাহে কাদেরিয়া আলিয়া দরবার শরীফে উরশ পাক উপলখ্যে সুবিশাল সুন্নি সম্মেলন।
বীরভূম জেলার নলহাটী থানার অর্ন্তগত বারা শরীফে দরগাহে দাস্তেগীর এঁর প্রতিষ্ঠাতা পীর কূলের সুফি জগতের শীরোমনি গওসুল আযম রাজিআল্লাহ তায়ালা আনহু’র বংশধর হজরত কুতুবুল আকতাব গওসুল ওলামা মওলানা পীর সৈয়দ শাহ গোলাম আলী দাস্তেগীর আলকাদেরী হজুরের প্রতিষ্ঠিত বারা খানকাহে কাদেরিয়া আলিয়া এঁর ১৪তম গদ্দীনশীন হজরত পীর সৈয়দ শাহ মহম্মদ আলী আলকাদেরী আবুল উলায়ী ছোটহুজুরের পরিচালনায় ১৩ তম গদ্দীনশীন হজরত মৌলানা আলহজ্জ সৈয়দ শাহ মইনূল হক আলকাদেরী উল চিস্তি (রহঃ)এঁর ইসালে সওয়াব ও বারা গ্রামের ৭৯জন বাকসিদ্ধ ত্রিকালজ্ঞ মহাপুরুষের স্মৃতিচারনায় ২৬তম উরশপাক ও বিশাল সুন্নি সম্মেলন নুরানী ও রুহানী জালসা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গত ২৩শে অগ্রহায়ন নির্দিষ্ট দিনে ইংরাজী ৯ই ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে। এই সম্মেলনে বাংলার বিখ্যাত মুফতি মহাদ্দিস গন উপস্থিত ছিলেন। হাজার হাজার ভক্ত ও মুরিদগনের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠান মুখরিত ছিল।
গদ্দীনশিন ছোটহুজুর পাক বলেন ইসলামের অস্থিত্ব এবং আদর্শ জানতে হলে এই মহাপুরুষের জীবনধারা দেখতে হবে। আধ্যাত্মিকতা কি জানতে হলে এই গ্রামের জীবনাদর্শ পর্যালোচনা করলে বোঝা যাবে ইসলাম শান্তির কথা বলে, প্রেম ভালবাসার বিশেষ আউলিয়া গনের মধ্যে অন্যতম হজরত পীর সৈয়দ শাহ শামসুদ্দিন উর্ফে লোহাজঙ্গ (,রহঃ) সৈয়দ শাহ ফরিদ কেরমানী (রহঃ) ও পীর মওলানা সৈয়দ শাহ মখদুম ঝুব (রহঃ) ছিলেন। কথা বলে,পারস্পারিক, সহমর্মিতা কল্যান কামনা, আসল সাম্যবাদের ব্যাখ্যা ইসলামই দিতে পারে। আত্মার বিকাশ ও পবিত্রতা তখনিই সম্ভব যখন রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহো আলাইহে ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথ অনুসরন ও নামাজ প্রতি ভক্তিও আগ্রহ প্রদর্শিত হবে। আলে রাসুলের দরবার খানকাহ শরিফে যুগে যুগে কালে কালে এই প্রচার করে আসছেন। বারা গ্রামের সরজমিনে আলোক বিকিরন করছেন অদ্যাবধি ৭৯ জন আওলিয়া। যাঁরা কাজাকিস্তান , উজবেকিস্তান, রোডেশিয়া , ইরান , ইরাক বোগদাদ সমরকন্দ বোখারা শরিফ হইতে আগমন করেছিলেন। ইসলামের পরিচয় এই মহাপুরুষগন নিজেদের জীবনধারা হতে প্রচার করেছেন।
এই পরিবারের একজন সদস্য পীরজাদা সৈয়দ শাহ এহেসান আলী আলকাদেরী বলেন এই বারা গ্রামের এই মহাপুরুষ গন ভারতবর্ষের সুফি আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকার ছাপ রেখেছিলেন। সুফি সাধকের সান্নিধ্যে মানুষ মনের হিংস্রতা ভূলে সংশোধিত মানবিকতা সম্পন্ন মনুষত্বের গূঢ়্ তত্ব শিখ্যা পেয়ে আসছেন।