হাদিস নং ১: হযরত আব্দুল্লা বিন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ইরশাদ করেন ‘নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযান মাসে বিশ রাকায়াত পড়তেন বিতির ব্যতীত। ইমাম বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি অতিরিক্ত করে বলেছেন, ‘জামায়াত ছাড়াই তারাবীহর নামায পড়তেন।’ (. মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা ২/৩৯৪ পৃ:, আসারাস সুনান ২/৫৬, সাবমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৭২ পৃঃ, সুনানে বায়হাক্বী ২/৪৯৬ পৃঃ,শারহু নেকায়া ১/১০৪ পৃঃ।)
হাদিস নং ২:- সাহাবী সাইব ইবনে ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘আমরা উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর যুগে বিশ রাকায়াত এবং বিতর পড়তাম। (আস-সুনানুল কুবরা, বায়হাক্বী ১/২৬৭-২৬৮পৃ:, মারিফাতুস সুনানি ওয়াল আসার, বায়হাক্বী ২/৩০৫ পৃঃ, শারহন নেকায়া ১/১০৪ পৃঃ।)
বিঃদ্রঃ-হযরত সাইব ইবনে ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটির সনদ সহীহ। অনেক হাদীসের ইমাম ও ফিকহের ইমাম এই হাদীসের দ্বারা প্রমাণ দিয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন হাফেযুল হাদীস তা সুস্পষ্টভাবে সহীহ বলেছেন। যেমন ইমাম নববী, তাকীউদ্দীন সুবুকী, ওলীউদ্দিন ইরাকী, বাদরুদ্দীন আইনী, জালালুদ্দীন সুউতী রাদিয়াল্লাহু আনহুম
প্রমুখ।°(আল-মাজমু শারহুল মুহাযযাব ৩/৫২৭ পৃঃ, নাসবুর রায়াহ ২/১৫৪ পৃঃ,উমদাতুল ক্বারী শারহু সহীহুল বুখারী ৭/১৭৮পৃঃ, ইরশাদু সারী শারহুল বুখারী ৪/৫৭৮ পৃ:, আল মাসাবীহ ফী সালাতিত তারাবীহ ২/৭৪ পৃঃ।)
এই হাদীসটিকে আরবের গায় মুকাল্লিদ আলেম নাসিরুদ্দীন আলবানী এবং হিন্দুস্তানের গায় মুকাল্লিদ আলেম মাওলানা আবদুর রহমান মুবারকপুরীর আগে কোন আলেম ‘যয়ীফ’ বলেনি।
হাদীস নং ৩:- হযরত ইয়াযীদ ইবনে রুমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর যুগে মানুষ (সাহাবা
ও তাবেয়ীন) রমযান মাসে ২৩ রাকায়াত পড়তেন।” (আস সুনানুল কুবরা, বায়হাক্বী ২/৪৯৬ পৃ:, মুয়াত্তা মালেক ৪০।)
হাদীস নং ৪:- হযরত ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এক ব্যক্তিকে আদেশ দিলেন, তিনি যেন লোকদের নিয়ে বিশ রাকাআত পড়েন।’
বিঃদ্র:- কিছু ‘গায় মুকাল্লিদ’ অভিযোগ করে যে, এই বর্ণনাগুলি ‘মুরসাল’ আর ‘মুরসাল’ হল যয়ীফ। তাদের জবাব স্বরূপ তাদের ইমাম ইবনে তাইমিয়ার এই উদ্ধৃতিই যথেষ্ট, ‘যে মুরসালের অনুকুলে অন্য কোন কিছু পাওয়া যায় কিংবা পূর্বসূরীগণ যার অনুসরণ করেছেন তা ফকীহগণের সর্বসম্মতিক্রমে দলীল হিসেবে গ্রহণীয়।’