[ad_1]
This Is A Celebration Of The Prophet (SALLALLAHO ALAHI WASALLAM) Honorable Milaad In Egypt In The Year 1904.
ইদে মিলাদুন্নবী ﷺ পালন করা জায়েজ না হারাম…….??????
★★★★★———★★★—–★★★★
বাতিলপন্থীরা বলে থাকে মীলাদ বা মীলাদুন্নবী শব্দের ব্যবহার নাকি কুরআন শরীফ হাদীস শরীফে কোথাও নাই। এটা নাকি মনগড়া এবং নতুন উদ্ধাবিত শব্দ। তাহলে আসুন দেখা যাক মীলাদ ও মীলাদুন্নবী শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে আছে কিনাঃ
মিলাদ শব্দটির মূল অক্ষর হচ্ছে و + ل + د) ولد) । আমরা দেখব কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে মূল অক্ষরে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে কিনা।
কোরআন শরীফে মীলাদ শব্দের প্রমানঃ
وَالسَّلَامُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدتُّ وَيَوْمَ أَمُوتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا
আর শান্তি বর্ষিত হোক আমার উপরে যে দিন আমার জন্ম হয়েছিলো, আর যে দিন আমি ইন্তেকাল করবো । আর যে দিন আমাকে পুররুত্থিত করা হবে জীবিত অবস্থায় । (পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)
অনুরূপ হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিজের বক্তব্য উল্লেখ করে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَالسَّلَامُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدتُّ وَيَوْمَ أَمُوتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا
অর্থ : “আমার প্রতি সালাম (অবারিত শান্তি) যেদিন আমি বিলাদতী শান প্রকাশ করি, যেদিন আমি বিছালী শান প্রকাশ করবো এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবো।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
আমরা দেখলাম কুরআন মাজীদে মূল অক্ষরে وَلَدَتُ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে; যার অর্থ আমি জন্ম গ্রহণ করেছি । এ শব্দটি প্রমাণ করে মিলাদের মূল অস্তিত্ব কুরআন শরীফে বিদ্যমান ।
হাদীস শরীফে মীলাদ শব্দের প্রমানঃ
আসুন দেখা যাক, কুরআন শরীফের পাশাপাশি হাদীস শরীফে এ শব্দটির ব্যবহার হয়েছে কিনা । ছিয়া ছিত্তার অন্যতম কিতাব, জামে তিরমিযী শরীফে ميلاد ‘মিলাদ’ (জন্মের সময়) শব্দটি নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই ব্যবহার করেছেন ।
ঈদে মীলাদুন নবীর দলিল পবিত্র কুরআন শরীফেই আছে
……………………………………………………………..
১২ রবিউল আ্উয়াল শরীফ উপলক্ষে খুশি করতে হবে, কি না হবে এটা নিয়ে ডিবেট করে। বলে এর কোন দলিল নাই। অথচ পবিত্র কু্রআন পাকেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট দলিল আছে, এর ব্যাখ্যার জন্য হাদীস শরীফে যাওয়ার দরকার নাই।
আসুন সূরা ইউনুস এর ৫৭ ও ৫৮ নং আয়াত দুটি দেখি
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ
অর্থ: “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নসিহতকারী, অন্তরের পরিশুদ্ধতাদানকারী, হিদায়েত দানকারী ও ঈমানদারদের জন্য রহমত দানকারী।
হে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তারা যে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে ‘ফযল ও রহমত’ পেয়েছে সে জন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। নিশ্চয় তাদের এ খুশি প্রকাশ করাটা তাদের সমস্ত সঞ্চয়ের থেকে উত্তম।
(সূরা ইউনুস শরীফ : ৫৭-৫৮)
সূরা ইউনুসের ৫৭ ও ৫৮ নং আয়াতে বোঝা যাচ্ছে, মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ যে বিষয়টি এসেছে, তার জন্য খুশি প্রকাশ করতে বলা হচ্ছে। সেই বিষয়টির হচ্ছে-
১) নসিহতকারী
২) অন্তরের পরিশুদ্ধতাদানকারী,
৩) হেদায়েত দানকারী
৪) রহমতদানকারী
এবার আসুন, কুরআন পাকের সূরা আলে ইমরানের ১৬৪ নং আয়াতখানা দেখি-
لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍنٍ
“আল্লাহ ঈমানদারদের উপর অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়েছেন। তিনি তাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে পরিশোধন করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। বস্তুতঃ তারা ছিল পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট। (সুরা আলে ইমরান ১৬৪)
এ আয়াত শরীফ অনুসারে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই হচ্ছেন নসিহতকারী, আমাদের অন্তরের পরিশোধকারী এবং হেদায়েতদানকারী।
আবার সূরা আল আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে বলা হচ্ছে-
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। ( সুরা আল আম্বিয়া, ১০৭) অর্থাৎ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছে সমগ্র কায়েনাতের জন্য রহমত।
সূরা ইউনুসের ৫৭ ও ৫৮ নং আয়াত, সূরা আল ইহরানের ১৬৪ নং আয়াত এবং সূরা আম্বিয়ার ১০৭ আয়াত গুলো থেকে পাওয়া যায়—
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন নসিহতকারী, হেদায়েতদানকারী, অন্তরের পরিশুদ্ধতাদানকারী এবং রতমত। তাই উনাকে পাওয়ার জন্য খুশি প্রকাশ করাটা মহান আল্লাহ তায়ার নির্দেশ এবং সব চাইতে ফজিলতপূর্ণ আমল। সুবহানাল্লাহ
পবিত্র হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
———+—+-+———————————————
– أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ الْقَطَّانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ، وَالْحَجَّاجُ، قَالَا: حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا غَيْلَانُ بْنُ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ صَوْمُ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ ؟ قَالَ: ” فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ الْقُرْآنُ ” أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي الصَّحِي
(১) অর্থহযরত আবু কাতাদা আনসারী رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুসাল্লামহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সোমবারে রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তিঁনি ইরশাদ করেন-সোমবারে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং সোমবারই আমার প্রতি ওহী নাজিল করা হয়েছে। (মুসলিম শরীফ ১ম খন্ড, পৃঃ৩৬৮হাদীছ নং১৯৭৭, মুসনাদে ইমাম আহমদ, খন্ড-৫ম, পৃ-২৮৭ হা.নং২১৫০৮, মিশকাত পৃঃ১৭৯, বায়হাকী শরীফ, খন্ড ১ম, পৃ-৭২, মেরকাত শরহে মিশকাত, খন্ড-৪র্থ, পৃ-২৯১, সুনালুল কোবরা, খন্ড-৪র্থ, পৃ-২৯৩)।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর শুভ বেলাদতের বর্ণনা দিতে গিয়ে আরো বলেন- অর্থ
৩৫৫৭ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرْنًا حَتَّى كُنْتُ مِنْ الْقَرْنِ الَّذِي كُنْتُ فِيهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা ইব্রাহীম আলাইহিস সালামÑএর আওলাদ হতে ইসমাঈল আলাইহিস সালামকে নির্বাচন করেছেন এবং ইসমাঈল আলাইহিস সালাম হতে কেনানাহকে নির্বাচন করেছেন এবং কেনানার বংশ হতে কুরাইশ, কুরাইশের বংশ হতে হাশেমকে নির্বাচন করেছেন আর আমাকে হাশেমের আওলাদ হতে নির্বাচন করেছেন। মুসলিম শরীফ, খন্ড ৭, পৃষ্ঠা ৫৮; তিরমিযি শরীফ, হাদিস নং ৩৬০৫; মসনদে আহমদ, হাদীস নং ১৭০২৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, ১১/৪৭৮, হদীস নং ৩২৩৮৯
এছাড়া হযরত ইমাম তিরমিযি রহ্মাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বিশ্ববিখ্যাত জামে তিরমিযি শরীফের ২য় খন্ড, ২০৩ পৃষ্ঠায় একটি শিরোনাম দিয়েছেন :
بَابُ مَا جَاءَ فى مْيلَادُ النَّبِى َصَّلى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّ
তিরমিজী শরীফে ২য় খন্ড ২০৪ পৃষ্ঠা মীলাদুন্নবী অধ্যায়ে হযরতমুত্তালিব বিন আব্দুসাল্লামহ আপন দাদা কায়েস বিন মাখরিমা رضي الله عنه হতে বর্ণনা করেছেন-এতদসত্ত্বেও কি প্রমাণিত হয়নি যে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং করেছেন এবং তা করতে উম্মতদেরকে নির্দেশ ও উৎসাহ দিয়েছেন যা হাদিস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
পবিত্র রবিউল আউওয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার সুবহে সাদিকের সময় সৃষ্টির মূল তথা হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুনিয়াতে শুভাগমন করেছেন। প্রিয় নবীজির শুভাগমনের আলোচনা তিঁনি নিজেই সাহবায়ে কিরামের সাথে বর্ণনা করতেন। বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী খন্ড-২য়, পৃ-২০২, মিশকাত শরীফ পৃ-৫১৩ সহ অসংখ্য বিশুদ্ব হাদিস গ্রন্থে এ বিষয়ে আলোচনা রয়ে
খোলাফায়ে রাশেদীনের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ
—————————————————————–
১। হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহুতা’য়ালা আনহু‘র মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন
হাফেজ ইবনে হাজর আল হাইতুমী রহমাতুসাল্লামহি আলাইহি তাঁর বিখ্যাত কিতাব আল নে‘মাতুল কুবরা আলাল আলামীন’ শরীফে বর্ণনা করেন-
قَالَ اَبُوْ َبكَرِ الْصِدِّيْقِ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ مَنْ اَنْفَقَ ِدْرهَمًا عَلَى قََرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِى صَلَّى اللهُ عَلِيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رَفِيْقِى فَىْ الْجَنَّةِ-
অর্থ: ইসলামের প্রথম ও খোলাফায়ে রাশেদীনের প্রথম খলিফা সিদ্দিকে আকবর রাদিয়াল্লাহুতা’য়ালা আনহু বলেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপনে একটি দেরহামও ব্যয় করবে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। (জাওয়াহিরুল বিহার- ৩/৩৫০ পৃষ্ঠা) রাদিয়াল্লাহু
২। হযরত ওমর ফারুকে আযম রাদিয়াল্লাহুতা’য়ালা আনহু কর্তৃক মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন-
قََالَ عُمَرَابْنِ الْخِطَّابٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ مَنْ عَظَمَ مَوْلِدِ النَّبِى صَلَّى اللهُ عَلِيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَحْىِ اَلْاِسْلِامَ-
অর্থ: ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহুতা’য়ালা আনহু ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সম্মান করে উদযাপন করল, সে যেন ইসলামকে পুনঃর্জীবিত করল।
৩। হযরত উসমান গণি রাদিয়াল্লাহুতা’য়ালা আনহু‘র মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন-
قال عثمان رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ مَنْ اَنْفَقَ ِدْرهَمًا عَلَى قََرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِى صَلَّى اللهُ عَلِيْهِ وَاَلِهِ وَسَلَّمَ فَكَاَنَّمَا شَهِدَ غَزْوَةَ بَدْرِ وَحُنَيْنٍ-
অর্থ: যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন উপলক্ষ্যে একটি দেরহামও ব্যয় করবে, সে যেন বদর ও হুনাইনের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করল।
৪। হযরত শে‘রে খোদা আলী রাদিয়াল্লাহুতা’য়ালা আনহু‘র মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাল-
مَنْ عَظَمَ مَوْلِدِ النَّبِى صَلَّى اللهُ عَلِيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ سَبِبًا لِقِرْاَتِهِ لَايَخْرُجُ مِنْ الدُّيْنَا اِلَّا بِالْاِيْمَانِ وَيَدْخُلُ الْجَنَّةِ بِغَيْرِ حِسَابِ –
অর্থ: যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সম্মান করে, সে যেন উহা উদযাপনের মাধ্যম হল, সে পৃথিবী হতে ঈমানের সাথে প্রস্থান করবে এবং বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
৫। হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহুতা’য়ালা আনহু‘র মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন-
আব্বাস রাদিয়াল্লাহুতা’য়ালা আনহু বলেন,
وانت لما ولدت اشرفت الارض وضائب بنورك الافق-
অর্থ: ইয়া রাসুলাসাল্লামহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার যখন শুভাগমন হল, তখন আপনার নূরে পাকের আলোতে সমগ্র আসমান জমিন আলোকিত হয়ে গেল।
ونحن فى ﺫالك الضياء وفى النور- روسبل الرشاد لخترق-
অর্থ: আমরা সেই নূরের আলোতে আছি। আর হেদায়েতের সকল পথে আমরা রয়েছি। সেগুলো অন্ধকারকে দূরীভূত করেছে।
فنقل من صالب الى رحم- واﺫامضى عالم بدا طبق-
অর্থ: ইয়া রাসুলাসাল্লামহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার এমন এক যুগ অতিবাহিত হয়েছিল, সে সময় আপনি পবিত্রময় পিতার রেহেম হতে পবিত্রময় মাতার রেহেমে স্থানান্তরিত হতে ছিলেন এ যুগ চলে যাওয়ার পর আরেক যুগ তথা যুগে যুগে এসেছেন।
وردت نار الخليل مستترا- فى صلبه انت كيف جترك-
অর্থ: ইব্রাহিম খলিলুসাল্লামহর পৃষ্ঠদেশে আপনি তো আগুনের মধ্যে লুকায়িত ভাবে গিয়ে ছিলেন। আপনি যখন আছেন ঐ আগুন দিয়ে কিভাবে আপনি দগ্ধ হতে পারেন। (মাওয়াহিবে লাদুনিয়া- ১/১৭৫ পৃষ্ঠা, বেদায়া ও নেহায়া- ২/২৪০-৪১ পৃষ্ঠা, মাছাবাতা মিন সুন্নাহ- ৭৭ পৃষ্ঠা, নুর নবী- ৩৫ পৃষ্ঠা
তাবেঈ গণের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
————+———————————-+———
(১)قال حسن البصرى (التابعى) رضى الله تعالى عنه : لو كان لى مثل جبل احد ذهبا فانفقته على قرأة مولد النبى صلى الله عليه وسلم ـ
হযরত হাসান বসরী رضي الله عنه বলেন-যদি আমার কাছে ওহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো, তাহলে আমি সম্পূূর্ণভাবে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহফিলে খরচ করতাম (আন্ নিয়ামাতুল কুবরা আলাল আলম পৃ-০৮)।
(২) হযরত ইমাম জয়নুল আবেদীন رضي الله عنه ‘লাক্বাদ যা-আকুম রাসূলুম মিন আন্ফুসিকুম’এই আয়াতের ব্যাখার মধ্যে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বর্ণনা দিয়ে বলেন, – হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধকার যুগের অবৈধ জন্মের সামান্যতম বংশ স্পর্শ করেনি। পূতঃপবিত্র হিসেবে উত্তম ব্যক্তিদের মাধ্যমে দুনিয়াতে আগমন করেন (মাওয়াহেবে লাদুনিয়া খন্ড-১ম, পৃ-৫৬-৫৭, বিদায়া ওয়ান নিহায়া খন্ড-২য়, পৃ-২৫৫, বায়হাকী ফি শু’আবুল ঈমান খন্ড-১ম, পৃ-১১৮)।
(৩) ইমাম বাকের رحمة الله عليه হতে বর্ণিত তিনি বলেন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গর্ভাবস্থায় হযরত মা আমেনা رضي الله عنه কে স্বপ্নের মধ্যে নির্দেশ দেওয়া হল, গর্ভের মধ্যে যে নবীর শুভাগমন হয়েছে, ঐ নবীর নাম রাখবেন ‘আহমদ’ তথা অধিক প্রশংসিত (সিরাতে হালাভীয়া খন্ড-১ম পৃ-৭২)।
(৪) ইমাম আবু হানিফা রাদিয়াল্লাহুতা’য়ালা আনহু কর্র্তৃক মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন, তিনি বলেন:
وبك المسيح اتى بشيرا مخبرا بصفات حسنك مادحا بعلاك-
অর্থ: হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আপনার আগমনের সুসংবাদ নিয়ে এসেছিলেন। তিনি আপনার সৌন্দর্য আর উচ্চমর্যাদার প্রশংসা করে ছিলেন। ((কসীদায়ে নূমানে পৃ-০৭)
ভিন্ন মতালম্বী আলেমদের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ
_——————-+-+—————+–_———————
(১) হযরত হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী رحمة الله عليه কী বলেন-
مشرب فقير كا يہ ہے- كہ محفل مولد ميں شريک ہوتا ہون بلكہ ذريعاۓ بركات سمجہ كر ہرسال منعقد كرتا ہون اور قيام ميں لطف ولذت پاتاہوں-
অর্থ : এ ফকিরের নিয়ম হল- আমি মিলাদ মাহফিলে অংশ গ্রহণ করে থাকি বরং মিলাদ অনুষ্ঠানকে বরকত লাভের অছিলা মনে করে প্রত্যেক বৎসরই মিলাদের মজলিস করে থাকি এবং অনুষ্ঠানে কিয়ামের সময় অশেষ আনন্দ ও আরাম উপভোগ করি। (হাফতে মাসয়ালা-১৫ পৃষ্ঠা)
(২) মৌলভী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর উস্তাদ শাহ আহমদ সাঈদ হানাফী رحمة الله عليه তার ‘মালফুজাত’এ বলেছেন-“মিলাদ শরীফ পাঠ করা এবং জন্মবৃক্তান্ত আলোচনা কালে দাঁড়িয়ে (ক্বিয়াম) যাওয়া মুস্তাহাব (মিলাদ ও ক্বিয়ামের ফতোয়া, পৃঃ৭৯, মাকামাতে সাঈদীয়া ওয়া মাকামাতে আহমাদীয়া পৃ-১২৮)।
(৩) দেওবন্দীদের অন্যতম বুযুর্গ মৌলভী আশরাফ আলী থানভী বর্ণনা করেন-হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূর মোবারকের উছিলায় সমস্ত জগৎ সৃজন হয়েছে (মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম , পৃ-১৯২, কৃত;আশ্রাফ আলী থানভী)।
(৪) মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী দেওবন্দীর দৃষ্টিতে মিলাদ ও কি¦য়াম মুস্তাহাব (মাকতুবাতে শাইখুল ইসলাম, ১ম খন্ড, পৃ-৩৩৯)।
(৫) দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাজী সৈয়্যদ আবেদ হুসাইন হানাফী, তিনি প্রত্যেক শুক্রবার মাগরীবের পর মিলাদ শরীফের আয়োজন করতেন। হাজী সাহেবের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ঐ মিলাদ ও ক্বিয়ামের অনুষ্ঠান জারী ছিল (মিলাদ ও কিয়ামের ফতোয়া, পৃ-৮৬)।
(৬) এ প্রসঙ্গে মক্কা শরীফের তৎকালীন মুফতী এনায়েত আহমদ রহমাতুল¬াহি আলাইহি তার প্রসিদ্ধ তাওয়ারিখে হাবীবে ইলাহ গ্রন্থেও ১২ নং পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেন-
اور بهى علماءے لكها ہے كہ اس محفل ميں ذكر وفات شريف كا نہ چاہے اس لئے كہ يہ محفل واسطے خوشى ميلاد شريف كے منعقد ہوتى ہے ذكر غم جانكاه اس ميں محض نازيبا ہے – حرمين شريف ميں ہرگز اجازت ذكر قصة وفات كى نہیں ہے –
অর্থাৎ-আলেম সমাজ এ কথাই লিখিয়াছেন যে, এই মাহফিলে রাসূলের ওফাত শরীফ বা ইন্তেকালের আলোচনা করা ঠিক নয়, এ জন্য যে এ রবিউল আউয়াল মাসে অনুষ্ঠিত মাহফিল মীলাদুন্নবী সাল¬াল¬াহু আলাইহি ওয়া সাল¬াম এর খুশি উদযাপন করার জন্য অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে মক্কা মদীনা শরীফে রাসূল সাল¬াল¬াহু আলাইহি ওয়া সাল¬াম এর ওফাত শরীফের আলোচনা করার অনুমতি কখনোই ছিল না।
(৭) ইবনে তাইমিয়া বলেন- (লামাযহাবী)
وَكَذَلِكَ مَايُحْدِثُهُ بَعْضَ النَّاسِ اِمَّا مُضَاهَاةُ لِلْنَصَارَى فِىْ مِيْلَادَ عِيْسَى عَلَيْهِ السَّلَامِ وَاِمَّا مُحَبَّةِ لِلِنَّبِى صَلَّى اَللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَعْظِيْمًا وَاَللهُ قَد ْيُثيْبُهُمْ عَلَى هَذِهِ الْمُحَبَّةِ وَاَلْاِجْتِهَادِ-
অর্থ : এভাবে কিছু লোক মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠান করে থাকে। এটার উদ্দেশ্য হয়ত খৃষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য। (তারা হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম-এর জন্ম দিন পালন করে) অথবা তাদের উদ্দেশ্য কেবল হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি মুহাব্বত ও সম্মান প্রদর্শন করা। যদি দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আল্লাহ এ ধরনের মুহাব্বত ও প্রচেষ্টামূলক কার্যকলাপে সওয়াব দিবেন। (একতেদাউ সিরাতেল মুস্তাকিম পৃষ্ঠা ২৯৪)
ذكر ابن تيمية في كتابه “اقتضاء الصراط المستقيم في مخالفة أصحاب الجحيم” (২/৬৩৪-৬৩৫)
(৮) সিফায়ে সায়েল গ্রন্থে শাহ আব্দুল গণি দেহলভী সাহেব লেখেছে –
وحق انست كہ نفسى ذكر ولادت انحصرت صلى الله عليہ وسلم وسرور و فاتحة نمودن يعنى ايصال ثوب فتوح سيد الثقلين ازكمال سعادت انسان است-
অর্থ : সত্য কথা হল, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘র মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করা ফাতিহা পড়ে তাঁর মহান রুহে সওয়াব রেসানী এবং তাঁর মিলাদ শরীফে আনন্দ করার মধ্যেই রয়েছে মানুষের পূর্ণাঙ্গ সৌভাগ্য। (সেফায়ে সায়েল ১৪পৃঃ)
হক্কপন্থী উলামা ও ফুকাহাবৃন্দের সমর্থনসূচক দলিল:-
——-++-+————————-++———–++-+–
১/ – ইবনে কাসীর, যাকে সালাফী/ওহাবীরা তাফসীর ও ইতিহাস শাস্ত্রে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করে থাকে,তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামের মুজাহিদ সুলতান গাযী সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর ভগ্নিপতি শাহ মালিক আল-মুযাফফর সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। অথচ সালাফীরাই ইবনে কাসীরের কথাকে বিকৃত করে এই মর্মে মিথ্যে ছড়িয়েছে যে মুযাফফর শাহ একজন ফাসেক, নিষ্ঠুর ও বেদআতী শাসক ছিলেন (নাউযু বিল্লাহ)। প্রকৃতপক্ষে ইবনে কাসীর লিখেন:
”(মুযাফফর শাহ) ছিলেন একজন উদার/সহৃদয় ও প্রতাপশালী এবং মহিমান্বিত শাসক, যাঁর সকল কাজ ছিল অতি উত্তম। তিনি কাসিইউন-এর কাছে জামেয়া আল-মুযাফফরী নির্মাণ করেন…..(প্রতি) রবিউল আউয়াল মাসে তিনি জাঁকজমকের সাথে মীলাদ শরীফ (মীলাদুন্নবী (ﷺ) ) উদযাপন করতেন। উপরন্তু, তিনি ছিলেন দয়ালু, সাহসী, জ্ঞানী, বিদ্বান ও ন্যায়পরায়ণ শাসক – রাহিমুহুল্লাহ ওয়া একরাম – শায়খ আবুল খাত্তাব رحمة الله عليه সুলতানের জন্যে মওলিদুন্ নববী সম্পর্কে একখানি বই লিখেন এবং নাম দেন ‘আত্ তানভির ফী মওলিদ আল-বাশির আন্ নাযীর’. এ কাজের পুরস্কারস্বরূপ সুলতান তাঁকে ১০০০ দিনার দান করেন। সালাহিয়া আমল পর্যন্ত তাঁর শাসন স্থায়ী হয় এবং তিনি ’আকা’ জয় করেন। তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র থেকে যান।
”আস্ সাবত্ এক ব্যক্তির কথা উদ্ধৃত করেন যিনি সুলতানের আয়োজিত মওলিদ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন; ওই ব্যক্তি বলেন: ‘অনুষ্ঠানে সুলতান ভালভাবে রান্নাকৃত ৫০০০ ছাগল, ১০,০০০ মোরগ, ১ লক্ষ বৌল-ভর্তি দুধ এবং ৩০,০০০ ট্রে মিষ্টির আয়োজন করতেন’।” [’তারিখে ইবনে কাসীর’, ‘আল-বেদায়াহ ওয়ান্ নেহায়া’ ১৩তম খণ্ড, ১৭৪ পৃষ্ঠা]
২/ – ইমাম সেহাবউদ্দীন আবুল আব্বাস কসতলানী رحمة الله عليه যিনি ‘আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া’ শীর্ষক সীরাতের বই রচনা করেন, তিনি বলেন:
”মহানবী (ﷺ)-এর বেলাদত তথা এ ধরণীতে শুভাগমন রাতে হয়েছে বলা হলে প্রশ্ন দাঁড়ায় যে দুটো রাতের মধ্যে কোনটি বেশি মর্যাদাসম্পন্ন – কদরের রাত (যা’তে কুরআন অবতীর্ণ হয়), নাকি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ধরাধামে শুভাগমনের রাত?
হুযূর পূর নূর (ﷺ)-এর বেলাদতের রাত এ ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠতর ৩টি কারণে –
প্রথমতঃ নবী করীম (ﷺ) এ বসুন্ধরায় আবির্ভূত হন মওলিদের রাতে, অথচ কদরের রাত (পরবর্তীকালে) তাঁকে মন্ঞ্জুর করা হয়। অতএব, মহানবী (ﷺ)-এর আবির্ভাব, তাঁকে যা মন্ঞ্জুর করা হয়েছে তার চেয়েও শ্রেয়তর। তাই মওলিদের রাত অধিকতর মর্যাদাসম্পন্ন।
দ্বিতীয়তঃ কদরের রাত যদি ফেরেশতাদের অবতীর্ণ হবার কারণে মর্যাদাসম্পন্ন হয়, তাহলে মওলিদের রাত মহানবী (ﷺ) এ ধরণীতে প্রেরিত হবার বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফেরেশতাদের চেয়েও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, আর তাই মওলিদের রাতও শ্রেষ্ঠতর।
তৃতীয়তঃ কদরের রাতের বদৌলতে উম্মতে মোহাম্মদীকে বিশিষ্টতা দেয়া হয়েছে; অথচ মওলিদের রাতের মাধ্যমে সকল সৃষ্টিকে ফযিলাহ দেয়া হয়েছে। কেননা, মহানবী (ﷺ)-কে সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্যে রহমত করে পাঠানো হয়েছে (আল-কুরআন ২১:১০৭)। অতএব, এই রহমত সমগ্র সৃষ্টিকুলের জন্যে সার্বিক।”
রেফারেন্স: ইমাম কসতলানী رحمة الله عليه প্রণীত ‘আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া’, ১ম খণ্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা। এ ছাড়াও ইমাম যুরকানী মালেকী স্বরচিত ‘শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া’, ১ম খণ্ড, ২৫৫-২৫৬ পৃষ্ঠা।
ইমাম কসতলানী رحمة الله عليه আরও বলেন: ”যাদের অন্তর রোগ-ব্যাধি দ্বারা পূর্ণ, তাদের কষ্ট লাঘবের জন্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর মীলাদের মাস, অর্থাৎ, রবিউল আউয়ালের প্রতিটি রাতকে যাঁরা উদযাপন করেন তাঁদের প্রতি আল্লাহতা’লা দয়াপরবশ হোন!” [আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া, ১ম খণ্ড, ১৪৮ পৃষ্ঠা]
৩/ – ইমাম জালালউদ্দীন সৈয়ুতী رحمة الله عليه যিনি হিজরী ৯ম শতকের মোজাদ্দেদ (ইসলাম পুনরুজ্জীবনকারী), তিনি লিখেন:
“মীলাদুন্নবী (ﷺ)উদযাপন যা মূলতঃ মানুষদের সমবেত করা, কুরআনের অংশ-বিশেষ তেলাওয়াত, মহানবী (ﷺ)-এর ধরাধামে শুভাগমন (বেলাদত) সংক্রান্ত ঘটনা ও লক্ষ্মণগুলোর বর্ণনা পেশ, অতঃপর তবাররুক (খাবার) বিতরণ এবং সবশেষে সমাবেশ ত্যাগ, তা উত্তম বেদআত (উদ্ভাবন); আর যে ব্যক্তি এর অনুশীলন করেন তিনি সওয়াব অর্জন করেন, কেননা এতে জড়িত রয়েছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মহান মর্যাদার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং তাঁর সম্মানিত বেলাদতের প্রতি খুশি প্রকাশ।” [ইমাম সৈয়ুতী কৃত ‘আল-হাওয়ী লিল্ ফাতাওয়ী’, ১ম খণ্ড, ২৯২ পৃষ্ঠা, মাকতাবা আল-আসরিয়া, বৈরুত, লেবানন হতে প্রকাশিত]
* [হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ ৪১ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য]
একই দিনে বেলাদত (শুভাগমন) ও বেসাল (পরলোকে আল্লাহর সাথে মিলিত) হলেও কেন মহানবী (ﷺ)-এর মীলাদ অগ্রাধিকার পাবে তা ইমাম সৈয়ুতী رحمة الله عليه ব্যাখ্যা করে বলেন:
“বিশ্বনবী ﷺ-এর বেলাদত হলো (আল্লাহর) সর্ববৃহৎ নেয়ামত (আশীর্বাদ); আর তাঁর বেসাল মহা দুর্যোগ। ধর্মীয় বিধান আমাদের প্রতি তাকিদ দেয় যেন আমরা আল্লাহর নেয়ামতের শোকরগুজারি (কৃতজ্ঞতা প্রকাশ) করি এবং দুর্যোগের মুহূর্তে ধৈর্য ধরি ও শান্ত থাকি। শরীয়তের আইনে আমাদের আদেশ দেয়া হয়েছে কোনো শিশুর জন্মে পশু কোরবানি দিতে (এবং ওর গোস্ত গরিবদের মাঝে বিতরণ করতে). এটা ওই শিশুর জন্মোপলক্ষে কৃতজ্ঞতা ও খুশি প্রকাশের নিদর্শন। পক্ষান্তরে, মৃত্যুর সময় পশু কোরবানি দিতে শরীয়ত আমাদের আদেশ দেয় নি। উপরন্তু, শোক প্রকাশ বা মাতম করতে শরীয়তে মানা করা হয়েছে। অতএব, মীলাদুন্নবী (ﷺ)-এর পুরো মাসব্যাপী খুশি প্রকাশ করার পক্ষে ইসলামী বিধানের রায় পরিদৃষ্ট হয়; আর তাঁর বেসাল উপলক্ষে শোক প্রকাশ না করার পক্ষে মত দেয়া হয়।” [হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ, ৫৪-৫৫ পৃষ্ঠা]
* [দেখুন – ইমাম সৈয়ুতী প্রণীত ’আল-হাওয়ী লিল্ ফাতাওয়ী’, ১ম খণ্ড, ২৯৮ পৃষ্ঠা, মাকতাবা আল-আসরিয়া, বৈরুত, লেবানন হতে প্রকাশিত]
নোট: মহানবী (ﷺ)-এর বেসাল ১২ই রবিউল আউয়াল নয় যেমন ধারণা করে থাকে কিছু মানুষ; তাদের এই ধারণার জন্ম ‘অমৃতের সীলমোহর’ জাতীয় বই-পুস্তক। বিভিন্ন সহীহ বর্ণনায় বিবৃত সঠিক দিনটি হলো ২রা রবিউল আউয়াল।
মক্কা মদিনার “ঈদ এ মিলাদুন্নবী ﷺ ১৯৩০ সাল পূর্ব:
————————————————–
১৯৩০ সালে ওহাবী রাষ্ট সেীদি আরব প্রতিষ্টার পুর্বে মক্কা -মদিনা শরীফে ঈদ ৈএ মিলাদুন্নবী পালিত হতো………
মক্কা শরিফের পত্রিকা আল ক্বিবলা পত্রিকা মতে ঈদে মিলাদুন্নবি –
ঈদে মিলাদ্দুন্নবি মক্কা এবং এর অধিবাসীরা পালন করতেন যার নাম ছিল ইয়ম আল ঈদ মাওলিদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । মুসলমানেরা উত্তম খাবার রান্না করতেন । মক্কা শরিফের আমির এবং হিজাজের কমান্ডার তাঁর সেনাদের সাথে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজা শরীফ যিয়ারত করতেন এবং ক্বাছীদা পাঠ করতেন। মক্কা শরীফ থেকে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মস্থান পর্যন্ত আলোকসজ্জা করা হত এবং দোকান পাট সুসজ্জিত করা হত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মস্থানে সকলে মিলে ক্বাছীদা পাঠ করতেন । ১১ রবিউল আউওয়াল শরীফের রাতে বাদ ইশা ঈদে মিলাদুন্নবি পালনের লক্ষে একস্থা হতেন। ১১ রবিউল আউওয়াল শরীফের মাগরীব থেকে ১২ রবিউল আউওয়ালের আছর নামাজ পর্যন্ত প্রতি নামাজের পরে ২১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হত ।
রেফারেন্স –
মাসিক তরিকত –লাহোরঃ জানুয়ারী ১৯১৭ , পৃ ২/৩
যুগে যুগে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস
———————————————
ইবনে জুবাইর (৫৪০-৬১৪) তাঁর ’রেহাল’ (ভ্রমণ বৃত্তান্ত)-এর ১১৪-১১৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “রবিউল আউয়াল মাসের প্রতি সোমবার এই বরকতময় স্থান (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের ঘর) (সবার জন্যে) খুলে দেয়া হতো, আর মানুষেরা তাতে প্রবেশ করে বরকত আদায় তথা আশীর্বাদ গ্রহণ করতেন (মোতাবাররিকীন বিহী); কেননা এ রকমই এক সোমবারে এবং রবিউল আউয়াল মাসে মহানবী ﷺ ধরণীর বুকে শুভাগমন করেছিলেন।”
* সপ্তম শতকের ইতিহাসবিদ আবুল আব্বাস আল-’আযাফী ও তাঁর ছেলে আবুল কাসেম আল-’আযাফী তাঁদের অপ্রকাশিত ‘কিতাব আদ্ দুরর আল-মোনাযযম’ শীর্ষক গ্রন্থে লিখেন, “পুণ্যবান হাজ্বী ও খ্যাতনামা পর্যটকবৃন্দ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, মীলাদুন্নবী ﷺ দিবসে মক্কা নগরীতে (দুনিয়াদারীর) কাজ-কর্ম বন্ধ থাকে; কোনো কিছু বেচা-কেনা হয় না; শুধু মানুষেরা মহানবী ﷺ-এর পবিত্র জন্মস্থানের ঘরটিতে ছুটে যান এবং যেয়ারতে ব্যস্ত থাকেন। এই দিন কা’বা ঘর খুলে দেয়া হয় এবং এরও যেয়ারত চলে।”
* প্রখ্যাত অষ্টম শতকের ইতিহাসবিদ ইবনে বতুতা তাঁর ‘রিহলা’ (১:৩০৯ এবং ১:৩৪৭)-এ বর্ণনা করেন যে প্রতি শুক্রবার জুমু’আ নামাযের বাদে এবং মীলাদুন্নবী ﷺ-এর দিবসে কা’বা গৃহের দ্বার-রক্ষী বণু শায়বা গোত্র-প্রধান আল্লাহর ঘরের দরজা খুলে দেন; আর মীলাদুন্নবী ﷺ দিবসে মক্কার শাফেয়ী কাজী (প্রধান বিচারক) নাজমুদ্দীন মোহাম্মদ ইবনে আল-ইমাম মুহিউদ্দীন আত্ তাবারী মক্কা নগরীর সকল শুরাফা’ (মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের বংশধর) ও মানুষের মাঝে তবাররূক (খাদ্য) বিতরণ করেন।
* ইতিহাসবিদ ইবনে যাহেরা আল-হানাফী নিজ ‘আল-জামেউ’ আল-লাতীফ ফী ফদলে মক্কা ওয়া আহলিহা’ পুস্তকের ৩২৬ পৃষ্ঠায়, ইমাম ইবনে হাজর আল-হায়তামী মক্কী স্বরচিত ’কেতাব আল-মাওলিদ আশ্ শরীফ আল-মো’য়াযযম’ গ্রন্থে, এবং ইতিহাসবিদ আন্ নাহরাওয়ালী তাঁর ‘আল-এ’লাম বি আ’লম বায়ত আল্লাহ আল-হারাম’ বইয়ের ২০৫ পৃষ্ঠায় বলেন যে প্রতি বছর রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মাগরেবের নামাযের পরে মক্কাবাসী চারজন কাজী (বিচারক) যাঁরা চার মযহাবের প্রতিনিধি, তাঁরা এবং মক্কার ফুকাহা (ফকীহবৃন্দ), ফুদালা’ (সমাজের গণ্যমান্য), মাশায়েখ আল-কেরাম (পীর সাহেবান), যাউইয়্যা শিক্ষকবৃন্দ ও তাঁদের ছাত্রবর্গ, রু’আসা’ (ম্যাজিস্ট্রেটগণ) এবং মুতা’আম্মামীন (ইসলামী জ্ঞান বিশারদবৃন্দ)-সহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ একযোগে মহানবী ﷺ-এর জন্মস্থানের (ঘর) যেয়ারতের উদ্দেশ্যে মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন; এই সময় তাঁরা উচ্চস্বরে যিকর ও তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) পড়তে থাকেন। যাত্রাপথের ওপর যে সব বাড়ি-ঘর পড়ে, সেগুলো অসংখ্য চেরাগ ও মোমবাতি দ্বারা আলোকসজ্জা করা হয় এবং মানুষেরা সবাই বাসার বাইরে চলে আসেন। তাঁরা তাঁদের সবচেয়ে সুন্দর সুন্দর জামাকাপড়গুলো পরেন এবং নিজেদের বাচ্চাদেরও সাথে নিয়ে আসেন। ওই পবিত্র স্থানে পৌঁছার পর (ঘরের) অভ্যন্তরে মীলাদুন্নবী ﷺ-বিষয়ক এক বিশেষ বয়ান দেয়া হয়, যার মধ্যে উল্লেখিত হয় মহানবী ﷺ-এর ধরণীতে আবির্ভাবের সময়কার মো’জেযা তথা অলৌকিক ঘটনাবলী। অতঃপর সুলতান (অর্থাৎ, খলীফা), মক্কা মোকাররমার আমীর ও শাফেয়ী কাজীর জন্যে দোয়া করা হয় যার মধ্যে সবাই একাগ্রচিত্তে প্রার্থনা করেন। ‘এশার নামাযের কিছুক্ষণ আগে পুরো দলটাই মহানবী ﷺ-এর জন্মস্থান থেকে মসজিদে (কা’বায়) ফিরে আসেন। এই সময় তাতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। সবাই কাতারবদ্ধ হয়ে মাকাম-এ-ইবরাহীমের পাদদেশে বসে পড়েন। মসজিদের ভেতরে ওয়াযকারী প্রথমে ’তাহমিদ’ (আল-হামদু লিল্লাহ) পাঠ করেন এবং তাহলিল-ও, অতঃপর আবারও খলীফা, মক্কার আমীর ও শাফেয়ী কাজীর জন্যে দোয়া করা হয়। এগুলো শেষ হলে ‘এশার নামাযের আযান দেয়া হয়। নামাযশেষে সবাই বাড়ি ফিরে যান।
* ওপরের অনুরূপ আরেকটি বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন আদ্ দিয়ারবকরী নিজ সীরাহ-বিষয়ক ‘তারিখ আল-খামিস ফী খবর আনফাসি নাফিস্’ শীর্ষক গ্রন্থে।
হাদীসের আলোকে মীলাদুন্নবী ﷺ উদযাপনের শরয়ী বৈধতা
১/ – চলুন, এ বিষয়ে মহানবী ﷺ-এর মতামত জানতে চেষ্টা করি, যিনি স্বয়ং নিজের মীলাদ পালন করতেন। হাদীসগ্রন্থ মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে: হযরত অাবূ কাতাদা আনসারী رضي الله عنه রেওয়ায়াত করেন যে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞেস করা হয় কেন তিনি প্রতি সোমবার (নফল) রোযা রাখেন। জবাবে তিনি বলেন, “এই দিনে আমার বেলাদত (তথা ধরাধামে শুভাগমন) হয়েছে এবং আমার প্রতি ওহী (ঐশী বাণী)-ও অবতীর্ণ হয়েছে এই দিনে।”
দলিল:
১/ সহীহ মুসলিম, ৬ষ্ঠ বই, হাদীস নং ২৬০৬; ২৬০৩ হাদীসেও বিদ্যমান।
২/ আসাদ আল-গাবা ফী মা’আরফাতেস্ সাহাবা, ১ম খণ্ড, ২১-২২ পৃষ্ঠা; ১৯৮৭ সালে লাহোর, পাকিস্তানে প্রকাশিত
৩/ ইমাম বায়হাকী কৃত সুনানে কুবরা, ৪র্থ খণ্ড, ৩০০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৮১৮২ ও ৮২৫৯
৪/ মোসান্নাফে আবদ্ আল-রাযযাক, ৪র্থ খণ্ড, ২৯৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৮৬৫
৫/ সুনানে আবি দাউদ, ৭ম খণ্ড, ২৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ২৪২৮
৬/ মুসনাদে আহমদ, ৪৯তম খণ্ড, ১৯৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ২৩২০০
৭/ সুনানে ইমাম নাসাঈ
*মহানবী ﷺ কি নিজের মীলাদ পালন করেছিলেন?*
—————-+——————-+—–+————+—-
রাসূলুল্লাহ ﷺ স্বয়ং মসজিদের মিম্বরে উঠে দাঁড়িয়ে সাহাবা-এ-কেরাম رضي الله عنه-এর সমাবেশে নিজের পবিত্র বেলাদত ও (অনুপম) বৈশিষ্ট্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা ও তাযকেরা (স্মরণ) করেছিলেন। এই ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে মীলাদ পাঠ করা খোদ রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সুন্নাত। এতদসংক্রান্ত কতিপয় হাদীস এখানে পেশ করা হলো:
২/ – একবার হযরত আব্বাস رضي الله عنه মহানবী ﷺ-এর দরবারে হাজির হন। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি (হুযূর পাক সম্পর্কে মন্দ) কিছু শুনেছিলেন। অতঃপর নবী করীম ﷺ মিম্বরে উঠে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, “আমি কে?” সাহাবা رضي الله عنه বল্লেন, “আপনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম।” তিনি বল্লেন, “আমি মোহাম্মদ ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে আব্দিল মোত্তালিব। আল্লাহতা’লা মানুষ সৃষ্টি করে আমাকে তাদের মধ্য হতে প্রেরণ করেছেন; অতঃপর তিনি তাদেরকে দুটো দলে বিভক্ত করেছেন এব
[ad_2]
Source link