★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
১)শবে ক্বদের বরকত ও ফজীলত ২)শবে-ক্বদরের নামাজ পড়ার নিয়ম - Ibadat amal Discussions on

১)শবে ক্বদের বরকত ও ফজীলত ২)শবে-ক্বদরের নামাজ পড়ার নিয়ম


মাহে রমজানুল মুবারকের,উপহার
লাইলাতুল ক্বদর

১শবে-ক্বদের বরকত ও ফজীলত
২)শবে-ক্বদরের নামাজ পড়ার নিয়ম

ক)শবে ক্বদরের রাত হাজার মাস (৮৩ বংসর ৪ মাস )অপেক্ষা উত্তম।
(আল,কোরান,সূরা ক্বদর্ আয়াত নং ৩)

খ)হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহুআনহু বর্ণনা করছেন,প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান অবস্থায় সওয়াবের নিয়তে ক্বদরের রাতে নামাজ পড়বে,তার অতীতের পাপ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহী বোখারী শরীফ)

গ)বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম বলেছেন,তোমরা মাহে রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতে শবে ক্বদর তালাশ করবে। (সহী বোখারী শরীফ)

ঘ) শবে_ক্বদরের_দোয়া:
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন,একদা আমি নিবেদন করলাম,হে আল্লাহর রাসূল!সাল্লাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম আপনি বলুন,যদি আমি ভাগ্যক্রমে শবে কদর জেনে নিই,তাহলে তাতে কোন দোয়া পড়ব.? তিনি বললেন,এই দোয়া, 
(আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নী)
”অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল,ক্ষমা ভালবাসো। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও...!!!
[তিরমিযি ৩৫১৩, ইবন মাজাহ ৩৮৫০]

শবে ক্বকদরের নামাজ পড়ার নিয়ম 

১) নুন্যতম (কমপক্ষে) ২ রাকায়াত নামাজ পড়া।

২) মাঝাড়ী ১০০ রাকায়াত নফল নামাজ পড়া।

৩) সর্বাধিক ১০০০ রাকায়াত নফল নামাজ পড়া।
সকলের ক্ষেত্রে ই এক-ই নিয়ম লাইলাতুল ক্বদরের নিয়ত করে সূরা ফাতিহার পর সূরা ক্বদর অথাৎ ইন্নাআনযালনা ১ বার এবং সূরা ইখলাস অথাৎ কুলহুআল্লাহু আহাদ ৩ বার । প্রতি ২ রাকায়াতে সালাম ফিরিয়ে দরুদ শরীফ পড়ে দুয়া করবে। যাদের সূরা মুখুস্ত নাই তারা অন্য সূরা দিয়েও পড়লে হবে । যারা শবে ক্বদরের রাত জেগে এবাদত করতে ইচ্ছুক তারা এশার ফরজ,সুন্নাত,তারাবিহ,বিতের,পড়ার পর ফজরের সময় শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত গোটা রাত্রী কে ৫ ভাগে ভাগ করে নিবেন।

১ম ভাগে যতটা সম্ভব দেখে বা না দেখে কোরান শরীফ তিলাওয়াত করবেন।

২য় ভাগে নীরবে বা স্বরবে (যদি পরিবেশ অনুকুলে থাকে) জিকরে এলাহী তে মুশগুল থাকবেন।

৩য় ভাগে যত রাকায়াত সম্ভব উপরে বর্ণিত নফল নামাজ পড়বেন।

৪র্থ ভাগে কিছুক্ষন নাতে রাসূল,সাল্লাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম দরুদ শরীফ ইত্যাদি পড়বেন।

৫ম ভাগে আল্লাহর দরবারে বিনীত ভাবে তওবা ইস্তিগফার করে ক্রন্দনরত অবস্থায় দুহাত তুলে মুনাজাত ও প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ সালাম ক্বেয়াম করে সাহরী খেয়ে ফজরের জামাতে শামিল হবেন।

বিঃদ্রঃ-১) যাদের জীবনের ৫ ওয়াক্তের নামাজ কাযা আছে,তাদের জন্য শবে-ক্বদরের নফল  নামাজের পরিবর্তে অতীতের কাযা ফরজ নামাজ গুলি আদায় করাতে লক্ষ গুন বেশি নেকী!
২)বেতেরের নামাজ ক্বদরের নামাজের পরেও পড়েতে পারে।


Comments

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|