[ad_1]
ইলমে গায়বে অবিশ্বাসীগণ যখন তাদের বক্তব্যের সমর্থনে প্রমাণাদি উপস্থাপন করে তখন নিম্নলিখিত বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন ।(এজহাতুল গায়ব গ্রন্থের ৪র্থ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য ।)
১) উপস্থাপিত আয়াতটি সুষ্পষ্ট ও অকট্রভাপবে ব্যাখ্যাকৃত হতে হবে যা বিবিধ অর্থ বোধক বা রূপক ব্যাখ্যার যোগ্য হলে চলবে না । আর হাদীছ উপস্থাপিত করা হলে হাদীছটি রেওয়ায়েতের দিক থেকে মুতাওয়াতির হতে হবে । (সাহাবায়ে কিরাম তাবেয়ীন ও তাবেয়ে তাবেয়ীন এ ৩টি যুগেই যে হাদীছের অগণিত বর্ণনাকারী হয় উহাই হাদীছে মুতাওয়াতির ।)
২) ঐ আয়াত বা হাদীছ যেন জ্ঞান দান করার বিষয় অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হয় অর্থাৎ আল্লাহ জ্ঞান দান করেনি কিংবা আমাকে এ জ্ঞান দান করা হয়নি এ ধরনের অস্বীকৃতির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত থাকতে হবে ।
৩) কোন বিষয়কে প্রকাশ না করলে তাতে সে বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞানতা বোঝা যায় না। এমনও হতে পারে যে প্রিয় নবী হুযুর (আলাইহিস সালাম) কোন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন। কিন্তু কোন বিশেষ কারণে উহা ব্যক্ত করেননি । অনুরূপভাবে হুযুর আলাইহিস সালামের এ কথা বলা যে আল্লাহ জানেন আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা কিংবা আমি কি জানি? ইত্যাদি বাক্য দ্বারা হুযুর আলাইহিস সালামের জ্ঞানের অস্বীকৃতি বোঝা যায় না । এ ধরনের উক্তি সত্ত্বাগত জ্ঞানের অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে নীরব রাখার জন্যও ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
৪) যে বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানের অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হয় সে বিষয়টি যেন কোন ঘটনা সম্পর্কিত হয় ও উহা কিয়ামত পর্যন্ত সময় সিমানার মধ্যে হয় । কেননা আল্লাহর যাবতীয় গুনাবলী ও কিয়ামতের পরবর্তী বষয়াদি সম্পর্কিত জ্ঞানের আমরাও দাবী করি না ।
এ চারটি পরিচ্ছেদের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। -সুত্রঃ জা’আল হক ১ম খন্ড-
[ad_2]
Source link