★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
লা-মাযহাবীদেরকে ওয়াহাবি কেন বলা হয়? - Ja-al-haq Discussions on

লা-মাযহাবীদেরকে ওয়াহাবি কেন বলা হয়?

শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা যতই করা হোক না কেন, মাছ কিন্তু বেরিয়ে আসে। 
ওদেরকে ওয়াহাবী বললে ওরা সহ্য করতে পারেনা। দীলে অশান্তি পয়দা হয়। আর সে অশান্তিকে শান্তিতে রূপ দিতে তারা দুটি যুক্তি দাঁড় করে থাকে।
চলুন, দেখে নেই- যুক্তি দুটি কী? তার সাথে জবাবগুলো ও কী? তাও একটু চোখ বুলিয়ে নেই। 
( লেখাটি শেয়ার করবেন- এমন আশা করছি।) 

যুক্তিঃ এক
_______________________________________
ওয়াহাবী বলে কাউকে গালি দেয়া ঠিক নয়। কারণ ওয়াহহাব হচ্ছে আল্লাহর নাম। আল্লাহর নাম নিয়ে কটুক্তি করা কোন ভাবেই উচিত নয়।

প্রথম জবাবঃ
______________________________________________
আমরা লা মাযহাবীদেরকে ওয়াহাবী বলে থাকি তাদের গুরু মুহাম্মাদ বিন আব্দিল ওয়াহহাব নজদীকে লক্ষ্য করে। আল্লাহর নাম হিসেবে নয়। এমন কোন প্রমান কেউ দিতে পারবেনা যে কেউ আল্লাহর নামের প্রতি লক্ষ্য করে ওয়াহাবী বলে থাকে। তাছাড়া আল্লাহর অন্য যে কোন নামকে লক্ষ্য করে এমন ভাবে কাউকে পরিচয় দেয়ার কোন দৃষ্টান্ত নেই। তাহলে ওয়াহহাবী বলতে কী বুঝানো হয়, তা আশা করি পরিস্কার হয়ে গেলো। এটা মুহাম্মাদ বিন আব্দিল ওয়াহাব নজদি নামক খ্রীস্টানদের এজেন্ট ও তার ভক্তদের চিহ্নিত করতে বলা হয়ে থাকে। 

দ্বিতীয় জবাবঃ
____________________________________
প্রথম জবাবে যা বলা হলো, তার সোজা সাক্ষী হচ্ছে লামাযহাবীদের আরেক বড় শায়েখ বিন বায। তাকে ঠিক এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখন তিনি জবাব দিয়েছিলেন,                                                          هذا اللقب،هو نسبة إلى الشيخ الإمام محمد بن عبد الوهاب
তিনি বলতে চেয়েছেন যে, (ওয়াহাবী) এ উপাধিটি মুহাম্মাদ বিন আব্দিল ওয়াহাব এর প্রতি নিসবত বা সম্পর্কিত করে বলা হয়ে থাকে।
রেফারেন্সঃ
মাজমু উ ফাতাওয়াঃ নবম খন্ড। 

লক্ষ্যণীয়,
________________________________
বিন বাযের কথা থেকে দুটু জিনিস পরিস্কার হয়ে গেলঃ
১/ এখানে ‘ওয়াহহাব’ আল্লাহর নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়না, বরং একটি লকব বা উপাধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 
২/ ওয়াহহাব নামক এ উপাধীটি মুহাম্মাদ বিন আব্দিল ওয়াহাব নজদীকে পরিচয় দিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ব্যস, খালাস। 

তৃতীয় জবাবঃ
__________________________________
আপনি অবাক হবেন, লা-মাযহাবীরা তাদের পরিচয় দিতে নিজেরাই ওয়াহাবী শব্দটি ব্যবহার করেছে!!
প্রমাণঃ
তারা বিভিন্ন কিতাব লিখেছে যেখানে তাদের পরিচয় দিতে গিয়ে তারা নিজেরাই ওয়াহাবী শব্দটি লাগিয়েছে।
কিতাবগুলোর নাম উল্লেখ করছি-
১/ “আল ফাসলুল হাসিমি বাইনাল ওয়াহাবিয়্যীনা ওয়া মুখালিফীহিম”- লিখেছেন ওয়াহাবীদের অন্যতম এক নেতা আব্দুল্লাহ আল কুসাইমী। 
 উনি ওয়াহাবীদের সাফাই গাইতে গিয়ে আবার আরেকটি কিতাব লিখেছিলেন, যার নাম হচ্ছে-
‘আস সাওরাতুল ওয়াহাবিয়্যাহ’।
দেখুন দুটি কিতাবের নামের মধ্যেই কিন্তু ওয়াহাবি শব্দটি ব্যবহার করে তাদের পরিচয় পেশ করেছে। 

২/ ‘আল হাদিয়্যাতুস সানিয়্যাতু ওয়াত তুহফাতুল ওয়াহাবিয়্যাতুন নাজদিয়্যাতু’—আরেকটি কিতাবের নাম, যেখানে সরাসরি ওয়াহাবী লেখক নিজেদের পরিচয় দিতে গিয়ে ওয়াহহাব শব্দটি ব্যবহার করেছে। কিতাবটি লিখেছেন, লা মাযহাবী ওয়াহাবীদের এক বড় শায়েখ সুলাইমান বিন সামহান।
৩/ ‘আসারুদ দা’ওয়াতিল ওয়াহহাবিয়্যাতি’- লিখেছেন আরেক ওয়াহাবী শায়েখ মুহাম্মাদ হামিদ।
৪/ ‘আল ওয়াহহাবিয়্যূনা ওয়াল হিজাযু’- কিতাবটি লিখেছেন- মুহাম্মাদ রাশীদ রিদা।

হ্যাঁ, এবার বলুন, এই দুস্টদেরকে কী বলা যায়?

যুক্তিঃ দুই  
_______________ 
ওয়াহাবীরা বলে থাকে, ওরে বোকা, উনার নাম হচ্ছে মুহাম্মাদ বিন আব্দিল ওয়াহহাব, মানে উনার মূল নাম হচ্ছে মুহাম্মাদ। বাবার নাম আব্দুল ওয়াহহাব। আরে বোকা, তোমরা ওয়াহাবী ডাকছো কাকে? একান্তই যদি ডাকতে হয়, তবে মুহাম্মাদী বলে ডাকো। মুহাম্মাদ থেকে মুহাম্মাদী। তার নিজের নাম বাদ দিয়ে তার বাবার নাম নিয়ে লাফালাফি করছো কেন? আসলে তোমরা কী বলছ, তা নিজেরাও বুঝোনা। 

উপযুক্ত  জবাবঃ 
__________________________________
সরি, আমরা ঠিকই আছি। হে ওয়াহাবী, তোমার ভেতরে যত সব শয়তানী। দাঁড়াও দেখিয়ে দিচ্ছি। 

হে ওয়াহাবী,
____________________ 
শাফেয়ী মাযহাবের নাম শুনেছো? ইমাম শাফেয়ীর নাম জানো? বলতো, উনাকে শাফেয়ী বলা হয় কেন? উনার নাম তো মুহাম্মাদ বিন ইদ্রীস আশ শাফেয়ী। তোমরা যেভাবে বলছো, তাতে তো উনাকে ইমাম শাফেয়ী না বলে ইমাম মুহাম্মাদ বলে ডাকার কথা ছিল। বা মুহাম্মাদী মাযহাব বলা হয় না কেন? উনার দাদার নামে তাকে বা উনার মাযহাবের পরিচয় দেয়া হয় কেন? 

  
হে ওয়াহাবী,
________________________ 
হাম্বালী মাযহাবের নাম শুনেছো? মাযহাবটিকে হাম্বালী মাযহাব বলা হয় কেন? মাযহাবটির মূল ব্যক্তি হলেন, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বাল। হাম্বালী তো হাম্বাল থেকে এসেছে। হাম্বাল কে? ইমাম আহমাদের দাদা। তো তোমরা যেভাবে বলছো, তাতে তো মাযহাবের নাম হওয়া উচিত ছিল ইমাম আহমাদের নাম অনুসারে, অর্থাৎ আহমাদী মাযহাব, তাই নয় কি? কিন্তু তা না হয়ে দাদার নাম দিয়ে মাযহাবটিকে হাম্বালী মাযহাব বলা হয় কেন? 

হে ওয়াহাবী,
_________________  
মাথায় কি  এবার কিছু ঢুকলো?

Visit করুন www.yanabi.in এ
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|