★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
★★★মুহাম্মদ ﷺ এর স্বিকৃতি ছাড়া অর্থাৎ নবীজি যতক্ষণ পর্যন্ত তাহার কবরযাত্রী উম্মতকে ""মুমিন "" - Mas'la Masayel Discussions on

★★★মুহাম্মদ ﷺ এর স্বিকৃতি ছাড়া অর্থাৎ নবীজি যতক্ষণ পর্যন্ত তাহার কবরযাত্রী উম্মতকে ""মুমিন ""

★★★মুহাম্মদﷺ এর স্বিকৃতি ছাড়া অর্থাৎ নবীজি যতক্ষণ পর্যন্ত তাহার কবরযাত্রী উম্মতকে ""মুমিন ""হিসেবে সাব্যস্ত না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত সে জান্নাতের আশা করতে পারবেনা।সে একক ক্ষমতা নবীজির।নবীজি যদি জিন্দাই না তাখেন তবে এতো কোটি কোটি কবর যাত্রীকে ""মুমিন ""হিসেবে সাব্যস্থ্য করবেন কিভাবে?নবীজি একারণেই উম্মতের স্বিকৃতি যাচাইয়ে কবরে অবস্থান করছেন।কতো মহান আমার দয়াল নবীজি।কবরের বিপদে যখন বাবা-মা,আত্নীয় স্বজন কেউ স্বাক্ষী দেয়ার কেউ তাখবেনা তখন আমার আপনার দয়াল নবীজি রহমত হয়ে অবস্থান করবেন।সুবহানাল্লাহ।নবীজি দেখছেন কাহারা কবরবাসী হচ্ছেন।নবীজি এক মুহুর্তের জন্য নিদ্রায় নেই।সকল উম্মতের অপেক্ষারত আছেন।এমন দয়াল নবী আর কারো ভাগ্যে হবেনা।আর কোনও নবীই কবরে তাদের উম্মতের জন্য স্বাক্ষ্য হবেননা।ওহাবীরা আর কতো আমার দয়াল নবীজিকে তোমাদের মতো বলবে?কবরে যেতে হবেনা?হবে।সুতরাং প্রমাণীত হলো হাদিসের ভিত্তিতে নবীজি জিন্দা।তিনি সব উম্মতকে দেখতে পান ও সাহায্য করার ক্ষমতা রাখেন****হযরত বারা ইবনে আ’যেব রদিয়াল্লহু আ’নহু (الْبراءِ بْن عازبٍ رضى الله عنْه) বর্ণনা করেন যে, আমরা নবী করীম সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে এক আনসারী সাহাবীর জানাযায় (কবরস্থানে) গেলাম। যখন আমরা কবরের নিকট পৌঁছলাম তখনও কবর খনন শেষ হইয়া ছিল না। নবী করীম সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম (কবর তৈয়ার হওয়ার অপেক্ষায়) বসিলেন। আর আমরাও তাঁহার চারিপাশে এমনভাবে মনযোগ সহকারে বসিয়া গেলাম যেন আমাদের মাথার উপর পাখী বসিয়া আছে। তাঁহার হাতে একটি কাঠি ছিল যাহা দ্বারা তিনি মাটি খোঁচাইতে ছিলেন। (কোন গভীর চিন্তামগ্ন অবস্থায় এইরূপ হইয়া থাকে।) অতঃপর তিনি তাঁহার মাথা উঠাইলেন এবং দুই অথবা তিনবার বলিলেন, কবরের আযাব হইতে আল্লহ তায়া’লার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর। অতঃপর বলিলেন, (আল্লহ তায়া’লার মুমিন বান্দা এই দুনিয়া হইতে স্থান পরিবর্তন করিয়া যখন বরযখের জগতে পৌঁছে অর্থাৎ তাহাকে কবরে দাফন করিয়া দেওয়া হয় তখন) তাহার নিকট দুইজন ফিরিশতা আসেন। তাহারা তাহাকে বসান। অতঃপর তাহাকে প্রশ্ন করেন, তোমার রব কে? সে বলে আল্লহ আমার রব। পুনরায় প্রশ্ন করেন, তোমার দ্বীন কি? সে বলে ইসলাম আমার দ্বীন। আবার প্রশ্ন করেন, এই ব্যক্তি যাঁহাকে তোমাদের মধ্যে (নবী বানাইয়া) পাঠানো হইয়াছিল অর্থাৎ মুহা’ম্মাদ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁহার ব্যাপারে তোমার কি ধারণা? সে বলে তিনি আল্লহ তায়া’লার রসুল। ফেরেশতারা বলেন, তোমাকে ইহা কে বলিয়াছে? অর্থাৎ তাঁহার রসুল হওয়া সম্পর্কে কিরূপে জানিয়াছ? সে বলে আমি আল্লহ তায়া’লার কিতাব পড়িয়াছি, উহার উপর ঈমান আনিয়াছি এবং উহাকে সত্য বলিয়া মানিয়াছি। অতঃপর রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিলেন, (মুমিন বান্দা যখন ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসাবাদের উত্তর ঠিক ঠিক দিয়া দেয় তখন) একজন ঘোষণাকারী আসমান হইতে ঘোষণা করেন অর্থাৎ আল্লহ তায়া’লার পক্ষ হইতে আসমান হইতে ঘোষণা করা হয় যে, আমার বান্দা সত্য বলিয়াছে, সুতরাং তাহার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছাইয়া দাও, তাহাকে জান্নাতের পোষাক পড়াইয়া দাও এবং তাহার জন্য জান্নাতের দিকে একটা দরজা খুলিয়া দাও। (সুতরাং দরজা খুলিয়া দেওয়া হয়) এবং ঐ দরজা দিয়া জান্নাতের মিষ্টি বাতাস এবং সুগন্ধ আসিতে থাকে। আর কবর তাহার জন্য দৃষ্টি সীমা পর্যন্ত প্রশস্ত করিয়া দেওয়া হয়। (রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুবরণকারী মুমিনের এইরূপ অবস্থা বর্ণনা করিলেন।)
অতঃপর তিনি কাফেরের মৃত্যুর আলোচনা করিলেন এবং এরশাদ করিলেন, মৃত্যুর পর তাহার রূহ তাহার শরীরে ফিরাইয়া দেওয়া হয় এবং তাহার নিকট(ও) দুইজন ফেরেশতা আসেন, তাহারা তাহাকে বসান এবং প্রশ্ন করেন তোমার রব কে? সে বলে হায় আফসোস, আমি কিছু জানি না। অতঃপর ফেরেশতারা তাহাকে জিজ্ঞাসা করেন তোমার দ্বীন কি ছিল? সে বলে হায় আফসোস, আমি কিছু জানি না। অতঃপর ফেরেশতারা তাহাকে বলেন, এই ব্যক্তি যাঁহাকে তোমাদের মধ্যে (নবী বানাইয়া) পাঠানো হইয়াছিল তাঁহার ব্যাপারে তোমার ধারণা ছিল? সে তখনও ইহাই বলে, হায় আফসোস, আমি কিছু জানি না। (এই প্রশ্ন উত্তরের পর) আসমান হইতে একজন ঘোষণাকারী আল্লহ তায়া’লার পক্ষ হইতে ঘোষণা করেন, এই ব্যক্তি মিথ্যা বলিয়াছে। অতঃপর (আল্লহ তায়া’লার পক্ষ হইতে) এক ঘোষণাকারী ঘোষণা করেন যে, তাহার জন্য আগুনের বিছানা বিছাইয়া দাও, তাহাকে আগুনের পোষাক পড়াইয়া দাও এবং তাহার জন্য দোযখের একটি দরজা খুলিয়া দাও। (সুতরাং এই সবকিছু করিয়া দেওয়া হয়।) রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, (দোযখের ঐ দরজা দিয়া) দোযখের উত্তাপ ও ঝলসানো বাতাস তাহার নিকট পৌঁছিতে থাকে। আর তাহার উপর কবর এত সংকীর্ণ করিয়া দেওয়া হয় যে, উহার কারণে তাহার পাঁজরগুলি একটি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়া যায়। (আবু দাউদ)
Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|