[ad_1]
‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম’ বা ‘গিয়ারবী শরীফ’ ওলীকুলের শ্রেষ্ঠ, কুতুবে রব্বানী, মাহবুবে সোবহানী গাওসুল আজম হযরত মুহিদউদ্দিন আবদুল কাদের জিলানী (র.)-এর ওফাত দিবস হিসেবে পরিচিত এই পবিত্র দিবসটি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের প্রায় সর্বত্র যথাযথ মর্যাদা সহকারে উদযাপিত হয়ে থাকে। তারই প্রবর্তিত কাদেরিয়া তরিকাপন্থী কোটি কোটি মুসলমানের নিকট দিবসটির তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য অপরিসীম। তরিকতের ইমাম মহান সাধক হযরত গাওসুল আজমের রূহানী, আধ্যাত্মিক, ভক্ত-অনুসারীর প্রাণপ্রিয় এই ‘বড় পীর’ দুনিয়াময় ইসলামের যে আলোক শিখা জ্বালিয়ে গেছেন তা অনন্তকাল অনির্বাণ থাকবে।
গাওসুল আযম হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র.) মা-বাবা উভয় দিক থেকে ছিলেন হাসানী-হোসাইনী অর্থাৎ হযরত আলী (র.)-এর বংশধর। তিনি হিজরী ৪৭০ সালের ১ রমজান মোতাবেক ১০৭৭-৭৮ খৃস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং হিজরী ৫৬০-৬১ সাল মোতাবেক ১১৬৬ খৃস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯০-৯১ বছর। বাগদাদে তিনি শিক্ষা লাভ করেন। কোরআন তফসীর, হাদীস, ফেকাহ, বালাগত (অলংকার শাস্ত্র, সাহিত্য), ইতিহাস অংকশাস্ত্র, যুক্তিবিদ্যা প্রভৃতি প্রচলিত সব বিষয়ে সনদ লাভ করেন। তিনি যুগ শ্রেষ্ঠ সাধক হিসেবে এবং শরিয়ত ও তরিকতের অনন্য সাধারণ ইমাম হিসেবে এবং ইসলামের পূর্ণজীবনদানকারী হিসেবে সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন ছিলেন।
হযরত গাওসুল আজমের ওফাত দিবস ‘ফাতেহা-ইয়াজদহম’ বা ‘গিয়ারভী শরীফের’ প্রথমোক্ত নামটি অধিক পরিচিত এবং সূচনা কাল থেকেই এখানে প্রচলিত। দিবসটির উদ্ভব ও প্রচলন সম্পর্কে কিছু চমৎকার বিবরণ পাওয়া যায়, যার নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন করার অবকাশ থাকলেও দিবসটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা সর্বজন স্বীকৃত। মুসলিম বিশ্বের আওলিয়ায়ে কেরামের ইতিহাসে গাওসুল আজম হযরত আব্দুল কাদের জীলানী (র.)-এর স্থান নিঃসন্দেহে সকলের ঊর্ধ্বে। এখানে তার ওফাত দিবস নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যাক।
হযরত গাওসুল আজম হিজরী ৫৬১ সালের রবিউস সানী মাসে ওফাত পান। খ্রিস্ট সাল অনুযায়ী যা ছিল ১১৬৬ সাল, তারিখ সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। ৮, ৯, ১১, ১৩ এবং ১৭ পর্যন্ত এ পাঁচটি তারিখের উল্লেখ পাওয়া গেলেও সর্বসম্মত মত হচ্ছে ১১ রবিউস সানী। ফারসি ভাষায় ১১ কে ইয়াজদহম এবং উর্দুতে ‘গিয়াবা’ বলা হয়। এবং গিয়াবা থেকে ‘গিয়ারভী’ শরীফের উৎপত্তি। দুটি নামের প্রচলন করে থেকে এবং কীভাবে শুরু হয় সে সম্বন্ধে কিছুটা মতভেদ দেখা যায়। কেউ কেউ বলেন, হযরত বড় পীর সাহেব নিজেই এটা পালন করতেন। আবার কেউ কেউ বলেন, এটা তার ওরস দিবস যা তার ইন্তেকালের পর মাসায়েখ ও ভক্ত-অনুসারীগণ পালন করতে আরম্ভ করেন। প্রথম মতের সমর্থন পাওয়া যায় আল্লামা ইমাম ইয়াফেযী কাদেরী (র.)-এর বক্তব্য হতে। আল্লামা ইয়াফেযী (র.) বলেন, ‘ফাতেহা ইয়াজদহম’ হযরত রাসূলে করীম (স.)-এর ওফাত দিবস, যা বড় পীর সাহেব তার জীবনে পালন করতে থাকেন। এ সম্বন্ধে আল্লামা ইয়াফেযী তার বিখ্যাত পুস্তক ‘কোরবাতুন নাজেরা’-তে বলেছেন, একদা বড় পীর সাহেবের ‘গিয়ারভী’ শরীফের আলোচনা হতে থাকলে তিনি (পুস্তক রচয়িতা) বলেন, এর নিয়ম এই যে, বড় পীর সাহেব রবিউস সানী মাসের ১৩ তারিখে হুজুর (স.)-এর ‘খতম শরীফ’ নির্ধারিত করে দেয়া হয়। তারপর অন্যরাও তার অনুকরণে একাদশ তারিখে হযরত রাসূলে করীম (স.)-এর নামে খতম পড়াতে আরম্ভ করেন। ক্রমশ এটা হযরত বড় পীর সাহেবের ‘গিয়ারভী শরীফ’ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। এখন তার ওরসও একাদশ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ তার ওফাত সর্বসম্মতভাবে ১১ রবিউস সানী দিবসে।
উল্লেখিত বিবরণে একটা খটকা থেকে যাচ্ছে যে, প্রচলিত প্রথা অনুসারে কারো মৃত্যুর পর চল্লিশতম দিবসকে ফারসিতে ‘চেহলাম’ বলা হয়। বর্ণিত বক্তব্যে রাসূলুল্লাহ (স.)-এর ‘চেহলাম’ ১১ রবিউস সানী কিভাবে সঠিক হয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (স.)-এর ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল হতে হিসাব করা হলে চেহলাম বা চল্লিশ পূর্ণ হতে গোটা রবিউস সানী শেষ করে পরবর্তী জমাদিউল আউয়াল মাসেরও তিন দিন হিসাব করতে হয়। পক্ষান্তরে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাত ৯ রবিউল আউয়াল ধরা হলে রবিউস সানী মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত ৪০ দিন হয় যদি রবিউল আউয়ালকে ৩০ দিন ধরা হয়। তা হলে প্রশ্ন আসে বড় পীর সাহেব রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সেই কথিত চেহলাম কোন তারিখ হতে হিসাব করতেন? নির্ভরযোগ্য ইতিহাস সূত্রের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হওয়া আবশ্যক। আর বড় পীর সাহেবের ওফাত দিবসকে ‘গিয়ারভী’ শরীফ বা ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম যাই বলা হোক না কেন তাতে কোনো বিতর্কের সুযোগ থাকে না এবং রাসূলুল্লাহ (স.)-এর চেহলাম হিসাব করার প্রশ্নও আসে না, যা এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে।
স¤্রাট আওরঙ্গজেবের ওস্তাদ এবং নূরুল আনোয়ার নামক বিখ্যাত গ্রন্থের রচয়িতা মোল্লা জুযুনের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ তার পুস্তকে লিখেছেন যে, অন্যান্য মাসায়েখের ওরশ বছর শেষে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু হযরত বড় পীর সাহেবের এটা এমন একটা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শান যে, বুজুর্গানে দ্বীন কর্তৃক তার ওরস গিয়ারভী শরীফ প্রতি মাসে নির্ধারিত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে (সরকারিভাবেও) বছরে একবার রবিউস সানী ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম বহুকাল থেকেই উদযাপিত হয়ে থাকে।
হযরত শেখ আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলবী (র.) যার যুগ হিজরী ৯৫৮ থেকে ১০৫২ সাল পর্যন্ত তিনি ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম সম্পর্কে যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিবেশন করেছেন তা উল্লেখ করা যেতে পারে। ‘মা সাবাতা বিস সুনাহ’ নামক বিখ্যাত পুস্তকে হযরত মোহাদ্দেস দেহলবী ‘রবিউস সানী’ মাসের আলোচনা করতে গিয়ে গাওসুল আজমের ওরস সম্পর্কে লিখেছেন : ‘জানা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা মতে গাওসুল আজমের ওরস ৯ রবিউস সানী তারিখে হওয়া উচিত এবং পীর-মুর্শিদ শেখ আবদুল ওহাব কাদেরী মোত্তাকী মক্কী (র.) এই তারিখকে তার ওরস বলে গণ্য করতেন। ওরসের এই তারিখটাই নির্ভরযোগ্য এ কারণে যে, আমাদের পীর-মুর্শিদ শেখ আজম আলী মোত্তাকী (র.) এবং মাসায়েখের নিকট এই তারিখই নির্ভরযোগ্য। কিন্তু আমাদের দেশে বর্তমানে ১১ রবিউস সানী তারিখই অধিক প্রসিদ্ধ ও প্রচলিত এবং ভারতে (পাকিস্তানে) অবস্থানরত গাওসুল আজমের বংশধর ও মাসায়েখে কেরাম একাদশ তারিখে ওরস করে থাকেন।’
হযরত মোহাদ্দেস সাহেব শেখ হামেদ হাসানী জালানীর বরাত দিয়ে আরও উল্লেখ করেছেন যে, তিনি তার পিতৃ পুরুষদের মুখে শোনা কথা অনুযায়ী গওসুল আজমের ওরস একাদশ তারিখ লিখেছেন। মোহাদ্দেস সাহেব ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম বা ‘গিয়ারভী শরীফ’ অর্থাৎ এই তারিখে ওরস অনুষ্ঠান করার স্বপক্ষে তার পীর-মুর্শিদের যুক্তির কথা উল্লেখ করেন। এই দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, রাসূলুল্লাহ (স.)-এর প্রতি দরূদ শরীফ ও সালাম, অধিক পরিমাণে কালেমা পাঠ, জিকির-আজকার ও খানাপিনা এবং মিষ্টি বিতরণ ও ইসালে সওয়াব ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালন।
হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র.)-এর চারিত্রিক গুণাবলী, ধর্মীয় আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে তার অবিস্মরণীয় অবদান ইসলামের প্রচার-প্রসার সমাজের উন্নয়ন-সংস্কার, বেদাত-কুসংস্কার উচ্ছেদে তার বৈপ্লবিক ভূমিকা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য দিক। তার কারামত বা অলৌকিক ক্ষমতার অসংখ্য কাহিনীর কথা জানা যায়। তার অসংখ্য মূল্যবান ভাষণ-বাণী, গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলী, ফতোয়া প্রভৃতির কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি হাম্বলী মাজহাবের অনুসারী হলেও মাজহাব চতুষ্টয় অনুযায়ী ফতোয়া প্রদান করতেন, যা তার নিরপেক্ষ উদার নীতিরই পরিচয় বহন করে।
প্রসঙ্গক্রমে এখানে বিস্ময়ের সাথে একটি কথা বলতে হচ্ছে যে, মহান সাধক গাওসুল আজম হযরত আবদুল কাদের জীলানী (র.) সম্পর্কে কোনো কোনো ভক্ত লেখক এমন সব আজগুবী উদ্ভট তথ্য পরিবেশন করেছেন যা নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণ করা কঠিন। উদাহরণ স্বরূপ এখানে আমরা এমন একটি বিষয়ের উল্লেখ করতে চাই যা তার ব্যক্তি, পারিবারিক জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। বাংলা ভাষায় রচিত তার জীবন চরিত্র সংক্রান্ত কোনো কোনো পুস্তকে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চার স্ত্রী হতে তার পুত্র কন্যার সংখ্যা এত অধিক ছিল যা উল্লেখ করতে লজ্জিত হতে হয়। তবে বাগদাদ হতে প্রকাশিত নির্ভরযোগ্য আরবী পুস্তকে পুত্র সংখ্যা ১২ এবং কন্যা সংখ্যা ১ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সঠিকভাবে যাচাই অনুসন্ধান না করে অলীক-অবিশ্বাস সংখ্যা প্রদান করে বস্তুত এই মহান সাধকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন নয়, অবমাননা করারই শামিল। আমরা যে আরবী পুস্তকটির কথা উল্লেখ করেছি তার নাম জামেউল ইমাম আল আজম। এটি হযরত ইমাম আজম আবু হানিফা (র.)-এর নামে প্রতিষ্ঠিত জামে মসজিদ পরিচিত। লেখক শেখ হাসেম আল আজমী একই মসজিদের প্রথম ইমাম এবং জামে শেখ আবদুল কাদের জীলানী (র.)-এর সাবেক খতীব। পুস্তকটি ইরাকে ওয়াকফ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৯৮০ সালে প্রকাশিত। এতে ইমাম আজম ও গাওসুল আজমসহ অনেক ইমাম-মাশায়েখ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় নিদর্শন, কীর্তি ও মসজিদের নিদর্শন স্থান পেয়েছে। গাওসুল আজমের সন্তানাদির সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। এইভাবে ‘ওয়াল্লাহ ইসনা আশারা ওলাদান ওয়া বিনতুন ওয়াহেদাহ’ অর্থাৎ তার ১২ পুত্র ও এক কন্যা (পৃ. ১১৭)। আর আমাদের দেশের অনির্ভরযোগ্য কোনো কোনো বই-পুস্তকে পুত্র-কন্যার সমষ্টিগত ৪৯ থেকে ৮২ পর্যন্ত দেখানো হয়েছে, কি বিস্ময়কর অলীক?
এই পুস্তকে এমন একটি নতুন তথ্য পরিবেশিত হয়েছে, যা সঠিক হলে হযরত গাওসুল আজমের মহান বাবার আপেলের ঘটনাটি বিতর্কিত হয়ে পড়ে। আপেল বাগানের মালিক হযরত সৈয়দ আবদুল্লাহ সাওমায়ী এবং গাওসুল আজমের মহান বাবা শেখ আবু সালেহ মুসার মধ্যে বিনা অনুমতিতে আপেল খাওয়া সংক্রান্ত ঐতিহাসিক ঘটনাটি অবিকল হযরত ইমাম আজম আবু হানিফা (র.)-এর মহান বাবা সাবেত আবু নোমান সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। উল্লেখিত জামে ইমাম আজম পুস্তকে ‘কিচ্ছাতুন লিল ওয়ালেদ’ (বাবার কাহিনী)-শিরোনামে একই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। তবে এখানে বাগানের মালিক আবদুল্লাহ সাওমায়ীর নাম উল্লেখ করার পরিবর্তে ‘শাহবুশ শাহারা’কে গাছের মালিক বলা হয়েছে এবং শাবেত আবু নোমানের সাথে আবদুল্লাহ সাওমায়ীর কন্যার বিবাহ পর্যন্ত এর বিবরণ রয়েছে। অর্থাৎ গাওসুল আজম ও ইমাম আজমের দু’মহান বাবার একই ঘটনার একটি নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ইমাম আজমের বাবার এ কাহিনী আলোচ্য পুস্তকের ১৯ ও ২৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে। বস্তুত, আপেলের ঘটনার বিবরণ এক ও অভিন্ন মনে হলেও মনে হয় লেখক শেখ হাশেম আজমী গাওসুল আজমের বাবাকে ইমাম আজমের বাবা মনে করার ভ্রমে পতিত হয়েছেন অথবা দুটি ঘটনাই ভিন্ন ভিন্ন। অথচ ইমাম আজমের যুগ ৮০-১৫০ হিজরী পর্যন্ত। দুই ইমাম বাবার সাথে একই ঘটনা ঘটতেই পারে না যুগের এ কয়েক শতকের বিশাল ব্যবধান তারই অস্পষ্ট প্রমাণ। এতদ্ব্যতীত হযরত ইমাম আজমের জীবন চরিত্রের ওপর রচিত বিভিন্ন ভাষায় অসংখ্য গ্রন্থ-পুস্তকে আপেলের উল্লেখিত ঘটনাটির উল্লেখ আছে বলে মনে হয় না। আল্লামা শিবলী নোমানীর মতো সূক্ষ্মবিদ গবেষক লেখকও ঘটনাটি সম্পর্কে কিছুই বলেননি। তার ভাষ্যনুযায়ী, সাবেতের জীবনবৃত্তান্ত অজ্ঞাত। বিভিন্ন উপায়ে এতটুকু অবগত হওয়া যায় যে, তিনি বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবনযাপন করতেন। চল্লিশ বছর বয়সে আল্লাহ তাকে সন্তান দান করেন। বাবা-মা তার নাম রাখেন নোমান। পরবর্তীকালে তিনি ইমাম আজম উপাধি লাভ করেন। (সীরাতুন নোমান)
গওসুল আযম হযরত আবদুল কাদের জীলানী (রহ.) একই সঙ্গে শরীয়ত ও তরীকতের মহান সাধক ছিলেন। তাঁর আরবী ভাষায় রচিত কাসীদা-ই-গওসিয়া তাঁর রুহানী ক্ষমতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পবিত্র কোরআন ও মহানবী (স.)-এর সুন্নাহ ছিল তাঁর মহান আদর্শ। তাঁর মূল্যবান বাণী চিরন্তন পাঠে প্রমাণিত, শরীয়তের পূর্ণ অনুসরণ ব্যতীত তরীকত লাভ করা যায় না। তাঁর হাতে হাজার হাজার ইহুদী-খ্রিস্টান, মোশরেক তথা বিধর্মী মুসলমান হয়ে যায়।
[ad_2]
Source link