মহান আল্লাহপাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
﴿١﴾ ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
![](http://www.yanabi.in/uploads/editor/5g/x9td4nh9vqi8.jpg)
অর্থ:কুরআন শরীফ এমন একখানা কিতাব,যার মধ্যে বিন্দুমাত্র ও সন্দেহ নেই।আর কুরআন শরীফ মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক বা মানুষের জীবনের ব্যাপক পরিবর্তন আনয়নকারী।(সুরা-বাক্বারা-২)
হাদিস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ হয়েছে,
অর্থ: নিশ্চয় আল্লাহপাক এ কুরআন শরীফ উনার দ্বারা অনেক ক্বওমকে হিদায়েত বা পরিবর্তন দান করেছেন।আর অনেক ক্বওম কুরআন শরীফ উনাকে অস্বীকার করার কারনে ধ্বংস হয়ে গেছে।(মুসলিম শরীফ)
এই প্রশংগে তাযকিরাতুল আউলিয়া কিতাব এর মধ্যে একটি মশহুর গঠনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বিখ্যাত ওলী আল্লাহ তৎকালীন যমানার আল্লাহপাক উনার খাছ লক্ষস্থল,হযরত ফুযায়েল ইবনে আয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি জীবনের প্রথম ভাগে একজন বিখ্যাত ডাকাত সর্দার ছিলেন।উনার ভয়ে সকলেই ভয়ে থাকতো,কোন বনিক কাফেলা উনার হাত থেকে রেহাই পেত না।তিনি সকলের সর্বস্ব লুন্ঠন করে নিতেন।একবার এক বনিক তার অনেক ধন সম্পদ নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাবে,কিন্তু ফুযায়েল ইবনে আয়াজ উনার আস্তানার সামনে দিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই।
উক্ত বনিক ফুযায়েল ইবনে আয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার হাত থেকে বাঁচার জন্য এক হাফেয সাহেবকে তার বাহনের পিছনে বসিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করার নির্দেশ দেয়।বনিকের ধারনা হয়তোবা কুরআন শরীফ উনার সম্মানার্থে ফুযায়েল ইবনে আয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি আক্রমন করবেনা।এদিকে বনিক যখন তার ধন সম্পদ নিয়ে উনার আস্তানার নিকটবর্তী হলো তখন হাফিয সাহেব তিলাওয়াত করলেন,
﴾ أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَن تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللَّـهِ
অর্থ:এখনো কি আল্লাহপাক উনার যিকিরের দ্বারা ঈমাদারগনের অন্তর সমুহকে ভীত ও জাগ্রত করার সময় আসেনি।(সুরা-হাদীদ)
ফুযায়েল ইবনে আয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেহেতু আরবী ভাষী ছিলেন তাই এই আয়াত শরীফ শুনামাত্র উনার অন্তর ভীত হয়ে উঠলো।তিনি বললেন হ্যা অবশ্যই এখন তওবা করার সময় এসেছে।তিনি চিৎকার করে বলতে লাগলেন,ফুযায়েল রহমাতুল্লাহি আজ থেকে তওবা করছে,সে আর কোন দিন ডাকাতি করবেনা।তারপর তিনি বাদশার দরবারে গিয়ে বললেন আমাকে শাস্তি দিন আমি জীবনে বহু অন্যায় অবিচার করেছি।বাদশা যখন বুঝলেন তিনি খালিছ তওবা করেছেন বাদশাও ক্ষমা করে দিলেন।অত:পর তিনি হযরত ওয়াহিদ ইবনে যায়েদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হয়ে ইলমে ফিক্বাহ,ইলমে তাসাউফ এর পুর্নতা লাভ করেন।
এখন ফিকিরের বিষয় যে একখানা আয়াত শরীফ উনার জীবনের ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিল।তিনি সেই যমানার লক্ষস্থল হলেন এবং উনার উচিলায় অসংখ্য অগনিত লোকের হিদায়েত পরিবর্তন আসে।উনার মাধ্যমে পৃথিবীতে জারী হয় চীশতিয়া,চীশতিয়া নিযামিয়া ও চীশতীয়া ছাবেরিয়া ত্বরীকাসমুহের বরকতপুর্ন সিলসিলা।যে সিলসিলার মাধ্যমে অসংখ্য লোক লাভ করছে হিদায়েত তথা আল্লাহপাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাদের খাছ সন্তুস্টি।সুবহানাল্লাহ
Visit করুন www.yanabi.in এ
Comments