![](http://yanabi.in/uploads/editor/5u/n7wa1j90b33b.jpg)
৭৮৬/৯২
রোজার নিয়াতের উপর ফারাজীদের উত্থাপিত আপত্বির জবাব
আসসালামু আলাইকুম
আমরা সুন্নী হানাফী মুসলমান। আমরা পরিস্কার বলি যে, অন্তরে নিয়াত করা ফরয।
মুখে নিয়াতের বাক্য উচ্চারণ করা মুস্তাহাব।নিয়াতের বাক্যে গাদান(কাল)শব্দের কারণে মুখপুড়া ফারাজী,লামাজহাবী আপত্বি করে যে রাতে সাহরীর সময় বলে নাওয়াইতু আন আসুমা গাদান লিল্লাহি তাআলা,আগামি কাল রোজা রাখার নিয়াত করলাম আল্লাহ তাআালার জন্য।যেহেতু সন্ধ্যার পর হতে আরবী তারীখ পরিবর্তন হয়,ফলে আজ বলা দরকার।কাল বললে যে দিনের রোজা,সে দিনের নিয়াত হলনা।তার উত্তরের জন্য নবী স্বল্লাল্লাহো আলাইহে ওয়া সাল্লামের বানী তুলে ধরছি যেটা খয়বর বিজয়ের পূর্ব রাতে এরশাদ করেছেন।তিনি এরশাদ করেন-
((لأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ- أَوْ قَالَ لَيَأْخُذَنَّ- غَدًا رَجُلٌ يُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ- أَوْ قَالَ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ-( ْবোখারী
শরীফ১ম৪১৮পৃষ্ঠা)
আগামীকাল আমি এমন এক ব্যক্তিকে পতাকা দিব,কিংবা (বলেন)আগামীকাল এমন এক ব্যক্তি পতাকা গ্রহন করবে।যাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালবাসেন।অথবা তিনি বলেছিলেন-যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালবাসে।
এ হাদীস হতে পরিস্কার হল যে,রাতের পর যে দিন আসছে সে দিনকে সে রাতে
গাদান(আগামীকাল)বলা কেবল জায়েজই নয়,বরং সুন্নাত।আমাদের নিকট এটা পরিস্কার যে আমাদের নিয়াত সঠিক রয়েছে।ফারাজীদের আপত্বি তোলাই মুর্খামী।
ইতি-মুফতি মোহাম্মাদ আলী হোসাইন ক্বাদেরী
Comments