★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
সবুজ গম্বুজের ইতিহাস - Mas'la Masayel Discussions on

সবুজ গম্বুজের ইতিহাস


সবুজ গম্বুজ, যার দীদারের জন্য প্রতিটি আশিকের হৃদয় ব্যতিব্যস্ত হয়ে
থাকে, আর চক্ষু অশ্র“সজল হয়ে যায়, এটাও বিদআতে হাসানা। কেননা হযরত
মুহাম্মদ ﷺ এর রওযা ই আনওয়ারের উপর সর্ব প্রথম গম্বুজ শরীফ নির্মিত হয়
৬৭৮ হিজরী / ১২৬৯ খৃষ্টাব্দে এবং সেটার উপর হলদে রং লাগানো হয়। আর তা
তখন হলদে গম্বুজ হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলো। তারপর যুগ পরিবর্তন হতে লাগলো
৮৮৮ হিজরী / ১৪৮৩ খৃষ্টাব্দে কালো পাথর দিয়ে নতুন গম্বুজ তৈরি করা হলো।
আর সেটার উপর সাদা রং লাগানো হলো। আশেকগণ সেটাকে ‘আলকুব্বাতুল
বায়দ্বা’ অথবা ‘গুম্বাদে বায়দ্বা’ অর্থাৎ ‘সাদা গম্বুজ’ বলতে লাগলো।
৯৮০ হিজরী / ১৫৭২ খৃষ্টাব্দে চূড়ান্ত সুন্দর গম্বুজ নির্মাণ করা হলো।
আর সেটাকে রংবেরং এর পাথর দিয়ে সাজানো হলো। তখন সেটার এক রং
রইলনা। সম্ভবতঃ স্থাপত্য শিল্পের চিত্তাকর্ষক ও দৃষ্টি কেড়ে নেয়ার মতো দৃশ্যের
কারণে সেটা রংবেরংয়ের গম্বুজ হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করলো। ১২৩৩ হিজরী /
১৮১৮ খৃষ্টাব্দে সম্পূর্ণ নতুনভাবে সেটা নির্মাণ করা হলো। এরপর এ পর্যন্ত কেউ
তাতে পরিবর্তন করেনি। অবশ্য, সবুজ রং এ সৌভাগ্য পেতে লাগলো যে, তা
রংকর্মীদের হাতের মাধ্যমে সেটার গায়ে লেগে যাচ্ছে।
‘গুম্বদে খাদ্বরা’ (সবুজ গুম্বদ) যা নিঃসন্দেহে বিদ’আতে হাসানা’ তা আজ
সারা দুনিয়ার মুসলমানদের প্রত্যাবর্তনের বরকতময় স্থান, চোখের জ্যোতি এবং
হৃদয়ের প্রশান্তি। ইন শা আল্লাহ সেটাকে দুনিয়ার কোন শক্তি বিলীন করতে
পারবেনা। যে সেটাকে বিরোধীতার কারণে নিশ্চিহ্ন করতে চাইবে, আল্লাহর
পানাহ! সে নিজেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কবি ফরিয়াদ করছেন ঃ

গুম্বদে খাদ্বরা! খোদা তুঝকো সালামত রাখখে,
দেখ্ লে-তে হ্যাঁ তুঝে পিয়াস বুঝা লেতে হ্যাঁ।
এগুলোর মতো সমস্ত নতুন আবিস্কৃত নেক কাজের বুনিয়াদ ওই হাদিসে
পাক যা মুসলিম শারীফের বর্ণনায় ইতোপূর্বে উলে−খ করা হয়েছে, যাতে এরশাদ
হয়েছে, যে কেউ ইসলামে ভালো পদ্ধতি চালু করে, সে তার সাওয়াব পাবে এবং
তাদের সাওয়াবও যারা এর পর তদনুযায়ী আমল করবে।*
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|