★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
আজান ও ইকামতের আগে দরুদ-সালামঃ পড়ার দলিল সমূহহঃ - Ja-al-haq Discussions on

আজান ও ইকামতের আগে দরুদ-সালামঃ পড়ার দলিল সমূহহঃ

আজান ও ইকামতের আগে দরুদ-সালামঃ
পড়ার দলিল সমূহহঃ
[আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় নবী কারীমﷺএর উপর দরুদ সালাম পাঠের জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় বেধে দেননি।]
আল্লাহ তায়ালা সূরা আহজাবের ৫৬ নং
আয়াতে ইরশাদ করেনঃ
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻣﻼﺋﻜﺘﻪ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ . ﻳﺎ ﺍﻳﻬﺎ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺁﻣﻨﻮﺍ ﺻﻠﻮﺍ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻤﻮﺍ ﺗﺴﻠﻴﻤﺎ .
" নিশ্চয় আল্লাহ এবং তার ফেরেশতাগণ নবী কারিম ﷺ এর উপর সার্বক্ষণিক দরুদ পাঠ করেন।ওহে ঈমানদারগণ! তোমরা ও নবী কারীমﷺএর
 উপর দরুদ পাঠ কর এবং বেশি বেশি সালাম পেশ কর!!"
হানাফী মাজহাবের অন্যতম ফকীহ,ইমাম মোল্লা আলী কারী (রহঃ) বলেনঃ
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻟﻢ ﻳﻮﻗﺖ ﺫﺍﻟﻚ ﻟﻴﺸﻤﻞ ﺳﺎﺋﺮ ﺍﻻﻭﻗﺎﺕ
" আল্লাহ তায়ালা এখানে কোন নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি।বরং সকলসময় (দরুদ পাঠকে) অন্তর্ভূক্ত করেছেন।"
(শরহুশ শিফাঃ ২/১০৭, দারূল কুতুব ইলমিয়্যাহ - বৈরুত)।
সাতটি অবস্থা ব্যতীত সকল অবস্থায় নবী
কারিম ﷺ এর উপর দরুদ সালাম পেশ করা যায়।
হানাফী মাজহাবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইমাম আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (রহঃ) বলেনঃ
ﺗﻜﺮﻩ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺓ ﻋﻠﻴﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻰ ﺳﺒﻌﺔ ﻣﻮﺍﺿﻊ : ﺍﻟﺠﻤﺎﻉ , ﻭﺣﺎﺟﺔ ﺍﻻﻧﺴﺎﻥ , ﻭﺷﻬﺮﺓ ﺍﻟﻤﺒﻴﻊ ﻭﺍﻟﻌﺸﺮﺓ , ﻭﺍﻟﺘﻌﺠﺐ ,ﻭﺍﻟﺬﺑﺢ , ﻭﺍﻟﻌﻄﺎﺱ .
" সাত অবস্থায় নবী কারিম ﷺ এর উপর দরুদ ও সালাম পড়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয়।
১) স্ত্রী সহবাসকালে,২) পেশাব পায়খানার
সময়,৩) ব্যবসার মাল চালু করার সময়,৪) হোছট খাওয়ার সময়,৫) আশ্চর্যজনক সংবাদ শ্রবণের সময়,৬) যবেহ করার সময়,৭) হঁাচি দেওয়ার সময়।"
(ফতোয়ায়ে শামী,১/৩৮৩ পৃষ্টা।)
এথেকে বুঝা গেল, আজানের পূর্বে দরুদ ও সালাম পেশ করা মাকরুহ বা কোন অপছন্দনীয় কাজ নয়। কারণ সাতটি স্থানের মধ্যে আজানের উল্লেখ নেই।বরং সর্বস্থানে যেখানে পাঠ করলে রাসুল ﷺ এর উপর সম্মান প্রদর্শন হয় সেসবুবস্থায় দরুদ সালাম পাঠ করা মুস্তাহাব।
রাসুলুল্লাহ ﷺ এর প্রিয় সাহাবী ইবনে
আব্বাস (রাদিয়াল্লাহুতায়ালাআনহু) সূরা আহজাবের ৫৬ নং আয়াতের তাফসীরে বলেনঃ
ﺍﺛﻨﻮﺍ ﻋﻠﻴﻪ ﻓﻰ ﺻﻼﺗﻜﻢ ﻭﻓﻰ ﻣﺴﺎﺟﺪﻛﻢ ﻭﻓﻰ ﻛﻞ ﻣﻮﻃﻦ .
" তোমরা হুজুর পাক ﷺএর উপর তোমাদের
নামাজ,মসজিদে এবং সর্বাবস্থায় দরুদ সালামের মাধ্যমে প্রশংসা কর! "
( জালাউল আফহাম,১/৪২২ দারূল উরুবাত-কুয়েত)।
হাদীস শরীফে এসেছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ : ﻛﺎﻥ ﺑﻼﻝ ﺍﺫﺍ ﺍﺭﺍﺩ ﺍﻥ ﻳﻘﻴﻢ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺓ ﻗﺎﻝ : ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻴﻚ ﺍﻳﻬﺎ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺓ ﺭﺣﻤﻚ ﺍﻟﻠﻪ .
" হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহুতায়ালাআনহু  হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যখন হজরত বেলাল )রাদিয়াল্লাহুতায়ালাআনহু( নামাজের ইকামাত দিতে চাইতেন,তখন )এভাবে সালাম দিয়ে( বলতেনঃ হে আল্লাহর নবি! ﷺ আপনার উপর সালাম। )আপনার উপর(আল্লাহর রহমত ও
বরকত।আল্লাহ আপনাকে রহমত করুন।"
)মাজমাউজ জাওয়ায়েদ,২/৭৫-হাঃনং ২৩৮৯(।
ওহাবীদের ইমাম ইবনে কায়্যিম জাওজিয়্যাহ (মৃতঃ৭৫০ হিজরী) বলেন !
ﺍﻟﻤﻮﺍﻃﻦ ﺍﻟﺴﺎﺩﺱ ﻣﻦ ﻣﻮﺍﻃﻦ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺓ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﻌﺪ ﺍﺟﺎﺑﺔ ﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻭﻋﻨﺪ ﺍﻻﻗﺎﻣﺔ .
" রাসুলুল্লাহ ﷺ এর উপর দরুদ সালাম পেশ করার ৭ম মুস্তাহাব স্থান হলোঃ আজানের পর ও ইকামতের পূর্বে।"
(জালাউল আফহাম,১/৩০৮ পৃষ্টা)।
বিশ্ববিখ্যাত আলেম ইমাম কাজি আয়াজ আন্দালুসী (রহঃ) (ওফাতঃ ৫৪৪ হিজরী) বলেন !
ﻭﻣﻦ ﻣﻮﺍﻃﻦ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺓ ﻋﻠﻴﻪ ﻋﻨﺪ ﺫﻛﺮﻩ ﻭﺳﻤﺎﻉ ﺍﺳﻤﻪ ﺍﻭ ﻛﺘﺎﺑﻪ ﺍﻭ ﻋﻨﺪ ﺍﻻﺫﺍﻥ .
" রাসুলুল্লাহ ﷺ এর উপর দরুদ সালাম পেশ করার মুস্তাহাব স্থান হলোঃ উনার নাম স্মরণ হলে,নাম শুনলে, উনার নাম কোথাও লিখার সময় এবং আজানের পূর্বে।"
(শিফা শরীফ  ২/৪৩ পৃষ্টা,দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ-বৈরুত)।
ওহাবী শ্রদ্বেয় ইমাম আল্লামা আব্দুল হাই লখনভী বলেনঃ
ﻳﺴﺘﻔﺎﺩ ﻣﻨﻪ ﺑﻈﺎﻫﺮﻩ ﺍﺳﺘﺤﺒﺎﺑﻪ ﻋﻨﺪ ﺷﺮﻭﻉ ﺍﻻﻗﺎﻣﺔ ﻛﻤﺎ ﻫﻮ ﻣﺘﻌﺎﺭﻑ ﻓﻰ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﺒﻼﺩ .
" স্পষ্টতঃ ইকামতের পূর্বে দরুদ সালাম পড়া মুস্তাহাব এর প্রমাণ মিলে। যেমনভাবে বিভিন্নদেশে এর আমল পরিচিত। "
(তাখরীজে জা'আল হক্বঃ ৭৮১ পৃষ্টায়)।
এর ব্যখ্যায় ইমাম আবু সাঈদ বকরী(রহঃ) বলেনঃ
ﺍﻯ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺫﺍﻥ ﻭﺍﻻﻗﺎﻣﺔ .
" অর্থাৎ দরুদ সালাম পাঠের মুস্তাহাব জায়গা হলো আজান ও ইকামতের পূর্বে।"
(ফতহুল মুয়ীনঃ ১/২২৩ পৃষ্টা)।
আমাদের ইসলামিক Website visit করুন।
www.yanabi.in এ কিল্কি করুন।।
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|