[ad_1]
বুযুর্গানে কেরামের হাত-পা চুম্বন
মুহাম্মদ তাওহীদুল ইসলাম কাদেরী
শিষ্টাচার একটি মানবীয় বিশেষগুণ, যার দ্বারা মানুষ নিজেই অন্যের সম্মানের পাত্র হয়। ইসলামে শিষ্টাচার একটি উত্তম আদর্শ বলা হয়েছে। যেমন আল্লাহর অলীগণের হাত-পা চুমু দেওয়া , তাঁদের পবিত্র বস্তু, চুল, পোশাক-পরিচ্ছেদ ও ব্যবহৃত বস্তু ইত্যাদির সম্মান করা, চুমু দেওয়া এর মধ্যে অন্যতম। নি¤েœ কতিপয় দলীলের ভিত্তিতে তা প্রমাণ করা হল-
১. পবিত্র বস্তুকে চুমু দেয়া জায়েয। পবিত্র কুরআন মাজীদে ইরশাদ ফরমান- وَادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًاوًّقُوُلُوُاحِطَّةٌ- -অর্থাৎ ওহে বনী ঈসরাইল বায়তুল মুকাদ্দাসের দরজা দিয়ে নতশিরে প্রবেশ কর এবং বল আমাদের গুনাহ মাফ করা হোক। এ আয়াত থেকে অবগত হওয়া গেল যে আম্বিয়া কিরাগণের আরামগাহ বায়তুল মুকাদ্দাসকে সম্মান করা হলো অর্থাৎ বনী ইসরাঈলকে ওখানে নতশিরে প্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ আয়াত দ্বারা এটাও বোঝা গেল যে, পবিত্র স্থান সমূহে তাওবা তাড়াতাড়ি কবুল হয়।
২. মিশ্কাত শরীফের- اَلْمُصَافَحَةِ وَالْمُعَانَقَةُ অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছে-عنْ زَرَاعٍ وَكَانَ فِيْ وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ لَمَّا قَدمْنَا الْمَدِيْنَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلَ يَدَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّي الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه- – অর্থাৎ- হযরত যারা‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, যিনি আব্দুল কায়সের প্রতিনিধিভুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, যখন আমরা মদীনায় আসলাম তখন আমরা নিজ নিজ বাহন থেকে তারাতারি অবতরন করতে লাগলাম। অত:পর আমরা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র পবিত্র হাত-পা মোবারক চুমু দিয়েছিলাম। মিশ্কাত শরীফের اَلْكَبَائِرِ وَعَلَامَاْتِ النِّفَاقِ শীর্ষক অধ্যায়ে হযরত ছাফওয়ান ইবনে আস্সাল থেকে বর্ণিত আছে- (অতঃপর হুযুর আলাইহিস সালামের হাত ও পা মুবারকে চুমু দেন) ।
* আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে- عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَبَّلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَانَ ابْنُ مَطْعُوْنٍ وَهُوَمَيِّتٌ – অর্থাৎ হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত উছমান ইবনে মাতউনকে মৃতাবস্থায় চুমু দিয়েছেন।
৩. ইমাম বুখারী (রা:) ‘যিরা ইবনে আমের থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা‘র দরবারে হাজির হই, কিন্তু আমি তাঁকে চিনতাম না। জনৈক ব্যক্তি আমাকে ইশারা করে বললেন, “ইনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। অত:পর আমি তাঁর পবিত্র হস্তদ্বয় ও পদদ্বয় ধরে চুম্বন করতে লাগলাম”।
৪. হযরত সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ) হতে বর্ণিত اِنَّ قَوْمًا مِّنَ الْيَهُوْدِىِّ قَبَّلَ اَيْدِىَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَقَبَّلَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ – অর্থাৎ, ইহুদীদের একটি গোত্র নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হস্ত-পদ মুবারক চুম্বন করেছে।
৫.হাদীস শরীফে আরো এসেছে-
حدثنا موسي بن اسماعيل قال حدثنا مطر بن عبد الرحمن الا عنق قال حدثني امرأة من صباح عبد القيس يقال لها ام ابان ابنه الوازع عن جدها ان جدها الوازع ابن العامر قال قدمنا فقبا ذلك رسول الله فاخذنا بيده ورجليه نقبلها- –
অর্থাৎ, আব্দুল কায়স প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হযরত ওয়াযে‘ ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, একদা আমি মদীনা শরীফে পদার্পন করলে জনৈক ব্যক্তি বলেন, তিনি হলেন আল্লাহর রাসূল। অত:পর আমরা হুজুরের পবিত্র হাত ও পদযুগল মোবারক ধরে চুম্বন করলাম।
৬.বুখারী শরীফের আল-আদাবুল মুফরাদে উল্লেখ আছে-
حدثنا عبد الرحمن بن المبارك قال حدثنا سفيان بن حبيب قال حدثنا شعبة قال حدثنا عمر وعن ذكوان عن صهيب قال رأيت عليّا يقبل يد العباس ورجليه-
অর্থাৎ, হযরত সোহাইব (রাঃ) বলেন, আমি হযরত আলী (রাঃ) কে দেখেছি, তিনি হযরত আব্বাস (রাঃ) কে হাত ও পায়ে চুমু দিচ্ছেন।
ان قبل يد عالم او سلطان عادل بعلمه لا باس به-
যদি আলিম বা ন্যায়পরায়ণ বাদশার হাতে-পায়ে চুমু দেয়া হয় তাঁদের ইলম ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে, তাহলে এতে কোন ক্ষতি নেই ।
৭. প্রসিদ্ধ শিফা শরীফে উল্লেখিত আছে-
كَانَ اِبْنُ عُمَرَ يَضَعُ يَدَهْ عَلَى الْمِنْبَرِ الَّذِىْ يَجْلِسُ عَلَيْهِ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِى الْخُطْبَةِ ثُمّ يَضَعُهَاعَلَى وَجْهِهِ-
যে মিম্বরে দাঁড়িয়ে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুৎবা দিতেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ইবনে উমর (রাঃ) সেটাতে হাত লাগিয়ে মুখে মাখতেন (চুমু দিতেন)।
৮. আল্লামা ইবনে হাজার রচিত ফাতহুল বারী শরহে বুখারীর ষষ্ঠ পারার ১১৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-
اِسْتَنْبَطَ بَعْضُهُمْ مِنْ مَشْرُوْعِيَّةِ تَقْبِيْلِ الْاَرْكَانِ جَوَازَ تَقْبِيْلِ كُلِّ مَنْ يَّسْتَحِقُّ الْعَظْمَةَ مْن اَدَمِىٍّ وَغَيْرِهِ نُقِلَ عَنِ الاِمَامْ اَحْمَدَ اَنَّه ‘سُئِلَ عَنْ تَقْبِيْلِ مِنْبَرِ النَّبِىِّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ وَتَقْبِيْلِ قَبْرِهِ فَلَمْ يَرَ بِهِ بَاسًا وَّنُقِلَ عَن ابْنِ اَبِى الصِّنْفِ اليَمَانِى اَحَدِ عُلَمَاءِ مَكَّةَ مِنَ الشَّافِعِيَّةِ جَوَازَ تَقْبِيْلِ الْمُصْحَفِ وَاَجْزَاءِ الْحَدِيْثِ وَقُبُوْرِ الصَّالِحِيْنَ مُلْخَصًا-
অর্থাৎ, কা‘বা শরীফের স্তম্ভগুলোর চুম্বন থেকে কতেক উলামায়ে কিরাম, বুযুর্গাণে দ্বীন ও অন্যান্যদের পবিত্র বস্তুসমুহ চুম্বনের বৈধতা প্রমাণ করেন। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁর কাছে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিল- হুযূর আলাইহিস সালামের মিম্বর বা পবিত্র কবর মুবারকে চুমু দেয়াটা কেমন? তিনি এর উত্তরে বলেছিলেন, কোন ক্ষতি নেই। মক্কা শরীফের শাফেঈ উলামায়ে কিরামের অন্যতম হযরত ইবনে আবিস সিন্ফ ইয়ামানী থেকে বর্ণিত আছে- কুরআন করীম ও হাদীছ শরীফের পাতাসমূহ এবং বুযুর্গানে দ্বীনের কবরসমূহ চুমু দেয়া জায়েয। দুররুল মুখতারের পঞ্চম খন্ড কিতাবুল কারাহিয়াতের শেষ অধ্যায় الاستبراء এর মুসাফাহা পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছেÑ
وَلَا بَاسَ بِتَقْبِيْلِ يَدِا الْعَالِمِ وَالسُّلْطَنِ الْعَادِلِ-
অর্থাৎ, আলিম ও ন্যায়পরায়ণ বাদশার হাতে চুমু দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই। এ জায়গায় ফাত্ওয়ায়ে শামীতে হাকিমের একটি হাদীছ উদ্ধৃত করেছে, যার শেষাংশে বর্ণিত আছে-
قَال ثُمَّ اَذِنَ لَه ‘فَقَبَّلَ رَأْسَه وَرِجْلَيْهِ وقَالَ لَوْ كُنْتُ اَمِرًا اَحَدًا اَنْ تَسْجُدَ لَاحَدٍ لَاَمَرْتُ الْمَرْأَةَ اَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَقَالَ صَحِيْحُ الْاَسْنَادِ-
হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই ব্যক্তিকে অনুমতি দিয়েছেন। তাই সে তাঁর মস্তক ও পা মুবারক চুমু দিলেন। অতঃপর হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান যদি আমি কাউকে সিজ্দার হুকুম দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে হুকুম দিতাম স্বামীকে সিজ্দা করতে।
প্রখ্যাত ‘তুশেখ’ গ্রন্থে আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (রহঃ) বলেছেন-
اِسْتَنْبَطَ بَعْضُ الْعَارِفِيْنَ مِنْ تَقُبِيْلِ الْحَجَرِالْاَسْوَدِ تَقْبِيْلَ قُبُورِالصَّالِحِيْنَ-
হাজরে আসওয়াদের চুম্বন থেকে কতেক আরেফীন বুযুর্গানে কিরামের মাযারে চুমু দেয়ার বৈধতা প্রমাণ করেছেন।
চুম্বন পাঁচ প্রকারঃ
* আশীর্বাদসূচক চুম্বন। যেমন, বাবা ছেলেকে চুমু দেয়।
* সাক্ষাৎকারের চুম্বন। যেমন, কতেক মুসলমান কতেক মুসলমানকে চুমু দেয়।
* স্নেহের চুম্বন। যেমন, ছেলে মা-বাবাকে দেয়।
* বন্ধুত্বের চুম্বন। যেমন, এক বন্ধু অপর বন্ধুকে চুমু দেয়।
* কামভাবের চুম্বন। যেমন, স্বামী স্ত্রীকে দেয়।
কেউ কেউ ধার্মিকতার চুম্বন অর্থাৎ হাজরে আসওয়াদের চুম্বনকে এর সাথে যোগ করেছেন। আদ-দুররুল মুখতারে আলমগীরীর মত পাঁচ প্রকার চুম্বনের বর্ণনা দিয়েছেন। তবে নিম্ন লিখিত বক্তব্যটুকু বর্ধিত করেছেন-
قُبْلَةُ الدِّيَانَةِ لِلْحَجْرِ الْاَسْوَدِ وَتَقْبِيْلُ عُتْبَةِ الْكَعْبَةِ وَتَقْبِيْلُ الْمُصْحَفِ قِيْلَ بِدْعَةِ لَكِنْ رُوِىَ عَنْ عُمَرَ اَنَّه‘ كَانَ يَاْخُذُ الْمُصُحَفِ كُلَّ غَدَاةٍ وَّيْقَبِّلُهْ وَاَمَّا تَقْبِيْلُ الْخَبْزِ فَجَوَّزَ الشَّافِعِيَّةُ اَنَّه‘ بِدْعَةٌ مُّبَاحَةٌ وَّقِيْلَ حَسَنَةٌ مُّلَخَّصًا-
অর্থাৎ দ্বীনদারীর এক প্রকার চুম্বন রয়েছে, সেটা হচ্ছে হাজরে আসওয়াদে চুম্বন ও কা‘বা শরীফের চৌকাঠে চুম্বন। কুরআন পাককে চুমু দেয়াটা কতেক লোক বিদ‘্আত বলেছেন। কিন্তু হযরত উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি প্রতিদিন সকালে কুরআন পাক হাতে নিয়ে চুমু খেতেন এবং রুটি চুমু দিয়াকে শাফেঈ মাযহাবের লোকেরা জায়েয বলেছেন। কেননা এটা বিদ্আতে জায়েযা। অনেকে এটাকে বিদ্‘আতে হাসানা বলেছেন।
আল্লাহ তা‘য়ালা ইরশাদ ফরমান-
وَاتَّخِذُوا مِنْ مَّقَامِ اِبْرَاهِيْمَ مُصَلَّى-
অর্থাৎ, (তোমরা মক্বামে ইব্রাহীমকে নামাযের স্থানরূপে গ্রহণ কর) মাকামে ইব্রাহীম ওই পাথরকে বলে, যেটার উপর দাঁড়িয়ে হযরত ইব্রাহীম খলীল (আঃ) কা‘বা শরীফ তৈরী করেছেন। তাঁর পবিত্র কদমের বরকতে সেই পাথরের এ মর্যাদা লাভ হলো- সারা দুনিয়ার হাজীরা ওই দিকে মাথানত করে। এ সব ইবারত থেকে প্রতীয়মান হলো- চুম্বন কয়েক প্রকারের আছে এবং পবিত্র বস্তুকে চুমু দেয়াটা দ্বীনদারীর আলামত।
* তারিখে নিশাপুরে বর্ণিত- ‘মহান ব্যাক্তিদের হস্তপদ চুম্বন করা মুস্তাহাব’ ।
* ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম ইলমে হাদীসের প্রবক্তা আল্লামা শায়খ শাহ্ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) বলেছেন- কদমবুচি (পা চুম্বন) করা জায়েজ আছে ।
* হযরত বড়পীর সৈয়্যদ আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) এর বয়স ১৮ বছর, তখন উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে বাগদাদ শরীফে যাওয়ার সময় বিদায়ের প্রাক্কালে তাঁর মাকে কদমবুচি করেন, যা ছিল তাঁর মায়ের সাথে শেষ সাক্ষাত। আর মা তাঁকে বিদায়লগ্নে নসিহত করেন, সদা সত্যকথা বলবে কোন দিন মিথ্যা কথা বলবে না ।
ক্রান্তিতে বলা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের পবিত্র বাণী-
مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيْرَنَا وَلَمْ يُوَقِّرْ كَبِيْرَنَا فَلَيْسَ مِنَّا-
অর্থাৎ, যে বড়কে সম্মান করে না এবং ছোটকে ¯েœহ করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। সুতরাং বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরই শিক্ষা।
উপর্যুক্ত আলোচনার দ্বারা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট হলো যে, আদব, ভক্তি, সম্মান প্রদর্শণার্থে বুযুর্গানে দ্বীন,পিতা-মাতা, শিক্ষকমন্ডলী, পীর-মাশায়েখগণের হস্ত-পদ চুম্বন অনুরূপ কাবা শরীফ, কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের পাতা সমূহের উপর চুম্বন জায়েয ও বরকতময়। এমনকি বুযুর্গানে দ্বীনের চুল, পোশাক ও অন্যান্য পবিত্র বস্তুর সম্মান করা এবং যুদ্ধকালীন ও অন্যান্য মুসিবতের সময় এগুলো থেকে সাহায্য লাভ করা কুরআন কারীম থেকে প্রমাণিত আছে। কুরআন কারীমে ইরশাদ ফরমান-
وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ اِنَّ اَيَةَ مُلْكِهِ اَنْ يَّاْتِيَكُمُ التَّابُوْتُ فِيْهِ سَكِيْنَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِّمَّا تَرَكَ اَلُ مُوْسَى وَاَلُ هَرُوْنَ تَحْمِلُهُ اَلْمَلَئِكَةُ-
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,তোমরা আমার ও খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আকড়ে ধর এবং এটা তোমাদের জন্য অবশ্যই কর্তব্য অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, أصحابي كالنجوم بأيّهم اقتديتم اهتديتم -আমার সাহাবীগণ তারকারাজির ন্যায়, তোমরা যাকেই অনুসরন করবে সৎ পথ পাবে।
সুতরাং বুঝা গেল যে, যারা কদমবুচি করাকে বিদ‘আত, শিরক, হিন্দুদের নিয়ম ইত্যাদি বলে থাকে, তারা মূলতঃ পবিত্র কুরআন হাদীসের অপব্যাখ্যাকারী, সমাজে ফেতনা সৃষ্টিকারী, ভ্রান্ত আকী¡দায় বিশ^াসী এবং তারাই ওহাবী নামে আখ্যায়িত। আল্লাহ তা‘য়ালা আমাদের ঈমান ও আমল হেফাজত করুন। আমিন! বিহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
[ad_2]
Source link