তারাবীহের নামায বিশ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, যেটা রমযান শরীফে ইশার ফরজ নামাযের পর প্রতি বাতে পড়া হয়। তারাবীহর নামায বিশ রাকায়াত দশ সালামে আদায় করতে হয়’,(দুররে মুখতার ১/৬৬০ পৃঃ) এবং প্রতি চার রাকায়াত পর ততক্ষণ পর্যন্ত বসা মুস্তাহাব যতক্ষণ চার রাকায়াত পড়তে সময় লাগে। আরামের জন্য এরূপ বসাকে তারবীহা বলে।(ফাতওয়া আলমগিরী ১/১১৫ পৃঃ)
তারাবীহ নামায়ের সময়:-তারাবীর সময় ইশার ফরজের পর থেকে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত। তারাবী রাত্রি র তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করা মুস্তাহাব এবং অর্ধ রাত্রির পরে পড়লে তখনও মাকরূহ হবে না। (দুররে মুখতার ১/৬৫৯ পৃঃ)
তারাবীহর নামাযের নিয়াত
نَوَيْتُ أَنْ أُصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى رَكْعَتَيْ صَلوةِ التَّرَابِيحِ سُنَّةَ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهَا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرْ
উচ্চারণ:- নাওয়াইতুআন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতাই সলাতিত্ তারাবীহ সুন্নাতি রাসুলিল্লাহি তাআলা মুতাওজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়াত:-আমি নিয়াত করছি দুইরাকায়াত তারাবীহ নামাযের যা রাসুলুল্লাহর সুন্নাত, কাবা শরীফের দিকে মুখ করে আল্লাহু আকবার।
বি.দ্র.-চার রাকায়াত পড়ার পর এখতিয়ার আছে, চাই চুপ
করে থাকুক বা দুআ কলেমা পড়ুক বা তেলাওয়াত রকুক বা দরুদ শরীফ পড়ুক অথবা একা চার রাকায়াত নফল পড়ুক (জামায়াত সহকারে পড়া মকরূহ) অথবা এ তাসবীহ পাঠ করতে হবে-
سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحَانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظَمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِي لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوتُ سُبُوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّنَا وَرَبُّ الْمَلَائِكَةِ
وَالرُّوحِ اللَّهُمَّ أَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيرُ يَا مُجِيرُ يَا مُجِيرُ.
বাংলা উচ্চারণ:-সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি সুবহানা জিল ইজ্জাতি ওয়াল আযমাতি ওয়াল হাইবাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল জাবারূত সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজী লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়াররূহ। আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নারি ইয়া মুজিরু ইয়া মুজিরু তারাবিহ নামাযের দুআ
اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَلُكَ الْجَنَّةَ وَنَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِكَ الْجَنَّةَ وَ النَّارِ بِرَحْمَتِكَ يَا عَزِيزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيمُ يَا جَبَّارُ يَا خَالِقُ يَا بَارُ الْهُمَّ أَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُحِيرُ يَا مُجِير
يَا مُحِيرُ بِرَحْمَتِكَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ:-আল্লাহুম্মা ইন্না নাস আলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নার ইয়া খালিকাল জান্নাতি ওয়ান্নার বিরহমাতিকা ইয়া আযীযু ইয়া গাফ্ফারু ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তারু ইয়া রাহীমু ইয়া জাব্বারু ইয়া খালিকু ইয়া বাররু আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নারি ইয়া মুজিরু ইয়া মুজিরু বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
মাসয়ালা:- তারাবীহর জামাত হচ্ছে সুন্নাতে কেফায়া, মাসজিদের সকল লোক ছেড়ে দিলে সকলে গুনাহাগার হবে। যদি কোন একজন ঘরে একা পড়ে গুনাহগার হবে না।'(আলমগিরী ১ম খন্ড ১১৬ পৃ:)
মাসয়ালা:- তারাবীহর মধ্যে একবার কুরআন মজীদ খতম করা সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ, দুবার খতম করা উত্তম। তিনবার করা অধিক উত্তম। মানুষের
অলসতার কারণে খতম পরিত্যাগ করা নাজায়েজ।'(দুররে মুখতার ১ম খন্ড ৬৬২ পৃঃ)