★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
মহিমান্বিত বরকতময় রজনী : শবে বরাত - Ibadat amal Discussions on

মহিমান্বিত বরকতময় রজনী : শবে বরাত

মহিমান্বিত বরকতময় রজনী : শবে বরাত


নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লি ওয়ানুসাল্লিমু আলা রাসুলিহিল কারীম ওয়ালা আলিহী ওয়াসহাবিহী আজমায়ি'ন। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের অসংখ্য নেয়ামত দিয়ে ধন্য করেছন, আল্লাহ পাকের সব সৃষ্টিই বরকতময়, তবে এ সকল সৃষ্টিতে তিনি তারতম্য রেখেছেন অর্থাৎ একটির চেয়ে অন্যটিকে গুরুত্ব প্রদান করেছেন, একটির চেয়ে অন্যটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করেছেন তাঁর কোন সৃষ্টিই এক নয়। প্রত্যেক কিছুতেই মর্যাদাগত ভিন্নতা বিদ্যমান। এর মধ্যে কিছু বরকতময় দিন, রাত, মাস বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, দিনের মধ্যে আসরের পরের সময় অনেক মকবুল তেমনি রাতের শেষভাগও দোয়া কবুলের উত্তম সময় স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এই সময় বান্দাদের আহবান করেন। আবার সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমা’র দিনকে মহাত্মপূর্ন করেছেন, ঈদের দিন ঘোষণা করেছে, জুমা’র রাতকে বরকতময় করেছেন তেমনি সোমবারকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লাম এর শুভাগমনের দিন, তিনি এই দিন রোজা রাখতেন। আবার মাসের মধ্যে রমজান মুবারাক অতি বরকতময় মাস, রবিউল আউয়াল শরীফ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমনের মাস, এমনিভাবে শাবান।

হাদীস শরীফে উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত,
مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلَّا رَمَضَانَ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ
আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লামকে রমজান মাসের পর শাবান ব্যতীত অন্য কোন মাসে এত রোজা রাখতে দেখিনি।
[সহিহ বুখারী, কিতাবুস সাওম, হাদীস নং-১৯৬৯/১৮৬৮, সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সিয়াম, হাদীস নং-১১৫৭,সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুস সাওম, হাদীস নং-২৪৩৪, সুনানু ইবনে মাজাহ, কিতাবুস সিয়াম, হাদীস নং-১৭১০, মুয়াত্তা এ মালিক-৬৮৮/১০৯৮, সহীহ ইবনে হাববান-৩৬৪৮, মুসনাদে আহমদ-২৪৮০১, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২৬৭২, বায়হাক্বী আস সুনানুস সগীর-১৪৫৭, সুনানুল কুবরা-৭৭৮৪,৭৮২৫]

অপর বর্ননায় এসেছে,
لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَهْرًا أَكْثَرَ مِنْ شَعْبَانَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّه
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের চেয়ে অধিক রোজা অন্য কোন মাসে রাখতেননা, এমনকি তিনি পুরো শাবান মাস রোজা রাখতেন।
[সহিহ বুখারী, হাদীস নং-১৯৭0, সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সিয়াম, হাদীস নং-১১৫৭, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২১৭৯, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২৫০০, সহীহ ইবনে হিববান-৩৬৩৭]

হাদীস শরীফে আরও ইরশাদ হয়েছে-
رَجَبُ شَهْرُ اللَّهِ وَشَعْبَانُ شَهْرِي وَرَمَضَانُ شَهْرُ أُمَّتِي
রজব আল্লাহর মাস,শাবান আমার মাস আর রমজান আমার উম্মতের মাস।
[ফিরদাউসুল আখবার, যাহাভী তারিখুল ইসলাম-২৬১, শওকানী ফাওআয়িদুল মাজমুয়া'ত-২২১, কানযুল উম্মাল-৩৫১৬৪, সাখাভী আল মাকাসিদুল হাসানাহ-৫১০]

আরও ইরশাদ হয়-
شعبان شهري ورمضان شهر أمتي
শা'বান আমার মাস আর রমযান আমার উম্মতের মাস।
[নুজহাতুল মাজালিস ওয়া মুনতাখাবুন নাফাইস, বাব,ফাদলু শ'বান ওয়া ফাদলু সালাতুত তাসবীহ, ১:১৪৬/১:১৬১]

একটু চিন্তা,একটু যুক্তি ব্যয় করলে বুঝা যায় যে, এ সকল তাৎপর্যপূর্ণ সময়গুলো কেন দেওয়া হলো? উত্তর একটাই আসবে আল্লাহ পাক তাঁর গুনাহগার বান্দাহদের মুক্তির জন্য, অতিরিক্ত সাওয়াব লাভের জন্য, ইবাদতের আধিক্যের জন্যই দান করেছেন। যাতে আল্লাহর গুনাহগার বান্দারা অল্প সময়ে অধিক পুন্যের অধিকারী হয়। অধিক হারে এক আল্লাহর ইবাদতে একনিষ্ঠ হয়।

শবে বরাত এমনি এক বরকতময় রজনী। শরীয়ত সম্মত এই রজনী সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা সত্বেও তা নিয়ে কিছু লোক বর্তমানে একে ভিত্তিহীন বলে প্রচারিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। নিম্নে এই মহিমান্বিত রজনী সম্পর্কে শরীয়ত সম্মত আলোচনা করা হল-

শবে বরাতঃ শব শব্দটি ফার্সি,অর্থ রাত।আর বরাত শব্দের অর্থ-পবিত্রতা, মুক্তি, উদ্ধার, আশ্রয়, অব্যাহতি, দায়মুক্তি, বন্টন, বরাদ্দ ইত্যাদি।সুতরাং শবে বরাত বা লায়লাতুল বরাত অর্থ বন্টন, বরাদ্দ, পবিত্রতা, নাজাত ও মুক্তির রাত। পবিত্র কোরআনে একে 'লায়লাতুল মুবারাকাহ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছারাও এর আরও নাম পাওয়া যায় যেমন, লায়লাতুল মুবারাকাহ, লায়লাতুল বরাত, লায়লাতুল রহমত, লায়লাতুল মাগফিরাত, লায়লাতু্ত তাওবাহ ইত্যাদি।
শা'বান মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাতই শবে বরাত হিসেবে পরিচিত।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাকের ইরশাদ-
حٰمٓ ﴿۱﴾ وَ الْکِتٰبِ الْمُبِیۡنِ ۙ﴿ۛ۲﴾ اِنَّا اَنۡزَلْنٰہُ فِیۡ لَیۡلَۃٍ مُّبٰرَکَۃٍ اِنَّا کُنَّا مُنۡذِرِیۡنَ ﴿۳﴾ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ
হা-মীম!শপথ এই সুস্পষ্ট কিতাবের।নিশ্চই আমি সেটাকে বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি।নিশ্চই আমি সতর্ককারী।এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ কাজের ফয়সালা দেওয়া হয়।
[সূরা দুখানঃ ১, ২, ৩, ৪ পারা-২৫]

এখনে বরকতময় রাত বলতে কোন রাতকে বুঝানো হয়েছে তা নিয়ে দুটি মত রয়েছে,শবে ক্বদর আর শাবানের মধ্য রাত্রি অর্থাৎ শবে বরাত।
[তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাফসীরে ত্ববারী জামেউল বয়ান, তাফসীরে কাশশাফ, তাফসীরে সা'লাবী, তাফসীরে সামআ'নী, তাফসীরে বগবী, তাফসীরে জালালাঈন, তাফসীরে বায়জাভী, তাফসীরে কবীর, (মাফাতিহুল গাইব (তাফসীরে রুহুল মা’আনী, যাদুল মাইসির ফি ইলমিত তাফসীর, তাফসীরে ক্বুরতুবী, তাফসীরে দুররে মানসুর, তাফসীরে নাসাফী, তাফসীরে মাজহারী, তাফসীরে ফাতহুল কাদীর, তাফসীরে সা'বী, তাফসীরে জুমাল,তাফসীরে রুহুল বয়ান, তাফসীরে নিসাপুরী, তাফসীরে ইবনে রজব, তাফসীরে কিরমানী গারায়িবুত তাফসীর, সফওাতুত তাফাসীর, আল লুবাব, তাফসীরে মাদারিক, তাফসীরে মাওয়ার্দি, আবী সাউদ]

আল্লামা শিহাবুদ্দীন আলুসী রহঃ তার তাফসীর গ্রন্থ রূহুল মা'য়ানী তে উল্লেখ করেন-
قال عكرمة. وجماعة: هي ليلة النصف من شعبان. وتسمى ليلة الرحمة والليلة المباركة وليلة الصك وليلة البراءة، ووجه تسميتها بالأخيرين أن البندار إذا استوفى الخراج من أهله كتب لهم البراءة والصك كذلك أن الله عزّ وجلّ يكتب لعباده المؤمنين البراءة والصك في هذه الليلة.
ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও একদল মুফাসসিরগনের মতে, লায়লাতুম মুবারাকাহ হল শা'বান মাসের মধ্য রাত। একে রহমত ও মুক্তির রাত বলা হয়। যেমন খাজনা ও যাকাত আদায়কারী খাজনা ও যাকাত প্রাপ্তির পর দাতাকে মুক্তি সনদ বা রশীদ দেয়, অনুরূপ এ রাতে যারা ইবাদত বান্দেগীতে রাত যাপন করে তাদেরকে মুক্তি সনদ দেয়া হয়। তাই এ রাতকে লায়লাতুল বারাআ'ত বা লায়লাতুস সাক (চেক) বলা হয়।
[তাফসীরে রূহুল মা'আনী, সুরা দুখান, ১৮:৪২৩/১৩:১১০]

আল্লামা জারুল্লাহ যামাখশারী রহঃ বলেন-
وقيل: ليلة النصف من شعبان، ولها أربعة أسماء: الليلة المباركة، وليلة البراءة، وليلة الصكّ، وليلة الرحمة
অন্য মতে লায়লাতুম মুবারাকাহ হল শ'বান মাসের মধ্য রাত। এর চারটি নাম পাওয়া যায়, লায়লাতুল মুবারাকাহ (বরকতের রজনী), লায়লাতুল বারাআহ (ভাগ্য/কল্যাণের রজনী), লায়লাতুস সাক্ক (বন্টন/বাজেটের রজনী), লায়লাতুর রাহমাহ (অনুগ্রহের রজনী)।
[তাফসীরে কাশশাফ, সুরা দুখান,৪:২৬৯]
অনুরূপ বর্ণনা তাফসীরে ক্বুরতুবী তে পাওয়া যায়।

ষষ্ঠ শতাব্দীর মুজাদ্দীদ আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী রহঃ বলেন-
وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَطَائِفَةٌ آخَرُونَ: إِنَّهَا لَيْلَةُ الْبَرَاءَةِ، وَهِيَ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ
ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও একদল মুফাসসিরগনের মতে, লায়লাতুম মুবারাকাহ হল লায়লাতু বরাত অর্থাৎ শা'বান মাসের মধ্য রাত।
[তাফসীরে কবীর মাফাতিহুল গায়ব, সুরা দুখান ২৭:৬৫২]

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর শিস্য ও স্বাধীনকৃত গোলাম হযরত ইকরামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
(আয়াতে বর্ণিত) লাইলাতুম মুবারাকা” হল শা’বান মাসের মধ্য রাত্রি। এ রাতে আল্লাহ পাক হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালামকে প্রথম আকাশে (দুনিয়া সংলগ্ন আকাশ) প্রেরণ করেন। তিনি প্রথম আকাশের ফেরেশতাদের কাছে পূর্ণ কোরআন একেবারে লিপিব্ধ করে দিয়েছেন। এই রাতকে মুবারক রাত নামকরণনের কারণ হল-এ রাতে অনেক কল্যাণ ও বরকত রয়েছে। এ রাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং দোয়া কবুল হয়।
[তাফসীরে কাশফুল আসরার ৯:৭৪]

ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, শাবান মাসের মাঝামাঝি রাতে (১৫ই শাবান রাতে) সারা বছরের কার্যক্রমের ফয়সালা করে দিয়া হয়। জীবিতদেরকে পৃথকভাবে লিখে দিয়া হয় মৃতদের থেকে। এ ফায়সালার কোন পরিবর্তন করা হয় না। বাগবী লিখেছেন, মোহাম্মাদ ইবন মাইসারা আখফাশ বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেছেন- শাবান মাসে পরবর্তি শাবান পর্যন্ত মৃত্যুর ফায়সালা করে দিয়া হয়। এমনকি ঐ সকল শিশুর নামও পৃথক করা হয়, যাদের পিতা বিয়ে করে ১৫ শাবানের পরে। আর যে সব শিশু জন্মগ্রহণ করে সে সময়ে। আবার মৃত্যু বরণও করে ঐ বৎসরে।
আবুজ জোহার বর্ণনায় এসেছে, হযরত ইবন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, অর্ধ শাবানের রাতে (শবে বরাতে) আল্লাহ তা’আলা সব কিছুই মিমাংসা করে দেন এবং রামযানের কদর রাত্রিতে সেই মিমাংসা দিয়া হয় মিমাংসা বাস্তবায়নকারীদের হাতে।
[তাফসীর মাযহারী ১০:৫১৯]

[nb: এটা সত্য যে ইবন কাসীর এবং কাযী ইবন আরাবী শবে বরাতের ফযীলত অস্বীকার করেন। কিন্তু অধিকাংশ আলেম শবে বরাতের ফযীলত স্বীকার করেন। মাত্র দুই জন আলেমের বক্তব্যকে শবে বরাতের বিপক্ষে দলীল হিসেবে উল্লেখ করা একেবারেই অনুচিত যেখানে অধিকাংশ আলেম এর পক্ষে মত দিয়েছেন। ইবন কাসীর এর শিক্ষক হাফিজ ইবন তায়্যিমিয়া নিজেও শবে বরাতের ফযীলতের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,
মহিমান্বিত ১৫ই শাবান নিয়ে আলেমদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। অনেকে বলে এই রাতের তেমন কোন তাৎপর্য নেই কিন্তু ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এই রাতের গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছেন এবং আমাদের অন্যান্য হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী আলেমগণও উনার সাথে একমত পোষণ করেছেন। এই রাতের সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য সহীহ হাদীস বর্ণিত রয়েছে। তার কিছু সুনান (তিরমিযী, ইবন মাজাহ) এবং অন্যান্য সহীহ হাদীস গ্রন্থে রয়েছে। (ইক্বতিদাহ সিরাতুল মুস্তাকিম পৃ-২০৩)।
Ibn-Taimiyyah was asked about of the 15th night of Sha'ban. He replied:
اما ليلة النصف روئ فئ فضلهااحاديث واثار ونقل عن طانفتهمن السلف انهم كانوايصلون فيها فصلاة الرجل فيها وحده وقد تقدمه فيه سلف فيه حجته فلا ينكرمثل هزا
Translation: As for the 15th night of Shabaan, there are many narrations and Athar (quotes from the Sahabah) regarding its virtue. It has been reported of the salaf that they prayed in this night. Therefore, praying alone on this night, having precedence in the salaf, is sufficient evidence and something of this kind surely cannot be denied. (Majmua al Fatawa, Volume No. 23, Page No. 131)

At another occasion, Ibn-Taimiyyah was asked the same question and he replied:
وسنل عن صلاة نصف شعبان فاجاب ازا صلئ الانسان ليلة النصف وحده اوفئ جماعته خاصته كما كان يفل جماعته خاصته كما كان يفعل طوانف من السلف فهواحسن
Translation: If one prays on this night alone or in a select company of people as many groups amongst the salaf did, "then it is good". (Fatawa Ibn Taimiyyah Volume 23, Page 131-132)]

আল্লাহ তা'আলা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন! সুম্মা আমীন

Comments

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|