️এক মুসলমান অন্য মুসলমানের সাথে সাক্ষাতে মুআনাকা করার ফজিলত,,,
ইসলামে একটি অভিবাদন মূলক শিষ্টাচার হলো মুআনাকা। মুআনাকা অর্থ কাঁধে কাঁধ মিলানো। বাংলাতে আমরা গলাগলি বা কোলাকুলি বলে থাকি। সালাম ও মুসাফাহার মত মুআনাকাও মুহাব্বত ও ভালবাসার মাধ্যম। তবে তা শরীয়তের নিয়মানুযায়ী হতে হবে।
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ যখন একে অন্যের সাথে মিলিত হতেন তখন পরস্পরে মুসাফাহা করতেন। আর সফর থেকে ফিরে আসলে পরস্পরে মুআনাকা করতেন।
দেখুন,,
তিরমিজি শরীফ
ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে মুরসালরূপে বর্ণিত, হযরত জাফর ইবনে আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু যখন হাবশা থেকে প্রত্যাবর্তন করেন তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে মুআনাকা করেন এবং কপালে চুম্বন করেন।
দেখুন,,
আবুদাউদ শরীফ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যতম গুন হলো সাক্ষাতের সময় নিজের চেহারা ঐ সময় পর্যন্ত ফিরাতেন না যতক্ষণ পর্যন্ত সাক্ষাতকারী ব্যক্তি নিজেই নিজের চেহারা না ফিরাত। এটা সুন্নাত। তবে যদি কোথাও অপারগ হয়ে যায় তাহলে অন্য কথা।
দেখুন,,,
ইসলাহী খুতবাত-৬/১৫৫,১৬৬
মুআনাকার সময় দোয়া পড়ার কথা বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত আছে। দোয়াটি হলো,,,
‘আল্লাহুম্মা যিদ মুহাব্বতী লিল্লাহী ওয়া রাসূলিহি’
আর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের মাঝে আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্য ভালবাসা সৃষ্টি করে দাও।
হাদীসে বর্ণিত আছে, সাত ধরনের ব্যাক্তিকে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা আরশের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। তার মধ্যে ঐ ব্যক্তিরাও অর্ন্তভূক্ত যারা পার্থিব কোন প্রয়োজন ব্যতিত শুধুমাত্র আল্লাহ ও তার জন্য পরস্পরকে ভালবাসে।
পারস্পরিক সাক্ষাতের ইসলামী বিধানাবলী শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে যাদের সাথে সাক্ষাত করার ব্যাপারে শরীয়তে বৈধতা দিয়েছে। বেগানা নারী-পুরুষের মাঝে এই সকল বিধানাবলী প্রয়োগের কোন সুযোগ নেই।
মুআনাকার উদ্দেশ্যই হলো আল্লাহ ও তার রসূলের জন্য পরস্পরের মাঝে ভালবাসা সৃষ্টি করা। যাতে আমরাও কেয়মতের দিন আরশের নিচে আশ্রয় প্রাপ্তদের অর্ন্তভুক্ত হতে পারি।
ইসলামের শাশ্বত বাণী সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সকল মুমিন মুসলমানের দায়িত্ব। সুতরাং শেয়ার ভুলবেন না।
আল্লাহ তা'য়ালা আপনাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দিন..... আমিন