★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
ওলী আল্লাহ পর্ব ১ এই পর্বে আওলীয়া আল্লাহর পরিচয় কি তাদের চেনার উপায় কি ? - Ja-al-haq Discussions on

ওলী আল্লাহ পর্ব ১ এই পর্বে আওলীয়া আল্লাহর পরিচয় কি তাদের চেনার উপায় কি ?

edited July 2017 in Ja-al-haq
কেন তাদের সংসর্গে থাকতে মোমিন বা মুসল্মানগন(আমরা সুন্নিরা) পছন্দ করেন... কেনই বা তাদের সঙ্গ আমাদের জন্য রহমত.... আর তাদের সংসর্গের থাকার ফজিলত কি.... এবং তাদের বিরোধিতার পরিনাম কি... এই পর্বের বিষয়...

আসুন প্রথমে আউলীয়া  আল্লাহ কারা... তাদের চেনা কি সম্ভব....হ্যা নিজে থেকে চেনা সম্ভব নয়... আল্লাহ যদি না চেনান....  আসুন আল্লাহ তার ওলীদের চেনানোর জন্য আল্লাহ নিজেই ব্যাবস্থা নেন.... কিভাবে আসুন লক্ষ করি.... 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- عَن النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: « إِذَا أَحَبَّ اللَّهُ عَبْدًا نَادَى جِبْرِيلَ: إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ فُلَانًا فَأَحِبَّهُ فَيُحِبُّهُ جِبْرِيلُ، فَيُنَادِي جِبْرِيلُ فِي أَهْلِ السَّمَاءِ: إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ فُلَانًا فَأَحِبُّوهُ فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ الْقَبُولُ فِيِ الْأَرْضِ 

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে মহব্বত করেন জিবরিলকে ডেকে বলেন, আল্লাহ অমুককে মহব্বত করেন অতএব তুমি তাকে মহব্বত কর ফলে জিবরিল তাকে মহব্বত করেন। অতঃপর জিবরিল আসমানবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করেন, আল্লাহ অমুককে মহব্বত করেন অতএব তোমরা তাকে মহব্বত কর ফলে আসমানবাসীরা তাকে মহব্বত করে, অতঃপর জমিনে তার জনপ্রিয়তা রাখা হয়”।

[বুখারি- 5693 ] হাদিসটি সহিহ।
আলোচনা..ঃ উক্ত হাদীস থেকে জানতে পারেন যে প্রথমে আল্লাহ তার মেহবুব বান্দাদের (আওলীয়াদের)মুহাব্বত করেন.... তারপর...সেই মাহবুব বান্দাকে আল্লাহ জিব্রাইলকে জানান বা চেনান.... এবং জিব্রাইল আলাহিসালামকেও হুকুম দেন তুমি তাকে মুহাব্বত করো.... তাকে আসমানে মালাকাদের চিনিয়ে দাও এবং তাদের ও মুহাব্বত  করতে বলো.... এরপর আল্লাহ পৃথিবীতে  জনপ্রিয়তা রাখেন বা মোমিনদের  চেনান. ...

আওলীয়া আল্লাহ চেনার চিহ্ন কি.... তার প্রমান আল্লাহ তার কুরানে বলেন.... 

إِنْ أَوْلِيَاؤُهُ إِلَّا الْمُتَّقُونَ
আল্লাহর ওলীরা মুত্তাকি ছাড়া কেও নয়....

সুরা আনফাল, আয়াত-৩৪

আর কি চিহ্ন থাকতে পারে আল্লাহর ওলীর মধ্যে..... আসুন লক্ষ করি.... 
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﻳﻌﻘﻮﺏ ﺍﻟﻤﻌﺪﻝ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺑﻦ ﻋﻠﻮﻳﺔ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺇﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﺑﻦ ﻋﻴﺴﻰ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻟﻬﻴﺎﺝ ﺑﻦ ﺑﺴﻄﺎﻡ ، ﻋﻦ ﻣﺴﻌﺮ ﺑﻦ ﻛﺪﺍﻡ ، ﻋﻦ ﺑﻜﻴﺮ ﺑﻦ ﺍﻷﺧﻨﺲ ، ﻋﻦ
ﺳﻌﻴﺪ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﻗﺎﻝ : ﺳﺌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ - ﻣﻦ ﺃﻭﻟﻴﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ؟ ﻗﺎﻝ : " ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺇﺫﺍ ﺭﺅﻭﺍ ﺫﻛﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ 
"
হজরতে সাইদ রাদিআল্লাহু আনহু হইতে বর্নিত... তিনি বলেন... রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো  আওলিয়া আল্লাহ কারা...? ইরশাদ করলেন  যাদের দেখলে আল্লাহ আযযাওয়াজালের স্মরন এসে যায়... 

মাজুমুল কাবীর, হাদীস নং ১২৩২৫

মাজমাউজ যাওয়াইদ, হাদীস নং-১৬৭৭৯

মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নং ৫০৫০,হজরতে আবু দোহা হইতে বর্নিত

তাফসীর  ইবনে কাসীর, পৃষ্ঠা-২৭৮,ইবনে আব্বাস হইতে বর্নিত

তাফসীরে কুরতুবী, পৃষ্ঠা-২৬৭
 
তাফসীরে তাবরী, হাদীস নং -১৭৭০৩

তাফসীরে বাগাওয়ী, আবু মালিক আসয়ারী হইতে বর্নিত,  সুরা ইউনুসের আয়াত -৬২ তাফসীরে 

তাফসীরে কাবীর, সুরা -ইউনুস,  আয়াত-৬২

তাফসীরে দুররে মান্সুর,পৃষ্ঠা-৬৭৪, সুরা-ইউনুস,আয়াত-৬২

তাফসীরে ইবনে হাতিম,হাদীস নং-১০৪৫৪, হজরতে ইবনে আব্বাস হইতে বর্নিত

আরো আসুন দেখুন আল্লাহ তার ওলীদের চেনাচ্ছেন.

واصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم 
আর আপনি সবর করুন. নিজেকে তাদের সাথে রাখুন যারা সর্বদা আল্লাহকে স্মরন করে...

সুরা কাহাফ, আয়াত-২৮

এই আয়াত থেকে দুটো জিনিশ বোঝা যায় আওলীয়া আল্লাহ হচ্চেন তারা যারা সর্বদা আল্লাহর স্মরনে মগ্ন থাকেন.... দ্বিতীয় বিষয় বোঝা যায়...তাদের সংসর্গ বা সঙ্গ আল্লাহর নিকট মাকবুল ব্য পছন্দনীয়.... এমনকি রসুলেও তাদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন...আসুন তার দলিল লক্ষ করি.... 

تفرد به أحمد رحمه الله وقال الطبراني ثنا إسماعيل بن الحسن ثنا أحمد بن صالح ثنا ابن وهب عن أسامة بن زيد عن أبي حازم عن عبد الرحمن بن سهل ابن حنيف قال: نزلت على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو في بعض أبياته " واصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي " الآية فخرج يلتمسهم فوجد قومًا يذكرون الله تعالى منهم ثائر الرأس وجاف الجلد وذو الثوب الواحد فلما رآهم جلس معهم وقال " الحمد لله الذي جعل في أمتي من أمرني أن أصبر نفسي معهم

হজরতে আব্দুর রহমান বিন সহেল ইবনে হুনাইফ থেকে বর্নিত  তিনি বলেন, যখন রসুলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  নিজের বাসগৃহ সমুহের মধ্যে যাতায়াত করছিলেন... তখন 
( واصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي )... ..আপনি নিজেকে তাদের সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন যারা সকাল সন্ধ্যা
তার পালনকর্তাকে তার সন্তুষ্টির জন্য  আহবান   ....করে.... আয়াত নাযিল হলো. রসুলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন... এবং আল্লাহর যিকিরে মসগুল এমন কিছু লোককে পেলেন.....যারা লেবাসে -পোষাকে জীর্নশির্ন এক এবং পোষাকেই আবৃত করে রেখেছেন... তাদের নিকট গিয়ে আল্লাহর রসুল বললেন... সকল প্রসংসা আল্লাহর জন্য....যিনি আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি করেছেন....  আমি সর্বদা তদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি...

তাফসীর এ ইবনে কাসীর, সুরা কাহাফ, আয়াত -২৮ খন্ড -৩ পৃষ্ঠা ৮১
এইবার আলোচ্য বিষয় হলো...যারা বলে এই সব পীর ওলীদের পিছনে তোমরা ছোটো কেন.... তাদের বলবেন তাদের সংসর্গ আল্লাহও তার রসুল পছন্দ করেন তাই তাদের পিছনে ছুটি বা তাদের দামনের সঙ্গে নিজেদেরকে জোড়ার চেষ্টা করি..... 

আর এক যায়গায় আল্লাহ তার স্বলেহ বান্দা বা ওলীদের সঙ্গে নিসবত বা সম্পর্ক  রাখার হুকুম দিচ্ছেন... তার দলিল নিচে...
وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَأُولَٰئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ ۚ وَحَسُنَ أُولَٰئِكَ رَفِيقًا 

আর যে কেউ আল্লাহর ইতায়াত করে এবং তাঁর রসূলের ইতায়াত করে... তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে.... তাঁরা হলেন নবীগন , সিদ্দীকগন , শহীদ ও স্বলেহিনগন.....আর তাদের সঙ্গ বা  সান্নিধ্যই হল উত্তম(সঙ্গ)....

সুরা নিশা,আয়াত-৬৯

আলোচ্য বিষয় হলো এই..... যারা আল্লাহর তার রসুলের সত্যিকারের ইতায়াত করে....তারা অবশ্যই আল্লাহ ওয়ালা বা তার স্বলেহিন বা  আল্লাহর ওলীদের সঙ্গ বেছে নেবে... আর যারা আল্লাহ ও তার রসুলের ইতায়াত করার শুধু দাবী করে....প্রকৃত ইতায়াত করে না.... তারা পীর আওলিয়াদের নাম শুনলে নাক বচকাবে...যেহেতু আল্লাহ বলেন  وَحَسُنَ أُولَٰئِكَ رَفِيقًا  এদের সঙ্গ হলো সবচেয়ে উওম তাই আমরা সর্বদা পীর ওলীদের সঙ্গ পছন্দ করি.... তাদের দামনে সঙ্গে নিসবত সম্পর্ক রাখি....আর যারা এদের এড়িয়ে চলে তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তার কুরানে হুকুম দেয়... 

وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَىٰ وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ ۖ وَسَاءَتْ مَصِيرًا 

আর তার নিকট সত্য পথ প্রকাশিত হওয়ার পরও রসুলের বিরোধিতা করে..আর অনুসরন করে মোমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথ...আমি সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দেবো....(যেদিকে সে অনুসরন করে চলেছে....) এবং তাকে জাহান্নামে ছুড়ে ফেলে দেবো....  আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান.....

 সুরা নিসা, আয়াত-১১৫

আলোচনা.....: এই আয়াত থেকে বোঝা যারা প্রকৃত মোমিন তথা আওলিয়া কামেলিন.... তাদের পথে না চলে....অন্যদের পথে চলে...তারাই আসলে রসুলের বিরুদ্ধে চলে.... আর সেই কারন বসত তাদের আল্লাহ জাহান্নামে ছুড়ে ফেলে দেবে.... আর যারা বলে আমার জন্য শুধু আল্লাহ তার রসুল যথেষ্ট....তাদের দাবী যে মিথ্যে... তারা শুধু নিজের নাফসের অনুসরন করে.. তা এই কুরানের আয়াত থেকে বোঝা যায়.. আওলিয়া কামেলিন ও আইম্মাদের পথই আসলে রসুলের অনুসৃত পথ.... তাদের  পথ থেকে  সরে চললে রসুলের পথে চলতে পারে না কেও....আর তাকেই আল্লাহ জাহান্নামে ছুড়ে ফেলে দেবে...তাই আসলে আমরাই আল্লাহ ও তার রসুলের অনসরনকারী...আমরা যেহেতু প্রকৃত মোমিন তথা....আওলীয়া কামিল ও আইম্মাদের সুন্নতের রাস্তায় চলি তাই আমরা প্রকৃত আহলে সুন্নত.... আর যারা চলেনা.... তারা  হলো আহলে বিদাআত....

এইবার তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারনে আমরা কি প্রতিদান পাবো এটাও একটা প্রশ্ন আসে.... তার জন্য নিচের হাদীস দেখুন ঃ

ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺭَﺃَﻭْﺍ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺪْ ﻧَﺠَﻮْﺍ ﻓِﻲ ﺇِﺧْﻮَﺍﻧِﻬِﻢْ ﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺇِﺧْﻮَﺍﻧُﻨَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻣَﻌَﻨَﺎ ﻭَﻳَﺼُﻮﻣُﻮﻥَ ﻣَﻌَﻨَﺎ ﻭَﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ﻣَﻌَﻨَﺎ . ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﺍﺫْﻫَﺒُﻮﺍ ﻓَﻤَﻦْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻢْ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝَ ﺩِﻳﻨَﺎﺭٍ ﻣِﻦْ ﺇِﻳﻤَﺎﻥٍ ﻓَﺄَﺧْﺮِﺟُﻮﻩُ . ﻭَﻳُﺤَﺮِّﻡُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺻُﻮَﺭَﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ، ﻓَﻴَﺄْﺗُﻮﻧَﻬُﻢْ ﻭَﺑَﻌْﻀُﻬُﻢْ ﻗَﺪْ ﻏَﺎﺏَ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﺇِﻟَﻰ ﻗَﺪَﻣِﻪِ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺃَﻧْﺼَﺎﻑِ ﺳَﺎﻗَﻴْﻪِ، ﻓَﻴُﺨْﺮِﺟُﻮﻥَ ﻣَﻦْ ﻋَﺮَﻓُﻮﺍ، ﺛُﻢَّ ﻳَﻌُﻮﺩُﻭﻥَ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺍﺫْﻫَﺒُﻮﺍ ﻓَﻤَﻦْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻢْ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝَ ﻧِﺼْﻒِ ﺩِﻳﻨَﺎﺭٍ ﻓَﺄَﺧْﺮِﺟُﻮﻩُ . ﻓَﻴُﺨْﺮِﺟُﻮﻥَ ﻣَﻦْ ﻋَﺮَﻓُﻮﺍ، ﺛُﻢَّ ﻳَﻌُﻮﺩُﻭﻥَ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺍﺫْﻫَﺒُﻮﺍ ﻓَﻤَﻦْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻢْ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝَ ﺫَﺭَّﺓٍ ﻣِﻦْ ﺇِﻳﻤَﺎﻥٍ ﻓَﺄَﺧْﺮِﺟُﻮﻩُ . ﻓَﻴُﺨْﺮِﺟُﻮﻥَ ﻣَﻦْ ﻋَﺮَﻓُﻮﺍ ." ﻗَﺎﻝَ ﺃَﺑُﻮ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﺗُﺼَﺪِّﻗُﻮﻧِﻲ ﻓَﺎﻗْﺮَﺀُﻭﺍ } ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻَ ﻳَﻈْﻠِﻢُ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝَ ﺫَﺭَّﺓٍ ﻭَﺇِﻥْ ﺗَﻚُ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻳُﻀَﺎﻋِﻔْﻬَﺎ { " ﻓَﻴَﺸْﻔَﻊُ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴُّﻮﻥَ ﻭَﺍﻟْﻤَﻼَﺋِﻜَﺔُ ﻭَﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺍﻟْﺠَﺒَّﺎﺭُ ﺑَﻘِﻴَﺖْ ﺷَﻔَﺎﻋَﺘِﻲ . ﻓَﻴَﻘْﺒِﺾُ ﻗَﺒْﻀَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻓَﻴُﺨْﺮِﺝُ ﺃَﻗْﻮَﺍﻣًﺎ ﻗَﺪِ ﺍﻣْﺘُﺤِﺸُﻮﺍ، ﻓَﻴُﻠْﻘَﻮْﻥَ ﻓِﻲ ﻧَﻬَﺮٍ ﺑِﺄَﻓْﻮَﺍﻩِ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻪُ ﻣَﺎﺀُ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓِ، ﻓَﻴَﻨْﺒُﺘُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺣَﺎﻓَﺘَﻴْﻪِ ﻛَﻤَﺎ ﺗَﻨْﺒُﺖُ ﺍﻟْﺤِﺒَّﺔُ ﻓِﻲ ﺣَﻤِﻴﻞِ ﺍﻟﺴَّﻴْﻞِ، ﻗَﺪْ ﺭَﺃَﻳْﺘُﻤُﻮﻫَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺟَﺎﻧِﺐِ ﺍﻟﺼَّﺨْﺮَﺓِ ﺇِﻟَﻰ ﺟَﺎﻧِﺐِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَﺓِ، ﻓَﻤَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲِ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﺧْﻀَﺮَ، ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻈِّﻞِّ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﺑْﻴَﺾَ، ﻓَﻴَﺨْﺮُﺟُﻮﻥَ ﻛَﺄَﻧَّﻬُﻢُ ﺍﻟﻠُّﺆْﻟُﺆُ، ﻓَﻴُﺠْﻌَﻞُ ﻓِﻲ ﺭِﻗَﺎﺑِﻬِﻢُ ﺍﻟْﺨَﻮَﺍﺗِﻴﻢُ ﻓَﻴَﺪْﺧُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺃَﻫْﻞُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻫَﺆُﻻَﺀِ ﻋُﺘَﻘَﺎﺀُ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺃَﺩْﺧَﻠَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋَﻤَﻞٍ ﻋَﻤِﻠُﻮﻩُ ﻭَﻻَ ﺧَﻴْﺮٍ ﻗَﺪَّﻣُﻮﻩُ . ﻓَﻴُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻬُﻢْ ﻟَﻜُﻢْ ﻣَﺎ ﺭَﺃَﻳْﺘُﻢْ ﻭَﻣِﺜْﻠُﻪُ ﻣَﻌَﻪُ ."

যখন ঈমানদারগন(ওলীগন) এই দৃশ্যটি অবলোকন করবে যে, তাদের ভাইদেরকে রেখে একমাত্র তারাই নাজাত পেয়েছে, তখন তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমাদের সেসব ভাই কোথায়, যারা আমাদের সঙ্গে সালাত  আদায় করত, রোযা পালন করত, নেক কাজ করত? তখন আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে বলবেনঃ তোমরা যাও, যাদের অন্তরে এক দীনার বরাবর ঈমান পাবে, তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আন। আল্লাহ তাআলা তাদের মুখমন্ডল জাহান্নামের ওপর হারাম করে দিয়েছেন। এদের কেউ কেউ দু'পা ও দু'পায়ের নলীর অধিক পর্যন্ত জাহান্নামের মধ্যে থাকবে। তারা যাদেরকে চিনতে পারে, তাদেরকে বের করবে। তারপর এরা আবার প্রত্যাবর্তন করবে।
আল্লাহ আবার তাদেরকে বলবেন, তোমরা যাও, যাদের অন্তরে অর্ধ দীনার পরিমাণ ঈমান পাবে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে। তারা গিয়ে তাদেরকেই বের করে নিয়ে আসবে যাদেরকে তারা চিনতে পারবে। তারপর আবার প্রত্যাবর্তন করবে। আল্লাহ তাদেরকে আবার বলবেন, তোমরা যাও, যাদের অন্তরে অনু পরিমাণ ঈমান পাবে, তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে। তারা যাদেরকে চিনতে পাবে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে। বর্ণনাকারী আর সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেনঃ তোমরা যদি আমাকে বিশ্বাস না কর, তাহলে আল্লাহর এ বানীটি পড়ঃ আল্লাহ অণু পরিমানও জুলুম করেন না। এবং অণু পরিমান পূণ্য কাজ হলেও আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ করেন (৪ঃ ৪০)।
তারপর নাবী ফেরেশতা ও মুমিনগণ(আল্লাহর ওলী) সুপারিশ করবেন। তখন মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলবেন, এখন একমাত্র আমার শাফাআতই অবশিষ্ট রয়েছে। তিনি জাহান্নাম থেকে একমুষ্টি ভরে এমন কতগুলো কওমকে বের করবেন, যারা জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপর তাদেরকে বেহেশতের সামনে অবস্থিত 'হায়াত’ নামক নহরে ঢালা হবে। তারা সে নহরের দুপার্শ্বে এমনভাবে উদ্ভুত হবে, যেমন পাথর এবং গাছের কিনারে বহন করে আনা আবর্জনায় নীচ থেকে তৃণ উদ্ভুত হয়। দেখতে পাও তন্মধ্যে সূর্যের আলোর অংশের গাছগুলো সাধারণত সবুজ হয়, ছায়ার অংশগুলো সাদা হয়। তারা সেখান থেকে মুক্তার দানার মত বের হবে। তাদের গর্দানে মোহর লাগানো হবে। জান্নাতে তারা যখন প্রবেশ করবে, তখন অপরাপর জান্নাতবাসীরা বলবেন, এরা হলেন রাহমান কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত যাদেরকে আল্লাহ তা'আলা কোন নেক আমল কিংবা কল্যাণ কাজ ছাড়া জান্নাতে দাখিল করেছেন। তখন তাদেরকে ঘোষনা দেয়া হবেঃ তোমরা যা দেখেছ, সবই তো তোমাদের এর সাথে আরো সমপরিমান দেওয়া হল তোমাদেরকে।

বুখারী সরিফ, কিতবুত তওহিদ, হাদীস নং-৬৯৩২

এইবার আসুন আলোচনা দিকে আসি....রসুল বলেন  ﻓَﻴُﺨْﺮِﺟُﻮﻥَ ﻣَﻦْ ﻋَﺮَﻓُﻮﺍ ... অতঃপর যাকে চিনতে পারবে  বার করে আনবে.... এর থেকে বোঝা যায়...... আল্লাহর ওলীদের সঙ্গে চেনা পরিচয় রাখো.... সম্পর্ক রাখো....যে সম্পর্ক রাখবে তাকে কিয়ামতের দিন... আল্লাহর ওলীরা চিনবে... আর জাহান্নাম থেকে বার করে আনবে.... আর যে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাতে নাক বচকাবে....তারা সেখানেই(জাহান্নামে) পড়ে থাকবে.... 

এইবার আল্লাহ  আওলিয়া কামিলদের  অনেক মর্যদা দান করেছেন... তাদের  জন্য কি এটাই কম মর্যদা যে তারা আল্লাহর বন্ধু... তারপরও আল্লাহ কিয়ামতের দিনে অশেষ মর্যদার অধিকারী বানাবেন....তার নমুনা হিসাবে নিচের হাদীস লক্ষ করুন.... 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِيْ بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَيَدْخُلَنَّ مِنْ أُمَّتِيْ سَبْعُوْنَ أَلْفًا أَوْ سَبْعُ مِائَةِ أَلْفٍ لَا يَدْخُلُ أَوَّلُهُمْ حَتَّى يَدْخُلَ آخِرُهُمْ وُجُوْهُهُمْ عَلَى صُوْرَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ

. সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক অথবা সাত লক্ষ লোক একই সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের কেউ আগে কেউ পরে এভাবে নয় আর তাদের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল থাকবে। 

সহি মুসলিম, কিতাব বাদআল খালক, হাদীস নং-৬৫৪৩,৬৫৫৪

এইবার প্রশ্ন আসতে পারে মিয়া এখানে পীর আওলীয়া কোথায় পেলেন....

তাহলে এই হাদীস দুটি লক্ষ করুন.....

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺯُﻫَﻴْﺮُ ﺑْﻦُ ﺣَﺮْﺏٍ، ﻭَﻋُﺜْﻤَﺎﻥُ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺷَﻴْﺒَﺔَ، ﻗَﺎﻟَﺎ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺟَﺮِﻳﺮٌ، ﻋَﻦْ ﻋُﻤَﺎﺭَﺓَ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﻘَﻌْﻘَﺎﻉِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺯُﺭْﻋَﺔَ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺟَﺮِﻳﺮٍ، ﺃَﻥَّ ﻋُﻤَﺮَ ﺑْﻦَ ﺍﻟْﺨَﻄَّﺎﺏِ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﺄُﻧَﺎﺳًﺎ ﻣَﺎ ﻫُﻢْ ﺑِﺄَﻧْﺒِﻴَﺎﺀَ، ﻭَﻟَﺎ ﺷُﻬَﺪَﺍﺀَ ﻳَﻐْﺒِﻄُﻬُﻢُ ﺍﻟْﺄَﻧْﺒِﻴَﺎﺀُ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ، ﺑِﻤَﻜَﺎﻧِﻬِﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﺗُﺨْﺒِﺮُﻧَﺎ ﻣَﻦْ ﻫُﻢْ، ﻗَﺎﻝَ : ﻫُﻢْ ﻗَﻮْﻡٌ ﺗَﺤَﺎﺑُّﻮﺍ ﺑِﺮُﻭﺡِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻰ ﻏَﻴْﺮِ ﺃَﺭْﺣَﺎﻡٍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ، ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻣْﻮَﺍﻝٍ ﻳَﺘَﻌَﺎﻃَﻮْﻧَﻬَﺎ، ﻓَﻮَﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻥَّ ﻭُﺟُﻮﻫَﻬُﻢْ ﻟَﻨُﻮﺭٌ، ﻭَﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﻧُﻮﺭٍ ﻟَﺎ ﻳَﺨَﺎﻓُﻮﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺧَﺎﻑَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺤْﺰَﻧُﻮﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺣَﺰِﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﻗَﺮَﺃَ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟْﺂﻳَﺔَ } ﺃَﻟَﺎ ﺇِﻥَّ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﺎ ﺧَﻮْﻑٌ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﻫُﻢْ ﻳَﺤْﺰَﻧُﻮﻥَ { ‏[ ﻳﻮﻧﺲ : ٦٢ ‏]
ﺻﺤﻴﺢ ﺑَﺎﺏٌ ﻓِﻲ ﺍﻟﺮَّﻫْﻦِ
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মাঝে এমন কিছু লোক আছে যারা নবী নন এবং শহীদও নয়। কিয়ামাতের দিন মহান আল্লাহর দরবারে তাদের মর্যাদার কারণে নবীগণ ও শহীদগণ তাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হবেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর আমাদের অবহিত করুন, তারা কারা? তিনি বলেন, তারা ঐ সব লোক যারা আল্লাহর মহানুভবতায় পরস্পরকে ভালোবাসে, অথচ তারা পরস্পর আত্মীয়ও নয় এবং পরস্পরকে সম্পদও দেয়নি। আল্লাহর শপথ! তাদের মুখমন্ডল যেমন নূর এবং তারা নূরের আসনে উপবেশন করবে। তারা ভীত হবে না, যখন মানুষ ভীত থাকবে। তারা দুশ্চিন্তায় পড়বে না, যখন মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকবে। তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ ‘‘জেনে রাখো! আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’’(সূরা ইউনুসঃ ৬২

সুনানে আবু দাউদ,কিতাবুল ইজারা, হাদীস নং-৩৫২৭ 

 - حدثنا أبو عبد الله محمد بن عبد الله الزاهد الأصبهاني ، ثنا أحمد بن يونس الضبي ، بأصبهان ، ثنا أبو بدر شجاع بن الوليد ، قال : سمعت زياد بن خيثمة ، يحدث عن أبيه ، عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم : " إن لله عبادا ليسوا بأنبياء ولا شهداء يغبطهم الشهداء والنبيون يوم القيامة لقربهم من الله تعالى ومجلسهم منه " فجثا أعرابي على ركبتيه ، فقال : يا رسول الله ، صفهم لنا وحلهم لنا . قال : " قوم من أقناء الناس من نزاع القبائل تصادقوا في الله وتحابوا فيه ، يضع الله عز وجل لهم يوم القيامة منابر من نور يخاف الناس ولا يخافون ، هم أولياء الله عز وجل الذين لا خوف عليهم ولا هم يحزنون 

 ‘হজরতে ইবনে উমর হইতে বর্নিত....নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মাঝে এমন কিছু লোক আছে যারা নবী নন এবং শহীদও নয়। কিয়ামাতের দিন মহান আল্লাহর দরবারে তাদের মর্যদার ও সেখানে তাদের মজলিশের কারণে নবীগণ ও শহীদগণ তাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হবেন অতঃপর  একজন বেদুইন আদবের সহিত হাটুগেড়ে বসলেন এবং বললেন ইয়া রসুলুল্লাহ...  আমাদেরকে.. তাদের কিছু বর্ননা দেন  এবং আমাদেরকে তাদের পরিচয় দান করুন..... ইর্শাদ করেন... সংগ্রামী গোষ্ঠী গুলির.... ভরসা প্রাপ্ত জনগনের মধ্যে থেকে এক দল আল্লাহর সাথে ঘনিষ্টতা স্থাপন করে ও তার সাথে মুহাব্বত করে....আল্লাহ আযযাওয়াজাল কিয়ামতের দিনের তাদের জন্য নুরের মিম্বার স্থাপন করবেন...  তারা ভীত হবে না, যখন মানুষ ভীত থাকবে।  তারা আওলিয়া আল্লাহ আযযাওয়াজাল যাদের‘কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নন’’....

হাকিম আল মুস্তাদরাক, হাদীস নং-৭৩৯৮,ইমাম হাকিম বলেন هذا حديث صحيح الإسناد

সর্ব শেষে আওলীয়া কেরামদের আলোচনা করলে কিছু নিন্দুক বলে... তোমাদের আর কাজ নেই পীর বা বাবাদের ( আল্লাহ ওলীদের)  কথা রাত দিন... আসুন সেই সব নিন্দুকদের জবাব দিই হাদীস দিয়ে..... .নিচে হাদীস 

ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺃﺣﻤﺪ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﻋﻠﻲ ﺍﻷﺑﺎﺭ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻟﻬﻴﺜﻢ ﺑﻦ ﺧﺎﺭﺟﺔ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺭﺷﺪﻳﻦ ﺑﻦ ﺳﻌﺪ ، ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﻮﻟﻴﺪ ﺍﻟﺘﺠﻴﺒﻲ ، ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻨﺼﻮﺭ ﻣﻮﻟﻰ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭ ، ﺃﻧﻪ ﺳﻤﻊ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﺍﻟﺠﻤﻮﺡ ، ﻳﻘﻮﻝ : ﺃﻧﻪ ﺳﻤﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻳﻘﻮﻝ : ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ : ﺇﻥ ﺃﻭﻟﻴﺎﺋﻲ ﻣﻦ ﻋﺒﺎﺩﻱ ، ﻭﺃﺣﺒﺎﺋﻲ ﻣﻦ ﺧﻠﻘﻲ ، ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﺬﻛﺮﻭﻥ ﺑﺬﻛﺮﻱ ، ﻭﺃﺫﻛﺮ ﺑﺬﻛﺮﻫﻢ 

আবি মানসুর মওলা আল আন্সার হইতে বর্নিত  তিনি শুনেছেন উমার বিন জামুহ থেকে তিনি বলেন... তিনি রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন, তিনি বলেন.... আল্লাহ আজওয়াজাল ফর্মান নিশ্চই আমার বান্দার মধ্যে থেকে আওলীয়া এবং এবং আমার সৃষ্টি  থেকে আমার ম্যাহবুব যাদের জিকির  আমার জিকির এবং আমার জিকির তাদের জিকির হিসাবে পরিগনিত হয়..... 

মুস্নাদে আহমাদ, হাদীস নং -১৫১২১

ইবনে হাজার আল হাইতমি, মাজাউজ জাউয়াইদ, হাদীস নং- ৩০৪

মাআজমুল আউসাত, হাদীস নং- ৬৫৫

যাই হোক আওলীয়া কিরামদের শান মর্যদা বয়ান ককরে শেষ করা সম্ভব না.....এই পর্ব্বে তাদের ওসীলায় আল্লাহ আমাকে যতটুকু ক্ষমতা দান করেছে.....তাদের  শান মর্যদা বয়ান করার তৌফিক হাসিল করেছি... .পরবর্তি পর্বে থাকবে.... আওলীয়া কেরামদের কারামত.... কুরানের আলোকে.....তাদের ওসীলায় সাহায্য প্রাপ্ত হওয়া....বা তারা যে আমাদের আল্লাহর প্রদত্ত ক্ষমতায় সাহায্য করতে পারেন....এবং হহাদীসের আলোকে বিপদে তাদের ডাকা  তারা তাদের কবর মুবারকে জিবীত.... কুরান ও হাদীসের আলোকে প্রমান করার চেষ্টা করবো....এছাড়া থাকবে..... তাদের কবর মুবারক জিয়ারত ও তার ওসীলা গ্রহন.... বিভিন্ন আইম্মাএ  কিরামের আমল থেকে প্রমান করার চেষ্টা করবো.ইনশাআল্লাহ ......

প্রতিদিন Visit করুন www.YaNabi.in এ
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|