কসবায়ে বালানগর বা বারাগ্রামে যদি আপনি কখনো গিয়েছেন তাহলে নিশ্চয়ই সেখানে পালযুগের ভাস্কর্যের প্রাচুর্য দেখেছেন,মূর্তি বৈচিত্র্যের দিকে বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকেছেন।মূর্তিগুলো দেখে আপনার নিশ্চয়ই মনে হয়েছে পালযুগে এই বারাগ্রাম ছিল বৌদ্ধতন্ত্রযানের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। আবার ১৪৫০ সাল ও ১৪৬০ সালের আরবি নশখ্ লিপিতে উৎকীর্ণ দুটি শিলালেখ দেখে আর গ্রামের অলিতে-গলিতে, পথের ধারে,রাস্তার আনাচে কানাচে অজস্র সূফীসাধকদের মাজার দেখে এবং লোকমুখে বারা ঊনআশি পীরের মোকাম শুনে আপনি বুঝে গিয়েছেন বাংলায় মুসলমান আগমনের প্রথমদিকেই বারাগ্রামে মুসলিমগণ বসবাস শুরু করেছিলেন।বারাগ্রামে গিয়ে আপনি বৌদ্ধ দেবী প্রজ্ঞাপারমিতার নাম শুনবেন,হিন্দু দেবী ভুবনেশ্বরীর মূর্তি দেখবেন সূফীসাধক হজরত লোহায়ে জঙ্গ (রহঃ) সাহেবের বীরত্বের কথা শুনবেন,বাগদাদ থেকে হজরত সৈয়দ শাহ গোলাম আলী দাস্তেগীর আলকাদেরী (রহঃ) সাহেবের আগমনের কথা শুনবেন,সেই দরগাহ শরীফের বর্তমান গদ্দিনশীনদের খানকাহতে বিশ্রাম নিলে জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকলেই সমানভাবে আপ্যায়িত হবেন, আপনি বনেদি দত্ত বাড়ির সামনে গেলে সেই পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য আপনাকে সাদরে বাড়িতে নিয়ে যাবেন,বারাগ্রামে দত্ত পরিবারের অবদান দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।আপনি বারাগ্রাম ঘুরলে দত্ত পরিবারের প্রাণপুরুষ বি বি দত্ত,বৈষ্ণবদাস দত্ত,গোরাচাঁদ দত্ত,বৈদ্যনাথ দত্ত নামগুলি বারবার শুনতে পাবেন কারণ গ্রামের স্কুল থেকে হাসপাতাল, লাইব্রেরি থেকে ঈদগাহ পঞ্চায়েত অফিস থেকে ক্লাব তৈরি সবকিছুর মূলে রয়েছে এই বিশিষ্ট পরিবারের অবদান।ঐতিহাসিক বারাগ্রামের সম্প্রীতি আপনাকে মোহিত করবে।হিন্দু-মুসলিমের এমন সহবস্থান আর সম্প্রীতির গ্রাম দেখে আপনি যখন অবাক দৃষ্টিতে খন্দেকার পাড়ায় ফরিদুদ্দিন আল মোয়াজ্জাম(রঃ) সাহেবের মাজার আর বেটি পাথরের কিংবদন্তি শুনবেন তখন কেউ কিন্তু আপনাকে মীরপাড়ার সৈয়দ মহম্মদ আলীর বাড়িটি দেখিয়ে বলবেন না এটি বীরভূমের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাড়ি।যে বাড়িতে থেকে গিয়েছেন গান্ধীজির আধ্যাত্বিক শিষ্য বিনোবাভাবে,যে বাড়িতে এসেছেন অতুল্য ঘোষ,প্রফুল্ল চন্দ্র সেন, যে বাড়িটি হওয়ার কথা ছিল বারাগ্রামের সবচেয়ে ঐতিহ্যপূর্ণ বাড়ি সেই বাড়িটিও আজ বিস্মৃতির অন্তরালে হারিয়ে যাওয়া একটি বাড়ি।আসলে বাড়ির মালিক স্বাধীনতা সংগ্রামী সৈয়দ মহম্মদ আলী নিজেই আজ বিস্মৃতির অন্তরালে হারিয়ে গিয়েছেন।
সৈয়দ মহম্মদ আলী ১৯০০ খ্রীস্টাব্দে বীরভূমের লোহাপুরের কাছে ছাতিনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন মামাবাড়ি ডুরিয়া গ্রামে। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ভর্তি হন গুরুদেবের শান্তিনিকেতনের আশ্রমে।পাঠ ভবনের পাঠ শেষ করেন ১৯২০ সালে।১৯২১ সালে বারাগ্রামে একটি মাইনর স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়।স্কুলটি ছিল ইংলিশ মিডিয়াম।পাঠক,বাদশাহি রাস্তা ধরে এগিয়ে যান,দেখবেন কোড়াপাড়ার পশ্চিমে রাস্তার উত্তরে বারাগ্রাম আদি প্রাইমারী স্কুল অবস্থিত। এই সেই স্কুল এখন চকচকে ঝকঝকে বিল্ডিং হলেও তখন ছিল মাটির দেওয়াল আর খড়ের চাল।শুধু বারাগ্রাম নয় পাশেই মুর্শিদাবাদ জেলার বেলাইপাড়া গ্রামের ছেলেমেয়েরাও এখানে পড়াশোনা করতো। এলাকার একমাত্র স্কুল।সেই স্কুলের প্রতিষ্ঠালগ্নেই শিক্ষকতার চাকরি পেলেন সৈয়দ মহম্মদ আলী।প্রথম দুএক বছর থেকে গেলেন বারাগ্রামের কাদেরিয়া শিলশিলার গদ্দিনশীন হজরত সৈয়দ শাহ মাতেশাম আলীর খানকাহ শরীফের পাশের দলিজে।সেসময় তাঁর খাওয়াদাওয়া ও থাকার ব্যবস্থাটি হয়েছিল পীরসাহেবের তত্বাবধানেই। কিছুসময় পর সৈয়দ আলী বারাগ্রামের মীরপাড়ায় জায়গা কিনে বাড়ি করলেন।ছাতিনা গ্রামের পাট চুকিয়ে সপরিবারে চলে এলেন বারাগ্রামেই।প্রসঙ্গত বলে রাখা ভলো, অনেকেই মনে করেন সৈয়দ আলী ছিলেন বারাগ্রামের জামাই কিন্তু এটা ঠিক নয়,তিনি ছাতিনা গ্রামের মেয়েকেই বিয়ে করেন।
সৈয়দ মহম্মদ আলী শিক্ষক। বারাগ্রামের মানুষের কাছে ওস্তাদজী। ওস্তাতজী কিন্তু শুধু ছেলে পড়িয়েই মনের শান্তি পান না।পরাধীন ভারতকে ইংরেজের হাত থেকে মুক্ত করার চিন্তায় বিভোর হয়ে থাকেন।সুযোগ এসে গেল।১৯২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে গান্ধিজীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন। গুরুদেবের আশ্রমে ছাত্র থাকাকালীন ১৯১৫ সালে তিনি দেখেছেন বাপুজিকে।সেদিন থেকেই এই মহান নেতার ভক্ত হয়ে গেছেন তিনি।তিনি ছিলেন নৈষ্ঠিক গান্ধিবাদী।ঝাঁপিয়ে পড়লেন অসহযোগ আন্দোলনে।ব্রিটিশের কবল থেকে দেশকে উদ্ধার করাই তখন তাঁর জীবনের ব্রত।শুধু অসহযোগ আন্দোলন নয় গান্ধি-পরিচালিত তিনটি গণআন্দোলনেই তনি সক্রিয় ভাবে যোগদান করেছিলেন। গ্রেপ্তার বরণ করেছিলেন। ১৯৪৫ খ্রীষ্টাব্দে বারাগ্রামের ব্রিটিশ দফাদারকে খুনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আলী গ্রেপ্তার হন।বারাগ্রামের একরাম দফাদার সত্যি সত্যি সেদিন স্বদেশীদের দ্বারা নিহত হয়েছিলেন। তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর বেলাইপাড়া কাঁদরে দফাদারের লাশ উদ্ধার হয়।গ্রেপ্তার হন স্বদেশী উড়াল সেখ ও তাঁর ছেলে।এলাকার স্বদেশী নেতা হিসাবে গ্রেপ্তার হন সৈয়দ আলী এবং তাঁর পুত্র কোরবান আলী।খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর সৈয়দ আলীর চাকরি চলে যায়।
উত্তর বীরভূমের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী লালবিহারী সিংহ,জাজিগ্রামের যশোদানন্দন মজুমদার, পূর্ণেন্দু দাম,পাইকরের রাজেন নারায়ণ সিংহ, কালীদাস শীলের সঙ্গে একইসাথে আরেকটি নাম তখন মানুষের মুখে মুখে।সেই নামটি হলো সৈয়দ মহম্মদ আলী।সারা বীরভূমের সাথে সাথে এই এলাকাতেও তখন স্বাধীনতা আন্দোলন তুঙ্গে।
দেখতে দেখতে ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাস এসে গেল।ভাগ হলো ভারত।ভাগ হলো বাংলা।নানা অশান্তির মধ্যে ভারত পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করলো।এরইমধ্যে মুর্শিদাবাদ কোন দিকে যাবে, সেই নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।১৫ই আগস্ট জেলার বিভিন্ন থানায় লীগের পতাকা উড়ছে। বীরভূমের নলহাটি থানায় লীগের পতাকা উড়ছে। মহম্মদ সৈয়দ আলী নলহাটি থানার পতাকা নামিয়ে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন।সাগরদীঘি থানা,রঘুনাথগঞ্জ থানায় লীগের পতাকা নামিয়ে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর অন্যন্য কংগ্রেসী নেতা ও জঙ্গিপুরের এস ডি ও এবং এস ডি পি ও কে নিয়ে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন থানা থেকে লীগের পতাকা নামিয়ে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন সৈয়দ মহম্মদ আলী।স্বাধীনতার পর তিনি লোহাপুর ইউনিয়ন বোর্ডের সেক্রেটারির চাকুরী পান।
গান্ধিজীর মৃত্যুর পর তাঁর আধ্যাত্মিক শিষ্য আচার্য বিনোবাভাবে ভূদান যজ্ঞ আন্দোলন শুরু করেন।বীরভূমের গান্ধিবাদী নেতারা বিনোবাভাবের আন্দোলনে আকৃষ্ট হন। ১৯৫২ সালে ৩০ শে মে আচার্য বিনোবাভাবে উত্তরপ্রদেশের বাঁদা শহরে রামলীলা ময়দানে ভূদান যজ্ঞ আন্দোলনের জন্য একটি সভা করেন। সেই সভায় উপস্থিত হয়ে লালবিহারী সিংহ এবং সৈয়দ মহম্মদ আলী বিনোবাভাবের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।সেখান থেকে ফিরে এসে লালবিহারী সিংহ জেলার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে দেন।কংগ্রেসের সমস্ত পোর্টফলিও থেকে পদত্যাগ করেন রাজেন্দ্র নারায়ণ সিংহ, কালীদাস শীল,সৈয়দ মহম্মদ আলী, বিশ্বনাথ গুপ্ত, বানিওরের সুধীর কুমার মণ্ডল প্রমুখ। ১৯৫২-৫৩ সালে তাঁরা বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ঘুরে ঘুরে ধনী ব্যক্তিদের জমি দান করার কথা বলেন।লালবিহারী সিংহ বাংলার সর্বপ্রথম মানুষ যিনি ভূদান যজ্ঞ আন্দোলন পাঁচ একর জমি দান করেন।কোরবান হোসেনও সেসময় পাঁচ বিঘা জমি দান করেন।সেই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল সেই জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া।তার সাথে যুক্ত হয় সর্বোদয় আশ্রম।সৈয়দ আলী,লালবিহারী সিংহ, আর কালীচরণ শর্মার নেতৃত্বে জাজিগ্রাম,নলহাটি আর বসোয়াতে সর্বোদয় আশ্রম গড়ে ওঠে।গোলান দাসের নেতৃত্বে তাঁতিপাড়ায় সর্বোদয় আশ্রম প্রতিষ্ঠা হয়।এই আশ্রমে সুতোর কাজ,মসলিনের কাজ,রেশমের কাজ হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হতো। ১৯৬২ সালে আচার্য বিনোবাভাবে ভূদান যজ্ঞ আন্দোলনের প্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলায় আসেন।মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূমে আসার পথে নবগ্রামে বিনোবাভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই খবর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর কানে পৌঁছে যায়। নেহেরুজি অসুস্থ আচার্যকে দেখা করার জন্য মিলিটারি হেলিকপ্টারে রামপুরহাটে গান্ধিপার্ক ময়দানে নামেন।সাথে ইন্দিরা গান্ধি এবং দুই নাতি রাজিব ও সঞ্জয়।সেখান থেকে ট্রেনে লোহাপুর হাইস্কুলে গিয়ে বিনোবাভাবেকে সাক্ষাতের কথা ভাবেন।সেইমত লোহাপুর হাইস্কুলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিনোভাজীর সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন সৈয়দ মহম্মদ আলী। কিন্তু বিনোবাভাবে এতবেশী অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তিনি নবগ্রাম থেকে আসতে পারেননি।অগত্যা নেহেরুজীকে নবগ্রামেই যেতে হয়।ভূদান আন্দোলন এবং সর্বোদয় আশ্রমে যুক্ত থাকার জন্য সৈয়দ মহম্মদ আলী লোকসেবক উপাধি লাভ করেন। নেহেরুজী মোরগ্রাম স্টেশনে নামার সাথে সাথে সৈয়দ মহম্মদ আলীকে ওস্তাদজী সম্মোধন করে বুকে জড়িয় ধরেন এবং ইন্দিরা গান্ধি,রাজিব গান্ধি আর সঞ্জয় গান্ধি, ওস্তাদজী সৈয়দ আলীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন।
এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন নির্লোভ। সৎ চরিত্রের মানুষটিকে নেহেরুজীও সম্মান দিয়েছিলেন।বিনোবাভাবে তো আলীকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন।এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে কোরবান আলী ও ছোটো ছেলে সিরাজুল ইসলাম বারাগ্রামেই থেকে যান।মধ্যম ছেলে আব্দুল আলী ছাতিনা গ্রামে চলে যান।একমাত্র মেয়ে জামেলা বেগমের বিয়ে হয় নলহাটির করিমপুরে এক পুলিশ কনস্টেবলের সাথে।এরমধ্যে সৈয়দ মহম্মদ আলীর স্ত্রী বিয়োগ হলে তিনি বীরভূমের কয়থা গ্রামে এক বিধবা নিঃসন্তান মহিলাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কয়থাতে থেকে যান।১৯৭৬ সালের পবিত্র ঈদুজ্জোহার নামাজের পরেপরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।কয়থার পবিত্র মাকবারায় এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী আজও শায়িত আছেন।তাঁর তিন ছেলের কেউ আজ বেঁচে নেই তবে রয়েছেন তাঁর নাতিরা।বারাগ্রামে রয়েছেন বড় ছেলে কোরবান আলীর পুত্র চাঁদ মহম্মদ, হাবিবুর রহমান,ইমরান আলী,রয়েছেন ছোট ছেলে সিরাজুল ইসলামের পুত্র সাদ্দাম আলী,সুরজ মহম্মদ প্রমুখ। ছাতিনা গ্রামে আছেন আব্দুল আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান, মুরারইয়ে আছেন আতাউর রহমান যিনি রামপুরহাটে ভোলা উকিল নামে পরিচিত।রামপুরহাটে আছেন আব্দুল আলীর ছোট ছেলে আব্দুল কাদের যিনি রামপুরহাট হাসপাতালের ক্যান্টিনের মালিক।স্বাধীনতা সংগ্রামী সৈয়দ মহম্মদ আলীর জীবনের নানা অজানা কথা জানতে হলে তাঁর নাতিদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
যাবেন নাকি একবার বারাগ্রাম মীরপাড়ায়।সেখানে সেই ঐতিহ্যপূর্ণ বাড়িটির সামনে গিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী সৈয়দ মহম্মদ আলীর উদ্দেশ্যে বলবো হে বীরভূমের বীর সন্তান তোমাকে সেলাম।হে ভারতের বীর সন্তান তোমাকে সেলাম..
তথ্য সুত্র -ভারতের মুক্তি সংগ্রাম ও বাংলার মুসলমান- সৌম্য বসু
বীরভূমের স্বাধীনতা সংগ্রামী -নবকুমার চক্রবর্তী
Copy post from Sayed Mainuddin Hossain