★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
★আমি তো পুরুষ! আমার আবার পর্দা কিসের??? কিন্তু পর্দা পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই ফরজ !!!★ - Tasawuf Discussions on

★আমি তো পুরুষ! আমার আবার পর্দা কিসের??? কিন্তু পর্দা পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই ফরজ !!!★



আল্লাহ নারীদের মত করে পুরুষদের হিজাব
করতে বলেনি তার মানে এই নয় যে পুরুষদের
হিজাব নেই।
নারীদের যেমন সৌন্দর্য ঢাকার জন্য পর্দা ব্যবহার
করতে বলা হয়েছে , ঠিক তেমনি
পুরুষদেরকেও পর-নারীর সৌন্দর্য দেখা
থেকে নিজের চোখ ও অন্তরের পর্দা
করতে বলা হয়েছে।
সত্যি কথা বলতে পুরুষের জন্যই পর্দার আয়াত
প্রথমে নাযিল হয়েছে। পরবর্তীতে
নারীর পর্দার আয়াত নাযিল হয়েছে।
সুরা নূরের ৩০ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ্
বলেছেন-"মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন
তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং লজ্জাস্থানের
হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা
আছে।"
এর পরের আয়াত অর্থাৎ সুরা নূরের ৩১ নম্বর
আয়াত মহান আল্লাহ্ নাযিল করেছেন নারীদের
পর্দার জন্য।
এখন কোন পুরুষের চোখ যদি কোন নারীর
সৌন্দর্য দর্শন করার অনুমতি পায়, তাহলে
একমাত্র নিজের স্ত্রীর। একজন পুরুষের জন্য
নিজ স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন নারীর
চেহারার সৌন্দর্য দেখা বা অন্য কোন নারীর
দেহ আকৃতি অন্তরে অনুভব করা 'হারাম'।
এ সম্পর্কে মহানবী(সাল্লাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম)  

বলেছেন , যদি
কোন মহিলার দিকে হঠাৎ নজর পড়ে যায় ,
তাৎক্ষণিক দৃষ্টি সরিয়ে নেবে এবং তার দিকে আর
দ্বিতীয়বার তাকাবে না।
আল্লাহ পবিত্র কুরানের সুরা আন-নুরের ৩০নং
আয়াতে নারীদের পর্দার ব্যাপারে নিষেধ করার
আগে পুরুষের চোখের পর্দা হেফাজত করার
নির্দেশ দিয়েছেন।
কেউ যখন তা জেনেও এই নিষেধ মান্য করা
থেকে নিজেকে দূরে রাখলো না তখন সে
যেন কুরআনে আল্লাহ প্রদত্ত নির্দেশ কে
অবজ্ঞা করল।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ বলেছেনঃ "এতে কোন
সন্দেহ নেই যে, যারাই আমার আয়াত সমুহকে
অবজ্ঞা করবে, আমি তাদেরকে 
#জাহান্নামের
আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন
জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আমি সেখানে নতুন
চামড়া দিব, যাতে তারা আযাব পূর্ণভাবে আস্বাদন
করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী,
মহাজ্ঞানী। (সুরা আন নিসাঃ ৫৬)
ঠিক একইভাবে, হিজাব পরা মানে মানুষকে
দেখানো নয় যে আমি হিজাব পরছি। হিজাব পরা
মানে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন আমার
শরীরের সৌন্দর্য পর-পুরুষ থেকে ঢেকে
রাখতে। যা দেখার অনুমতি বা প্রদর্শন করার অনুমতি
দিয়েছে একমাত্র আমার স্বামীর সামনে।
সুরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ্
বলেছেন-"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা
যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের
লজ্জাস্থানের হেফাযত করে ও নিজেদের
দেহ-সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, কেবল সেসব
অংশ ছাড়া যা আপনা আপনি প্রকাশিত হয়ে পড়ে; আর
যেন তারা তাদের মাথার কাপড় দিয়ে বুকের ওপরটা
ঢেকে রাখে এবং তারা যেন তাদের সৌন্দর্য
প্রদর্শন না করে শুধুমাত্র তাদের স্বামী, পিতা,
শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভ্রাতুষ্পুত্র,
ভগ্নিপুত্র,নিজ অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত
পুরুষ ও বালক যারা নারীদের গোপন অংগ
সম্পর্কে অজ্ঞ তারা ব্যতীত; আর তারা যেন
তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য
জোরে পদচারণা না করে। হে মুমিন
লোকেরা ! তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর
নিকট তওবা কর, আশাকরা যায় তোমরা কল্যাণ লাভ
করবে। " (সূরা আন-নূরঃ ৩১)
আল্লাহ্ সুবানাহুতায়ালা আরো বলেছেনঃ "হে
নবী ! আপনি আপনার স্ত্রীগণ ও কন্যাদেরকে
এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন
তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে
নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে।
ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না।" (সুরা
আহযাবঃ ৫৯)
এছাড়া,,, 
অবশ্য পুরুষের জন্য সিল্কের পাঞ্জাবী ও
স্বর্ণ হারাম।
উমার ইবুল খাত্তাব (রাদিল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বর্ণীত, রাসুল 
বলেছেন- তোমরা পুরুষেরা রেশমি কাপড়
পরিধান করবে না। কেননা যে ব্যক্তি এই
পৃথিবীতে রেশমি কাপড় পরিধান করবে সে
আখিরাতে তা থেকে বঞ্চিত হবে। [সহিহ বুখারীঃ
৫৮২৮, মুসলিমঃ ২০৬৯]
আবু মুসা আশআরী (রাদিল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বর্ণীত, রাসুল
 বলেছেন- "রেশমের পোশাক ও স্বর্ণ"
আমার উম্মতের পুরুষের জন্য হারাম করা
হয়েছে আর নারীদের জন্য বৈধ করা হয়েছে।
[তিরমিজিঃ ১৭২০, নাসায়ীঃ ৫১৪৮]
হিজাব বলতে শুধু পোশাক বোঝায় না। বরং
মানুষের আচার-আচরণ,ব্যবহার, দৃষ্টিভঙ্গি এমনকি
অভিপ্রায়কেও বোঝায়। পোশাকের পাশাপাশি
চোখ, মন, চিন্তা এমনকি হৃদয়েরও হিজাব থাকতে হবে।
তাই আসুন আমরা সকল নারী ও পুরুষ পর্দা মেনে চলি আল্লাহ আমাদের সবাইকে পর্দা করার তৌফিক দিন (আমিন)
viset.করুন www.yanabi.in এ
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|