★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
(প্রসঙ্গ সাহাবীদের সমালোচনা করা নিষেধ) - Ja-al-haq Discussions on

(প্রসঙ্গ সাহাবীদের সমালোচনা করা নিষেধ)

edited March 2017 in Ja-al-haq
আজকাল আহলে বায়াত ও
গুরুবাদী নামে কিছু ভন্ড আছে
যারা সাহাবীদের শানে
সমালোচনা থেকে শুরু করে
সাহাবীদের গাল মন্দ করে
থাকে তারা যে ভ্রান্ত তা এ
হাদীস থেকে পরিষ্কার হয়ে
গেল বর্তমান আমাদের দেশে
কিছু পীরদের দরবারে এই জগন্যতম
আকীদা তারা অন্তরে পোষণ
করে নিয়েছে যা আমাদের
সাধারণ মুসলিমগণ দিন দিন
শিয়াদের আকীদায় অর্ন্তভুক্ত
হচ্ছে আর সেই পীর নামক ভন্ডরা
সাধারণ মুসলিমদের মুরীদ করে
তাদের অন্তরে সাহাবীদের
ভালবাসাকে অসম্মান করছে
তারা মাওলা আলী (রা:)প্রতি
এতই দরদ ভালবাসা দেখায় যে
মনে হচ্ছে পৃথিবীতে আর কোন
মুসলিম আহলে বাইতে
ভালবাসে না...এই
আকাদীধারী যত দরবার এবং
মুসলিম পাবেন তাদের কাছ
থেকে দুরে সড়ে থাকুন এবং
অপরকে রাখতে এই পোষ্টটি
শেয়ার করুন....
কোরআনের আলোকে সাহাবা-ই
কেরামের মর্যাদা
মহান আল্লাহ পাক প্রিয় নবী
রসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র প্রিয়
সহচর সাহাবা-ই কেরামকে যে
মযার্দার আসনে আসীন
করেছেন,পৃথিবীর ইতিহাসে তা
সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। বহু আয়াত ও
হাদীস শরীফ দ্বারা তাঁদের
মযার্দা প্রকাশ পায় । নিম্নে
কতিপয় আয়াত উপস্থাপনের
প্রয়াস পাচ্ছি ।
মহান মহান আল্লাহ তা’আলা
ইরশাদ করেন –
ﻟَﺎ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣَّﻦْ ﺃَﻧﻔَﻖَ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻞِ ﺍﻟْﻔَﺘْﺢِ ﻭَﻗَﺎﺗَﻞَ
ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﺃَﻋْﻈَﻢُ ﺩَﺭَﺟَﺔً ﻣِّﻦَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧﻔَﻘُﻮﺍ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪُ
ﻭَﻗَﺎﺗَﻠُﻮﺍ ﻭَﻛُﻠًّﺎ ﻭَﻋَﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ
অর্থাৎ,তোমাদের মধ্যে সমান নয়
ঐসব লোক যারা মক্কা বিজয়ের
পূর্বে ব্যয় ও জিহাদ করেছে,
তারা মর্যাদায় ঐসব লোক
অপেক্ষা বড়, যারা মক্কা
বিজয়ের পর আল্লাহর রাস্তায় ব্যয়
ও জিহাদ করেছে এবং তাদের
সবার সাথে আল্লাহ জান্নাতের
ওয়াদা করেছেন । [সূরা হাদীদঃ
আয়াত ১০]
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻗِﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢْ ﺁﻣِﻨُﻮﺍ ﻛَﻤَﺎ ﺁﻣَﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺃَﻧُﺆْﻣِﻦُ
ﻛَﻤَﺎ ﺁﻣَﻦَ ﺍﻟﺴُّﻔَﻬَﺎﺀُ ۗ ﺃَﻟَﺎ ﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻫُﻢُ ﺍﻟﺴُّﻔَﻬَﺎﺀُ ﻭَﻟَٰﻜِﻦْ ﻟَﺎ
ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
অর্থাৎ, যখন তাদেরকে বলা হয়,
ঈমান আন,যেমন অপরাপর
লোকেরা ঈমান এনেছে’, তখন
তারা বলে আমরা কি
নির্বোধদের মত ঈমান আনব?
শুনছো ! তারাই হলো নির্বোধ,
কিন্তু তারা জানেনা । [সূরা
বাকারাঃ আয়াত ১৩]
এ আয়াতে এটাই বলা হয়েছে
যে, যার ঈমান সাহাবা-ই
কেরামের ঈমানের মত নয়, সে
মুনাফিক এবং বড় বোকা । এ
আয়াতসমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়
যে, কোন সাহাবী ফাসিক বা
কাফির হতে পারেন না এবং
সকল সাহাবীর জন্য আল্লাহ
তা’আলা জান্নাতের ওয়াদা
করেছেন । এটাও প্রমাণিত হল
যে, নেক্কার বান্দাদের মন্দ বলা
মুনাফিকদের কুপ্রথা । যেমন-
রাফেযী (শিয়া) সম্প্রদায়
সাহাবা-ই কেরামকে
খারেজীগণ ‘আহলে বায়তকে,
গা্য়রে মুক্বাল্লিদগণ ইমাম আবু
হানিফাকে এবং ওহাবীগণ
আল্লাহর প্রিয় ওলীদেরকে মন্দ
বলে।
হাদীসের আলোকে সাহাবা-ই
কেরামের মর্যাদা
সাহাবা-ই কেরামের ফযিলত
সম্পর্কে অনেক হাদীস শরীফ
বর্ণিত আছে । তন্মধ্যে কয়েকটি
এখানে উদ্ধৃত হল –
ﻋﻦ ﺍﺑﯽ ﺳﻌﯿﺪ ﺍﻟﺨﺪﺭﯼ ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﺗﻌﺎﻟﯽ ﻋﻨﮧ
ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﮧ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﻻ
ﺗﺴﺒﻮﺍ ﺍﺻﺤﺎﺑﯽ ﻓﻠﻮ ﺍﻥّ ﺍﺣﺪﮐﻢ ﺍﻧﻔﻖ ﻣﺜﻞ ﺍﺣﺪ
ﺫﮬﺒﺎ ﻣﺎ ﺑﻠﻎ ﻣﺪّ ﺍﺣﺪﮬﻢ ﻭﻻ ﻧﺼﻔﮧ -
অর্থাৎ,হযরত আবু সাঈদ খুদরী
রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর
থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,নবী
করীম সাল্লাল্লাহু আলাহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন
-“আমার কোন সাহাবীকে মন্দ
বলনা । তোমাদের কেউ যদি উহুদ
পর্বততূল্য স্বর্ণও খয়রাত করে,তবুও
তাঁদের সোয়া সের যব সদ্কা
করার সমানও হতে পারেনা;বরং
এর অর্ধেকেরও বরাবর হতে
পারেনা ।” [বুখারীঃ১ম খন্ড-৫১৮
পৃষ্ঠা,তিরমিযীঃ২য় খন্ড-২২৫
পৃষ্ঠা]
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﮧ ﺑﻦ ﺍﻟﻤﻐﻔﻞ ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﮧ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﯽ ﺍﺻﺤﺎﺑﯽ ﻻ
ﺗﺘﺨﺬﻭ ﺍﻧﺘﻢ ﻋﺮﺿﺎ ﻣﻦ ﺑﻌﺪﯼ ﻓﻤﻦ ﺍﺣﺒﮭﻢ ﻓﺒﺤﺒﯽ
ﺍﺣﺒﮭﻢ ﻭﻣﻦ ﺍﺑﻐﻀﮭﻢ ﻓﺒﺒﻐﻀﯽ ﺍﺑﻐﻀﮭﻢ –
অর্থাৎ,হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে
মুগাফফাল রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন , হুজুর আকরাম
সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন –
“আমার সাহাবীদের ব্যাপারে
আল্লাহকে ভয় কর , তাঁদেরকে
ভৎর্সনা ও বিদ্রূপের লক্ষ্যবস্তুতে
পরিণত কর না। যে আমার
সাহাবীকে মহব্বত করল,সে আমার
মুহাব্বতে তাঁদেরকে মুহাব্বত করল
এবং যে তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ
পোষণ করল, সে আমার প্রতি
বিদ্বেষ পোষণের কারনে
তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ
করল”। [তিরমিযি শরীফ,২য়-২২৫]
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﺗﻌﺎﻟﯽ ﻋﻨﮧ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﮧ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠّﻢ ﺍﺫﺍ ﺭﺍﯾﺘﻢ
ﺍﻟﺬﯾﻦ ﯾﺴﺒّﻮﻥ ﺍﺻﺤﺎﺑﯽ ﻓﻘﻮﻟﻮﺍ ﻟﻌﻨۃ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯽ
ﺷﺮّﮐﻢ -
অর্থাৎ, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর
রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুমা
হতে বণির্ত, তিনি বলেন, হুজুর
আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- “যখন
তোমরা এ ধরনের লোক দেখবে,
যারা আমার সাহাবীকে মন্দ
বলে, তখন তাদের উদ্দেশে বলে
দাও, তোমাদের অনিষ্টের উপর
আল্লাহর অভিশাপ হোক”।
[তিরমিযী ২য় খন্ড-২২৫ পৃঃ]
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু
নাম: ‘আলী’, উপনাম- ‘আবুল
হাসান’, উপাধি-‘আসাদুল্লাহ’।
পিতা – ‘আবু তালেব’। বাল্যকাল
থেকে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু রাসূলে পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামা’র তত্ত্বাবধানে
বড় হন। সম্পর্কের দিক থেকে
তিনি প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামা’র
চাচাতো ভাই এবং হুজুরের কন্যা
হযরত ফাতিমা যাহরা
রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা’র
স্বামী ছিলেন। তিনিই
কিশোরদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম
ধর্ম গ্রহণ করেন। তাবুক অভিযান
ব্যতীত সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে
তিনি বীরত্ত্বের পরিচয় দেন। ৩৫
হিজরী সনের ২৪ যিলহজ্ব তিনি
ইসলামের ৪র্থ খলীফা হিসেবে
দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি
জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাগর, জ্ঞান
শহরের প্রধান ফটক এবং
বেলায়েতের সম্রাট হিসেবে
খ্যাত। আহলে বায়তের অন্যতম সদস্য
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহুর ব্যাপারে পবিত্র
কোরআনে মহান আল্লাহ এরশাদ
করেন-
ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨْﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ
ﻭَﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ ﺗَﻄْﻬِﻴﺮﺍً
অর্থাৎ, “হে নবীর পরিবারবর্গ!
আল্লাহ তো এটাই চান যে,
তোমাদের থেকে প্রত্যেক
অপবিত্রতা দূরীভূত করে দেবেন
এবং তোমাদেরকে পবিত্র করে
খুব পরিচ্ছন্ন করে দেবেন”। [সূরা
আহযাব-৩৩]
এ প্রসঙ্গে স্বয়ং নবী করীম
সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন –
ﻻ ﯾﺤﺐّ ﻋﻠﯿﺎً ﻣﻨﺎﻓﻖ، ﻭ ﻻ ﯾﺒﻐﻀﻪ ﻣﻮﻣﻦ
অর্থাৎ, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহুকে মুনাফিক্ব
ভালবাসবেনা এবং কোন মু’মিন
আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা
আনহুকে ঘৃণা করতে পারেনা।
[মুসনাদে আহমদ]
গদীরে খুম-এ ,রাসূলে আকরাম
সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি
ওয়াসাল্লাম মাওলা আলীর হাত
তুলে ধরে ইরশাদ করেন –
ﻣﻦ ﮐﻨﺖ ﻣﻮﻻﮦ ﻓﻌﻠﯽ ﻣﻮﻻﮦ
অর্থাৎ, “আমি যার মাওলা
আলীও তার মাওলা”। [তিরমিযী
শরীফ ২১৩-২১৪ পৃঃ]
উল্লেখ্য, শিয়াগণ এ হাদীসের
অপব্যাখ্যা করেও নানা
বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে।
তারা এর অপব্যাখ্যার
ভিত্তিতে হযরত আবু বকর
সিদ্দীক্ব , হযরত ওমর ও হযরত ওসমান
রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুম’র
খিলাফতকে অস্বীকার করে।
তারা ‘মাওলা’ মানে বলে
আমীর, ইমাম বা খলীফা।কিন্তু
এটা তাদের মনগড়া ও
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জঘন্য ভুল
ব্যাখ্যা। এখানে ‘মাওলা’ মানে
‘প্রিয়’, ‘সাহায্যকারী’।
[সাওয়াইক্বে মুহরিক্বাহ্ ও
আসাহহুস সিয়ার ইত্যাদি]
বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে
“ঐতিহাসিক গদীর-ই খুম’র ঘটনা”
নামক পুস্তিকায়, লিখেছেন
মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান।

Comments

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|