★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
জমজম কূপঃ জমজম কুয়া (আরবি ভাষায়: زمزم‎) এর বর্ণনা - Mas'la Masayel Discussions on

জমজম কূপঃ জমজম কুয়া (আরবি ভাষায়: زمزم‎) এর বর্ণনা

edited June 2017 in Mas'la Masayel

জমজম কূপ


জমজম কুয়া (আরবি ভাষায়: زمزم‎) হল মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি কুয়া। এটি কাবা থেকে ২০ মি (৬৬ ফুট) দূরে অবস্থিত। ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, নবী ইবরাহিম (আলাইহিসালাম ) তার স্ত্রী হাজেরা আলাইহিসালাম ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আলাইহিসালাম) কে মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইল (আলাইহিসালাম) এর পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়। মসজিদুল হারামে আগত লোকেরা এখান থেকে পানি পান করে।

জমজম কুয়া
স্থানীয় নাম:
{{lang-টেমপ্লেট:ConvertAbbrev/ISO 639-2|زمزم}}
মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে হাজিদের দৃশ্য
মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে হাজিদের দৃশ্য
অবস্থান মসজিদুল হারাম, মক্কা
স্থানাংক ২১°২৫′১৯.২″ উত্তর ৩৯°৪৯′৩৩.৬″ পূর্ব
অঞ্চল প্রায় ৩০ মি (৯৮ ফু) গভীর ও ১.০৮ থেকে ২.৬৬ মি (৩ ফু ৭ ইঞ্চি থেকে ৮ ফু ৯ ইঞ্চি) ব্যাস
স্থাপিত হয়েছে ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি সময়
পরিচালকবর্গ সৌদি আরব সরকার
অফিসিয়াল নাম: জমজম
উৎপত্তি সম্পাদনা

ইসলামের ইতিহাসে জমজম কুয়ার উৎপত্তি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। নবী ইবরাহিম (আলাইহিসালাম) তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরা (আলাইহিসালাম) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আলাইহিসালাম) কে আল্লাহর আদেশে মক্কার বিরান মরুভূমিতে রেখে আসেন। তার রেখে যাওয়া খাদ্য পানীয় শেষ হয়ে গেলে হাজেরা (আলাইহিসালাম) পানির সন্ধানে পার্শ্ববর্তী সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাতবার ছোটাছুটি করেছিলেন। এসময় ক্রন্দনরত শিশুপুত্র ইসমাইল (আলাইহিসালাম) এর পায়ের আঘাতে মাটি ফেটে পানির ধারে বেরিয়ে আসে। ফিরে এসে এই দৃশ্য দেখে হাজেরা (আলাইহিসালাম) পাথর দিয়ে পানির ধারা আবদ্ধ করলে তা কুয়ায় রূপ নেয়। এসময় হাজেরা (আলাইহিসালাম) পানিকে জমজম তথা থামো বলায় এর নাম জমজম হয়েছে।

পরবর্তীতে নবী ইবরাহিম (আলাইহিসালাম) এর পাশে কাবা পুননির্মাণ করেন। পূর্বে আদম (আলাইহিসালাম) এর সময় এটি নির্মিত হলেও পরবর্তীকালে ধ্বংস হয়ে যায়। মুসলিমরা নামাজ পড়ার সময় কাবার দিকে মুখ করে দাঁড়ায়। জমজম কুয়া কাবা থেকে প্রায় ২০ মি (৬৬ ফুট) দূরে।

ইতিহাস সম্পাদনা

জমজম কুয়া বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়। প্রথমে এটি পাথর দিয়ে ঘেরা অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে খলিফা আল মনসুরের সময় ৭৭১ সালে এর উপর গম্বুজ এবং মার্বেল টাইলস বসানো হয়। পরবর্তীতে খলিফা আল মাহদি এটি আরো সংস্কার করেন। বর্তমানে কুয়া কাবা চত্বরে দেখা যায় না। এটি ভূগর্ভস্থ অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং এখানে থেকে পানি পাম্পের সাহায্যে উত্তোলন করা হয়। মসজিদুল হারামের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করা হয়।

পুনর্নির্মাণ সম্পাদনা

বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন সউদ জমজমের পূর্ব ও দক্ষিণে পানি পান করানোর জন্য দুটি স্থান নির্মাণ করেন। দক্ষিণ দিকে ৬টি এবং পূর্বদিকে ৩টি টেপ লাগানো হয়। বর্তমানে কাবা ঘরের ২১ মিটার দূরে অবস্থিত এই কূপটি থেকে ২০ লক্ষাধিক ব্যারেল পানি উত্তলিত হয়। এই কূপটি বর্তমানে আন্ডারগ্রাউন্ডে রয়েছে। এই কূপের পানি বণ্টনের জন্য ১৪০৩ হিজরিতে সৌদি বাদশাহের এক রাজকীয় ফরমান অনুযায়ী হজ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ইউনিফাইড ‘জামাজেমা দফতর’ গঠিত হয়। এই দফতরে একজন প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্টসহ মোট ১১ জন সদস্য ও ৫ শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।

Comments

  • পবিত্র জমজম কূপ এর জানা অজানা কিছু তথ্যঃ

    (১) আল্লাহ তা’লার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল এই পবিত্র জমজম কূপ।
    (২) অতি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনাকালের ন্যায় প্রবাহিত হতে থাকে।
    (৩) পবিত্র জমজম কূপের পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি, জন্মায়নি কোন ছত্রাক বা শৈবাল। এই কূপের পানি কখনো পঁচে না।
    (৪) সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে, মাত্র ১১ মিনিটেই আবার পরিপূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।
    (৫) পবিত্র জমজম কূপের পানি কখনও শুকায়নি, সৃষ্টির পর থেকে একইরকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব মওসুমে ব্যবহার কয়েক গুন বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।
    (৬) পবিত্র জমজম কূপ সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।
    (৭) এই কূপের পানির মধ্যে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অন্যান্য পানির থেকে বেশী, এজন্য এই পানি শুধু তৃষ্টা মেটায় তা না, ক্ষুধাও নিবারণ করে থাকে।
    (৮) এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান বেশী থাকার কারনে এতে কোন জীবানু জন্মায় না ।
    (৯) এই কূপের পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|