বিশ্বের বিভিন্নস্থানে
![](http://www.yanabi.in/uploads/editor/xi/1q38akjga0t5.jpg)
২৫ জন নবী ও রাসূল আলায়হিওয়াসাল্লাম এর মাজারের ছবি:
যারা বলে মাজার নাই তাদেকে আল্লাহ হেদায়ত করূন। আমিন
হজরত আবু জর গিফারি (রাদিয়াল্লাহুতায়ালাআনহু) প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম.) কে প্রশ্ন করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম পয়গম্বরদের সংখ্যা কত? তিনি জবাব দিলেন, ১ লাখ ২৪ হাজার। তাদের মধ্যে ৩১৫ জন হচ্ছেন রাসূল।আলায়হিওয়াসাল্লাম (আহমদ ও শরহে মাকাসিদ)। তবে আল কোরআনে যেসব পয়গম্বরের নাম উল্লেখ হয়েছে, তাদের সংখ্যা মাত্র ২৫ জন। তাদের কারও কারও আলোচনা বিভিন্ন সূরায় একাধিক r স্থান পেয়েছে। আবার কারও কারও নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। এর সংখ্যা মাত্র ৫টি। কোরআনুল কারিম যেহেতু হেদায়েতের বাণী ও উপদেশগ্রন্থ, তাই অতীতকালের জাতি ও সম্প্রদায়ের ঘটনাবলি, তাদের ভালো-মন্দ আমল ও তার পরিণতি বর্ণনার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ধারা বর্ণনাপদ্ধতি অবলম্বন করা হয়eনি। বরং সত্য প্রচারের লক্ষ্যে দাওয়াত প্রদানের মুখ্যতম পন্থাই গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে প্রাচীনকালের সম্প্রদায় ও তাদের প্রতি
প্রেরিত পয়গম্বরদের আলোচনা বারবার শ্রবণ করার ফলে শ্রোতাদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে গেঁথে যেতে পারে এবং তা শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বেশ উপযোগীও বটে। কোরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবীর নাম
হলো-১. হজরত আদম (আলায়হিওয়াসাল্লাম), মোট ৯টি সূরায় ২৫ জায়গায় তার নাম উল্লেখ হয়েছে।
২. হজরত ইদ্রিস (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), দুটি
সূরায় দু’বার উল্লেখ হয়েছে।
৩. হজরত নুহ (আলায়হিওয়াসাল্লাম), ২৮টি সূরায় ৪৩ বার উল্লেখিত হয়েছে।
৪. হজরত হুদ (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), তিনটি সূরায় সাতবার উল্লিখিত হয়েছে।
৫. হজরত সালেহ (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), চারটি সূরায় ৯ স্থানে উল্লেখ হয়েছে।
৬. হজরত ইবরাহিম (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), ২৫ সূরায় ৬৯ বার উল্লেখ হয়েছে।
৭. হজরত লুত (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), চৌদ্দটি সূরায় ২৭ বার উল্লেখ হয়েছে।
৮. হজরত ইসমাঈল (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), আট সূরায় ১২ জাগায় উল্লেখ হয়েছে।
৯. হজরত ইসহাক (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), ১২
সূরায় ১৭ বার আলোচিত হয়েছে।
১০. হজরত ইয়াকুব (আলায়হিওয়াসাল্লাম.),
১০টি সূরায় ১৬ বার আলোচিত হয়েছে।
১১. হজরত
ইউসুফ (আলায়হিওয়াসাল্লাম.)। তিনটি সূরায় ২৭ বার উল্লেখ হয়েছে।
১২. হজরত শুয়াইব (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), চার সূরায় ১১ বার উলি্লখিত
হয়েছে।
১৩. হজরত আইয়ুব (আলায়হিওয়াসাল্লাম), চারটি সূরায় চার জাগায় আলোচিত হয়েছে।
১৪. হজরত যুল কিফল (আলায়হিওয়াসাল্লাম.),
দুটি সূরায় দু’বার আলোচিত হয়েছে।
১৫. হজরত মুসা (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), ৩৪টি সূরায় ১৩৭ বার আলোচিত হয়েছে।
১৬.হজরত হারুন (আলায়হিওয়াসাল্লাম), ১৩টি সূরায় ২০ বার আলোচিত
হয়েছে।
১৭. হজরত দাউদ (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), ৯টি সূরায় ১৬ বাররউল্লেখ হয়েছে।
১৮. হজরত সুলাইমান (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), সাতটি
সূরায় ১৭ বার উল্লেখ হয়েছে।
১৯. হজরত ইলিয়াস(আলায়হিওয়াসাল্লাম.), দুটি সূরায় তিনবার উলি্লখিত হয়েছে।
২০.হজরত ইয়াসা (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), দুটি সূরায় দু’বার উল্লেখ হয়েছে।
২১. হজরত ইউনুস (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), দুটি সূরায় দু’বার উল্লেখ হয়েছে।
২২. হজরত জাকারিয়া (আলায়হিওয়াসাল্লাম.), চারটি সূরায়
সাতবার উল্লেখ হয়েছে।
২৩. হজরত ইয়াইয়া (আলায়হিওয়াসাল্লাম.),চারটি সূরায় পাঁচবার উল্লেখ হয়েছে।
২৪. হজরত ঈসা(আলায়হিওয়াসাল্লাম.), ১১টি সূরায় ২৫ বার উল্লেখ হয়েছে।
২৫. হজরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম.),
চারটি সূরায় মাত্র চার জাগায় তাঁর
নাম উল্লিখিত হয়েছে। অন্যান্য স্থানে তাঁর
গুণবাচক নাম উলি্লখিত হয়েছে। অথবা আইয়ুহান নবী কিংবা আইয়ুহান রাসূল সাল্লাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম সম্বোধন করা হয়েছে।এটা বিশ্বনবীর সম্মান ও মর্যাদার পরিচয় বহন করে।#সুবহান্নাল্লাহ
Visit করুন www.yanabi.in এ