★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
হাশরের ময়দানে যারা সুপারিশ করবেন - Ja-al-haq Discussions on

হাশরের ময়দানে যারা সুপারিশ করবেন

হাশরের ময়দানে যারা সুপারিশ করবেন


    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

                يشفعُ يومَ القيامةِ ثلاثةٌ،الانبياءُ،ثمّ العلماءُ،
               ثم الشهداءُ 

কিয়ামতের ময়দানে তিন ধরনের মানুষ সুপারিশ করবে, নবীগন,তারপর আলেমগন,তারপর শহীদগন।

মান:-ইমাম সুয়ুতী বলেন হাদীসটি হাসান।এমনকি আল্লামা আযলুনী ও বায়হাকীও এটাকে গ্রহনযোগ্য বলে মেনে নিয়েছেন।

সুত্র:- সুনান ইবনে মাজাহ ২/১৪৪৩,হাদীস নং ৪৩১৩;
সুয়ুতী-জামেউস সাগীর ২/৭১৪,হাদীস নং ১০০১১;
আযলুনী-কাশফুল খফা ২/৩৬৫,হাদীস নং ৩২৫৯;
বায়হাকী-শুআবুল ইমান ২/২৬৫,হাদীস নং ১৭০৭;
মুত্তাকী হিন্দি-কানযুল উম্মাল ১০/১৫৯,হাদীস নং ২৮৭৭০;
মিশকাত-বাবুল হাওজ ওয়া শাফাআত ৩/৩১৮,হাদীস নং ৫৬১১;

শিক্ষনীয়:-যেখানে অন্যান্য নবীগন,আলেমগন,শহীদগন সুপারিশ করবেন, সেখানে আমার নবীর সুপারিশ করার ক্ষমতা অস্বীকার করা এটা বেঈমানের আলামত।
তাছাডা এখান থেকে আলেম ও শহীদগনের সুপারিশের প্রমানও পাওয়া যায়।
[25/04 11:01] Mufti Salimuddin: মি‘রাজ নিয়ে বাতিলের দুটি আপত্তির জবাব:

আমাদের কিছু বেশী জ্ঞানী হযরত আজ ২৭ রযব মি‘রাজ এর রাত তা মানতেই চাই না।এবার কথা না বাড়িয়ে কয়েকজন ইমামের অভিমত পেশ করবো তাদের ধুলার সমানও এই কাঠ মোল্লারা হবে না।বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা বদরুদ্দীন মাহমুদ আইনী (রহ.) বলেন-
كَانَ الْإِسْرَاء لَيْلَة السَّابِع وَالْعِشْرين من رَجَب 
-‘‘রাসূল (দ.) এর ইসরা ভ্রমন বা মি‘রাজ ২৭ ই রযব হয়েছিল।’’(আইনী, উমদাতুল ক্বারী, ৪/৩৯পৃ. দারু ইহ্ইয়াউত তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন)বিশ্বের মুসলিম সমাজের নিকট এ মতই সুপ্রসিদ্ধ।বুখারী শরীফের আরেক ব্যাখ্যাকার আল্লামা শিহাবুদ্দীন কাস্তাল্লানী (রহ.) উল্লেখ করেন-  
كان ليلة السابع والعشرين من رجب
-‘‘মি‘রাজ ২৭ ই রযব হয়েছিল’’ (কাস্তাল্লানী, মাওয়াহেবুল্লাদুনিয়্যাহ, ১/১৬২ পৃ.) এ মত গ্রহণ করে এবং এই মতের ব্যাখ্যায় ইমাম জুরকানী (রহ.) বলেন-
قال بعضهم: وهو الأقوى
-‘‘অনেক ইতিহাসবিদ বলেছেন, এই মতটিই অধিক শক্তিশালী। (জুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব, ২/৭১ পৃ.দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন) এবার আপনাদের সামনে আহলে হাদিস ও দেওবন্দীদের ইমাম, আল্লামা হাফেয ইবনে কাসির (রহ.) কি বলেন। তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থে লিখেন-
أَنَّ الْإِسْرَاءَ كَانَ لَيْلَةَ السَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنْ رَجَبٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
-‘‘অবশ্যই মি‘রাজ সংগঠিত হয়েছে রযব মাসের ২৭ তারিখ।মহান রব তা‘য়ালাই এই বিষয়ে ভাল জানেন।’’ (ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ৩/১৩৫ পৃ.দারু ইহ্য়িাউত তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন) যাই হোক তাদের ইমামের কথা তারা না মানলে আমাদের কিছু করার নেই।
মি‘রাজের ইবাদত:
মি‘রাজ উপলক্ষ্যে নামায এবং রোযা রাখলে আমাদের আশে পাশে ফাতওয়া দেওয়ার মৌলভীর অভাব নেই। ইমাম বায়হাকী (রহ.) সংকলন করেন-ইমাম বায়হাকী (রহ.) সংকলন করেন-
عَنْ أَنَسٍ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: فِي رَجَبٍ لَيْلَةٌ يُكْتَبُ لِلْعَامِلِ فِيهَا حَسَنَاتُ مِائَةِ سَنَةٍ، وَذَلِكَ لِثَلَاثٍ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، فَمَنْ صَلَّى فِيهَا اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ يَتَشَهَّدُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، وَيُسَلِّمُ فِي آخِرِهِنَّ، ثُمَّ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَسْتَغْفِرُ اللهَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَدْعُو لِنَفْسِهِ مَا شَاءَ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَيُصْبِحُ صَائِمًا فَإِنَّ اللهَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءَهُ كُلَّهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُو فِي مَعْصِيَةٍ
-‘‘হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (দ.) ইরশাদ করেন, রযবের একটি রাত রয়েছে যে রাতে ইবাদত করলে ১০০ শত বছরের (নফল) ইবাদতের সাওয়াব পাওয়া যায়। আর সেটি হচ্ছে রযব মাসের ৩ দিন বাকি থাকার রাত (২৭ ই রযব)। আর এ রাতে ১২ রাক‘আত নামায পড়বে আর প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতেহা ও তার সাথে অন্য সূরা দ্বারা এক সালামে দুই রাক‘আত নামায আদায় করবে এবং নামায শেষে সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুল্লিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ১০০ বার পড়বে। আর নবী পাক (দ.) এর উপরে ১০০ বার দরুদ পড়বে এবং তারপরে আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য র্প্রাথনা করবে, দিনে রোযা রাখবে তাহলে মহান রব অন্যায় দোয়া ছাড়া সকল দোয়া কবুল করবেন।’’ (ইমাম বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান, ৫/৩৪৬ পৃ. হা/৩৫৩১) 
এ বিষয়ে ইমাম বায়হাকী (রহ.) আল্লাহ যেন এই ধোঁকাবাজ থেকে হেফাযত করেন। আমিন। যরত সালমান ফারসী (রা.) হতেও আরেকটি হাদিস বর্ননা করেছেন। (ইমাম বায়হাকী, ফাযায়েলুল আওকাত, ১/৯৫ পৃ.) এ বিষয়ে আরও অনেক হাদিস জানতে আমার প্রকাশের পথে ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ তৃতীয় খন্ড দেখুন।
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|