★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
তাওহীদ বিষয়ক প্রশ্নঃ উত্তর - Al-Quran & Hadess Discussions on

তাওহীদ বিষয়ক প্রশ্নঃ উত্তর

edited March 2017 in Al-Quran & Hadess
*১- আমল ছাড়া ঈমান কি কোনো কাজে আসবে?

#একজন মুমিনের ভেতর অবশ্যই ঈমান এবং আমল উভয়ের সমন্বয় থাকতে হবে। প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿ وَمَن يَأۡتِهِۦ مُؤۡمِنٗا قَدۡ عَمِلَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فَأُوْلَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱلدَّرَجَٰتُ ٱلۡعُلَىٰ ٧٥ ﴾ [طه: ٧٥] 

“আর যারা ঈমানদার হয়ে এবং সৎকর্ম করে তাঁর কাছে হাযির হবে, তাদের জন্যই রয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা” (ত্ব-হা ৭৫)। উক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশের জন্য ঈমান এবং আমল উভয়ের শর্তারোপ করেছেন।

*২- মানুষ কি বাধ্যগত নাকি সাধীন জীব?*
----
# এ দু’টিই ভুল। কুরআনুল কারীম ও সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী প্রমাণিত হয়, মানুষের ইচ্ছাশক্তি রয়েছে এবং সে তার ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই আমল করে থাকে। তবে এসবকিছুই আল্লাহ্‌র ইলম এবং ইচ্ছার অধীন। এরশাদ হচ্ছে,

﴿لِمَن شَآءَ مِنكُمۡ أَن يَسۡتَقِيمَ ٢٨ وَمَا تَشَآءُونَ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢٩ ﴾ [التكوير: ٢٨،  ٢٩] 

“(এই উপদেশ) তার জন্য, তোমাদের মধ্যে যে সরল পথে চলতে চায়। তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছার বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না” (তাকভীর ২৮-২৯)

 *৩-আল্লাহ্‌র অলী হওয়ার বিষয়টি কি শুধু কতিপয় মুমিনের সাথে নির্দিষ্ট নাকি সকল মুমিনের ক্ষেত্রেই তা সম্ভব?* 

#প্রত্যেক প্রকৃত মুমিন-মুত্তাক্বী ব্যক্তিই আল্লাহ্‌র অলী। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ أَلَآ إِنَّ أَوۡلِيَآءَ ٱللَّهِ لَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ ٦٢ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَكَانُواْ يَتَّقُونَ ٦٣ ﴾ [يونس: ٦٢،  ٦٣]

“মনে রেখো, যারা আল্লাহ্‌র অলী, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। তারা হচ্ছে, যারা ঈমান এনেছে এবং তাক্বওয়া অর্জন করেছে” (ইউনুস ৬২-৬৩)। আর তাক্বওয়া হচ্ছে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। অতএব, আল্লাহ্‌র অলী হওয়ার বিষয়টি সকল মুমিন নর-নারীর জন্য উন্মুক্ত; বিশেষ কারো জন্য তা নির্দিষ্ট নয়।

*৪- শির্ক কত প্রকার?* 

শির্ক দুই প্রকার। যথাঃ

১. বড় শির্কঃ যেমন: মৃত ব্যক্তির নিকট সাহায্য চাওয়া, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ বাস্তবায়নে অক্ষম- এমন কোনো বিষয়ে অন্যের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, আল্লাহ ছাড়া অন্যের উপর ভরসা করা, আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উদ্দেশ্যে যবেহ করা ইত্যাদি। শির্কের গোনাহ আল্লাহ ক্ষমা করেন না। আল্লাহ বলেন,

﴿ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ﴾ [النساء: ٤٨]

“নিশ্চয়ই আল্লাহ শির্কের গোনাহ ক্ষমা করেন না” (নিসা ১১৬)। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ لَقِىَ اللَّهَ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَقِيَهُ يُشْرِكُ بِهِ دَخَلَ النَّارِ»

“যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাথে শির্ক না করে মৃত্যুবরণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাথে শির্ক করে মৃত্যুবরণ করবে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে” (মুসলিম)।

২. ছোট শির্কঃ যেমন: লোক দেখানো ইবাদত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ " قَالُوا: وَمَا الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ يَا رَسُولَ اللهِ ؟ قَالَ: " الرِّيَاءُ»

“যে বিষয়ে আমি তোমাদের উপরে সবচেয়ে বেশি ভয় করি, তা হল ছোট শির্ক”। ছাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! ছোট শির্ক কি? তিনি বললেন, “ছোট শির্ক হচ্ছে লোক দেখানো ইবাদত” (মুসলিম)। অনুরূপভাবে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করাও ছোট শির্কের অন্তর্ভুক্ত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ كَفَرَ أَوْ أَشْرَكَ»

“যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করে, সে কুফরী করে অথবা শির্ক করে” (তিরমিযী)।

*৫-সাফা‘আত কত প্রকার?* 

শাফা‘আত দুই প্রকারঃ

১. কিয়ামত দিবসের শাফা‘আতঃ যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে চাওয়া যাবে না। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ جَمِيعٗاۖ ﴾ [الزمر: ٤٤]   

“বলুন, সমস্ত সুপারিশ আল্লাহরই ক্ষমতাধীন” (যুমার ৪৪)। এই প্রকার শাফা‘আতের দু‘টি শর্ত রয়েছেঃ

ক. আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে শাফা‘আতকারীর জন্য শাফা‘আত করার অনুমতি থাকতে হবে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ﴾ [البقرة: ٢٥٥]    

“কে আছ এমন, যে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করবে?” (বাক্বারাহ ২৫৫)।

খ. যার জন্য শাফা‘আত করা হবে, তার উপর আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি থাকতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿وَلَا يَشۡفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ٱرۡتَضَىٰ﴾ [الانبياء: ٢٨]   

“তারা শুধুমাত্র তাদের জন্য সুপারিশ করে, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট” (আম্বিয়া ২৮)। সুতরাং কিয়ামত দিবসে কেউ যদি তার নিজের জন্য শাফা‘আত কামনা করে, তাহলে সে যেন একমাত্র আল্লাহ্‌র কাছে তা প্রার্থনা করে; অন্য কারো কাছে নয়। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِذَا سَأَلْتَ فَاسْأَلِ اللَّهَ»

“তুমি যখন চাইবে, তখন আল্লাহ্‌র কাছেই চাও” (তিরমিযী)। সেজন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে প্রার্থনা করা যাবে: হে আল্লাহ! আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর, যাদের জন্য কিয়ামত দিবসে শাফা‘আত করা হবে অথবা হে আল্লাহ! কিয়ামত দিবসে আপনি আমার ভাগ্যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শাফা‘আত নছীব করুন। তবে নিম্নোক্তভাবে প্রার্থনা করা হারাম: হে রাসূল! আপনি আমার জন্য কিয়ামতের দিন শাফা‘আত করুন।

২. দুনিয়ার জীবনে মানুষের পরস্পরের মধ্যে শাফা‘আতঃ এই প্রকার শাফা‘আত ভাল কাজের জন্য হলে মোস্তাহাব আর মন্দ কাজের জন্য হলে হারাম। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿مَّن يَشۡفَعۡ شَفَٰعَةً حَسَنَةٗ يَكُن لَّهُۥ نَصِيبٞ مِّنۡهَاۖ وَمَن يَشۡفَعۡ شَفَٰعَةٗ سَيِّئَةٗ يَكُن لَّهُۥ كِفۡلٞ مِّنۡهَاۗ﴾ [النساء: ٨٥]   

“যে ব্যক্তি সৎকাজের জন্য কোন সুপারিশ করবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, সে তার বোঝারও একটি অংশ পাবে” (নিসা ৮৫)।

*৬- বান্দার কাজ-কর্ম কি আল্লাহ্‌র সৃষ্টি?* 

হ্যাঁ, বান্দার কাজ-কর্ম একদিকে যেমন আল্লাহ্‌র সৃষ্টি, অন্যদিকে তেমনি তা বান্দার অর্জন। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖۖ ﴾ [الزمر: ٦٢]   

“আল্লাহই সবকিছুর স্রষ্টা” (যুমার ৬২)। অতএব, মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ ভাল-মন্দ দু’টিই সৃষ্টি করেছেন। আর বান্দার কাজ-কর্ম যে তার নিজস্ব উপার্জন, তার দলীল হচ্ছে,

﴿لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ﴾ [البقرة: ٢٨٦]   

“সে তাই পায়, যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায়, যা সে করে” (বাক্বারাহ ২৮৬)।

*৭- জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার আগে বা পরে তা থেকে বাঁচার উপায় কি?* 
 
সকাল এবং সান্ধ্যকালীন যিকর-আযকারের প্রতি যত্নশীল হওয়া। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়তে হবে,

«بِسْمِ اللَّهِ الَّذِى لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِى الأَرْضِ وَلاَ فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ»

“আল্লাহ্‌র নামে শুরু করছি, যার নামে শুরু করলে আসমান ও যমীনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞ”। আরো পড়তে হবে,

«أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ»

“আমি আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালিমা দ্বারা তার সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”

সন্তান-সন্ততির জন্য এই দো‘আ পড়তে হবে,

«أُعِيذُكُمْ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ»

“আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালিমা দ্বারা প্রত্যেকটি শয়তান, ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ এবং কুনযর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”

এছাড়া সকাল-সন্ধ্যায় সূরা এখলাছ, সূরা ফালাক্ব এবং সূরা নাস তিনবার করে পড়তে হবে। আর রাতে আয়াতুল কুরসী এবং সূরা বাক্বারাহ্‌র শেষ আয়াত দু’টি পড়তে হবে।

আর জাদুতে আক্রান্ত হলে সাথে সাথে এ মর্মে কুরআনুল কারীম ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আয়াত এবং দো‘আসমূহ পড়তে হবে।

*৮-দো‘আ কি ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত?* 

দো‘আ শুধু ইবাদতের অন্তর্ভুক্তই নয়, বরং তা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতসমূহের অন্যতম। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ وَقَالَ رَبُّكُمُ ٱدۡعُونِيٓ أَسۡتَجِبۡ لَكُمۡۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَسۡتَكۡبِرُونَ عَنۡ عِبَادَتِي سَيَدۡخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ ٦٠ ﴾ [غافر: ٦٠] 

“আর তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। নিশ্চয়ই যারা আমার ইবাদতের ক্ষেত্রে অহংকার করে, তারা অচিরেই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে” (গাফির ৬০)।

তাছাড়া হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ

“দো‘আই হচ্ছে ইবাদত” (তিরমিযী, শায়খ আলবানী হাদীসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন)।

*৯-খিজির কি এখনো জীবিত?* 

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে প্রেরিত হওয়ার আগেই খিযির মারা গেছেন। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন,

﴿ وَمَا جَعَلۡنَا لِبَشَرٖ مِّن قَبۡلِكَ ٱلۡخُلۡدَۖ أَفَإِيْن مِّتَّ فَهُمُ ٱلۡخَٰلِدُونَ ٣٤ ﴾ [الانبياء: ٣٤]

“আপনার পূর্বে কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে?” (আম্বিয়া ৩৪)।

আর যদি তিনি জীবিত থাকতেন, তাহলে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করতেন এবং তাঁর সাথে জিহাদে শরীক হতেন। কেননা আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল মানুষ এবং জিন জাতির নিকট প্রেরিত হয়েছিলেন। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ قُلۡ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنِّي رَسُولُ ٱللَّهِ إِلَيۡكُمۡ جَمِيعًا﴾ [الاعراف: ١٥٨]    

“বলুন, হে মানবমণ্ডলী! তোমাদের সবার নিকটে আমি আল্লাহ প্রেরিত রাসূল” (আ'রাফ ১৫৮)।

ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবনের শেষাংশে একবার আমাদেরকে নিয়ে এশার ছালাত আদায় করলেন। তিনি সালাম ফিরে উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেনঃ

«أَرَأَيْتُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ فَإِنَّ عَلَى رَأْسِ مِائَةِ سَنَةٍ مِنْهَا لاَ يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ أَحَدٌ»

“তোমরা আজকের রাত সম্পর্কে কিছু জানো কি? (মনে রেখো) বর্তমানে যারা ভূ-পৃষ্ঠে রয়েছে, তাদের কেউ এই রাত থেকে নিয়ে একশত বৎসরের মাথায় বেঁচে থাকবে না” (বুখারী ও মুসলিম)। উক্ত হাদীসও প্রমাণ করে যে, খিযির মৃত্যুবরণ করেছেন। অতএব, তিনি কারো ডাকে সাড়া দেন না এবং কাউকে পথ প্রদর্শনও করেন না।

*১০-নাম রাখার ক্ষেত্রে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দিকে আরবী ‘আবদ’ (দাস) শব্দের সম্বন্ধ যেমনঃ আব্দুন্নবী, আব্দুল হুসাইন ইত্যাদি বৈধ হবে কি?* 

#নাম রাখার ক্ষেত্রে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দিকে আরবী ‘আবদ’ (দাস) শব্দের সম্বন্ধ হারাম হওয়ার বিষয়ে ইমামগণ একমত পোষণ করেছেন। তাঁদের মতে, এই ধরনের নাম পরিবর্তন করা ওয়াজিব। কেননা ঐ নামগুলির অর্থ হচ্ছে, নবীর বান্দা, হুসাইনের বান্দা। আর মানুষ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো বান্দা হতে পারে না।

উল্লেখ্য যে, আল্লাহ্‌র কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হচ্ছে, আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান- যার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ্‌র বান্দা ও রহমানের বান্দা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَحَبُّ الأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ»

“আল্লাহ্‌র কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হচ্ছে আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান” (মুসলিম)। তবে মৃত ব্যক্তিদের নাম পরিবর্তন করতে হবে না।

Visite করুন www.yanabi.in এ

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|