★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
ফরজ পর্দার গুরুত্ব ও বেপর্দার কুফল:- - Mas'la Masayel Discussions on

ফরজ পর্দার গুরুত্ব ও বেপর্দার কুফল:-



খালিক্ব সালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
অর্থ: “তোমরা গৃহে অবস্থান করবে। আইয়ামে জাহিলিয়াতের ন্যায় সৌন্দর্য প্রদর্শন করতঃ বাইরে বের হবে না।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে,
عن الحسن مر سلا قال بلغنى ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لعن الله الناظر والمنطور اليه
অর্থ: “বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে পৌঁছেছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি দেখে এবং যে ব্যক্তি দেখায় তাদের উভয়ের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত (অভিসম্পাত) বর্ষিত হয়।” নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে,
عن حضرة ابن مسعود رضى الله تعالى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال المرأة عورة فاذا خرجت استشرفها الشيطان
অর্থ: “ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই নারীগণ হচ্ছেন আওরত বা আবরণীয়। কাজেই, যখন সে বাড়ির বাইরে বের হয় শয়তান (তার দ্বারা গুনাহের কাজ করানোর জন্য) উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে।” (তিরমিযী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে,
عن حضرة عمر عليه السلام عن النبى صلى الله عليه وسلم لا يخلون رجل بامرأة الا ثاثها الشيطان
অর্থ: “হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (মহান আল্লাহ পাক উনার কসম) কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে একাকী হলেই শয়তান এসে তাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয় তথা তাদের উভয়কেই গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে।” (তিরমিযী শরীফ)
কাজেই পর্দা করার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ৩০, ৩১ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মু’মিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদে ইজ্জত আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তারা যা করে তার খবর রাখেন। আর আপনি মু’মিনা নারী উনাদেরকে বলুন, তারাও যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত আবরু হিফাযত করে ও তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।” এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি পর্দার গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ পুরুষ-মহিলা সকলকেই পর্দা করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। অতএব, আমাদের সকরে জন্য পর্দা করা ফরয হয়ে গিয়েছে। এখন কোনো পুরুষ যদি কোনো মহিলা বা কোনো মহিলা যদি কোনো পুরুষকে ইচ্ছাকৃত দেখে বা দেখায় তাহলে যে দেখবে বা দেখাবে উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত বর্ষিত হবে। নাউযুবিল্লাহ! এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট পবিত্র এই পবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, “যে দেখে এবং দেখায় উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “দাইয়্যূছ অর্থাৎ যে পুরুষ কিংবা মহিলা নিজে পর্দা করে না এবং তার অধীনস্থদেরকে ও পর্দা করায় না, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (মুসনাদে আহমদ শরীফ) উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা বুঝা গেল যে, পুরুষ মহিলা সকলকে অবশ্যই পর্দা করতে হবে। কেননা পর্দা করা ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারক যথাযথভাবে পালন হয় না। আর উনাদের নির্দেশ মুবারক পালন না করার অর্থই হলো উনাদের নাফরমানি করা। আর যারা উনাদের নাফরমানি করবে তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ১৪নং পবিত্র আয়াত শরীফউনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, وَمَن يَعْصِ اللَّـهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُّهِينٌ ﴿١٤﴾ অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অবাধ্য হবে বা নাফরমানি করবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার নির্ধারিত হদ বা সীমা লঙ্ঘন করবে, তাকে চিরস্থায়ী জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে এবং তার জন্য থাকবে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।” (সূরা নিসা শরীফ-১৪) এখন আমাদের সকলকে মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক পালনার্থে পর্দা করতে হবে। তাহলেই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সকলকে হাক্বীক্বীভাবে পর্দা করার তাওফীক দান করেন। আমীন!
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|